নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
কিছু প্রশ্ন রাষ্ট্র যন্ত্রের কাছে তথা রাষ্ট্রের পরিচালকদের কাছে করতেই হয় নয়ত বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে হয়। আর বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে থাকতে একমাত্র সেই ভালবাসে অপরাধ যার রক্তের সাথে মিশে থাকে। সেই দায় বোধ থেকেই এই কটি প্রশ্ন-
* বারের এমন সিদ্ধান্ত কি সংবিধান সম্মত যে, কোন আইনজীবী কারো বিরুদ্ধে মামলা করলে আসামীর পক্ষে অন্য কোন আইনজীবী দাঁড়াবেন না?
*আইনজীবীরা কি ফেরেশতা যে তারা কারো বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করবেন না? আর যদি ফেরেশতাও হন অভিযুক্ত কেন আইনের সহযোগিতা পাবেন না?
‘গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার আবদুল আহাদ রোববার সন্ধ্যার পর আমাদের বলেছিলেন, “তোমার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের দরকার ছিল। করা হয়েছে। একটু পরে ছেড়ে দেওয়া হবে। তোমার মাকে ডেকে আনো। তিনি আসার পর তুমি তোমার বাবাকে নিয়ে চলে যেয়ো।” এর কিছুক্ষণ পর তাঁর কাছে একটি ফোন এলে তিনি বলেন, “আজ রাতে তোমার বাবাকে এখানে থাকতে হবে।” আমি বললাম, বাবাকে কি বিছানা দেওয়া হবে? আহাদ সাহেব বললেন, “না, চেয়ারে বসে থাকতে হবে।” তখন আমি বললাম, ধরে নিন, আপনার একটি পা নেই। একটি হাত অকেজো। আপনি কি সারা রাত চেয়ারে বসে থাকতে পারবেন? তখন আহাদ সাহেব বললেন, “বাবা, তুমি আমাকে প্রশ্ন কোরো না। আমার হাত-পা বাঁধা”।’ সূত্র প্রথম আলো ১৮/৮/১৫
* গোয়েন্দা পুলিশের একজন অতিরিক্ত উপ কমিশনার এর হাত আইন ছাড়া আর কে বেধে রাখতে পারে। দেশ কি আইন দ্বারা শাসিত নয়?
পরিশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করব; আপনি যখন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলেন ঠিক তখনই হঠাত করে পিটিয়ে হত্যা থেকে শুরু করে ছাত্র লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে খুনোখুনি শুরু হয়ে গেল! ঠিক তখনই প্রবীর শিকদারদের মত আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত সুহৃদরাই বা কেন ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিচ্ছে আর পুলিশেরই বা কেন পঙ্গু মানুষটিকে হাতকরা পড়িয়ে নিয়ে যেতে হল। এসবই অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পড়ে সাধারণ মানুষ আপনি ছাড়া আর কারো কাছেই এমন করে সাহায্য চাইতে যায়নি। সাহসও করেনি, বোধ করি তারা সেই আস্থা অর্জনে সক্ষম হননি। সে ক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম আপনি। আজো আমরা আপনার দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।
আজ যারা কথা বলছে তারা আওয়ামীলীগের তথা এ দেশের সুহৃদ এটা নিশ্চিত। এর দায়ও হয়ত তাদের একদিন শোধ করতে হবে। তা জেনেও তারা কথা বলেন দেশের স্বার্থে এমনকি আওয়ামীলীগের স্বার্থে। কারণ তারা জানে অন্তত এই মুহূর্তে আওয়ামীলীগ আর বাংলাদেশের স্বার্থ আলাদা করার সুযোগ নেই।
আল্লাহ্ আপনাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন আপনার উপর এই আস্থাও তাদের থাকবে কেননা আপনার থেকে বেশী আস্থা অর্জন করার মত রাজনৈতিক নেতা এ দেশে এই মুহুর্তে অন্তত নেই। দয়া করে আমাদের আশাহত করবেন না। সাংবাদিক প্রবীর শিকদার এর ক্ষেত্রেও আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
[email protected]
©somewhere in net ltd.