নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
১০ নভেম্বর ২০১২ তারিখে বাংলাদেশে এসে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হীনা রব্বানী খার ১৯৭১ এ বাংলাদেশের প্রতি করা পাকিস্তানের অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি এড়িয়ে বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের ঘটনাবলিকে পেছনে ফেলে দুই দেশের উচিত সামনে এগিয়ে যাওয়া।
একদিক দিয়ে সেদিন তিনি অন্যায় কিছু বলেন নি; তবে প্রেক্ষিত ভুল ছিল। কেননা এই ভোলাটা পাকিস্তানের জন্য অবশ্য কর্তব্য হলেও বাংলাদেশের জন্য একেবারেই অনুচিত। হীনা রব্বানীর ভুলটা ছিল তিনি দুটি প্রেক্ষিতকেই এক করে ফেলেছিলেন। অতীত তো তাদের ভুলে যাওয়া উচিৎ যাদের অতীত লজ্জার, গ্লানিকর। সে অর্থে পাকিস্তানের তা ভুলে যাওয়াই সমীচীন। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় তো তা নয়। ১৯৭১ বাংলাদেশের জন্য গৌরবের, সম্মানের। একাত্তর বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিকাশের। সেদিনের সেই গৌরবময় অর্জনের উপরে দারিয়েই বাংলাদেশের আজকের জয় জয়কার। বাংলাদেশের এই এগিয়ে চলা।
সেদিন হীনা রব্বানী কথাটি এমনি এমনি বলেননি। বলেছেন ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ এড়াতে। কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার জন্য যে মনুষ্যত্ব বোধের প্রয়োজন তা পাকিস্তানের জন্ম থেকেই ছিল না। আজো তাদের সেই মানসিক উৎকর্ষ সাধিত হয়নি। উপরন্তু এখনো তারা যে হিংস্র শ্বাপদের ভূমিকায় অবতীর্ণ তারই প্রমাণ মিলল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আর মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পরে ব্যক্ত করা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায়।
ফাঁসি কার্যকরের আগের দিন পর্যন্ত দুই অপরাধীর পরিবারের কথা বার্তা ও আচরণে মানুষ দ্বিধান্বিত ছিল যে, ফাঁসি কার্যকর করা আদৌ সম্ভব হবে কিনা এই ভেবে।
আর তাদের খুঁটির জোরটা যে কোথায় তা স্পষ্ট হল ফাঁসি কার্যকরের পরে পাকিস্তানের উদ্ধত আচরণে। বিএনপির পক্ষ থেকে ফাঁসি কার্যকরের কয়েক দিন আগে দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘সাকা চৌধুরী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’ বলে উল্লেখ করেছেন। এমনকি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্যও সাকার অবদান ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। যদিও ফাঁসি কার্যকরের পর তারা একেবারেই চুপসে গেছেন। দলগতভাবে চুপসে গেলেও তাদের পেইড সুশীল সমাজ এখনো টিভি টক শো গুলোতে একই কথা বলে চলেছেন।
একদিকে পাকিস্তানের বক্তব্য, “পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে একটি ‘গোষ্ঠী’ আছে যারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে বিমুখ। নিসার আলী খান বলেন, ‘পাকিস্তানের সমর্থক’ কারও বিরুদ্ধে প্রতি শোধের স্পৃহা বন্ধ করার এটাই উপযুক্ত সময়।“
আর অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ। শুধু জামায়াত নয় বিএনপিকেও পাকিস্তানের শাখা সংগঠন বলে চিহ্নিত করছে। স্বভাবতই পাকিস্তানের এই ঔধ্যত্বপূ্র্ন আচরণের কোন প্রতিবাদ বিএনপির পক্ষ থেকে আসেনি।
এর পরেও তারা যখন নিজেদের জাতীয়তাবাদী শক্তি বলে দাবী করেন তখন তো এ প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, আসলে তারা কোন জাতীয়তাবাদী শক্তি পাকিস্তানী না বাংলাদেশী?
