নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ দেশ ছাড়ে কেন?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০



হিন্দুরা বাংলাদেশ ত্যাগ করছে এ নতুন নয়। সেই ছোট বেলা থেকেই এটা দেখে এসেছি। এমনকি আমাদের মফস্বল শহরের কেনা বাড়িটাও এক হিন্দুর কাছ থেকে কেনা। তখন আমার বয়স মাত্র ছয় কি সাত। আমার বাবার কি অদ্ভুত শখ চাপল ঢাকার বাড়ি বিক্রি করে তিনি নিজ জেলা ঝালকাঠি শহরে বাড়ি কিনবেন। যাই হোক এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় তার বাড়ির কাছেই ঘর সমেত একটা বাড়ি পাওয়া গেল যা তখন অর্ধ লক্ষ টাকায় আমার বাবা কিনলেন। আমি সত্তরের দশকের শেষের দিকের কথা বলছি।
বাড়ি রেজিস্ট্রি হওয়ার পরে ঐ হিন্দু পরিবারটি রাতের কোন এক সময় বিদায় নেয়। আর আমার মা-বাবা আমার ছোট বোনটাকে নিয়ে রাত বারোটার দিকে ঘরে উঠলেন। পরের দিন সকালে আমাদের প্রতিবেশী জানতে পারল যে তার কাকা-কাকি মা সব সম্পত্তি বিক্রি করে চলে গেছেন। কেন যে তারা ঐ সময় ওভাবে ভারতে চলে গেলেন আজো সেই রহস্য তাদের আত্মীয়েরা বের করতে পারেননি। উল্লেখ্য যে আমাদের সেই প্রতিবেশীরা কিন্তু আজো তাদের ভিটে মাটিতেই বসবাস করছেন।

এরপরেও আমাদের চোখের সামনে থেকে অনেক হিন্দু পরিবারকে দেখলাম ভারতে চলে যেতে। তাদের আত্মীয় যারা এখনো এ দেশে থাকেন তারা মাঝে মাঝে ভারতে যান এবং এসে বলেন ওরা এখানেই বেশি ভাল ছিলেন। এর সত্যতা স্বাভাবিক বিচারেই মেলে। কেননা এমন কিছু অর্থ প্রতিপত্তি সম্পন্ন মানুষও ভারতে পারি জমিয়েছেন যারা আমাদের কাছেও অনেক সম্মানিত ছিলেন। আর এটা স্বীকার করতেও বাধা নেই মানুষ হিসেবেও তারা ভাল মানুষ ছিলেন।

নিজের এলাকা বলেই শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েই বলতে পারি এই লোকগুলো সম্পূর্ণ নিজেদের খেয়ালেই দেশ ছেড়েছেন কোন রকম চাপে নয়। এর কারণ সম্পর্কে স্থানীয় হিন্দুদের সাথে কথা বলে যেটা বুঝেছি তা হল। প্রথমত তারা তাদের মুল দেশ বা প্রিয় দেশ হিসেবে প্রথমেই ভারতকে বেছে নিয়েছে। তাদের মাথায় যেটা কাজ করে তা হল ভারত হিন্দু রাষ্ট্র। কাজেই যেহেতু তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী সেহেতু ওটাই তাদের আসল ঠিকানা।
দ্বিতীয়ত- এ দেশে থাকলে যদি কোনদিন কোন সমস্যা হয়ে যায়। অর্থাৎ এক ধরনের শঙ্কা তাদের মধ্যে সর্বদাই কাজ করে। অথচ তার পেছনে নেই যৌক্তিক কোন কারণ। আমি মূলত যারা ইতিমধ্যেই দেশান্তরি হয়েছেন তাদের কথা বলছি।

