নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

টিআইবি\'র এজেন্ডা কি?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬



ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কতটা ট্রান্সপারেন্ট সেটা আমি বলতে পারব না। তবে জোয়ারের নায়ে তাদের বাদাম তুলে দেয়া দেখে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে যে মাষ্টার মাইন্ড কাজ করছে সেই একই মাষ্টার মাইন্ডের নির্দেশনায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালও সময়ানুযায়ী তাদের ব্রিফিং সমূহ দিয়ে থাকেন। তবে তাদের এবারের ঔধত্য বোধ করি সব সীমাই ছাড়িয়ে গেছে। কাজেই এদের লাগামটা টেনে ধরাটা জরুরী বলেই মনে করি। আর যদি তা না করা হয় সামনে যে কোন দিন মহান সংসদকে এরা আরও নিচে নামাতেও দ্বিধা করবে না।

আজ দেশে যে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চলছে তার পেছনের উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা। সর্বোপরি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা। যদি তারা তাতে সফল হয় লাভটা কাদের হবে?
এই এক সমীকরণেই এর হোতাদের চিনে নিতে আর কষ্ট হয় না। ঠিক একইভাবে টিআইবির এই রিপোর্ট এর ফলে কারা লাভবান হবে তাও সহজেই অনুমেয়। উদ্দেশ্য অভিন্ন নাটকের মঞ্চগুলি কেবল আলাদা।

তবে কি পুতিনের পথটাই সঠিক? রাশিয়া যখন ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত। যখন সেখানে রাজনৈতিক সমস্যা প্রকট। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দারুণ এক সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল ঠিক সে সময় সাবেক এই কেজিবি প্রধান রাষ্ট্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
পুতিন প্রথমেই প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল ঘটিয়ে নিজের বিশ্বস্ত লোকদের বসিয়েছিলেন। গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত গভর্নরদের সরিয়ে নিজের আস্থা ভাজনদের নিয়ে এসেছিলেন। তিনি রাশিয়ার গোটা মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেশের মধ্যে শুধু শৃঙ্খলাই ফিরিয়ে আনেন নি। দেশের অর্থনীতিকেও মজবুত ভিত্তির উপর দার করাতে সক্ষম হন। সামরিক শক্তিকে নিয়ে যান ভিন্ন মাত্রায়।
আজও পুতিন রাশিয়ার ৮০ শতাংশ জনগণের সমর্থন পুষ্ট রাষ্ট্র নায়ক। শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্র নায়ক না বলে এখন তাকে বলতে হবে একবিংশ শতাব্দীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্ব নেতা। তার ইস্পাত কঠিন মনোবল আর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সাহসী সিদ্ধান্ত সমূহই তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। সেদিনও পশ্চিমা মিডিয়া সহ বিশ্বের তাবৎ মিডিয়াই তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। বলতে গেলে বিশ্বব্যাপী তার একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিল পশ্চিমা মিডিয়া গুলি। পুতিন তাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত হয়েছেন বলে তার কার্যক্রমে মনে হয়নি।

আজ বিশ্বের যে কোন রাষ্ট্রনায়কই তাকে আইকন হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। কেননা দেশের ভিতর এবং বাইরে থেকে তাকে যত প্রতিকূলতা পেড়িয়ে আসতে হয়েছে তা হয়ত তার পক্ষেই সম্ভব ছিল। আজ তার এই যে বিশ্ব মোড়ল আমেরিকাকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার ক্ষমতা তা তিনি নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন। তাই এখন এটা তো বলাই যায়। যে গণতন্ত্রের জোয়ারে স্বচ্ছ ধারার পরিবর্তে লতা-গুল্ম-আগাছাই বেশী ভেসে আসে তাকে আটকে ফেলাই সমীচীন। তাতে অন্তত পানিটা ব্যবহার উপযোগী থাকে।

আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে যুদ্ধটা চালিয়ে যাচ্ছেন তাও কেবল তার পক্ষেই সম্ভব। তবে তিনি এখনো যতটা নমনীয়তা প্রদর্শন করে চলেছেন তা কতদিন তিনি চালিয়ে যেতে পারবেন তা সময়ই বলে দেবে। আর সে ক্ষেত্রে তাকেও যদি পুতিনের পদাঙ্কই অনুসরণ করতে হয় সে জন্য দায়টা এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কারীদের ঘাড়েই বর্তাবে। যারা আওয়ামী সরকারকে একটি দিনের জন্যও সুস্থির থাকতে দিতে চান না।

আজ যদি এই সরকারের পতন হয় তাহলে কি হবে? যদি আওয়ামীলীগ সরকারই পুনরায় নির্বাচিত হয়। তাহলেও কি এই জঙ্গিবাদী হামলা বন্ধ হয়ে যাবে? সে গ্যারান্টি কে দিল? সেক্ষেত্রে সংসদে আজ যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের কত শতাংশ বাদ পড়বেন? সেই সাংসদদের একই কার্যক্রমের বিরোধিতা কি আজকের সমালোচকরা করবেন না?
আর যদি বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের কি হবে? পদ্মা সেতু সহ আওয়ামী সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলি কি চালু থাকবে? পূর্বের ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। উন্নয়নের যে ধারায় এখন দেশ তা স্তিমিত হয়ে পড়বে না সে গ্যারান্টি কোথায়?