আর এ সব কারণেই পাকিস্তানের আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকা স্বত্বেও আমি ততটা ক্ষুব্ধ নই। কেননা পাকিস্তানের এই দুঃসাহসের মুলে রয়েছেন এদেশেরই রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ। যারা বহুদিন যাবত বাংলাদেশীদের একটি দ্বিধান্বিত জাঁতিতে পরিণত করে রেখেছেন। দীর্ঘ চার দশক ধরে তিল তিল করে যে বিষ মন্ত্র ঢালা হয়েছে তা ক্রমাগত এ জাতীকে করেছে বিভ্রান্ত। যা আমরা আজো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে নিজ দেশের রাজনীতিবিদগণ যখন একটি জাতিকে দিনের পর দিন দ্বিধান্বিত করে রাখেন তখন সে দায় অন্য কোন জাতি স্বত্বার উপরে চাপানোটাও অন্যায় বৈ কি? শুধু পাকিস্তান নয় এ দেশে প্রভুত্ব করার চেষ্টা তো বিশ্ব পরাশক্তি সহ তাদের আজ্ঞাবহরা নিত্যই করে যাচ্ছেন। এ দেশে কর্মরত বিদেশী রাষ্ট্রদূত গন নিজ দেশে তাদের অবস্থান ভুলে গিয়ে এখানে এসে দাদা গিরি ফলান! তাদের সে সুযোগটা তো আমাদের মেরুদণ্ডহীন রাজনীতিবীদগনই করে দেন। কাজেই পাকিস্তান তুরস্কের এই ঔধ্যত্বের দায়ভার শুধু তাদেরই নয় সেই সমস্ত দলেরও যারা এ দেশে রাজনীতি করেন অথচ বিদেশীদের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করেন। একই সাথে এটাও তো ঠিক যে, এই দলগুলিকে এ দেশের উল্লেখযোগ্য মানুষ অব্যাহত ভাবে সমর্থন করে যাচ্ছেন। সেই অন্ধ সমর্থন পেয়ে দলগুলোও যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। তারা দেশের স্বার্থ বিবেচনায় না নিয়ে সম্পূর্ণরূপে বিদেশী প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে চলছেন। তবে কি আমরা জাতিগত ভাবেই মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়েছি? হয়ত না; এ দেশের সহজ সরল মানুষকে ধর্মের দোহাই দিয়ে বার বার বোকা বানানো হয়েছে। মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে ঠিকই তবে বিভ্রান্তিকর সেই সময়টা আমরা পেড়িয়ে এসেছি বলেই মনে হচ্ছে। আর পেড়িয়ে এসেছি বলেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মানবতাবিরোধি অপরাধীদের বিচারকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।
দেরিতে হলেও বিএনপি সাধারণ মানুষের আবেগ বুঝতে পেরেছে বলেই শেষ পর্যন্ত আর উচ্চ বাচ্য করেনি। এমনকি জামায়াতও তাদের কর্ম কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। এখন তারা হরতাল ডেকেও আর মাঠে থাকেন না।
তবে এটা বুঝতে অক্ষম হয়েছে পাকিস্তানী দাম্ভিক রাজনীতিবিদ গন। তারা এখনো বাংলাদেশকে তাদের করদ রাজ্য বলে মনে করে। তারা মনে করে এ দেশে তাদের যে বশংবদরা রয়েছে তারা আবার কোন একদিন বাংলাদেশকে তাদের স্বপ্নের পাকিস্তানী রূপ দানে সক্ষম হবে। আর সে কারণেই যখন (পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী আসমা জাহাঙ্গীরের ভাষায়) পাকিস্তানী রাজনৈতিক চরদের তাদের পূর্বের কৃত কর্মের জন্য বিচারের সম্মুখীন করা হয় তখনই পাকিস্তান চিৎকার করে ওঠে। দেখা যায় শুধু মাত্র শাসকগোষ্ঠীই নয় সেই একই কোরাসে গলা মেলায় পাকিস্তানের সকল দল। যার অর্থ একটাই। হীনা রব্বানীরা যতই বলুন না কেন; আসলে পাকিস্তানিরা আজো একাত্তরের জ্বালা ভুলতে পারেনি। তারা এখনো একই রকম হিংস্র শ্বাপদের ভূমিকায় অবতীর্ণ।
