নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
দয়া করে গোলাপি-সাদা-নীলের বিভাজন থেকে বেড়িয়ে আসুন
আমরা মাঝে মাঝেই এমন কিছু কাজ করি যেটা সফল হোক সেটা চাই না। এমন অনেক কাজ করতে হয়, যা কেবল অন্যকে বিভ্রান্ত করা বা অন্যের কাছে নিজেকে ভাল মানুষটি সাজানোর উদ্দেশ্যেই মূলত করা। আর তাই সে সব ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত না হলেও আমাদের কোন দুঃখবোধ থাকে না। বরং ক্ষেত্র বিশেষে অসফলতাকেই আসলে সফলতা বলে ধরে নেয়া হয়।
এ দেশের ছাত্র রাজনীতির নামে যে অরাজকতা, যে উচ্ছৃঙ্খলতা চলছে তা দমন করাটা যে কোন সরকারের জন্যই কঠিন কিছু নয়। সব সরকারের আমলেই ক্ষমতাসীনরা তাদের আশির্বাদ পুষ্ট ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে বিপাকে পরেছেন, বিব্রত হয়েছেন। প্রকাশ্যে এ নিয়ে অনেক উচ্চ বাচ্য শোনা গেলেও কোন সময়েই এদের দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি তা বুঝতে গবেষণার প্রয়োজন নেই। এটা বোঝা খুবই সহজ। ক্ষমতাসীনরা মনে করে চর দখলের মত করে তাদের সংগঠনের লাঠিয়ালরা যেভাবে সব কিছু কব্জা করে রাখে। এদের দমন করলে সে সব হাতছাড়া হয়ে যাবে। শুধু যে হাতছাড়া হবে তা নয় একই সাথে বিরোধী শক্তির দখলে চলে যাবে। কাজেই এই নষ্টদের পুষতেই হবে। ফল যা হবার, তাই।
যখন যে দল ক্ষমতায় তখন সে দলের কব্জায় বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন। বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন নানাবিধ গবষনা, মানব কল্যাণে ব্যবহার উপযোগী উদ্ভাবন নিয়ে খবরের শিরোনাম হয় তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খবরের শিরোনাম হচ্ছে প্রতিপক্ষের সাথে রক্তাক্ত যুদ্ধ বাধিয়ে, সহপাঠীকে খুন করে।
এসব আমাদের অনেক আগেই গা সওয়া হয়ে গেছে। আমাদের রাজনীতিবিদগণ মিথ্যের ফুলঝুরি দিয়ে খুব সহজেই ভোলাতে পারেন। তারা জুজু’র ভয় দেখালে আমরা বাধ্য ছেলের দল ঘরে খিল এঁটে বসে থাকি। তারা অলিক স্বপ্ন দেখাতে চাইলে আমরা চোখ মুদী। এমন বাধ্য জাতিকেই তো ভোলাতে হয়।
বোধকরি সৃষ্টিকর্তাও সব থেকে বেশী অপছন্দ করে বেকুবকে। আর এই বেকুবের দলের পরে পরে মার খাওয়াটাই একমাত্র ভবিতব্য।
নয়ত আমরা নব্বইয়ের স্বৈরাচার পতনের পর থেকে আজ পঁচিশটি বছর যাবত দেখছি ছাত্র রাজনীতির নামে যা হচ্ছে তা আগামীর নেতা বানানোর চেষ্টা নয়। ছাত্র রাজনীতির নামে অজস্র মেধাবী ছাত্রকে স্রেফ মুল দলের ভ্যান গার্ড বানিয়ে রাখা হচ্ছে। তারপরেও নেতাদের কথায় ভুলে আমরা এই ছাত্র রাজনীতির মাঝে আগামীর রাজ্জাক, তোফায়েল, রব, ইনুদের ছায়া খুঁজে ফিরি। একে ভ্রান্তিবিলাস বললেও অনেক কম বলা হয়ে যায়।
আচ্ছা ঠিক আছে, আমরা না হয় অনন্তকাল সেই ভ্রান্তিবিলাসেই পড়ে থাকব। কিন্তু নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নীল-সাদা-গোলাপিতে বিভক্ত করে রেখেছেন কেন? সে ব্যাপারে তাদের ব্যাখ্যাটি কি। শিক্ষকতার জীবন শেষে যাতে তারা যোগ্য রাজনৈতিক নেতা হতে পারেন। সে জন্যেই কি শিক্ষক রাজনীতির তালিম দেয়া হচ্ছে?
আমাদের তখনই সবথেকে বেশি কষ্ট হয়, যখন দেখি নিজেদের স্বার্থে বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছেন।
শিক্ষকরা রাজনীতির কারণে নিজ দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে মিশে যাচ্ছেন। ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে কোন প্রভেদ থাকছে না। এরা একে অন্যের বন্ধু এমনকি স্বার্থ আদায়ে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠছে। আপনি এই ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ-স্নেহ কি করে খুঁজে পাবেন?
