নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
শিয়া-সুন্নীর মধ্যে আসল বিভেদটা কোথায় একজন মুসলমান হিসেবে অনুসন্ধিৎসু মণের খোঁড়াক জোগাতে বেশ কিছুদিন ঘাটাঘাটি করার পরে মনে হল শিয়া শম্প্রদায়ের অঘোষিত রাজধানি ইরানের ধর্মিয় চিন্তাবিদরা কি বলেন। সেটা জানাই সব থেকে বেশী জরুরী।
শিয়া-সুন্নির পার্থক্য কি এই প্রশ্নটি বিশ্বজুড়েই শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই। তবে বিশ্ব মুসলিমের বর্তমান যুদ্ধংদেহী অবস্থায় প্রশ্নটি আবার নতুন করে উত্থাপিত হয়েছে।
শিয়া-সুন্নির মতভেদকে পুজি করে মুসলমানদের উপর বার বার আঘাত এসেছে। দীর্ঘ কাল ধরে যুদ্ধও চলেছে। বেশ কিছুদিন এই দ্বন্দ স্থিমিত থাকলেও নতুন করে আবার তা উস্কে দেয়া হচ্ছে।
শিয়া-সুন্নি দ্বন্দটি উস্কে দেয়া হচ্ছে যাতে শিয়া-সুন্নির মাঝে একটি বড় ধরনের দাঙ্গা বাধানো যায়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে হলে, সঙ্গত কারনেই শিয়া-সুন্নির আদর্শগত পার্থক্যটি শিয়া-সুন্নি নির্বিশেষে সকল মুসলমানেরই জেনে রাখা উচিৎ। যা উভয় সম্পদ্রায়ের মধ্যে বিদ্বেস দূর করতেও সহায়তা করবে বলেই আমার ধারনা।
এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়েই রেডিও তেহরান থেকে দেয়া একটি প্রশ্ন উত্তর চোখে পড়ল। যা পড়ে শিয়াদের আদর্শ এবং মহানবী (সঃ) সম্পর্কে তাদের ধারনা সর্বপরী ইসলামের মূলনীতির সাথে তাদের আদর্শিক সাংঘর্ষ আছে কিনা তা সহজেই অনিমিত হয়। পাঠকদের সুবিদার্থে নিম্নে আলোচ্য প্রশ্ন ও উত্তরটি হুবুহু তুলে ধরা হল।
প্রশ্ন : শিয়া ও সুন্নী মাজহাবের মধ্যে মৌলিক পার্থক্যগুলো কি কি? এছাড়া উভয় মাজহাবের মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে মিল আছে তাও জানতে চাই।
উত্তর : শিয়া মাজহাব মুসলিম মাজহাবগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো মাজহাব নয়।
মুসলিম মাযহাবগুলোর মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে। যদিও সেগুলোর বেশিরভাগই কালাম শাস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং বেশিরভাগ সাধারণ মুসলমানই সেগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও বহু অভিন্ন বিষয় খুঁজে পাওয়া যায় যা এই মাযহাবগুলোর ঐক্যের বন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে। এসব অভিন্ন বিষয়ের সংখ্যা বিভেদ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর তুলনায় অনেক বেশি। দুঃখের বিষয় হলো মতানৈক্য সৃষ্টিকারীরা যৌথ বা অভিন্ন বিষয়গুলো যেন তুলে না ধরারই পণ করেছেন।
বিভিন্ন মাযহাবের ফিকাহগত বিষয় যেমন, বিয়ে, তালাক,হজ্ব, উত্তরাধিকার আইন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। শিয়া ফেকাহতেও উপরোক্ত বিষয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাতের অপর ৪ মাযহাবের সঙ্গে মিল রয়েছে। মাসলা-মাসায়েলের মত শাখাগত বিষয় এমনকি কোনো কোনো বিষয়ের ফরজ হওয়া বা ফরজ না হওয়া নিয়ে সুন্নিদের মাজহাবগুলোর মধ্যেই অনেক মতপার্থক্য দেখা যায়, শিয়া মাজহাবও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে অমিলের চেয়ে মিলের সংখ্যাই বেশি। যেমন,