বাংলাদেশীদের মধ্যে যে পাকিস্তান প্রেম উথলে উঠতে দেখা যায় সেটা আসলে প্রেম নয়, দাসত্বের মোহ! ঠিক একইভাবে বাংলাদেশিদের প্রতি পাকিস্তানীদের যে টুকু ভালবাসা প্রকাশ পায় সেটাও আসলে ভালবাসা নয় প্রভুত্ব সুলভ করুণা মাত্র। আর সেটা পেয়েই যারা বিগলিত হন তাদের প্রতি আমাদের একরাশ বিরক্তি প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
দাসত্ব কারো কারো রক্তে মিশে থাকে; যারা দাসত্বের মাঝেই আনন্দ খুঁজে পায়। প্রভু ভক্ত কুকুর যেমন প্রভুর লাথিকেও আশীর্বাদ মনে করে প্রভুর পা চাঁটতে থাকে। মানুষের মধ্যেও সেই প্রজাতির কিছু মানুষ আছে। বাংলাদেশীদের মধ্যে তা কত ভাগ তা সচেতন পাঠক নিজেই হিসেব করে বের করে নিতে পারবেন।আমি আর সে হিসেবে নাই বা গেলাম।
তবে পা চাটা এই গোষ্ঠীর যে অস্তিত্ব আছে এবং তারা কারা এটা সবাই জানে। যদিও তারা নিজেরা তা কখনোই স্বীকার করে না। এদেরকে পাকিস্তান সেই ১৯৭১ থেকেই প্রমোট করে এসেছে। আজো একইভাবে করে যাচ্ছে। পাকিস্তানের জাত শত্রু ছিল ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর প্রতিবন্ধকতাও ছিল ঐ একজনই। আর সে কারণেই বঙ্গবন্ধুকে মৃত্যু বরন করতে হয়েছিল সপরিবারে। আর এখন তাদের জন্য যদি কোন প্রতিবন্ধকতা থেকে থাকে তা আওয়ামীলীগ এবং একমাত্র ব্যক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাজেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান “বাংলাদেশে একটি ‘গোষ্ঠী’ আছে যারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে বিমুখ” বলে যে অভিযোগটি করেছেন। তাতে তিনি একটি ‘গোষ্ঠী’ বলতে যে কাদেরকে বোঝাতে চেয়েছেন তা আর বুঝতে কারো বাকি থাকে না। প্রশ্ন হল নিসার আলী খান ‘পাকিস্তানের সমর্থক’ কারও বিরুদ্ধে প্রতি শোধের স্পৃহা বন্ধ করার এটাই উপযুক্ত সময়।“ বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। এরপরে পাকিস্তানের সাথে কি আদৌ কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা ঠিক হবে কিনা বাংলাদেশ সরকার নিশ্চয়ই সেটিও ভেবে দেখবে।
পাকিস্তানের হাত থেকে ছুটে যাওয়া বাংলাদেশ নামক ভাড়ারটা পুনরায় তাদের হস্তগত হয়েছিল ৭৫ এর পনের আগস্টের পরে। তারা এ দেশে তাদের দোসরদের দ্বারা দল গঠন করে জয়বাংলাকে হটিয়ে জিন্দাবাদ কায়েম করেছিল। তারা সেই একই দোসরদের মাধ্যমে জামায়াতকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেছিল। অথচ এই কাজগুলি করেও ঐ শক্তিটি নিজেদের জাতীয়তাবাদী শক্তি বলে পরিচয় দেয়। কি দুর্ভাগ্য আমাদের! আমরা বারংবার তাদের ক্ষমতায় পাঠিয়েছি। এখনো পাঠাচ্ছি।
জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশ মানে কি? বাংলাদেশ জামায়াতের ব্রাঞ্চ অফিস? ঠিক তাই, জামায়াত ইসলাম এর হেড অফিস পাকিস্তানে।
পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের নামে চালানো হল সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। মুছে ফেলা হল চিরায়ত বাঙ্গালীয়ানা। কেন?