শিক্ষক যখন ভোগবাদী, ছাত্র তখনো উদারনৈতিক মানসিকতার। অথচ রাজনীতির এই চালে পরে সব একাকার। ছাত্র শেখার কথা ভুলে ভোগে মেতে উঠছে। যার সাথে প্রয়োজন সখ্যতা গড়ে তুলছে যাকে প্রয়োজন পিষে মারার চেষ্টা করছে। এখানে সম্পর্কের বিষয়টা গৌণ।
এক দলের ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে যে লেনদেনের সম্পর্কটা গড়ে ওঠে ঠিক তার বিপরীত সম্পর্ক স্থাপিত হয় বিরোধী মতের ছাত্র শিক্ষকের সাথে। কাজেই সংঘর্ষ অনিবার্য।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটা কি আলাদা কিছু? মোটেই না। এখানে কেবল একটাই পার্থক্য আর তা হল একই দল বা মতের সমর্থকদের মাঝেই দ্বন্দ্ব।
এটাই তো স্বাভাবিক? এখানে একদল ভোগবাদী একদল দেশাত্মবোধে উজ্জীবিত উদারপ্রান। এই নীতিবান মানুষগুলোর জয় মানেইতো ভোগের অবসান। সেটা তারা কেন মেনে নেবেন?
কাজেই এখানেও দুষ্টের কাছে শিষ্ট হেরে গেছে। আজ এখানে জাফর ইকবাল স্যার আছেন, তার স্ত্রী আছেন বলেই এতো বেশী প্রতিবাদের ঝর উঠেছে। কিন্তু এই অবস্থা তো অন্যত্রও। তাই নয় কি?
আমরা কিন্তু আসল সমস্যাটা খুঁজতে যাচ্ছি না। আর এটাই সব সমস্যার মূল। এই ছাত্র রাজনীতি ছাত্রনেতা তৈরি করবে না এটা আমরাও জানি তথাপিও ছাত্র রাজনীতি চালু রাখার পক্ষে এমন কিছু যুক্তি দার করানো যায় যা এই মুহূর্তে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কাজেই বলতে পারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী আগাছা উপড়ে ফেলে যদি সংগঠন চালানো সম্ভব হয় তাহলে ছাত্র রাজনীতি চলুক তবে শিক্ষক রাজনীতির নামে একটি আদর্শিক পেশাকে এভাবে অসুস্থ করে রাখা একেবারেই উচিৎ হচ্ছে না। শিক্ষকদের রঙ যদি এতই পছন্দ তাহলে তা হোক লাল-সবুজের এক অনবদ্য দ্যোতনা। যা আমাদের গর্ব, যা আমাদের অহংকার। এভাবে গোলাপি-সাদা-নীলে বিভক্ত জাতির বিবেক হতে পারে না। এই অসুস্থ মানসিকতা থেকে দয়া করে বেড়িয়ে আসুন।
[email protected]
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সবার আগে এসব দলভুক্ত গুরুজনদের(!) শায়েস্তা করতে হবে। এটাই আসল কথা।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মূল দলের বাইরে কোন দলই থাকা উচিত না। শিক্ষক, ডাক্তার, সাংবাদিক সহ সব পেশাজীবি সংগঠন সহ ছাত্র রাজনীতিও নিষিদ্ধ করা উচিত। যার ইচ্ছে সে মূল দল করবেন।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: আগে শিক্ষক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে তাহলে এমনিতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে। সারাক্ষণ ক্লাস টেস্ট, সেশনাল (প্র্যাকটিখক্যাল) , টার্ম টেস্ট , কুইজ, ভাইভায় ব্যস্ত থাকতে হলে কারো পক্ষে রাজনীতির চিন্তা মাথায় আসা তো দূরে থাক সারাক্ষণ দৌড়ের উপরে থাকতে হবে। সো আমাদের শিক্ষা সিস্টেমে এরকম কিছু করা দরকার আর শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্যারিয়ার বিষয়ক চিন্তাটা ভালো করে গেথে দিতে হবে তারা যাতে বুঝে রাজনীতির পেছনে সময় নষ্ট করার চেয়ে ক্যারিয়ারের প্রতি মনোযোগী হলে তারা লাভবান হবে।
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটা আজব ব্যপার একদিকে আপনি একতাবদ্ধ হতে বলছেন অন্যদিকে একশ একটা ফ্রন্ট খুলে জাতিকে শতধা বিভক্ত করে রাখছেন
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: আসলে সাদা দল নীল দলে এগুলো সবকটারে ভালোভাবে সরকারীভাবে সরকারী কায়দায় পেদালে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। এরা যখন যে সরকার আসে তখন সে সরকারের তাবেদারী করে, নিজেদের ইচ্ছেমত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে। সবার আগে এসব দলভুক্ত গুরুজনদের শায়েস্তা করতে হবে।