নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচাৱী ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে জনৈক মাহাবুব ফেসবুকে প্রাইভেট কার চালক ড্রাইভারদের ঐক্য বদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন যতদূর মনে হল তিনি নিজেও একজন প্রাইভেট কার চালক।
তাদের দাবী হল প্রাইভেট কার ড্রাইভারদের বেতন সর্ব নিম্ন ১৫০০০/- টাকা করা এবং নিয়োগ পত্র প্রদান, ওভারটাইম দেয়া ও চাকুরীর নিরাপত্তা প্রদান।
তাদের দাবীর সাথে সম্পূর্ণ একমত পোষন করছি। সেই সাথে আমার প্রশ্ন তাদের উপরোক্ত দাবীর মধ্যে কি সামান্যতম বারাবাড়ী আছে? যদি না থাকে তাহলে এই দাবী আদায়ে তাদের রাস্তায় নামতে হল কেন? যারা পঁচিশ লক্ষ থেকে শুরু করে কোটি টাকা দামের গাড়ীতে চড়েন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক শোনা যায় অর্ধ ডজন বা তারও বেশী গাড়ী ব্যবহার করেন তাদের আর্থিক সংগতি সম্পর্কে যে কেউই ধারনা করতে পারেন। অথচ তাদেরই ড্রাইভাররা নূন্যতম মজুরীর জন্য রাস্তায় নামছেন। আর সে দাবী আবার ন্যায়সংগত এটা যে তাদের জন্য কতখানি লজ্জার সেটা কি তারা বুঝতে পারছেন?
একজন প্রাইভেট গাড়ি চালকের ডিউটি টাইম তার রাতে ঘুমানো ছাড়া বলতে গেলে বাকি পুরোটা সময়ই।
বলা যায় তার জীবনটা বাধাই থাকে গাড়ীটির সাথেই। মালিকের অফিস, মালকিনির শপিং, বাচ্চাদের স্কুল সবটাই যেমন গাড়ী চড়ে করতে হয় তেমনি ড্রাইভারের ঘারে চেপেই করতে হয়। যারা অফিস করেন নির্দিষ্ট সময় পরে ছুটি পান। যারা বাস ট্রাক চালান তারাও একদিন বাদে একদিন গাড়ী চালান। অথচ প্রাইভেট গাড়ীর ড্রাইভারদের কোন শুক্র-শনি নেই। বাড়তি ড্রাইভার রেওয়াজও এ দেশে নেই। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের ছুটি ছাঁটাও অত সহজে মেলে না।
অথচ সে এর বিনিময়ে সামান্য টাকাই মজুরী পায়। আজকের সময়ে আট থেকে দশ হাজার টাকা যে একটি পরিবার চালানোর জন্য একেবারেই অপ্রতুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গাড়ীর মালিক এই বিত্তবানেরা প্রতিমাসে যে টাকা অপচয় করেন তার একটি অংশও যদি তার গাড়ীর ড্রাইভারদের দিতেন তাহলেও তারা অনেকখানি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারতেন। অথচ এই ড্রাইভারদের হাতেই তার কোটি বা অর্ধ কোটি টাকা দামের গাড়ীটির নিরাপত্তা। এমনকি তার নিজের সহ, তার পরিবার-পরিজন-সন্তানদের নিরাপত্তার অনেকখানি নির্ভর করে একজন ভাল প্রশিক্ষিত; বিশেষত সুস্থ মানসিকতার ড্রাইভারের উপরে। আর এটা তো অনস্বীকার্য যে একজন মানুষের মানসিক সুস্থতার অনেকখানি নির্ভর করে একটি নিশ্চিত নিরাপদ আয়ের উৎসের উপর।
আশা করি সমাজের বিত্তবানেরা নিজেদের ভোগ বিলাসের পাশাপাশি এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর বেঁচে থাকার নুন্যতম চাহিদাটুকু পূরণে আর কার্পণ্য করবেন না।
[email protected]
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটা একটা কথা হল!
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
গোধুলী রঙ বলেছেন: হেহ, যারা বিত্তবান তারা এই সব ড্রাইভার সহ সমাজের তাদের চেয়ে কম আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষদের মানুষ গন্য করেন কিনা আমার সন্দ আছে। কথাটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তারাও মানুষ এটা মনে রাখা উচিৎ
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
সুমন কর বলেছেন: একদম খারাপ বলেনি...
৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩
কালীদাস বলেছেন: দাবিগুলো যুক্তিসংগত, তবে কিছু প্রাসংগিক টার্ম যোগ হওয়া দরকার। পেশাদার/অপেশাদার লাইসেন্সের ব্যাপারটা যোগ করা দরকার ছিল, অসংখ্য ড্রাইভার দেখেছি যাদের লাইসেন্সে সমস্যা আছে। আর হেভি ডিউটি যাদের করতে হয়, আমার যতদূর দেখা- ঢাকা শহরে বেতনে না পোষালে কেউ ড্রাইভিং-এর চাকরিতে ঢুকতেই চায় না।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
টায়ার-তেল বেচে আর চান্স পাইলে লোকাল ভাড়া মেরে প্রায় ২২-২৪,০০০ ইনকাম হবে, মন্দ কি?