নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
আমাদের মায়েদের নিয়ে হয়েছে এক বিপদ। বিপদটা হল তাদের সকল সন্তানদের ক্লাসে প্রথম হতে হবে! সবাই যদি প্রথম স্থান অধিকার করে বসে তাহলে মেধা যাচাইটা হবে কিভাবে? এই সব মায়েদের যুক্তি হল অন্যরা পারলে তাঁর সন্তান কেন পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বুঝিনা ক্লাসে প্রথম হয়ে কি হবে? এই মুখস্ত বিদ্যা আর তা প্রয়োজন অনুযায়ী উগরে দেয়া এ দিয়ে লাভটাই বা কি?
সন্তান সত্যিই বিকশিত হতে পারছে কিনা। তাঁর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে তাকে সহায়তা করছি কিনা সে চিন্তাটা আমরা একবারও করছি না।
যা পড়ছে তা বুঝতে পারছে কিনা কিংবা তাঁর প্রয়োগ সে বাস্তব জীবনে করছে কি না সেটাও ভেবে দেখছি না। যদি সে, সবার সুখে হাসব মোরা কাঁদব সবার দুখে………… আবৃত্তি করতে করতে গৃহ কর্মিকে পেটায় তাতে লাভটা কি হবে শুনি? বাস্তবে তো এমনটাই হচ্ছে।
সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী অজস্র ছেলে মেয়ে দেখেছি যারা একটি লাইন নিজে থেকে লিখতে পারে না। একটি বিষয়ে প্রশ্ন করলে পাঠ্য বইয়ের তত্ত্বকথাটিও নিজের ভাষায় বলতে পর্যন্ত পারে না। কি হয় এই শিক্ষা দিয়ে?
কিছুদিন আগে সুইডেন প্রবাসী Aminul Islam নামে একজন অধ্যাপকের ফেসবুকে দেয়া একটি পোষ্ট পড়ছিলাম। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন এভাবে-
গত দুই দিন ধরে ছাত্রদের ইন্টার্ভিউ নিচ্ছি। আমার এখানে যারা ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলো, তাদের ইন্টার্ভিউ। বাংলাদেশ থেকে মোট ১১ জন আবেদন করেছিলো। আমার এক সহকর্মী এদের ইন্টার্ভিউ নিয়েছে। ………… আমি আমার সহকর্মী’কে জিজ্ঞেস করলাম
-কেমন করলো আমার বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা?
-কেউ কেউ ভালো, কেউ আবার একদম খারাপ।
আমরা মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের মোটিভেশন দেখছিলাম, তারা কেন এখানে পড়তে চায়; সেই সাথে ইংরেজি’র লেভে’টাও যাচাই করছিলাম। যা হোক, আমি আমার সহকর্মী’কে জিজ্ঞেস করলাম
-খারাপ বলতে কি বুঝাচ্ছ! মোটিভেশন ক্লিয়ার না, নাকি ইংরেজিতে সমস্যা?
-কয়েকজন তো আমার কোন প্রশ্ন’ই বুঝতে পারেনি। ইংরেজি’র লেভেল খুব’ই খারাপ।
যা হোক, শেষ পর্যন্ত ১১ জন বাংলাদেশির মাঝে ৬ জনকে এডমিশন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। বাকী ৫ জন চান্স পায়নি, কারন এদের ইংরেজি এতো’ই খারাপ, কোন ভাবেই এদের এডমিশন দেয়া সম্ভব না। সব চাইতে অবাক করা ব্যাপার হলো এই পাঁচ জনের সবাই এসএসসি এবং এইচএসসি’তে জিপিএ ৫ পেয়েছে এবং এখন বাংলাদেশের নামকরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়ছে বা পড়েছে। আর যেই ৬ জন’কে আমরা শেষ পর্যন্ত এডমিশন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এর মাঝে একজন ছাড়া কারো এসএসসি বা এইচএসসি’তে জিপিএ ৫ নেই। পাঁচ জন’ই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে বা পড়ছে আর একজন শুধু নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
আমি ঠিক জানি না, আমাদের পড়াশুনার মান আসলে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। অতি সাধারণ ইংরেজি, যেমনঃ তুমি এখানে কেন পড়তে আসতে চাইছ? তুমি এই দেশ সম্পর্কে কি কি জানো? এই পর্যন্ত তুমি কি পড়াশুনা করেছে? এই ইংরেজি প্রশ্ন গুলো তারা বুঝে না; উত্তরও দিতে পারে না। প্রশ্ন করা হয়েছে এক বিষয়ে; না বুঝে উত্তর দিচ্ছে আরেক বিষয়ে। তাও আবার সব’ও ভুল ইংরেজিতে! এর মাঝে একজন আবার বাংলাদেশে ইংরেজি পড়ায় স্কুলে! ভাবুন দেখি অবস্থা! ………………।
আমরা যারা দেশে আছি আমাদের অভিজ্ঞতা এর থেকেও খারাপ। নামকরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সর্বচ্চ ডিগ্রীধারী দুজন অফিস সহকারীকে দেখি বাংলা শুদ্ধ উচ্চারনটা পর্যন্ত লিখতে পারে না। কখনো কখনো বাংলা নামের ইংরেজী লিখতে গিয়ে এমন সব অদ্ভুত শব্দ বানিয়ে ফেলে যা লজ্জার কারন হয়ে দাঁড়ায়। শুনেছি আজকাল সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরিতে শ্রেনি শিক্ষকগন গাইড বইকে বাইবেল বানিয়েছেন!
