নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা এবং দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচনের দাবী দুটি অনেক পুরনো। আমাদের দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা এতদিন যাবত এই প্রচারণা চালিয়ে আসছিল যে তাতে আওয়ামীলীগের ক্ষতিটাই বেশি। কারণ জামায়াতের ভোট বিএনপিতে চলে যাবে। এই জুজু'র ভয়েই সম্ভবত এতদিন আওয়ামীলীগ কোন রকম ঝুঁকি নিতে চায়নি। এবার তারা বিএনপির ছন্নছাড়া হয়ে পড়ার সুযোগে দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।
আসল কথা হল জামায়াত শুধুমাত্র তাদের সদস্যদের ভোটটিই বিএনপির প্রার্থীদের দিতে পারবে। তাদের সদস্য সংখ্যা কত?
তা কি কোন নির্বাচনে আদৌ প্রভাব বিস্তারে সক্ষম সে বিচারটি আওয়ামীলীগ করেনি। করলে অনেক আগেই এই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হত।
তারপরেও তারা যে সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেছে এটাই বড় কথা। এখন প্রয়োজন দল হিসেবেও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা ।
আওয়ামীলীগ যে বলছে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কাজটি করলে পরবর্তীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবারও তাদের বৈধতা দিতে পারে।
হ্যাঁ পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটা আর গ্রহণ করবে না। ১৯৭৫ পরবর্তী সময় এ দেশে আর কস্মিনকালেও ফিরে আসবে না।
কাজেই এখনই উপযুক্ত সময় এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার। ব্যক্তিগত ভাবে ততদিন পর্যন্ত আমার জামায়াতের রাজনীতির প্রতি কোন ক্ষোভ ছিল না যতদিন পর্যন্ত তাদের নখ-দন্ত অপ্রকাশিত ছিল।
অন্য অনেকের মতই আমার কাছেও যুক্তি ছিল। জামায়াতের নেতাদের মধ্যে যারা মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত তাদের দায়ে কেন নতুন প্রজন্মের সদস্যদের নিয়ে গড়ে ওঠা জামায়াত অভিযুক্ত হবে।
কিন্তু সাইদির বিচারিক রায় ঘোষণার পর থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বচন পূর্ব সময় পর্যন্ত জামায়াতের নতুন প্রজন্মও তাদের স্বরূপে আবির্ভূত হয়ে দেখিয়ে দিয়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জামায়াতের চরিত্র একই। কাজেই এদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন জাতিকে বিপদন্মুখ করে রাখারই নামান্তর।
এটা আগেও লক্ষ করা গেছে বাংলাদেশে যত জঙ্গি ধরা পরেছে তাদের অনেকেরই এক সময়কার পরিচয় ছিল জামায়াত-শিবির। এটা একটা চোখে ধুলো দেয়ার ধূর্ততা বলেই মনে হয়। নিজেদের কর্মীদের প্রশিক্ষিত করে দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়ে তাদের দিয়ে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা। ধরা পড়লে বলা যাবে এরা আমাদের লোক নয়। জামায়াতের এই ধূর্ততার সাথেও আমরা অপরিচিত নই।
অতএব কার ভোট কোন দলের পক্ষে যাবে এই সমীকরণে দেশের ক্ষতি বৈ লাভ কিছু হবে না। দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিন। দেশকে জঙ্গিবাদ মুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক চরিত্রে ফিরিয়ে আনার লক্ষে কাজ করুন। সেক্ষেত্রে শুধু জামায়াত কেন যে সমস্ত সংগঠন দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে কলুষিত করার চেষ্টা রত। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিন। ধর্ম যার যার দেশটা তোঁ সবার। এখানে জাতী-ধর্ম-বর্ণ সকলের অধিকার সমুন্নত রাখার দায়িত্ব এ রাষ্ট্রের। জামায়াত তথা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর রাজনীতি বন্ধ করার পক্ষে অজস্র যুক্তি উপস্থাপন করা যাবে। বিপক্ষে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের দোহাই দিলে তাও টিকবে না সার্বিক বিশ্লেষণের আলোকে।
কাজটি করা কেবল আওয়ামীলীগের পক্ষেই সম্ভব। কাজেই আওয়ামীলীগকেই সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করতে হবে এটাই শেষ কথা। আর তাতে ভোটের অঙ্কে আওয়ামীলীগের লাভ ক্ষতি যাই হোক নৈতিক বিজয় লাভ করবে তারাই।
©somewhere in net ltd.