নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের নামে অসহায় মানুষগুলোর সাথে এ যেন নির্মম উপহাস।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৯


মসজিদ আল্লাহর ঘর। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের স্থান। মসজিদ কোন আরাম আয়েশের বা এলাকার গৌরবের স্থাপনা নয়।
মসজিদ প্রয়োজন অনুযায়ি নির্মিত হবে। এটাই স্বাভাবিক। প্রশ্ন হল মসজিদকে আলিশান হতে হবে কেন। একটি মসজিদ স্থাপিত হবে, সেখানে ইবাদতের জন্য প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু তাকে সুসজ্জিত করতে হবে কেন?
আমাদের দেশের মসজিদ সমূহকে এখন এয়ার কন্ডিশন করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন?
আপনি আল্লাহর কাছে হাজিরা দিতে মসজিদে উপস্থিত হচ্ছেন। দীনহীন, অসহায়, পাপী একজন বান্দা। সেখানে আপনাকে এত আরাম আয়েশের দিকে লক্ষ রাখতে হবে কেন?
যারা আল্লাহর ঘরের দোহাই দিচ্ছেন তাদের কি ক্ষমতা আছে মহান আল্লাহর ঘরকে সুসজ্জিত করে দেয়ার? আল্লাহ কি তাগিদ দিয়েছেন মসজিদকে সুসসজ্জিত করার?
মহানবি (সঃ) কি সেই তাগিদ দিয়েছেন?
বরং মহানবী(সঃ) তাগিদ দিয়েছেন এই বলে যে, "তোমার প্রতিবেশী যদি না খেয়ে থাকে এবং তুমি যদি পেট পুরে খাও তাহলে তুমি ঈমানদার নও, মুসলমান নও।’ লক্ষনীয় বিষয় হল এখানে প্রতিবেশীর কথা বলা হয়েছে। মুসলমান প্রতিবেশীর কথা বলা হয় নি।
এই কথাগুলো এজন্যেই বলছি, যখন দেখি একটি আলিশান মসজিদের পাশের ফুটপাতেই গৃহহিন মানুষ খোলা আকাশের নিচে শুয়ে আছে তখন মনে হয় ধর্মের নামে মানুষ যেন অসহায় মানুষগুলোর সাথে নির্মম উপহাস করছে।

মসজিদকে কেন্দ্র করে সারা দেশ ব্যাপি চাঁদার নামে একধরনের ভিক্ষাবৃত্তি চালু হয়েছে। যেখানে চাঁদা গ্রহিতারা যদি শতভাগ সততার সাথেও আদায়কৃত চাঁদার টাকা মসজিদের তহবিলে জমা করেও থাকে সে ক্ষেত্রেও মসজিদ পায় ৩০ ভাগ বাকি ৭০ ভাগ নেয় চাঁদা আদায় কারীরা। অর্থাৎ এটাকেই তারা অবলীলায় পেশা হিসেবে গ্রহন করছে। আর যদি চাঁদা গ্রহিতা পূরো টাকাটাই মেরে দেয় সে ক্ষেত্রেও তাদের বাধা দেয়ার কেউ নেই। এ সবই সম্ভব হচ্ছে মসজিদকে দৃষ্টি নন্দন আলীশান করে গড়ে তোলার মানসে। এখানে কতটা পার্থিব স্বার্থ জড়িত আর কতটা মহান আল্লাহকে খুশি করতে সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ।

বিঃদ্রঃ এটি বরিশালের বায়তুল আমান জামে মসজিদ। এই মসজিদটি গুঠিয়া মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদটি বরিশালের, উজিরপুর গুঠিয়ার, চাঙ্গুরিয়া নামক এলাকায় অবস্থিত । মসজিদটি কোন ঐতিহাসিক মসজিদ নয়। মসজিদটি তৈরি করেছেন ঐ এলাকার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু নামের জনৈক ব্যাক্তি।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

বেসিক আলী বলেছেন: আল্লাহর সৃষ্টি থুইয়া সবাই আল্লাকে খুশি করতে ব্যস্ত। কিন্তু তারা জানেইনা আল্লাহ তার সৃষ্টির খুশিতেই খুশি থাকেন। সবাই খানি দেখানোতেই বিশ্বাসী