শিয়া ও সুন্নি উভয় মাজহাবই এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহতে বিশ্বাসী। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে শেষ নবী ও রাসূল মনে করে। কোরআনকেও অবিকৃত মনে করে উভয় মাজহাবই। উভয় মাজহাবই বিশুদ্ধ হাদীসকে মান্য করতে বলে। উভয় মাজহাবই রোজা রাখা, নামাজ কায়েম করা, যাকাত দেয়া, হজ্ব পালন, অতীতের নবী-রাসূলদের স্বীকৃতি দেয়া, কিয়ামত বা পুনরুত্থাণে বিশ্বাস ইত্যাদিকে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অংশ মনে করে।
যাই হোক, শিয়া-সুন্নি পার্থক্যের কয়েকটি দিক হল:
শিয়াদের প্রধান ধারা বা ১২ ইমামি শিয়া মুসলমানরা মনে করেন রাসূল (সা.)'র পর কে মুসলমানদের নেতা বা খলিফা হবেন তা "তানসিসি" বিষয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহর নির্দেশে ও রাসূল (সা.)'র ব্যাখ্যার মাধ্যমে খলিফা বা ইমাম নির্বাচিত হবেন।
অন্যদিকে সুন্নি মুসলমানরা মনে করেন এই পদে কে বসবেন তা নির্বাচন বা বেছে নেয়াম মাধ্যমে নির্ধারণযোগ্য বিষয়। শিয়া মুসলমানরা মনে করেন রাসূল (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইত থেকেই মুসলমানদের রাসূল (সা.) পরবর্তী ইমাম বা নেতা কিংবা কোরআনের ভাষায় "উলিল আমর" মনোনীত হয়েছেন। আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.) ও তাঁর বংশে জন্ম নেয়া আরো ১১ জন ইমাম মুসলমানদের জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের মনোনীত নেতা। হযরত ইমাম মাহদী (আ.) এই ১২ জন ইমামের মধ্যে সর্বশেষ ইমাম। শিয়া মুসলমানরা এই ১২ ইমামকে নিষ্পাপ মনে করেন এবং তারা কখনও ভুলও করেন না। কোনো সুস্থ ও বিবেক-সম্পন্ন মানুষের পক্ষে বিষ-পান যেমন অসম্ভব বিষয়, তাঁদের জন্যও পাপ ও ভুল করা অসম্ভব বিষয়। পবিত্র কোরআনে সুরা আহজাবের ৩৩ নম্বর আয়াতে বিশ্বনবী (সা.)-এর আহলে বাইত সম্পর্কে বলা হয়েছে:
إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
এর অর্থ: হে নবীর আহলে বাইত। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।
সুন্নি মুসলমানরাও শিয়া মুসলমানদের সব ইমামকেই শ্রদ্ধা করেন এবং তাঁদেরকে উচ্চ মর্যাদা-সম্পন্ন মুসলমান বলে মনে করেন, তাঁরা সবাই আল্লাহর মনোনীত খলিফা বা ইমাম ছিলেন বলে সুন্নি ভাইরা মনে করেন না। সুন্নি মুসলমানরা হযরত আলী (আ.)-কে চতুর্থ খলিফা হিসেবে সম্মান করেন। শিয়াদের দৃষ্টিতে আহলে বাইতের সদস্য বলে বিবেচিত হযরত ফাতিমা (সা.)-কে সুন্নিরাও বেহেশতী নারীদের সর্দার মনে করেন। তাঁর দুই পুত্র হযরত ইমাম হাসান ও হোসাইন (আ.)কেও বেহেশতী যুবকদের সর্দার মনে করেন সুন্নি ভাইরা। শিয়া ভাইদের ১২ জন ইমামের সবার নামই পবিত্র মদীনার মসজিদুন্নবীর ছাদ-সংলগ্ন বিভিন্ন বিম বা পিলারে এখনও খচিত রয়েছে। সুন্নি ভাইরাও ইমাম মাহদী (আ.)-কে মুসলমানদের শেষ ইমাম মনে করেন।
তবে তাঁর জন্মকাল ও আবির্ভাব নিয়ে এ দুই মাজহাবের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
শিয়া ভাইরা মনে করেন আল্লাহ মুসলমানদের জন্য সব সময়ই নেতা বা ইমামের ব্যবস্থা করেছেন। এখনও ইমাম মাহদী (আ.) মুসলমানদের নেতা, তবে তিনি জন্মের কিছুকাল পর অদৃশ্য অবস্থায় রয়েছেন এবং শ্রেষ্ঠ ইসলামী আইনবিদ বা ওলীয়ে ফকিহ ইমাম মাহদী (আ.)'র প্রতিনিধি হিসেবে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার পিতা ইমাম হাসান আসকারী (আ.) ছিলেন মুসলমানদের ১১ তম ইমাম। উপযুক্ত সময়ে ও পরিবেশে ইমাম মাহদী (আ.) আবারও আবির্ভূত হবেন এবং হযরত ঈসা (আ.) হবেন তাঁর সহকারী বা সহযোগী। ইমাম মাহদী (আ.) সারা বিশ্বে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
