নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
একটা সময় ছিল যখন এ দেশে ছিচকে চোরের বর উৎপাত ছিল। মূলত তার কারণ ছিল তখনকার সময়ে দেশের অর্থনীতি। যা তখন সমাজের একটি অংশের মানুষকে বেচে থাকার তাগিদেই এমন সব অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকতে বাধ্য করেছিল।
চাইলেই কাজ পাওয়া যেত না। গ্রামে গঞ্জে কারো ঘরেই উদ্বৃত্ত খাবার ছিল না। সাধারন মানুষের জীবন ধারণ সত্যিই তখন খুব কঠিন ছিল।
দেশের সার্বিক অর্থনীতির উল্লম্ফন। নিম্ন বিত্তের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে এখন আর সেইসব ছিচকে চোরের কথা শোনা যায় না। তবে তার জায়গাটাই দখল করেছে ছিচকে মাস্তান বা ছিচকে সন্ত্রাসীরা।
এই ছিচকে মাস্তান বা ছিচকে সন্ত্রাসী অন্য কোন দেশ থেকে আমদানি করা কোন বস্তু তো নয়; এরা আমাদের সমাজেরই অংশ। এরা মূলত বাবার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের কুফল আর আমাদের দেউলিয়া রাজনীতির ফসল।
এই সব সন্ত্রাসীরা তৈরি হয় মুলত দুই ভাবে- পারিবারিক সুশাসনের অভাব আর রাজনীতিবিদদের সন্ত্রাসী লালনের মানসিকতা থেকে। মূলত দুর্নীতিবাজরা নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলে বলে তারা তাদের সন্তানদের শাসন করতে পারে না। সন্তানের প্রতি তারা দায়িত্বও পালন করে এক গাদা টাকা দিয়ে। যা তাদের সন্তানদের মানুষ হওয়ার পরিবর্তে দিন দিন অমানুষ হিসেবেই গড়ে তোলে।
আর এ দেশের রাজনীতিবিদগণের আধিপত্য বিস্তারের জন্য সন্ত্রাসী তো পুষতেই হয়। কারণ তারা ভাল কাজের দ্বারা এবং ভাল মানুষের চেহারা প্রদর্শনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। বিশেষত মধ্যম শ্রেণীর রাজনীতিবিদগন অনেকটাই এমন। তারা আধিপত্য বাদে বিশ্বাসী। তারা ভালবাসা দিয়ে জয় করতে নয় ভয় দেখিয়ে আদায় করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ।
আর তা করতে হলে সন্ত্রাসী পুষতেই হবে। এত সন্ত্রাসী তারা কোথায় পাবেন? কাজেই সন্ত্রাসী তৈরির সুমহান দায়িত্বটিও অনেকটা তারাই পালন করেন।
যদিও এর দায় থেকে আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাও একেবারে মুক্ত নয়। নিতি নৈতিকতা বিবর্জিত জাগতিক লাভা লাভের হিসাব সংশ্লিষ্ট এই শিক্ষা ব্যবস্থা জীবিকার প্রয়োজনানুযায়ী যত বড় সনদ দিতেই সক্ষম হোক না কেন। তা যেন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে যে ন্যুনতম ভুমিকা রাখতে সক্ষম নয় তা বলাই বাহুল্য।
এর বাইরেও সামাজিক নানা অসঙ্গতি তো রয়েছেই।
এই ছিচকে মাস্তান বা ছিচকে সন্ত্রাসীদের মুল স্বীকার সাধারণ মানুষ। যারা কেবল মাত্র বেঁচে থাকার জন্যই নিত্য সংগ্রামে লিপ্ত। এই সাধারণ মানুষদের মধ্যে আবার নেই কোন সামাজিক বন্ধন। এরা একই দেয়ালের এপাশে ওপাশে এমন ভাবে থাকে যেন সেটা বার্লিনের দেয়াল যা অতিক্রমের সুযোগ নেই। আর এই বিচ্ছিন্ন জীবন যাপনের সুযোগটিই সন্ত্রাসীরা নিয়ে থাকে। কারণ তারে জানে এর প্রতিবাদ হবে না। কেউ তাদের সমাজচ্যুত করবে না। কেউ ধরে দুই গালে কষে দুটি চর বসিয়ে দেবে না। অতএব ভয়ের তো কোন কারন নেই। এখানে জোড়টাই আসল কথা।
একটা সময় ছিল; যখন সমাজ ছিল। সমাজের মান্যবর মানুষরা সামাজিক বিচারের মাধ্যমে মানুষের নিরাপত্তায় অনেক খানি ভূমিকা রাখতেন। এখন
সে ব্যবস্থা নেই। আর এই না থাকার সুযোগেও একদল মানুষ এর নামেও করছে যথেচ্ছাচার!