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সবাই দেখানোতেই বিশ্বাসী

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

নতুন বলেছেন: যদি সবাই এমন চিন্তা করতো তবে বিশ্বে ক্ষুধা থাকতো না।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমিও সেটাই মনে করি। অথচ আমি এও জানি আমার এই লেখাটা আমাদেরই অনেক স্বনামধন্য অনলাইন মডারেট ব্লগ প্রকাশ করবে না। যদিও তারা আমার অন্য লেখা ঠিকই প্রকাশ করে ।

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই এইটা এমন একটা বিষয়, যে কিছ বলাও যায়না।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ভাই কিছু বলছেন না বলেই এটা এখন একটি ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন পোস্ট, ধর্ম ব্যবসা জেকে বসেছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনার কথা অগ্রাহ্য করছি না তবে এই প্রশ্ন কেন মসজিদের উপর??? এ দেশে হাজার হাজার আলিশান বাড়ি আছে এবং সেগুলো তথাকথিত মুসলিমদেরই। তাদের কে কেন এ প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন না??? আলিশান বাড়ি একজনের কিন্তু মসজিদ সবার উদ্দোগে গড়ে ওঠে। অতএব সকলের সম্পদ রাস্তায় রাস্তায় এভাবে বিলি করে বেড়ালে আগামীকাল আপনিই ব্লগে তার বিরুদ্ধে লিখবেন। এদোষ মসজিদের ওপর না চাপিয়ে আমি আপনি সবার ঘাড়ে নিয়ে নিন না কেন??? আপনি লিখেছেন আলিশান মসজিদের পাশে গৃহহীন মানুষ দেখেছেন, আলিশান বাড়ির পাশে মনে হয় দেখেন নি। আপনার কাছে প্রশ্ন ,ঐ গৃহহীন লোকটা কে এক গ্লাস পানি পান করানোর জন্য দুইটা টাকা দিয়েছিলেন তো???

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: খোলা মনের কথা আমার আলোচনাটাকে খোলা মনে বিচার করেন নি। এখানেই সমস্যা। যে ছবিটি দেয়া হয়েছে সেটি কিন্ত একজন ব্যক্তি বিশেষের তৈরী সেটা আমি উল্লেখ করে দিয়েছি। এখানে আমি মুসলমান বলেই সব ধর্ম উপাসনালয়কে না টেনে আমার নিজেরধর্ম উপাসনালয়কে টেনেছি। উত্তরটি প্রশ্নের আগেই দিয়ে দিলাম। আর ঐ যে প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন "কেন মসজিদের উপর??? এ দেশে হাজার হাজার আলিশান বাড়ি আছে এবং সেগুলোর উপরে নয় কেন? তার উত্তর তো আপনিই দিয়ে দিলেন, আলিশান বাড়ি একজনের কিন্তু মসজিদ সবার উদ্দোগে গড়ে ওঠে। কাজেই সবাই মিলে কেন বাড়তি খরচ করছি? কেন সাধারন মানুষের জন্য করছি না?
ব্যক্তি বিশেষের ভুলকে কেন সামাজিকিকরন করছি এবং একই সাথে বৈধতা দিয়ে যাচ্ছি?
সব শেষ প্রশ্নের উত্তরে বলব আমি ব্যক্তিগত আক্রমন করি নি আপনি তাই করলেন। এই আপনাদের ভয়েই আরেক ভাই (হানিফঢাকা) একটু আগেই মন্তব্য করলেন, ভাই এইটা এমন একটা বিষয়, যে কিছ বলাও যায়না।
কাজেই আপনাকে বলব দ্বিমত থাকতেই পারে কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশটা যুক্তিগ্রাহ্য হওয়া উচিৎ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

নতুন বলেছেন: ইসলামে অপচয় করতে নিষেধ করেছে। আপনার প্রতিবেশির খবর রাখতে বলেছে।

এলাকায় মানুষ না খেয়ে থাকলে এমন মসজিদের ডেকোরেসন করা কতটা যৌক্তিক? যেখানে ৫-১০ জন মানুষ ফজরের নামাজ পড়বে?

সাধারন মানুষ তার সম্পত্তি দিয়ে কি করবে সেটা তার ব্যাপার। মসজিদে এসি লাগানো ( যেটা আমাদের দেশের খুবএকটা দরকার নাই) নরম কাপেট ( সেটা সাধারন কাপেটেও চলে) বড় বড় ঝাড়বাতি...

