নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
ছেলেটা ভীষণ চতুর। সে তার মাকে বলল মা এখন থেকে আমি প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করব। ধর্মপ্রাণ মা' শুনে তো বেশ খুশি। আল্লাহ্ ছেলেটার সুমতি দান করেছেন। তো যাই হোক, ছেলে প্রতিদিন মাগরিব আর এশা'র নামাজ পড়তে মসজিদে যায়। কিন্তু মা লক্ষ করে দেখলেন ছেলেটা অন্য তিন ওয়াক্ত নামাজের কাছে থেকেও যায়না। বিষয়টা তিনি বুঝতে পারলেন। উদ্দেশ্য তো নামাজ পরা নয় উদ্দেশ্য পরা ফাকি দেয়া। তিনি মহা বিপদে পরে গেলেন ছেলেকে মসজিদে যেতে নিষেধও করতে পারছেন না পাছে আল্লাহ্ রাগ করেন। আবার নামাজের নাম করে এভাবে পরা ফাকিও মেনে নিতে পারছেন না।
শেষে পাড়ার ইমামকেই একদিন ডেকে পাঠালেন পরামর্শ করার জন্য।
ইমাম সাহেব সব শুনে বললেন যেহেতু আমি ওকে মসজিদে আসতে দেখি না কাজেই আপনি বলুন। হয় সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে আদায় করবে নয়ত মাগরিব আর এশার নামাজ তাকে বাসায় বসেই আদায় করতে হবে।
বলা বাহুল্য এই নির্দেশ জারীর পর থেকে আর ছেলেটার মাগরিব এবং এশার নামাজ আদায়ের উৎসাহ দেখা যায় নি।
গল্পটা এ জন্যেই বললাম, মহানবী সঃ এর জন্মস্থান-আবাস স্থান এবং ওফাত স্থান বলে যারা মক্কা-মদিনাকে সম্মানের পাশাপাশি এর শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন। তাদের শত অন্যায় আচরণকেও মেনে নেন তারা কি কাজটা ঠিক করছেন? মহান আল্লাহ্ কি তাদের এই অন্ধভক্তিকে মেনে নেবেন?
আপনারা কেন ভুলে যাচ্ছেন, নবী মুহাম্মদ (সা) এর নাতি হোসেইন ইবন আলীকে কারবালায় কারা হত্যা করেছিল। তারা কি অনারব ছিল? আপনি কি তাদেরকেও সমর্থন করবেন?
কারবালার প্রান্তরের আলী রা: এর সেই শিশুপুত্র আসগরের পরিণতি আর আজকের সিরিয় কুর্দি শিশু আয়লানের পরিণতির মধ্যে কি পার্থক্য আপনি খুঁজে পান।
সেদিনের ইয়াজিদ এর সাথে কি আপনি আজকের আরব শাসকদের কোন পার্থক্য খুঁজে পান? উভয়ে ইসলামের আবরণে নিজেদের আড়াল করে আপন স্বার্থ সিদ্ধি করে যাচ্ছে।
অনেকটা পিকে ছবিতে আমির খান যেমন ভগবানের ছবি অঙ্কিত স্টিকার গালে লাগিয়ে ধর্মান্ধদের হাত থেকে বাচার চেষ্টা করেছিল।
সেদিন মহানবীর (সঃ) দৌহিত্র আফসোস করে বলেছিলেন তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই!
অথচ তারা সবাই ছিলেন তথাকথিত মুসলিম। ঠিক একই ভাবে আজ আয়লানের বাবাও হয়ত একই প্রশ্ন আউরেছেন, উত্তর মেলেনি।
মুসলমানের বংশধর, ইসলামে লেবাস এবং মহানবী (সঃ) এর পবিত্র ভুমি কখনোই এর উপরে দাপিয়ে বেড়ানো অনাচারিদের দায়মুক্তি দেয় না।
আপনি ধর্মান্ধ কাকে বলছেন যে না জেনে না বুঝে অন্যের ঘারে চাপাতি চালায় তাকে অথচ আপনি আমিই বা কম কিসে? আমরাও তো আরবদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছি না। এটা কি ধর্মান্ধতা নয়?
আমাদের এটাও মনে রাখা উচিৎ মহানবি (সঃ) এর আগমন ঘটেছিল আইয়ামে জাহেলিয়ার সময়ে আর সে স্থানটি ছিল এই আরব ভূমিই।
আর মহানবীর (সঃ) এর ওফাতের পর পৃথিবীকে খুব বেশীদিন অপেক্ষা করতে হয়নি ইয়াজীদ বাহিনির অমানবিকতা দেখার জন্য।
ইয়াজিদের যখন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে মহানবীর দৌহিত্রকে পর্যন্ত তার শিশু সন্তান সহ হত্যা করতে বাধেনি আজকের আরব শাষকদের রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে গোটা আরব শ্মশান করতে বাধবে কেন? যারা এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছেন তাদের বলব যুক্তরাষ্ট্রের কাজই এটা কিন্তু আরব শাষকরা তাদের ব্যবহার করছে বা সুযোগ করে দিচ্ছে নিজেদের স্বার্থে। এখানে উভয়ই এক অ অভিন্ন।
[email protected]
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি মার্কিন/ইউরোপীয় নীতি নয়, বরং আরবদের নীতিহীনতাই আজকের মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল অবস্থার জন্য দায়ী!