ফলে সামাজিক বিচারের নামে হচ্ছে প্রহসন। ধর্ষণের বিচার হল; ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ে অথবা টাকা দিয়ে সকলের মুখবন্ধ। কাজেই সন্ত্রাসীরা জানে এ অবস্থায় কিচ্ছুটি হবার নয়। যদিও বা খুব বেশি হয় তাও ঐ থানা - পুলিশ পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে বড় ভাই(?) নেতাদের(?) আশীর্বাদ তো তাদের পাওনাই রয়েছে।
এই যখন সার্বিক চিত্র তখন সাধারণ মানুষ এদের দমনের জন্য রাষ্ট্রের দিকেই যে তাকিয়ে থাকবে তাতে আর সন্দেহ কি? কিন্তু রাষ্ট্র যন্ত্রের পক্ষে একা যে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় সেটা যেন আজ আর আমরা কেউ বুঝতেই চাই না। ফলে দিনকে দিন এই ছিচকে সন্ত্রাসীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।
এই সব ছিচকে মাস্তান বা ছিচকে সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে হলে শুধুমাত্র রাষ্ট্রের ঘাড়ে সব ভার না চাপিয়ে সকলকেই উদ্যোগী হতে হবে। এদের রুখতে হলে এগিয়ে আসতে হবে সমাজকেই। সর্বতোভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের এটা মনে রাখা উচিৎ-
এরাই রাজনৈতিক সন্ত্রাসে ভাড়ায় খাটে।
এরাই সমাজে ক্রমাগত বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
এরাই ধর্ষক।
এরাই ছিনতাইকারী।
অথচ এরা আর কেউ নয় আপনার আমার ঘরেরই পালিত বেয়াড়া সন্তান। দয়া করে এদেরকে প্রশ্রয় দিবেন না, কোনভাবেই না। আজ এই সন্ত্রাসের জন্য স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে গৃহবধূ পর্যন্ত নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে। তারা নানাভাবে উত্ত্যক্ত হচ্ছে। হচ্ছে শ্লীলতাহানির স্বীকার। এমনকি ধর্ষণ পর্যন্ত এদের নিত্যদিনের কারবার।
একটা অদ্ভুত ব্যাপার দেখা যায় তা হল আমরা একজন অপরাধীকে ঠিক অপরাধ করার মুহূর্তে দুর্বৃত্ত বলে চালিয়ে দিচ্ছি। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অব্যবহিত পরেই যাতে সে ধোপ দুরস্ত ভাল মানুষটি সাজার সুযোগ পায়। এটা কি সচেতনভাবেই করছি নাকি অসচেতন ভাবে সেটাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
আজও আমরা ভাবতে পারছি না যে, কোন ব্যক্তি মাত্রই আক্রান্ত হচ্ছে না। কিংবা কোন এক নারী ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে না। মূলত আক্রান্ত হচ্ছে সমাজ। আজ আপনি বা আপনার সন্তান বেঁচে গেছে কাল তারাও একইভাবে আক্রান্ত হবে। কেন যেন আমাদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গাটিই তৈরি হচ্ছে না। জাগ্রত হচ্ছে না মানবতা বোধ। আমরা প্রত্যেকেই যে যার স্থান থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছি।
কি অদ্ভুত ব্যাপার, সন্ত্রাসীরা একতাবদ্ধ হচ্ছে আর আক্রান্তরা দিন দিন আলাদা ভুবনের বাসিন্দা হচ্ছে! ফলে আজ আমরা প্রত্যেকেই নিরাপত্তা হীন হয়ে পড়ছি।
একজন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, প্রতিবেশী ফিরেও তাকাচ্ছে না! আধুনিকতা আর ক্ষেত্র বিশেষে প্রয়োজন এই দু'য়ের চাপে এমনিতেই আমরা আজ একক পরিবারের নামে বিচ্ছিন্ন জগতের বাসিন্দা। তার উপরে চরম স্বার্থপরতা আমাদের দিন দিন অমানুষ করে তুলছে। ফলে পাশাপাশি দুই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের মধ্যে কোন যোগাযোগ নেই। এক ফ্ল্যাটের কান্নার রোলও পাশের ফ্ল্যাটের বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের লাউড স্পিকারের উন্মাতাল গানের শব্দটা পর্যন্ত কমাতে পারছে না।
কে বাঁচল কে মরল কারো যেন কোন দায় নেই। এটা কি মানব সমাজ? আমরা দিন দিন যতটা না উন্নত জীবনের সাধ নিচ্ছি ততোধিক অমানবিকতার পরিচয় দিচ্ছি। যে উন্নত জীবন অমানুষ তৈরি করে সে উন্নত জীবনের থেকে তো সাদা কালো সেই আটপৌরে জীবনই অনেক ভাল ছিল।