এইগুলি কি অপচয় না?

‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!’
মসজিদে কাল শির্নী আছিল,-অঢেল গোস–র”টি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটি কুটি,
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে আজারির চিন্
বলে, ‘ বাবা, আমি ভূখা-ফাকা আমি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা-‘ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভূখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?’
ভূখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল-‘তা হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস–র”টি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে-
‘আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষুধার অন্ন তা ব’লে বন্ধ করনি প্রভু।


-কবি নজরুল ইসলাম অনেক আগেই এটা নিয়ে লিখেছেন।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: কবি নজরুল মানবতার কবি। এমন অনেক আর্তি তার পড়েছি। অথচ মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। আমাদের বোধে যে ব্যধি তা সহজ করে সুন্দর করে আমাদের ভাবতে দেয় না। তাই বার বার এ প্রসংগ গুলো ফিরে আসবে যদিও জানি অতি ধার্মিকের খবরদারীতে সবটাই মিছে হবে।
অনেক ধন্যবাদ নতুন আপনাকে।

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

হোৎকা বলেছেন: ইসলাম নিয়ে এতো চুলকানি কেনো ?

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বলতে পারেন ইসলাম খোরদের কারনে যাদের কাছে ইবাদতের থেকে দেখানোটার মূল্য অনেক বেশী।

৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৪৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আপনার লেখা যৌক্তিক। এখন প্রশ্ন হল, যিনি বা যাঁরা মসজিদ নির্মাণ করছেন তিনি বা তাঁরা কি মানুষের কল্যাণে কাজ করছেনা? যতদূর জানি শরফুদ্দিন সান্টু সমাজের সুবিধা বঞ্চিত জনগনের জন্য প্রচুর সহায়তা করেন।

আমাদের এলাকাতেও দেখছি যিনি মসজিদে বেশি দান করেন দরিদ্রদেরও তিনিই বেশি দান করেন। আরো কথা আছে গরীব জনতা বা গৃহহীনদের পূনর্বাসনের দায়িত্ব কার? আসল দোষীকে বাদ দিয়ে অন্যকে ধরলে সমাজ বদলাবে না। সমস্যা একটা না। আপনি যদি নিজের ঘটের পয়সা খরচ করে গরীবের ভাগ্যোন্নয়ন করতে চান তাহলে নানা ফ্যাসাদে আটকে আপনার জীবনটাই অতিষ্ঠ হয়ে যাবে। গত ক'বছর মহল্লার যাকাত মেনেজমেন্ট করা ও স্থানীয় ধনিদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে প্রান্তিক শ্রেণীর কল্যাণ করতে গিয়ে প্রশাসনিক ঝামেলায় ফেঁসে গেছে বেশ ক'জন।

সো একমূখী দৃষ্টিভঙ্গি কখনই যথার্থ চিন্তা হাজির করে না।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সুপান্থ সুরাহী বিষয়টার আরো গভিরে প্রবেশ করুন। এই আলোচনায় আমার প্রথম প্রশ্নই ছিল।
ইবাদত যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে তার এত বিলাসি আয়োজন কেন। মহান আল্লাহ রোজার নির্দেশ দিয়েছেন নিরন্ন মানুষের কষ্ট বোঝাতে এবং বান্দা কষ্ট করে তার হুকুম পালন করবে সেই কারনেই।
মসজিদের পেছনে যে অযাচিত খরচ করা হয় মহান আল্লাহ কি তা পছন্দ করেন?
যে যাকাতের কথা বলছেন সে যাকাত আল্লাহর কাছে গ্রহনযোগ্য কিনা আমার সন্দেহ আছে কেননা যাকাতের উদ্দেশ্য দারিদ্র্য দুরীকরন দারিদ্রকে উপহাস করা নয়।
আপনার যদি দশ লাখ টাকা যাকাত নির্ধারিত হয় আর তা যদি আপনি তা পাঁচ বা দশ জনের মধ্যে বিতরন করেন অর্থাৎ তাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেন তাহলে সেই মানুষগুলি আর কোনদিনই কারো কাছে হাত পাতবে না। আর এভাবেই দারিদ্র দূর হবে। কিন্তু আমাদের সমাজে যে যাকাতটা দেয়া হয় তাকে যাকাত না বলে বলা উচিৎ নাম কেনা।

