নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলটাকে বাঁচাবেন নাকি সন্তানের ইচ্ছার বলি হতে দেবেন সিদ্ধান্ত বেগম জিয়ার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১



বিএনপি এখনো ঘুরে দাড়াতে সক্ষম শুধুমাত্র দুটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক, তারেক রহমানকে দলিয় পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে বেগম জিয়ার একক সিদ্ধান্তে দল গোছানো এবং ঘোষণা দিয়ে জামায়াতকে দূরে সরিয়ে দেয়া। দুই, বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে দল যাতে সম্পূর্ণরূপে গণতান্ত্রিক উপায়ে চলতে পারে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

হয় ক্ষমতা নয় সম্মান কোন একটা তো পেতে হবে। বিএনপির নেতারা এর কোনটাই পাচ্ছেন না। তারা এখন অনেকটা তারেক রহমানের বিনা বেতনের কর্মচারী হয়ে আছেন।
আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নেতারা এতটা গুরুত্ব হীনভাবে দিনের পর দিন পড়ে থাকতে পারেন না। আর তারেক জিয়াও এমন কোন ক্যারিশমাটিক ব্যক্তিত্ব নন যে তার অঙ্গুলি হেলনে সবাই ওঠবস করবেন।

বিএনপি নেত্রী, নেত্রী হয়ে উঠেছিলেন দলের নেতাদের সম্মান দিয়ে। যতদিন দলটি বেগম জিয়ার একক কর্তৃত্বে চলেছে ততদিন এর নেতারা দলের জন্য লড়েছেন। সব রকম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তারা তখন দলটাকে নিজেদের সম্পদ বলে মনে করতেন।
নির্দিষ্ট কোন আদর্শের উপর ভিত্তি না করেই যে একটি দল গঠিত হতে পারে এবং দিনের পর দিন দোর্দণ্ড প্রতাপে চলতে পারে তার এক অনন্য উদাহরণ এই বিএনপি। দলটির সর্বনাশের কারণও আবার এই আদর্শহীনতাই। যার সাথে যোগ হয়েছে ক্ষমতাকে স্থায়ী করার প্রতিযোগিতা। দলে গণতন্ত্র হীনতা। ক্ষমতার লোভে দেশ বিরোধী শক্তির সাথে একাট্টা হওয়া। সর্বোপরি তারেক রহমানের অরাজনৈতিক সুলভ আচরণ।

আজ শমসের মুবিন চৌধুরীরা দেখছেন এত কিছু করেও দল যে ক্ষমতায় যেতে পারল না তার দায় এখন এসে চাপছে তাদের উপর। দলের প্রধান বেগম জিয়া হলেও তার নেতৃত্বে দল চলছে না। দল চলছে তারিক রহমান ও তার কিছু চ্যালার নেতৃত্ব। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বেগম জিয়ার নেতৃত্বেই একতাবদ্ধ হয়েছিলেন। দলকে নিয়েও গিয়েছিলেন সর্বোচ্চ শেখরে। আর এখন তারা প্রাপ্য সম্মানটুকুও পাচ্ছেন না, দলে তারা আজ একেবারেই গুরুত্বহীন।

সিদ্ধান্ত গ্রহণে জ্যেষ্ঠ নেতাদের কোন ভূমিকা নেই অথচ কর্মসূচী ভেস্তে গেলে দায়ভারটা পুরোই এসে চাপছে তাদের ঘাড়ে। আবার সরকারের শ্যেন দৃষ্টিতেও তারাই পড়ছেন। জেল জুলুম সব সইতে হচ্ছে দলের পরিক্ষিত নেতাদের। অথচ দলীয় কর্মসূচী প্রণয়নে নেই তাদের অংশগ্রহণ। এ অবস্থায় দলীয় পদ আঁকড়ে থেকে বিএনপি নেতারা কি আসলেই লাভবান হচ্ছেন? বিএনপি তার জন্মলগ্ন থেকে এতটা অগোছালো অবস্থায় পড়েনি অথচ এর জন্য প্রধানত দায়ী তারেক রহমান ও তার সাঙ্গ পাঙ্গ। এটা যদি বেগম জিয়া এখনো অনুধাবনে ব্যর্থ হন তাহলে দলটি অচিরেই ন্যাপের পাশে নাম লেখাতে বাধ্য হবে। কেননা অবস্থা যদি এমনই চলতে থাকে তাহলে এটা নিশ্চিত শমসের মুবিনের পথ ধরে আগামীতে অনেকেই সরে দাঁড়াবেন। আর তারা আর কেউ নন দলটির আসল কাণ্ডারি। সে ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত যারা থাকবেন তাদের নিয়ে বিএনপি যে খুব বেশি দুর এগোতে পারবে না তা বলাই বাহুল্য। এরা দলটির শেষ নির্যাশটুকুই এখন চেটে পুটে খাচ্ছে। সেটিও ফুরলে পরে নটে গাছটি মুড়তে আর বেশি সময় লাগবে না।