আমি যে মফঃস্বল শহরটির কথা বলছি তা ছিল এক সময় হিন্দু অধ্যুষিত। যদিও এখন আর তা নয়। তথাপি কোনদিনই আমাদের ওখানে হিন্দু মুসলমান বিবাদ হয়নি। উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি, আমরা আমাদের প্রতিবেশী হিন্দু পরিবারের পূজার প্রসাদ সব সময়ই পেতাম। তাদের পূজা দেখতে না গেলে তারা রাগ করত। আমাদের বন্ধুদেরও বেশিরভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। যে কারণে আমাদের বাসায় দুই ঈদে তাদের জন্য আলাদা করে মুরগীর মাংস রান্না করা হত। যাতে তারা ঈদ উৎসবে অংশ নিতে পারে। যে ব্যবস্থা বর্তমানেও চালু আছে।
আমার বাসা আর আমাদের পেছনের হিন্দু পরিবারের বাসার মাঝে একটি মাত্র দেয়াল যার ওপাশে তাদের পারিবারিক মন্দির আর এপাশে আমি প্রতিবছর গরু কোরবানি দেই। আমাদের মাঝে কখনোই এ নিয়ে বিরোধ হয়নি।

তার মানে এই নয় যে, সারা বাংলাদেশের চিত্রটাই এমন। অবশ্যই এর উল্টোটাও আছে। তবে তাও বিশেষ কিছু এলাকা ভেদে। যা সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র নয়। কাজেই এটা বলাই যায়, শুধু যে চাপে পরেই হিন্দুরা এ দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয় এ কথাটাও বোধ হয় সর্বৈব সঠিক নয়। ভারতে চলে যাওয়ার পেছনে তাদের মানসিক একটা তাড়নাও লক্ষ করা যায়। আসলে যার কোন অর্থই নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ২৩ অক্টোবর ২০১৫ বিবিসি বাংলা বাংলাদেশের হিন্দুরা কেন দেশ ছেরে যাচ্ছে তা খোজার চেষ্টা করেছে। তারা এর কারণ খুঁজতে গোপালগঞ্জের উলপুর নামক এক সময়কার শতভাগ হিন্দু অধ্যুষিত একটি গ্রামকে বেছে নিয়েছিল। এখন যেখানে বেশিরভাগই মুসলমান।
কারণ হিসেবে তারা যেটা পেয়েছে তা হল। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাষায়, “কারণ... হয়তো এখানে তাদের স্বাধীনতা নেই। সেটাই মনে করে।”
ঐ প্রতিবেদনেই আরও কিছু স্থানীয় মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে একজন গ্রামের বাজারে কাঁচি হাতে চুল কাটায় ব্যস্ত ক্ষৌরকার নিখিল সরকার। গত ৪০ বছর ধরে এটাই তার পেশা। তিনি বলছিলেন, মূলত নিরাপত্তার কথা ভেবেই অনেকেই ভারতে পাড়ি জমানোর একটা পথ খোলা রাখেন।
“মনে করেন যে এই পাশেও আছে, আবার হয়তো ঐ পাশেও (ভারতে) ছেলে-পেলে পাঠায়ে দেছে, ভাই-বেরাদার পাঠায়ে দেছে। অহনে এখানে যারা আছে, তারা শান্তিতে নাই, একটা দোটানার মধ্যে আছে।”
উলপুর দক্ষিণপাড়ার রায় বাড়িতে বসে এই সমস্যা নিয়ে কথা হচ্ছিল কয়েকজন গৃহিণীর সঙ্গে।
“ভবিষ্যতে চলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। ছেলে-মেয়ে বড় হচ্ছে। এদের ছেলে-মেয়েদের আর এদেশে রাখার ইচ্ছে নাই”, বলছিলেন একজন।
“আমারও ঐ একই কথা। আমাগো দিন তো চলি গেল। কিন্তু আমাগো যে নাতি-পুতি, এগো ভবিষ্যৎ তো এই জায়গায় হবি না,” বললেন তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক জন।