১০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত

১১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সাদা মনের মানুষ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সান্টু সাহেবের পয়সার উৎস সম্পর্কে জানতে চাহিয়া লজ্জিত করিবেন না। মসজিদের ওই এসিওয়ালা রুমে নামাজ পরার উপরেও বিধি নিষেধ রয়েছে। বিষয়টা এমন যে এই এসির মধ্যে নামাজ পরতে হলে তোমাকেও এসির যোগ্য হতে হবে। বিশেষ করে নামাজের পরে মসজিদের গেটটা বন্ধ করে বারান্দায় নামাজ পরতে দেয়া হয়। আবার বারান্দায় অনেক সমস্যাও থাকে। ফ্যান ঘোরে না এবং মাঝে মধ্যে বৃস্টিতেও ভিজে যাওয়া লাগে। মসজিদ কমিটিগুলোর ধারনা বারান্দায় যে ফ্যান ছারা ভিজে ভিজে নামাজ পরে তার নামাকে আগে উনাদের এসির নামাজ কবুল হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালাও মনে হয় এখন ধনিদের পক্ষে চলে যাচ্ছেন বলেই উনাদের ধারনা।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমার এই পোষ্টটির উদ্দেশ্যই ছিল বিষয়টি নিয়ে আলচনার সূত্রপাত করা । যারা এখানে মন্তব্য করেছেন বা লেখাটি পরেছেন আশা করছি প্রত্যেকেই এটা নিয়ে নিজস্ব পরিমন্ডলে কথা বলবেন। আমার কথা হল ইবাদত আর লোক দেখানোর ইবাদত আলাদা। বিষয়টি পরিস্কার হওয়া উচিৎ। বশর সিদ্দিকী ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ বশর সিদ্দীকি ভাই- তারা ইসলামকেও কর্পোরেট ষ্টাইলেই ভাবছে বোধকরি!
যে ইসলাম সাম্যের কথা বলে সেখানে ধনী নির্ধনের এমন লজ্জ্বাস্কর পৃথকীকরনের পর তারা আদৌ মুসলমান থাকে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন!
যেমন ইয়াজিদের বাহিনীতে হাজার হাজার কথিত মুসলমান থাকার পরও ইমাম হোসাইন এই প্রশ্নই করেছিলেন- তোমাদের মধ্যে কি একজন মুসলমানও নেই?

তারা বাহ্যত, নামে কথিত মুসলিম পরিচয় দিলেও তারা যে সত্যি মুসলমান ছিলেন না তার বড় স্বাক্ষ্য ঐ জ্বলন্ত প্রশ্ন!

আজকের দিনের তথাকথিত কমিটি আর এসিওয়ালা নামাজিদের নিয়ে এই প্রশ্ন নির্দ্বিধায় করা যায়!

দেখুন তারা সূরা মাউন দিয়েই নামাজ পড়ে। তারা যা আবৃত্তি করে তার উল্টোটাই করে!
তারাই নামাজে হাত বেধে বলছে-
আরাইতাল্লাজি ইউকাজ্জিবু বিদ্দীন! -আপনি কি তাকে দেখেছেন, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?
ফাজালিকাল্লাজি ইয়াদুল ইয়াতিম - সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
ওলা ইয়াহুদ্দু আল ত্বোয়ামিল মিসকিন- এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
ফাওয়াইলুল্লিল মুছাল্লিন/ -অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর
আল্লাজিনা হুম আনছালতিহিম ছাউন -যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
আল্লাজিনা হুম ইউরাউনা -যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
ওযা ইয়ামনা উনাল মাউন - এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।

অথচ তা করছে না।
এখানে এত ষ্পষ্ট করে বলার পরতো আর কারো কোন তাফছির বা হাদিস বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। তাদের নামাজ আল্লাহর কাছে পৌছে না। এভং তারা নামাজের যে মৌলিক কর্ম তা থেকে পূর্ণ বেখবর- ইয়ামিত মিসকিন দরিদ্র প্রতিবেশীর সাহায্য, সহায়তা, তাদের সন্তুস্টিকেইতো নামাজের অপরিহার্যতা বলা হয়েছে। হয়নি কি?