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আরবদের নীতিহীনতাই আজকের মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল অবস্থার জন্য দায়ী! এটাই চরম সত্য। অনেক ধন্যবাদ মাঘের নীল আকাশ
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আজ মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই কথাটা কেমন জানি হাস্যকার লাগে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এক মুসলমানকে আরেক মুসলমানের ভাই বলা হয়েছে। কিন্তু কথা হল প্রকৃত মুসলমান তো হতে হবে।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: এসব বল্লেই তথাকথিতরা চিৎকার করে উঠে, ইদানিং আবার নতুন হাদীস আমদানী করেছে " আরবদের নাকি কিছু বলা যাবে না" কোথা থেকে এটার আমদানী করলো তারা ?? আমার নবীতো কখনো বিবেধ করেন নাই, তাহলে কিভাবে বিশ্বাস করি এই হাদীস??
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সব যুগেই নিজেদের মত করে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। আল্লাহ্ বিবেক দিয়েছেন জ্ঞান দিয়েছেন ব্যবহার না করলে দায়টা তো আমারই।
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @নিয়ামুল ভাই যারা ঐ ধরনের কথা বলবে তারা কোন সন্দেহ ছাড়াই ইসলাম থেকে খারিজ! বিদায় হজ্বের ভাষনে যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে কোন আরবের উপর কোন অনারবের অগ্রাধিকার/মর্যাদা নেই, কোন অনারবেরও আরবের উপর অগ্রাধিকার / মর্যাদা নেই- তাকওয়া ব্যাতিত।
আল্লাহ ভীতি, পরহেজগারী ব্যতিত সো খোদ মক্কার পাশে বাড়ী হলেও সে যদি পরহেজগার না হয় তার আরবী বাক্যা মুগ্দ হবার কিছূ নেই।
আরবীর প্রতি আমাদের সহজাত শ্রদ্ধা আছে। তার মানেতো এই নয়- আরবী গালীকেও আমরা সোহাগ ভরে মেনে নেব!
ওরা ইযাজিদী শাসনামলে বহু মিথ্যা হাদীস রচানা করিযেছে! টাকা স্বর্ণ, সম্পদ দিয়ে বহু দুর্বল বিশ্বাসীদের দীয়ে এইসব কাজ করিয়েছে।আর যারা তাদের কথা মানেনি তাদের মক্কা মদীনা থেকে নির্বাসন দিয়েছে। আবু জর গিফারী রা: এর অন্যতম!
যিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন নি। মরু ভূমিতে অনাহারে শহীদ হয়েছেন।
তাই তাদের মিথ্যা হাদীসে বিভ্রান্ত হবেন না।
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আবু জর গিফারী রা: এর অন্যতম!
যিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন নি। মরু ভূমিতে অনাহারে শহীদ হয়েছেন।
তাই তাদের মিথ্যা হাদীসে বিভ্রান্ত হবেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেদিনের ইয়াজিদ এর সাথে কি আপনি আজকের আরব শাসকদের কোন পার্থক্য খুঁজে পান? উভয়ে ইসলামের আবরণে নিজেদের আড়াল করে আপন স্বার্থ সিদ্ধি করে যাচ্ছে।
অনেকটা পিকে ছবিতে আমির খান যেমন ভগবানের ছবি অঙ্কিত স্টিকার গালে লাগিয়ে ধর্মান্ধদের হাত থেকে বাচার চেষ্টা করেছিল।
সেদিন মহানবীর (সঃ) দৌহিত্র আফসোস করে বলেছিলেন তোমাদের মধ্যে কি একজনও মুসলমান নেই!
অথচ তারা সবাই ছিলেন তথাকথিত মুসলিম। ঠিক একই ভাবে আজ আয়লানের বাবাও হয়ত একই প্রশ্ন আউরেছেন, উত্তর মেলেনি।
মুসলমানের বংশধর, ইসলামে লেবাস এবং মহানবী (সঃ) এর পবিত্র ভুমি কখনোই এর উপরে দাপিয়ে বেড়ানো অনাচারিদের দায়মুক্তি দেয় না।
আপনি ধর্মান্ধ কাকে বলছেন যে না জেনে না বুঝে অন্যের ঘারে চাপাতি চালায় তাকে অথচ আপনি আমিই বা কম কিসে? আমরাও তো আরবদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছি না। এটা কি ধর্মান্ধতা নয়?
আমাদের এটাও মনে রাখা উচিৎ মহানবি (সঃ) এর আগমন ঘটেছিল আইয়ামে জাহেলিয়ার সময়ে আর সে স্থানটি ছিল এই আরব ভূমিই।
আর মহানবীর (সঃ) এর ওফাতের পর পৃথিবীকে খুব বেশীদিন অপেক্ষা করতে হয়নি ইয়াজীদ বাহিনির অমানবিকতা দেখার জন্য।
ইয়াজিদের যখন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে মহানবীর দৌহিত্রকে পর্যন্ত তার শিশু সন্তান সহ হত্যা করতে বাধেনি আজকের আরব শাষকদের রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে গোটা আরব শ্মশান করতে বাধবে কেন? যারা এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছেন তাদের বলব যুক্তরাষ্ট্রের কাজই এটা কিন্তু আরব শাষকরা তাদের ব্যবহার করছে বা সুযোগ করে দিচ্ছে নিজেদের স্বার্থে। এখানে উভয়ই এক অ অভিন্ন।
++++