সুন্নী মুসলমানরাও মনে করেন ইমাম মাহদী (আ.) সারা বিশ্বে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন এবং হযরত ঈসা (আ.) হবেন তাঁর সহকারী বা সহযোগী। তবে সুন্নি মুসলমানদের অনেকেই তাঁর জন্ম এখনও হয়নি বলে মনে করেন না।
সুন্নি মাজহাবের অন্যতম প্রধান ইমাম আবু হানিফা (র.) ও মালিকি মাজহাবের প্রধান মালিক ইবনে আনাস ছিলেন শিয়া মুসলমানদের ষষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আ.)'র ছাত্র।
শিয়া ভাইদের সম্পর্কে একটা মারাত্মক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেকের মধ্যে। এ ভুল ধারণাটি হল, শিয়ারা হযরত আলী (আ.)-কে মর্যাদার দিক থেকে রাসূল (সা.)'র সমতুল্য মনে করে। কিন্তু এ অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। শিয়া মুসলমানরা এবং তাঁদের ইমামরাই হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সব দিক থেকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মনে করেন।
উপরোক্ত স্পষ্ট জবাবের পরে নিশ্চয়ই সুন্নি মুসলমানদের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাববার অবকাশ রয়েছে। তাছাড়াও আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.)'র ভাষণ ও বক্তৃতামালার সংস্করণ 'নাহজুল বালাগ্বা' শিয়াদের জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রামাণ্য বই। আল্লাহ ও বিশ্বনবী (সা.)'র বাণীর পরই শিয়ারা এ বইকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। আবার সুন্নি মুসলমানের কাছেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রামাণ্য বই। এ বইয়ে স্বয়ং আলী (আ.) থেকে বার বার বলা হয়েছে যে রাসূল (সা.) ছিলেন সর্বশেষ নবী। তাই শিয়ারা রাসূল (সা.)-কে নবী ও রাসূল বলে মানেন না- এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইসলামের শত্রুদের পক্ষ থেকে প্রচারিত একটি অপবাদ।
শিয়া মুসলমানরা যে কোনো সমাবেশে কিংবা একা থাকলেও বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে মহানবী(সঃ)'র প্রতি দরুদ পাঠ করে সম্মান প্রদর্শন করেন ও এমনকি তাঁর আহলে বাইতকেও।
এ ছাড়াও শিয়া মুসলমানরা বিশ্বনবী (সা.)'র নবুওত প্রাপ্তির দিবসকে উৎসব হিসেবে পালন করে থাকেন।
মুলত শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কোনো কোনো বিষয়ে যে মতভেদ রয়েছে তা বড়জোর জ্ঞানগত। যে কারনে যুগে যুগে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক বা যুক্তি বিনিময় হতো। অথচ ইদানীং এই মতভেদকে চরম বিদ্বেষপূর্ন অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অলা যায় ইসলামের শত্রুরাই মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির জন্য শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সহিংস দাঙ্গা বাধানোর জন্য সুন্নি নামধারী একটি দলকে উস্কে দিয়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে।
ভারত বর্ষে মোঘল শাসকদের অনেকেই ছিলেন শিয়া মুসলমান। নবাব সিরাজউদদৌলাও ছিলেন শিয়া মুসলমান। দানবীর ও ভারত বর্ষে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের জন্য সবচেয়ে বেশি সম্পদ ওয়াকফকারী মহান ব্যক্তিত্ব হাজি মুহাম্মাদ মুহসিন ছিলেন একজন শিয়া মুসলমান। ভারতবর্ষ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে কি এক সময় শিয়া ও সুন্নি মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনসহ উপনিবেশবাদী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করেনি?