তার মানে এই নয় যে আমরা চাই এ সরকারই দেশে চিরস্থায়ী হোক। আওয়ামীলীগই চিরকাল এ দেশের ক্ষমতায় থাক। আমরা চাই নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হোক। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত না হোক। এরপরে নির্বাচনে জনসাধারণ যা চাইবে তাই হবে। কিন্তু যেই ক্ষমতায় যাক তাকে কাজ করতে দিতে হবে। টিআইবির এটা বোঝা উচিৎ নাট্যশালা কাজের জায়গা নয় বিনোদনের জায়গা। আজ বাংলাদেশে কাজ হচ্ছে, দেশব্যাপী সার্কাস হচ্ছে না। আর সে কাজটির কেন্দ্রবিন্দু কিন্তু ঐ মহান সংসদই।

বিনোদনের আসল আসর তো টিআইবিই বসায়। তা দেখে আমরা পুলকিত হই। আনন্দ লাভ করি। আবার বাস্তবমুখী বয়ান না হলে ক্ষুব্ধও হই। কিছু পত্রিকা আছে যারা সর্বদাই সরকারের সমালোচক। সেটা করতে গিয়ে তারা সত্য মিথ্যের মিশেলে চটকদার খবর প্রকাশ করে থাকেণ। উদ্দেশ্য পত্রিকার কাটতি বাড়ানো। টিআইবিও নিজেদের কাটতি বাড়তেই কি এমন সব চটকদার কথা বার্তা বলেন; নাকি তারাও কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছেন। টিআইবি’র কার্যকলাপে এ প্রশ্নটা আজ জাগতে বাধ্য।

[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: সঠিক বলেছেন ভাই, টিআইবি যাদের টাকায় চলে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নই এদের মূল লক্ষ্য।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ @ হাসান জাকির ৭১৭১

ভাল থাকবেন।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যখন বি এন পি'র বিরুদ্ধে তারা বলেছিল, তখন আওয়ামী লীগ কিন্তু সেটার ফায়দা নিয়েছিল। এখন বি এন পি নিচ্ছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ফায়দা নেয়া দোষের নয়। ফায়দা আদায়ে ব্যবহার করাটা অন্যায়।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পক্ষে কইলেই ভালো আর বিপক্ষে কইলেই খারাপ। আমাদের এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কোন একটি দলের পা চাটাগিরি বন্ধ করতে হবে। তবেই দেশের মঙ্গল হবে। ধন্যবাদ







ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পক্ষে কইলেই ভালো আর বিপক্ষে কইলেই খারাপ। টিআইবি সরকারের পক্ষে কখনোই বলে না সেটাও অন্যায় নয়। তবে মহান সংসদকে নাট্যশালা বলাটা যে ধৃষ্টতা সেটা তো মানুন।

ভাল থাকবেন আপনিও।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২২

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: তার মানে এই নয় যে আমরা চাই এ সরকারই দেশে চিরস্থায়ী হোক। আওয়ামীলীগই চিরকাল এ দেশের ক্ষমতায় থাক। আমরা চাই নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হোক। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত না হোক। এরপরে নির্বাচনে জনসাধারণ যা চাইবে তাই হবে ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ময়না বঙ্গাল আপনাকে। ভাল থাকুন।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

রাহি ওসমানী বলেছেন: আমার মনে হয় নাট্যশালার চেয়ে উপযুক্ত আর কোণ শব্দ নেই যা দিয়া বর্তমন সংসদ এর অবস্থা বুঝানো সম্ভব!

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একটি বিষয়ে সবাইকেই একমত হতে হবে এমন কোন কথা নেই। প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা বুঝ ব্যবস্থাও এক নয়।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

রাশেদ মহাচিন্তিত বলেছেন: জনগণের ইচ্ছায় কি এ দেশ চলছে ? তাহলে তো এই সরকার থাকার কথা না। এটা হচ্ছে স্বৈরাচারী সরকার, আর সাথে আছে আরেক স্বৈরাচার ! রতনে রতন চিনে । বলছেন সরকারের উন্নয়ন নাকি এগিয়ে চলছে , বলছেন মানবতা বিরোধী বিচারের কথা। অথচ ভালো করে খেয়াল করে দেখুন, ভালো করে জেনে দেখুন দেশে কোটিপতির সংখ্যা কি হারে বেড়েছে আর কাদের এই কোটি টাকা হয়েছে । আজ টিআইবি সরকারের প্রতি ইতিবাচক ফল প্রকাশ করত, তবে কি বলতেন ? থাক আর বোঝাতে হবেনা, আপনার উন্নয়নের থিয়োরি বুঝে গেছি।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: 'ক্ষমা না চাইলে টিআইবির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে' - See more at: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.