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সাথে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের সংঘর্ষ কেন হল? কেন বাঙ্গালীয়ানাকে মুছে ফেলা হল? ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে কেন ভাব-ভাষায়, চিন্তা-চেতনায় প্রবেশ করানো হল পাকিস্তানী ভাবধারা? হিন্দুয়ানী ধুয়া তুলে কেন মুছে ফেলা হতে লাগল বাঙ্গালী সংস্কৃতি। এই যে একটি জাতির আবহমান সংস্কৃতি মুছে ফেলে ভিন্ন ভাবধারায় পরিচালিত করার চেষ্টা এটা তো সেই বায়ান্নতেই শুরু হয়েছিল। তখন সেটা পশ্চিম পাকিস্তান করেছিল পুর্ব পাকিস্তানকে পঙ্গু করে রাখার উদ্দেশ্যে কিন্তু পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সেই একই প্রচেষ্টা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আগ্রাসন চালানো হল কি উদ্দেশ্যে? সেটা যারা চালিয়েছিল তারা এ দেশেরই সন্তান অথচ কাজটা করেছিল পাকিস্তানীদের মত করেই।
আমরা তখন মুক্তিযুদ্ধ শব্দটাই ভুলে গেলাম! আমরা বলতে শুরু করলাম গণ্ডগোল। রাজাকার শব্দটিকে কৃতি নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদকে পাখির মুখ থেকে বের করতে হল!
ইতিহাস বিকৃতি আমাদের এমনভাবে বেকুব হিসেবে তৈরি করল যে আমরা শিখলাম, একটি ঘোষণা মানেই একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ! কি অদ্ভুত ব্যাপার। স্বাধীনতার আগ পরে যার উল্লেখযোগ্য কোন কর্মকাণ্ড নেই। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে গঠিত মুজিব নগর সরকারে যার নাম নিশানা পর্যন্ত নেই। এমন কি যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠনেও যে চরিত্রটি অনুপস্থিত সেই চরিত্রটিই যখন ঘটনাচক্রে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন তিনিই হয়ে গেলেন এ দেশের স্বাধীনতার(ঘোষক মাত্র)প্রাণ পুরুষ। এই অসম্ভব গল্পও আমরা শিখলাম।
যারা এ সব করেছিলেন তারা ইতিহাস থেকে শেখেন নি বলেই এসব করেছিলেন। আর আজ তাই ইতিহাসের আস্তা কুড়ে ঠাই নিয়েছেন।
তবে আশার কথা হল; যে প্রজন্মকে টার্গেট করে এ সব করা হয়েছিল তারা ঠিকই সত্যকে চিনে নিয়েছে, তারা মিথ্যে-বাতিলকে খুব সহজেই সত্য থেকে আলাদা করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। আর সেটা তারা পেরেছে বলেই এতদিন পরে এসে শাহবাগে গণজাগরণ ঘটে।
সাকা–মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়ে যায়, গাছের পাতাটিও নড়ে না। বরং তরুণ প্রজন্ম ফুসে ওঠে পাকিস্তানের বাচালতায়।
আজ সেই শক্তির বলে বলীয়ান হয়েই বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে ডেকে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বিষয়ে ‘কড়া প্রতিবাদ’ জানায়।
আজ আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু পাকিস্তান কেন, পৃথিবীর কোনও রাষ্ট্রের কাছ থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের, মানবতা বিরোধী বিচারের প্রশ্নে আমরা কোনও নেতিবাচক মন্তব্য গ্রহণ করব না।’ এই যে মানসিক শক্তি এর পেছনে আসল কারিগরটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তাকে নিত্য সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন এ দেশের তরুণ প্রজন্ম।
তরুণ প্রজন্মের এই দেশপ্রেম আর নির্মোহ বিবেচনা শক্তিই আমাদের আশান্বিত করে। আজ তাই আমরাও বলতে পারি, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। পিছিয়ে যাবে ষড়যন্ত্রকারীরা। পিছিয়ে পড়বে পাকিস্তান। পাকিস্তানকে এখন আন্তর্জাতিক নর্ম শেখানোর দায়িত্বটাও বাংলাদেশকেই নিতে হবে। আর সে সবক শুধু পাকিস্তান নয় বিশ্বের অন্যান্য পরাশক্তি ও তাদের বশংবদদের জন্যও বার্তা হয়ে থাকবে আমরা সেটাই চাই।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
বাংলার জামিনদার বলেছেন: অসাধারন। সুপার। ফাটাইয়ালাইছেন। সাবাস।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বাংলার জামিনদার অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
সাধারণ আমি আমার বলেছেন: ভালোই লিখেছেন।