বল এখন বেগম জিয়ার কোর্টে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাকেই। দলটাকে বাঁচাবেন নাকি সন্তানের ইচ্ছার বলি হতে দেবেন।
তবে এটা ঠিক বাংলাদেশের রাজনীতিতে বলার মত তেমন কোন অবদান না রাখলেও এ দেশটাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বিএনপির মত একটি দলের শক্ত অবস্থান জরুরী। কাজেই আমরা চাইব বিএনপি এ যাত্রা টিকে যাক। তবে একইসাথে আত্মশুদ্ধিটাও সমানভাবে কাম্য। বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষীরা চায় বেগম জিয়া দলটাকে পুনরায় ছিয়ানব্বই পূর্ববর্তী সময়ে নিয়ে যাক। যেখানে তাদের গায়ে থাকবে না কোন দাগ। যেখানে তাদের রাজাকারদের পৃষ্ট পোষক বলে আর কেউ চিহ্নিত করবে না। আর কিছু না হোক অন্তত আপোষহীন নেত্রীর তকমাটা তার গায়েই ছেঁটে থাক।

[email protected]

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সুইস ব্যাংকের টাকা পয়সার হিসেবে নিকেশ করতে সময় লাগছে; ফিরে এলে আপনার টাকা নেবেন উনি।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

অবুঝ১ বলেছেন: একটু বুঝার ভুল আছে

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হতে পারে

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: অপরিপক্ক মাতৃস্নেহে অন্ধ নেতৃত্ব দলটাকে ডোবাচ্ছে নাকি!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মাতৃস্নেহে অন্ধ নেতৃত্ব দলটাকে ডোবাচ্ছে!

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:

"নির্দিষ্ট কোন আদর্শের উপর ভিত্তি না করেই যে একটি দল গঠিত হতে পারে এবং দিনের পর দিন দোর্দণ্ড প্রতাপে চলতে পারে তার এক অনন্য উদাহরণ এই বিএনপি। দলটির সর্বনাশের কারণও আবার এই আদর্শহীনতাই। "

-আদর্শহীন দলের শিকার হয়েছে অশিক্ষিত জনগণ; এদের কারণে, ৪৪ বছর পর বাংলা আজ 'সস্তা শ্রমের' দেশ, আর খালেদা জিয়া ও ফালু বিলিওনিয়ার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চাঁদগাজী আপনাকে

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আওয়ামীলীগের বিপক্ষে একটা দল দরকার| তবে তা বিম্পি জামাত নয়| মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকবে তারা| যতদিন না সেটা দাঁড়াতে পারছে, বিএমপিজামাতের দরকার নেই|

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: লীগ তো এখনই বিধাতা হয়ে উঠতে চাইছে। সেটা বন্ধ করাও কম জরুরী নয়।

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: দেশ-গনতন্ত্র,নির্বাচন,ন্যায় বিচার,মানবাধিকার আর বর্তমান গণতন্ত্রের ঘাড়ে চেপে বসা বাকশালের ডিজিটাল রূপের-সম্পর্কে জাতী জানতে চায়-শুভকামনা ...

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

সেয়ানা ০১ বলেছেন: আপনাকে বিএনপির চেয়ারম্যন করা হোক, আমরা আপনাকেই খুজছি !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.