উল্লেখিত প্রতিবেদনেও এমন কিছু বের হয়ে আসেনি যাতে আমরা বলতে পারি যে হিন্দুরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। বরং এটাই বলা যায় যে তারা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে। স্ব ইচ্ছায় দেশ ছেড়ে যাওয়া আর দেশ ছাড়তে বাধ্য করা নিশ্চয়ই এক কথা নয়।
তারপরেও যদি দেশের কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এ ধরনের সমস্যায় পরেন তারা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের শরনাপন্ন হতে পারেন। দেশে বিচার ব্যবস্থা আছে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। তাদের সাহস যোগাতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা কি কোন ভুমিকা গ্রহন করেছেন। ঐক্য পরিষদের নেতারা সর্বদাই বলেন বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমছে। এটা তো অনস্বীকার্য। কেননা “১৯৫১ সালে যে আদমশুমারি ছিল তাতে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ। ১৯৭৪ সালের আদমশুমারিতে এটা নেমে আসলো ১৪ শতাংশে। আর সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারিতে এটা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৪ শতাংশে।”
কিন্তু কেন এভাবে তারা চলে যাচ্ছেন সে ব্যাপারে তারা সুস্পষ্ট করে কিছু বলেন না। আর দেশান্তরী হওয়া বন্ধেও তাদের কোন পদক্ষেপ চোখে পরে না। যে নিরাপত্তা হীনতার কথা তারা বলেন এটাতে মনে হয় এক ধরনের জুজু’র ভয় তাদের পেয়ে বসেছে। যে ভয়টা কাটানোর দায়িত্বও আমাদের সকলের। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এ ব্যাপারে কোন পক্ষ থেকেই কোন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায় না।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এটা বোঝানো দরকার যে দেশ ছাড়াটা কোন সমাধান নয়। বরং মাতৃভূমিতে তাদের অধিকার আদায় করে নিতে শক্ত অবস্থান নেয়াটাই বেশি জরুরী।
মুসলমানদের পাশাপাশি এ দেশটা একইভাবে তাদেরও এই বোধটা যেমন তাদের মাঝে উন্মেষ ঘটা দরকার তেমনি আমরা যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছি তাঁদেরও দায়িত্ব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা। তাদের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো।

[email protected]

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

জনাব মাহাবুব বলেছেন: সঠিক পর্যবেক্ষণ।

আমাদের দেশের হিন্দুরা কখনো বাংলাদেশকে নিজেদের দেশ হিসেবে ভাবতে পারেনি এখনও পারে না। দেহ তাদের এখানে থাকলেও আত্মা থাকে ভারতে । আমার পরিচিত যত পাড়া-প্রতিবেশি, বন্ধু বান্ধব আছে। এর মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু। আমি নিজে দেখেছি তারা সবসময় ভারতের গুনগান গেয়ে যায় এমনকি বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা হলে তারা ভারতেরই সাপোর্ট করে। :(

বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দুদের কখনো দেশপ্রেমিক বলা যায় না, বরঞ্চ তারা ভারত প্রেমিক।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অধিকাংশ নয় কিছু সংখ্যক হিন্দু সম্পদায়ের মানুষ একটি জুজু'র ভয়ে থাকে যেটা কাটানোর দায়িত্ব আমাদের সকলেরই।
অনেক ধন্যবাদ মাহাবুব আপনাকে।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো ধন্যবাদ

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ নাবিক সিনবাদ ভাল থাকবেন।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্থানীয় হিন্দুদের সাথে কথা বলে যেটা বুঝেছি তা হল। প্রথমত তারা তাদের মুল দেশ বা প্রিয় দেশ হিসেবে প্রথমেই ভারতকে বেছে নিয়েছে। তাদের মাথায় যেটা কাজ করে তা হল ভারত হিন্দু রাষ্ট্র। কাজেই যেহেতু তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বি সেহেতু ওটাই তাদের আসল ঠিকানা।
দ্বিতীয়ত- এ দেশে থাকলে যদি কোনদিন কোন সমস্যা হয়ে যায়। অর্থাৎ এক ধরনের শঙ্কা তাদের মধ্যে সর্বদাই কাজ করে। অথচ তার পেছনে নেই যৌক্তিক কোন কারন।

আমার অভিজ্ঞতাও ঠিক এমনই। প্রতিভা প্রণতি ছিল অনিলদার মেয়ে। তারা আমাদের বাসায় সকাল হলেই চলে আসত। আমরা কোরআন পড়তাম, তারা পাশে বসে, কোলে বসে দুলে দুলে শুনত! আবার দূর্গা পূজা লক্ষী পূজায় রাত ১২টা পর্যন্ত আব্দার ধরে বসে থাকত যতক্ষন না আব্বা আমাদের তাদের সাথে যাবার অনুমতি দিতেন। ...