সত্যি আমরা শিখছি না কেবল মুখস্ত করছি। পবিত্র কুরআন মুখস্থ করছি বেহেশতের ফ্রি টিকেট পাওয়ার আশায়। আর পাঠ্য বই মুখস্থ করছি ফ্রি চাকরী লাভের আশায়!
বেহেশতের মালিক কিংবা চাকরী দাতা উভয়ের কাছেই যখন নিরাশ হয়ে ফিরতে হবে। তখন নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙ্গুলটি তুলব? কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছি দাতার বিরুদ্ধে যখন একটি আঙ্গুল তুলব তখন বাকি চারটি আঙ্গুল আমার দিকে তাকিয়েই ভ্রুকুটি করবে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সত্যিই তাই। অনেক ধন্যবাদ @ কান্ডারি অথর্ব
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
উল্টা দূরবীন বলেছেন: আপনার লেখার সাথে পুরোপুরি সহমত।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে @ উল্টা দূরবীন
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: আমি একজন টিউটর হিসেবে আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি, মাঝে মাঝে অভিভাবকদের উপর খুব বিরক্তি আসে, কারণ উনার সন্তান ক্লাস টেষ্টে ১০ নাম্বার এর মধ্যে ৯ পেয়েছে, এই জন্য খুব হতাশ !!
আমি ব্রিটিশ কারিকুলামের ছাত্র ও পড়াই, আসলেই আমাদের এডুকেশন সিস্টেমটাই ভুল। এখানে বিদ্যা গিলানো ছাড়া আর কিছুই হয়না।
ধন্যবাদ আপনাকে এই বিষয়ে কলম ধরার জন্য।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমাদের এডুকেশন সিস্টেমটাই ভুল। এখানে বিদ্যা গিলানো ছাড়া আর কিছুই হয়না। এর থেকে বেড়িয়ে আশা জরুরী। অশেষ ধন্যবাদ দিল মোহাম্মদ মামুন
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮
এযুগেরকবি বলেছেন: আপনার লেখার সাথে পুরোপুরি সহমত।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এযুগেরকবি
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০১
মাসুম এইচ বিল্লাহ বলেছেন: আপনার কথার সাথে সহমত প্রকাশ করছি ।
আমি একটা টিউশনি করাই । এপর্যন্ত অনেকগুলো করিয়েছি । সবখানে দেখতাম মায়েরা এটাই চায় যে তার ছেলেটা বা মেয়েটা যেন ক্লাসের প্রথমই হয় । আর তাদেরকে কতশত লোভ যে তাদেরকে দেখানো হয় তার তো কোনো হিসাবই নেই । রোল এক করতে পারলে এটা দিবে সেটা দিবে এখানে নিয়ে যাবে সেখানে নিয়ে যাবে এরকম বহু হাবিজাবি । এরকম হলে ছাত্রছাত্রীরা কেন লোভে পড়বেনা !
ফলে তারা বই মুখস্ত করে নিচ্ছে । কারন তারা জানে পরীক্ষাই বই থেকেই আসবে । এখন সৃজনশীল হলেও গাইড বইয়ের বাহির থেকে প্রশ্নকর্তারা প্রশ্ন করে বসে ।
অনেকে তো ঠিকমত গুগলই সার্চ করতে জানেনা । না তো জানে একটা গিট্টু খুলতে জানেনা ।
এরা পাঠ্যবই মুখস্ত করে শুধু । তাও প্রথম হওয়ার জন্য, বিভিন্ন পুরষ্কার তো পাবে ।
যে কয়জন ঐখানে টিকে নাই তারা হয়তো মনে মনে বলছে, আগে জানলে প্রশ্নগুলোর উত্তর মুখস্ত করে নিতাম ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হ্যা তাই, সমস্যা আমাদেরই। সমাধানটাও খুজে বের করতে হবে আমাদের। অনেক ধন্যবাদ।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সহমত। সকলের সচেতন হওয়া উচিত। বোঝা উচিত পৃথিবীর বরেণ্য মানুষেরা যাদেরকে সবাই চেনে তারা কিন্তু প্রত্যেকে ক্লাসে ফাস্ট বয় ছিলেন না।
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩
বেচারা বলেছেন: আমি ভাই আপনার মতো একই কথা বলে বিপদে আছি। আমার চারপাশের লোকেরা পারলে আমাকে পাগল ঠাউরায়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সত্যিটা কেবল পাগলেই বলতে পারে। কারন কে কি বলল তাকে সে থোরাই কেয়ার করে। অনেক ধন্যবাদ বেচারা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমরা যেন কিছুতেই এই গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হতে পারছিনা। পিঙ্ক ফ্লয়েডের গানের মতই বলতে হয়,
We don't need no education
We don't need no thought control
No dark sarcasm in the classroom
Teachers leave them kids alone
Hey teacher leave them kids alone
All in all it's just another brick in the wall
All in all you're just another brick in the wall