যেখানে মানবতা বোধ ছিল। যেখান মানুষ মানুষকে সম্মান করত, ভালবাসত, স্নেহ করত। যেখানে অনাত্মীয় পর্যন্ত প্রতিবেশীর দাবিতে শাসন করতে পারত। সামাজিক শৃঙ্খলা আজ যেন একেবারেই ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এটা রক্ষা করা বা একে পুনর্নির্মাণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয়। আর তা রাষ্ট্রের পক্ষে করা সম্ভবও নয়। এ জন্যে সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে তাদেরই, আজো সমাজে যারা কিছুটা হলেও নিজেদের দায়িত্ববান বলে মনে করেন। যাদের মধ্যে থেকে মানবতা বোধ বা মানবিকতা এখনো একেবারে ফুরিয়ে যায় নি।
যদি এ সমাজ এখনো ঘুরে না দাঁড়ায় তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে সন্দেহ নেই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সে জন্যে এই প্রজন্মকেই দায়ী করবে। যে দায় আমরা কেউই এড়াতে পারব না। আজকের এই প্রজন্মের দায় পূর্ববর্তী প্রজন্মকে সাথে নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণ করে যাওয়া।
[email protected]
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আহমেদ জী এস আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করছি না কেবল সংযুক্ত করছি। আমরা সম্পুর্ন দায়টা রাষ্ট্রের উপরে চাপাচ্ছি বলেই কিছু হচ্ছে না। আমার কথা হচ্ছে কিছু কাজ সমাজের দ্বায়িত্ববানদের কাধে তুলে নিতে হয়। তবেই সমাজ পরিবর্তিত হবে। রাষ্ট্র সে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলেই হল।
খারাপ হয়েছে বলতে সবটা খারাপ হলে তো রাষ্ট্রের কাঠামোই ভেঙ্গে পড়ত। তাই না?
কদিন আগে একটি খবরে দেখলাম সাভারের এসপি বেদে মেয়েদের ইয়াবা ব্যবসা থেকে সরিয়ে আনতে সেলাই প্রশিক্ষন দিয়েছেন। বেদে ছেলেদের গাড়ি চালানোর ট্রেনিং দিচ্ছেন। ভাবতে পারেন কি যুগান্তকারি ঘটনা। সমাজের শত শত বছরের পুরাতন অকর্মন্য একটি গোষ্ঠীকে কত সহজেই কাজের মানুষে পড়িনত করেছেন।
এগিয়ে আসতে হবে ভাই। যে যেখানে আছি। যে যতটুকু পারি। প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা আর উদ্যোগ। আর তা আমরা পারি।
আপনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন নিরন্তর।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই সব ছিচকে মাস্তান বা ছিচকে সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে হলে শুধুমাত্র রাষ্ট্রের ঘাড়ে সব ভার না চাপিয়ে সকলকেই উদ্যোগী হতে হবে। এদের রুখতে হলে এগিয়ে আসতে হবে সমাজকেই। সর্বতোভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সহমত !
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন আপনাকে। ভাল থাকুন নিরন্তর।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,
আপনার এই জাতীয় সকল লেখার বক্তব্যকে আমি একদম ঠেলে সরিয়ে দিইনি কখনও । কেবল সংযোজন করেছি , সেগুলোর উপর আপনার দৃষ্টি যেন আকর্ষিত হয়। এখানেও তাই ।
রাষ্ট্র সে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলেই হল। আপনার এই কথাটিতেও জোর নেই খুব একটা । রাষ্ট্র কোন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলেই হল, এটা নয় : রাষ্ট্রকে নিঃশ্চিত করতে হবে কোনও ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি নয় । আপনার বলা উচিত ছিলো এমনটাই ।
সাভারের এসপি সাহেবের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও পৃষ্ঠপোষকতা ছিলো বলেই তার পক্ষে কাজটি সহজ হয়েছে । আপনি যদি ঐ বেদে মেয়েদের ইয়াবা ব্যবসা থেকে সরিয়ে আনতে চাইতেন তবে ঐ বেদে মেয়েরাই আপনাকে সন্দেহের চোখে দেখতো । আর রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র আপনাকেও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে কি যে করতো আল্লা মালুম ।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিলোনা বলে চারচারটি ছেলে-মেয়েকে একমাস কারাপ্রাচীরের আড়ালে কাটাতে হয়েছে , শুধুমাত্র পথশিশুদের কোলে তুলে নেয়ার অপরাধে (?) ।