কাজেই এটা বলাই যায়, শুধু যে চাপে পরেই হিন্দুরা এ দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয় এ কথাটাও বোধ হয় সর্বৈব সঠিক নয়। ভারতে চলে যাওয়ার পেছনে তাদের মানসিক একটা তাড়নাও লক্ষ করা যায়। আসলে যার কোন অর্থই নেই। বরং এ দেশটা একইভাবে তাদেরও এই বোধটা যেমন তাদের মাঝে উন্মেষ ঘটা দরকার তেমনি আমরা যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছি তাঁদেরও দ্বায়িত্ব সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা। তাদের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো।

সহমত।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হিন্দু সম্পদায়ের অজস্র মানূষ এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তারা দেশকে ভালবাসেন না এটা ঠিক না তবে তা্দের মধ্যে অনেকেই যে ভারতকেই ফাষ্ট হোম ভেবে রাখে এটা তো মিথ্যে নয়।
সে লজ্জার দায় তাদের এবং আমাদের উভয়েরই।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

এই আমি রবীন বলেছেন: যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই!!!

একটি বিশেষ সম্প্রদায় আছে, যারা সবসময় অন্যের কুৎসা রটায়!
একটি ক্লাস থ্রি পড়ুয়া ছাত্র যখন বলে, 'ও হিন্দু, ওর সাথে মাতিস (কথা বলিস) না' এই শিক্ষা সে কোত্থেকে পায়?
জননী, জন্মভুমির প্রতি মানুষের টান সহজাত! এই টান নিয়ে যারা প্রশ্নতোলে, তারা নিজের অভিজ্ঞতাই শেয়ার করে ! :-)

ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৪ লেন হলে অনেকের গা জ্বলে। পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হলে অনেকে শেখ হাসিনার মায়েরে বাপেরে তুলে গাল পাড়ে।
তারা এদেশেই জন্ম গ্রহন করেছেন, আমাদের সাথেই আছেন। আমরা তাদের চিনি না এমন নয়! কোপ দিয়ে কল্লাটা ফেলার কথা কখনো মাথায় আসে নি!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হিন্দু সম্পদায়ের অজস্র মানূষ এ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তারা দেশকে ভালবাসেন না এটা ঠিক না তবে তা্দের মধ্যে অনেকেই যে ভারতকেই ফাষ্ট হোম ভেবে রাখে এটা তো মিথ্যে নয়।
সে লজ্জার দায় তাদের এবং আমাদের উভয়েরই।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমার জানামতে আমাদের অনেক প্রতিবেশী হিন্দু ভারতে রাতের আধারে পালিয়ে গিয়েছে কোন কারণ ছাড়াই। অনেক হিন্দুরা ভাবে তারা অত্যাচারিত হয়ে ভারতে গিয়াছে যাহা মোটেও সত্য নয়।


অনেকেই আবার যাওয়ার সময় একই যায়গা জমি কয়েক জনের কাছে বিক্রি করে টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছে পরে মুসলমান মুসলমার মারামারি লেগে গেছে। তবে এখন একই যায়গা অনেকের কাছে কিক্রি করার সুযোগ তেমন নেই।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ বলেন অভিজ্ঞতাই বলেন এগুলো আমাদের মিডিয়া কিংবা সুশীল নামদারীদের কানে যাক বা নাই যাক কোন লাভ হবে না। উনারা সবসময়ই যেটা বুঝেন সেটা হলো সংখ্যালঘু হিসেবে হিন্দুদের মারদোর করা হয়। দেশের ভাবমূর্তির কথা তোয়াক্কা না করে তাঁরা সর্বদাই একই ঢোল পিটান।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: শুধু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয় আমি এই লেখায় বিবিসির একটি প্রতিবেদনেরও সহায়তা নিয়েছি সেখানেও তারা এমন কোন তথ্য উপাত্ত সংযুক্ত করেননি যাতে আমরা বলতে পারি যে হিন্দুরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

মৈত্রী বলেছেন: আপনের বাড়ী ঝালকাঠির কোথায় ??