কাজেই এটা সহজেই বোঝা যায় যে মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ উস্কে দিয়ে তাদেরকে সহজে শোষণ করার জন্যই আজ দেশে দেশে শিয়া-সুন্নি বিভেদ উস্কে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আলকায়দা বা আইএসআইএল-কে কাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন করছে? কেন করছে? তারা ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে নাকি ইসলামের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বকে এক জোট করার চেষ্টা করছে?
বর্তমান সময়টা বিভেদ সৃষ্টির নয় বরং শিয়া ও সুন্নি আলেমগণকে আজ ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলাম বিরোধী শক্তিকে মোকাবেলার সময়।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী বলেছিলেন, যারা মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নির নামে অনৈক্য সৃষ্টি করে তারা শিয়াও নয়, সুন্নিও নয়, বরং সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল। হয়ত সেটাই ঠিক।
সূত্র: রেডিও তেহরান
(রেফারেন্স : 'শিয়ে পাসোখ মিদাহাদ'- সাইয়েদ রেজা হুসেইনী নাসাব)
bangla.irib
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০০
আমি বিপ্লবী বলেছেন: দেখুন:
view this link
view this link
view this link
view this link
view this link
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে সবই মহান সৃষ্টিকর্তার খেলা এছাড়া আর কিছুই না।
আমি ইচ্ছে করলে সকল মানব জাতিক একই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করতে পারতাম। কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছে বিভ্রান্ত করেন ও যাকে ইচ্ছ সৎপথে পরিচালিত করেন।
সুরা- নাহাল-আয়াত ৯৬
আল্লাহ্ যদি মানবজাতির এক দলকে আর-এক দল দিয়ে বাধা না দিতেন তা হলে বিধ্বস্ত হয়ে যেত মঠ ও গির্জা, ধ্বংস হয়ে যেত ভজনালয়, আর মসজিদ- যেখানে আল্লাহর নাম বেশি করে স্মরণ করা হয়।
সুরা- হজ- আয়াত ৪০
তোমরা কিতাবিদের সাথে তর্ক বিতর্ক করবে, কিন্তু সৌজন্যের সাথে, তবে ওদের মধ্যে যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের সাথে নয়। আর বলো, আমাদের উপর ও তোমাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা আমরা বিশ্বাস করি। আর আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য ও তো একই, আর তারই কাছে আমরা আত্নসমর্পণ করি।
সুরা- আনকাবুত-আয়াত ৪৬
আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বিভ্রান্ত করেন ও যাকে ইচ্ছে সৎ পথে পরিচালিত করেন।
সুরা-ইব্রাহিম-আয়াত ৪
আমি ইচ্ছে করলে প্রত্যেক জনপদে একজন করে সতর্ককারী পাঠাতে পারতাম।
সুরা - ফুরকান আয়াত-৫১
সরল পথের নির্দেশ দেয়া আল্লাহর দায়িত্ব কিন্তু পথের মধ্যে কিছু বাঁকা পথও রয়েছে। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের সকলকেই সৎ পথে পরিচালিত করতে পারতেন।
সুরা- নাহাল-আয়াত ৯
তোমাদের মধ্যে যে মতভেদ রয়েছে স্বয়ং আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার ফায়সালা করে দিবেন। কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ জুলুম করা হবে না। আল্লাহ তো সর্বোচ্চ তত্বজ্ঞানী।
সুরা- আয়াত- ঠিক এই মুহুর্তে মনে নেই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন:
এবং দ্বীনের ব্যাপারে স্পষ্ট হিদায়াত দান করেছিলাম। অতঃপর তাদের মধ্যে যে মতভেদ সৃষ্টি হয়েছিলো তা (অজ্ঞতার কারণে নয়, বরং) জ্ঞান আসার পরে হয়েছিলো এবং এ কারণে হয়েছিলো যে, তারা একে অপরের ওপর জুলুম করতে চাচ্ছিলো। ২২ তারা যেসব ব্যাপারে মতভেদ করে আসছিলো আল্লাহ কিয়ামতের দিন সেই সব ব্যাপারে ফায়সালা করবেন।
সূরা আল জাসিয়াহ, আয়াত ১৭
অনেক ধন্যবাদ মহা সমন্বয়। মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুণ।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
মুদ্দাকির বলেছেন: শিয়া-সুন্নি পার্থক্যের সাথে কাদিয়ানীদের এক করে ফেলা ঠিক হবে না। কাদিয়ানী রা স্পষ্টত ভ্রান্ত!!