একটি যুগান্তকরি ঘটনা আপনিও ঘটাতে পারবেন না যদি পেছনে রাষ্ট্র আপনাকে প্রেরনা না দেয় । এগিয়ে আসার ফল তো দেখছেন প্রতি পদে পদে । উদাহরন বাড়িয়ে লাভ নেই । আপনার সামনেই কেউ কাউকে কুপিয়ে মারছে , আপনি মোটেও এগিয়ে যাবেন না । বিপদে জড়িয়ে পড়ার ভয়ে । এ পর্য্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার তেমন দৃষ্টান্তমূলক কোনও উদাহরন আমাদের কাছে নেই ।
কিন্তু যদি আপনার এই গ্যারান্টি থাকতো যে আপনাকে কোনও বিপদে পড়তে হবেনা , উল্টো আপনি পুরষ্কৃত হবেন তবে দেখতেন ঐ ঘটনা আপনার সামনে ঘটলে আপনিই সবার আগে এগিয়ে যেতেন ।
সমাজের লোক হিসেবে সদিচ্ছা নিয়ে আমরা কেবল রাস্তাঘাট পরিষ্কার , পুকুরের কচুরীপানা সাফ করতে পারি মাত্র । এর বেশী এগুতো পারা যায়না । অনেক হিসেব নিকেশ করতে হয় । তাই সমাজ পাল্টাতে আপনাকে অবশ্যই মাথার উপরে রাষ্ট্রের আশীর্বাদ থাকতেই হবে । নইলে খুব ছোটখাটো সংষ্কার হয়তো হবে , এই বিপুল আবর্জনাকে সরাতে পারবেন না ।
আমার বক্তব্য ছিলো এটাই -----
মাথা যদি কাজ না করে তবে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করতে পারেনা । তাই মাথাকে আগে ঠিক করতে হবে তবেই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সাড়া দেবে অটমেটিক্যালি।
আমি আপনার মতোই পজেটিভ তবে ভিন্ন পথে ।
( আরও তর্কের অবকাশ কিন্তু থেকেই যায় ..)
৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: না আমি একে তর্ক বলতে রাজি নই। বলতে পারি আলোচনা। এই সমস্যাগুলো হচ্ছে মুলত আমাদের আলাদা থাকার মানসিকতা থেকেই। এখান থেকে বেড়ুতে হলে দলবদ্ধভাবেই যা করার করতে হবে।
ধরুন কোন এলাকার যুবা-তরুন-বয়োবৃদ্ধরা মিলে ঠিক করলেন এলাকায় কোনরকম চাদাবাজি হতে দিবেন না। সে ক্ষেত্রে তারা যদি এক হয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বসে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে রাখার চেষ্টা করে। সব প্রতিবন্ধকতাই জয় করা সম্ভব। সেক্ষত্রে প্রয়োজন এলাকাবাসির ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা।
অদম্য বাংলাদেশের কার্য্যক্রম সম্পর্কে স্থানীয় থানা কি অবগত ছিল? আমি জানি না। যদি তারা ঐ কার্যক্রমের সাথে এলাকাবাসিকে এবং স্থানিয় প্রশাসনকে সংযুক্ত করত আমার ধারনা তাদের এমন বিপদে পড়তে হত না। আর সবক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,
আপনার লেখাগুলো প্রায়ই সচেতনতামূলক । এটিও তাই । সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বলেছেন ।
কিন্তু এই সমাজ ও রাষ্ট্রটি যে "পয়েন্ট অব নো রিটার্ণ " এ পৌঁছে গেছে অনেক আগেই !
আপনার লেখাতেই তা ফুঁটে উঠেছে - ----- কে বাঁচল কে মরল কারো যেন কোন দায় নেই।
.......................................।একজন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, প্রতিবেশী ফিরেও তাকাচ্ছে না!
------------------------------ এক ফ্ল্যাটের কান্নার রোলও পাশের ফ্ল্যাটের বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানের লাউড স্পিকারের উন্মাতাল গানের শব্দটা পর্যন্ত কমাতে পারছে না।
সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে নয় , বরং ভেঙ্গে পড়েছে অনেক আগেই । রাষ্ট্র যদি শৃঙ্খলার উপর থাকে তবে সমাজ এতোটা নিম্নগামী হয় না ।
যে কারনগুলো দেখিয়ে (মূলত অর্থনৈতিক) আপনি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা তুলেছেন সেটা তো রাষ্ট্রের কর্ম । তাকে বাঁচাতে চাইছেন কেন এটা বলে ------এটা রক্ষা করা বা একে পুনর্নির্মাণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের নয় ?
এ সমাজ ঘুরে দাঁড়াবে কি করে ? সমাজের মানুষগুলো্র অবক্ষয়ের কথা তো আপনিই তুলে ধরেছেন । তাদেরকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলা একটু কেমন হয়ে গেলো না ?
মাথা যদি কাজ না করে তবে শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করতে পারেনা । তাই মাথাকে আগে ঠিক করতে হবে তবেই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সাড়া দেবে অটমেটিক্যালি।