নজরুলের - চেঙ্গিস গজনী মামুদরা আর আসেনা। আসেনা বলেই শতবছর আগের আক্ষেপ আজ শত হাজার গুনে বেড়েছে! ভৃগুও আর ভগবানের বুকে পদচিহ্ন আঁকে বলেই সময়ের অচলায়তন থির দিয়ে রয়।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু আপনার ব্যাখ্যায় আমার লেখাটি সমৃদ্ধ হয়েছে। এর বেশী কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই। অনেক ভাল থাকুন।

১৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

রাতুল_শাহ বলেছেন: গালিব ভাই, আপনার পোষ্ট আমার ভালো লাগছে।
আমার আত্নীয়-স্বজন, আমার প্রতিবেশী যদি না খেয়ে থাকে, অর্থাভাবে থাকে, তবে অবশ্যই তাদের আগে সাহায্য করতে হবে।
তাদের অর্থাভাবে রেখে মসজিদে টাইলস লাগানোতে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে।
আমরা দান কেন করি?
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য, বেশি বেশি ছওয়াব পাওয়ার জন্য। তাই না?
মসজিদের জন্য অর্থ-সম্পদ দেওয়াটাও তো আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য।
আমার আত্নীয়-স্বজন, আমার প্রতিবেশী, আল্লাহর কাছে তাদের অভাবের জন্য কান্নাকাটি করছে, এইদিকে আমি আমার অর্থ মসজিদে দিলাম।
আমি জানিনা আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন কিনা?
নামায তো খোলা আকাশের নীচেও আদায় করা যায়। কিন্তু আমার প্রতিবেশী, আত্নীয়-স্বজনকে খোলা আকাশের নীচে রাখতে পারিনা।

বিলাসবহুল বাড়ি বা মসজিদের ব্যাপারে যথেষ্ট পার্থক্য আছে।
আপনি বিলাসবহুল বাড়ি বানাচ্ছেন, সেটার উদ্দেশ্য ভিন্ন। আপনার আরাম আয়েসের জন্য সেটা।
আপনি মসজিদে টাকা দিচ্ছেন, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য।
কিন্তু প্রতিবেশী খোলা আকাশের নীচে থাকলো, না খেয়ে, আবার বস্ত্রের অভাবে আছে, এমন অবস্থায় আামার মনে হয় না, আপনার মসজিদে দেওয়া অর্থ-সম্পদে আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হবেন!!!!

যাহোক ভুল কিছু বললে, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে শুধরে দিবেন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমার ধারনা বেশির ভাগ মানুষই এ ব্যাপারে একমত হবেন কিন্তু সমস্যা হল প্রায়োগিক ক্ষেত্রে আমরা ঠিক এর উল্টোটাই করি। এটা সাধারন বোধ শক্তির ব্যাপার। যেখানে বলা হচ্ছে ডান হাত জানতে পারবে না বাম হাতের দানের কথা সেখানে মসজিদ স্থাপিত হওয়ার অনেক আগেই প্রচারিত হতে থাকে এটা অমুকের দান। আমি বুঝিনা আল্লাহকে দান করার ক্ষমতা মানুষের কি করে হয়!
শুক্রবারের মসজিদে যখন মসজিদের প্রয়োজনের ফর্দ তুলে দানের অনুরোধ করা হয়। আর একেক জন দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন তিনি এত টাকা দিবেন। আর মসজিদ কমিটির লোক মারহাবা বলে তার দানের ঘোষণা পাঠ করে আমি অবাক হয়ে ভাবি তিনি কি দান করলেন না নাম কিনলেন।

১৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি আমার মনের কথা লিখেছেন; আপনাকে অনেক অনক ধন্যবাদ। আমি পরে কিছূ মন্তব্য করবো।

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সেলিম জাহাঙ্গীর আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন, আপনি যখন ডান হাতে দান করবেন, এমন ভাবে দান করবেন বাম হাত যেন জানতে না পারে।

অর্থাৎ লোক দেখানো দান করা যাবে না।

এক ইমাম সাহেবকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি উত্তরে বলেছিলেন:- আপনি যখন দান করবেন, আরেক জন ধনী লোক যখন এটা দেখবে, তখন তিনি দান করার প্রতি অনুপ্রাণিত হবেন। তার কথাটাও ভালো লাগছে।

আমার মনে হয়, আমি যেভাবেই দান করিনা কেন, আমার উদ্দেশ্য যদি, মানুষের কল্যাণ হয়ে থাকে, তাহলে আমার দানটা সঠিক হইতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.