সুন্দর লিখেছেন, পোষ্টটা স্টিকি হতে পারে
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: কাদিয়ানী রা স্পষ্টত ভ্রান্ত!!
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
আহলান বলেছেন: শিয়ারা কখনোই হযরত আবু বকর, হযরত ওমর, হযরত ওসমান (রাঃ) দেরকে খলিফা মনে করে সম্মান প্রদর্শন করে না। হযরত আলী (রাঃ) কেই তারা সর্ব্বোচ্চ মর্যাদা প্রদাণ করে থাকে। সুন্নিগন চার খলিফাকেই সমান মর্যাদা প্রদান করে থাকেন।
শিয়াগন হযরত আলী (রাঃ) কে একজন নবী পর্যায়ে সম্মান দেখানোর জন্য ওনার নামের শেষে আলাইহিওয়াসাল্লাম বলে থাকেন, যা কখনোই মানানসই হয় না।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হ্যা পার্থক্য তো আছেই তবে সেটা তাদেরকে অমুসলিম বলার মত নয়। আর শিয়াদের ভাষায়, "শিয়া ভাইদের সম্পর্কে একটা মারাত্মক ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেকের মধ্যে। এ ভুল ধারণাটি হল, শিয়ারা হযরত আলী (আ.)-কে মর্যাদার দিক থেকে রাসূল (সা.)'র সমতুল্য মনে করে। কিন্তু এ অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। শিয়া মুসলমানরা এবং তাঁদের ইমামরাই হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে সব দিক থেকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মনে করেন।"
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
ব্যতীপাত বলেছেন: এতই যদি মিল তো, উভয় ধর্মের আলাদা আলাদা মসজিদ কেন? কেনই বা শিয়ারা কলেমা'য় ---'ইয়া আলী খলীফাতুল্লাহ' -লাইনটি সংযু্ক্ত করেছেন? কেন তারা নামাজ পড়ার সময়ে কারবালার মাটি মাথার সামনে রেখে সিজদা করেন। কেনই বা তারা পাঁচবারের জায়গায় তিনবার নামাজ পড়েন--ইত্যাদি।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এই প্রশ্নগুলো আমাকেও তাড়া করছে। উত্তর মিলছে না। আপনার কাছে অনুরোধ থাকল সঠিক উত্তর পেলে জানাবেন।
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
ব্যতীপাত বলেছেন: এতই যদি মিল তো, উভয় ধর্মের আলাদা আলাদা মসজিদ কেন? কেনই বা শিয়ারা কলেমা'য় ---'ইয়া আলী খলীফাতুল্লাহ' -লাইনটি সংযু্ক্ত করেছেন? কেন তারা নামাজ পড়ার সময়ে কারবালার মাটি মাথার সামনে রেখে সিজদা করেন। কেনই বা তারা পাঁচবারের জায়গায় তিনবার নামাজ পড়েন--ইত্যাদি।
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
আহলান বলেছেন: যাদের কলেমাই অন্যরকম ,তাদেরকে মুসলমান বলা কি ঠিক ? কলেমা দিয়েই তো ইমান আকিদা মুসলমানিত্ব
৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪
প্রামানিক বলেছেন: শিয়া সুন্নী এবং তাদের ফেতনা সম্পর্কে কিছুটা জানা হলো। ধন্যবাদ
১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯
কল্লোল পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ শিয়া এবং সুন্নী সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
খোচা বাবা বলেছেন: ১০-১৫ বছর আগেও শিয়া, সুন্নি, কাদিয়ানি বিরোধ ছিল না। কতিপয় মানুষের স্বার্থের জন্য কৃতিমভাবে বিরোধ তৈরি করা হচ্ছে।