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: সহজ কথাটি যায় না বলা সহজে

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আবার সত্য স্বিকারে আমরা দ্বিধাগ্রস্থও কম নই

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ১৯৭১ এ হিন্দু জনসংখ্যা ছিল মোট জনস্ংখ্যার প্রায় ২০% এর বেশী সেখানে আজ ৬-৭% এ দাড়িয়েছে হিন্দুদের সংখ্যা। এটা কি এমনি এমনি? পত্রিকা পড়ুন। সবসময় সব কথা বলা যায়না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বলা যায় না বলে চুপ করে থাকাও সমীচীন নয়। সমস্যা নিশ্চয়ই আছে তাই বলে তা বলা যাবে না তা তোঁ নয়। বলতে হবে উচ্চকিত হতে হবে। যদি কারো দায় থাকে সে দায়ও তাকে নিতে হবে।

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মনে করি আমাদের দেশে ২% হিন্দু ।
চুরি ,ডাকাতি , চিন্তাই , ধর্ষণ , লুটপাটের প্রতি ১০০ ঘটনায় ২ জন হিন্দু আক্রান্ত হবে এটাই স্বাভাবিক ।
অথচ ওই দুটি ঘটনায় আমাদের দেশি মিডিয়া চাউর করে হিন্দু তকমা লাগিয়ে ।( হিন্দু নারী ধর্ষণ , হিন্দুর সম্পত্তি লুট ইত্যাদি)
এসব কারণে হিন্দুদের মনে একটা বিরূপ প্রভাব পড়ে ।

আমাদের পাশের একজনের ছাগল চুরি হয়ে যায় । সে পঞ্চায়েত দের বলছে , আমি হিন্দু দেখে আমার উপর জুলুম করা হচ্ছে ।
তাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম , গত কয়েক মাসে গফুর ,হালিম সহ অনেকের গরু চুরি হয়েছে , তারা কোন হিন্দু ছিল ?
বেচারা চুপ !

১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

ঘুম হ্যাপি বলেছেন: সহজ কথাটি যায় না বলা সহজ।
সহমত।

১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

কানিজ রিনা বলেছেন: আমি সব শেষে বলব হিন্দুদের দেখেন ভারতীয়
মসলমান সংখালঘু কত কষ্ট পায় জরে আজানও
দিতে দেয়না, গরুর মাংশ খাওয়া বন্দো শত কষ্ট
সয্য করেও ওরা মাতৃ ভুমিতে টিকে আছে ওরা কি
বলে বাংলাদেশ মুসলিম কান্টিরি আমরা বাংলাদেশে
চলে যাই।

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


৪৭ এর ভূত এখনও আমাদের কাঁধে। বিলি বন্টন ঐ সময় ঠিক ভাবে হলে আর এই ঝামেলা থাকত না। যারা ভারতে চলে যেতে চেয়েছেন তারা চলে গেছেন। এইটা ছিলো তাদের একান্ত নিজস্ব পছন্দ। এইজন্য কেউ তখন তাদের বাধ্য করেনি।

১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আজো যারা যেতে চাচ্ছেন তারা যাবেনই। তবে এটা রোধ করা উচিৎ।

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪

তিক্তভাষী বলেছেন: যশোর। ছোটবেলার ঘটনা। লোন অফিস পাড়ার ছেলেরা বিকেলে মাঠে খেলতাম। একদিন খেলার সময় এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছেলে আমাকে বললো- সে মাত্র স্নান করে এসেছে, আমি যেনো তাকে ছুঁয়ে না দেই। ছুৎমার্গ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় আমি অবশ্য তখন এর কারণ বুঝতে পারিনি।

১৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:২৪

ম.র.নি বলেছেন: নিচু জাতের কিছু আছে 'ওপাড়ে' গিয়ে দেশের বদনাম কয় সুবিধা পাওয়ার জন্য।দেশ থেকে স্চচ্ছল শিক্ষিত ভদ্র হিন্দুরা চলে যায় হয়ত তারা সামাজিকভাবে সামহাও 'বুলি' হয়, কমফোর্ট ফিল করেনা।'রাণীকুঠী'র এক দোকানে 'বিসলেরি' কিন্তে গিয়ে দোকানদার কাকুর কাছে শুনি দেশে নাকি হিন্দুমেয়েদের হ্যানস্হা করা হয়,অনেক অত্যাচার করা হয়, আমি বল্লাম উনি ভুলশুনছেন।কাকু আমি মুসলিম,আমাদের অনেক ঘনিষ্ট হিন্দু বন্ধু আছে, আর আমার এলাকায় এমন কিছু নাই।দোকানে পানির বোতল ছিল না,কথাছিল দোকান বন্ধকরে আমাকে সাথে করে নিয়ে বাসায় রাখা স্টক থেকে দিবেন, ৪/৫ মিনিট হাটলাম উনার সাথে বাসা পর্যন্ত উনি আর কোন কথা বলেন নাই।

১৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নির্যাতন যে হয় না তা নয়| তবে একটা ভয় কাজ করে| এটা আমরাই সৃষ্টি করেছি| যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সেখানে কীভাবে বাংলাদেশকে তারা নিজেদের দেশ মনে করবে? এ বিষয়ে আপনার মতামত চাচ্ছি

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একটা ভুল আমরা সব সময়ই করে যাচ্ছি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটা রাজনৈতিক এজেন্ডা। এর কোন প্রভাব সমাজে পরে না। ভারতেও প্রধান ধর্ম হিন্দু তাতে সেখানকার সমাজ প্রভাবিত হয়নি। সেখানকার সমাজ প্রভাবিত হয়েছে তখনি যখন গোমাংস নিষিদ্ধের মত সিদ্ধান্ত নেয়া হল।
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা অনেক বেশি সহনশীল। এখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কোন প্রভাবই ফেলতে পারেনি। যা আমরা হিন্দুদের পূজা পার্বণেই দেখতে পাই। কাজেই এটা যে তাদের দেশান্তরী হওয়ার কারণ তা মানতে পারছি না।
হিন্দুরা যদি নিজেদের সর্বদাই পরবাসী বলে মনে করে সেটা তাদের ভ্রান্ত ধারনা তাদের নিজেদেরই সে ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে এটা তাদের জন্মভূমি এখানে তাদের অধিকার আছে ষোলআনা এই বোধটাই তো হতে পারে সর্বোচ্চ রক্ষাকবচ।

১৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: এটা ওনাদের মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা।

১৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বেশ ভাল লিখেছেন, আমারো মত ওটাই, এরা মূলতঃ মানসিকভাবে মনে করে, ভারত তাদের আস্থার একটা জায়গা, যদিও বাস্তবতা এর বিপরীত। আর আমার মনে হয়, এই মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাটা মূলতঃ গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত হিন্দুদের মধ্যে বেশী। কারণ, ওনারা ভাবতে ভালবাসেন, সীমান্তের ওপারেই সর্ব সুখ !

অথচ তাকিয়ে দেখুন, প্রশাসন, বিচারালয়েসহ বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে হিন্দু ভাল পজিশনে চাকরি করছে, কোনরকম বৈষম্য ছাড়াই। ভারতের মুসলমানরা কিন্তু সেই সুবিধাটা পাচ্ছে না। আর ভারত কিন্তু কোন হিন্দু রাষ্ট্র না বরং সেকুলার রাষ্ট্র। তারপরেও দেখুন, ন্যায় নীতির কোন তোয়াক্ক্বা না করে বেশ কিছু রাজ্যে গোড়া হিন্দুরা গরু খাওয়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ! মুসলমানরা শুকর খায় না, তাই বলে কি এদেশে শুকর জবাই নিষিদ্ধ?

সব বিচারে ধর্মীয় সহিঞ্চুতার দিক থেকে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে।

দেশে বিদেশী বা নাস্তিক ব্লগার হত্যাসহ যেসব কুচক্রী কার্যকলাপ হচ্ছে, সেটা যদি সরকার দমন করতে পারে, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হতে পারে বিশ্বের কাছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম খুব সুন্দর লিখেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

অেসন বলেছেন: ভাই আপনের সাথে অনেকাংশে একমত। তারপরও বলছি সংখ্যালঘু হিসাবে যে জন্মগ্রহন করে সেই জানে সংখ্যালঘু র যন্ত্রণা।
বাংলাদেশে কি ধর্মীয় অনুভুতি শব্দ দুটি হিন্দুদের জন্য প্রযোজ্য ? দেখাতে পারবেন হিন্দুদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার কোন বিচার এর শাস্তি ? ভারতেও সংখ্যালঘুরাও নির্যাতনের শিকার হই কিন্তু আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
বাংলাদেশে এমন কোন হিন্দু আছে কিনা সন্দেহ যারা স্কুল জীবন থেকে মালাউন/ডেডা জাতীয় সাম্প্রদায়িক গালি শুনেনি । অবশ্য আপনারা বলবেন এ আর এমন কি ?

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: না এ আর এমন কি বলার মত বিকৃত মস্তিস্কের লোক আমি নই। আমি শুধু বলছি আপনাদের শক্ত হতে। হাত বাড়িয়ে দেখুন আপনার অসংখ্য মুসলমান বন্ধু আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। হাতটা গুটিয়ে রাখলে তোঁ সমাজে শান্তি বিনষ্ট কারীদেরই লাভ।

২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

সজিব হাওলাদার বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দুদের কখনো কখনো দেশপ্রেমিক বলা যায় না, বরঞ্চ তারা ভারত প্রেমিক।

২২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দেশ ছাড়বার পেছনে নিশ্চয়ই কোন না কোন কারন তো আছেই। কেউ শখ করে পিতৃপুরুষের ভিটা ছেড়ে যায়না। নিজের মানুষের কাছ থেকে খারাপ কিছু শুনলে কিংবা তেমন কোন অভিজ্ঞতা হলে খারাপ আরো বেশি লাগে। সংখ্যালঘুরা সবসময়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে যৌক্তিক কারনেই। সকল মুসলমানের ৮০ ভাগ উদার হলেও বাকী ২০ ভাগও যদি কিছুটা উগ্র হয় সেটাও কিন্তু একটা বড়ো মাত্রা। আর এই দেশের সবচেয়ে অসুস্থ্য কালচারের একটা হচ্ছে হিন্দুদের গনহারে প্রকাশ্যে মালু বলা। আমি নিজেও বলছি। ছোটোবেলা থেকেই এমন শুনতে শুনতে কেউ বড়ো হলে তার মনে নিজের মাটি সম্পর্কে বিতৃষ্ণা না জন্মালেও আসেপাশের মানুষগুলা সম্পর্কে জন্মায়। আর নিরাপত্তাহীনতা তো থাকবেই। ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদের মুসলমানেরা আরও ১০০ বছর পরেও নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারবেনা সেখানে। সেখান থেকে অন্য কোথাও চলে যাবার প্রবনতা থাকবেই।

এটা তাদেরও দোষ না, পরিস্থিতিই তাদের এমন আচরনের পেছনে দায়ী, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠরাও।

২৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হিন্দুরা এইদেশে কমফোর্টেবল না।

প্রথমত ৪৭ আর ৭১

দ্বিতীয়ত পলিটিক্স , অর্থাৎ একটা বিশেষ দল চায় তাদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যাবহার করতে

তৃতীয়ত NGO গুলোর হিন্দু প্রিয়তা এবং অযোচিত এম্পাওয়ারম্যান্ট

চতুর্থত আমাদের দেশের স্বভাবিক অন্যায় অনাচার অবিচারের স্বিকার হয়ে তার দায় ভার হিন্দুত্ত্বের উপরে চাপানো

পঞ্চম অনেক শ্বতাব্দী পরেও হিন্দুরা এইদেশে মুসলিমদের ডমিনেন্সটা মেনেনিতে পারছেনা এবং ইংরেজ আমলের 200 বছরের মিষ্টি সময়টাও ভুলতে পারছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.