নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্পোরেট কথা

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬


প্রত্যেকের নিজের অবস্থান সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকা উচিৎ। যদি সম্যক ধারনা থাকে তাহলেই কেবল সে নিজের কর্ম পরিকল্পনা সাজাতে সক্ষম হয়। নয়ত জগা খিরুচী হতে বাধ্য। এটা কর্পোরেট জগতের ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য।
অবস্থান অনুযায়ী এখানে কর্মপরিকল্পনা সাজাতে হয়। নিচে নামাও যাবে না আবার উপরে উঠাও যাবে না।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় একজন দোকানী তার কাষ্টমারের সাথে যেভাবে মিট করতে পারেন বা করেন তেমনটি একজন কর্পোরেট কর্ণধার পারেন না। যদি তিনি সেটা করতে যান তাহলে একদিকে যেমন ঐ ক্লায়েন্ট কর্পোরেট হাউজটিকে একটি সাধারণ আউট লেটের সাথে গুলিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে ঐ কর্পোরেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আর পরবর্তীতে সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন না।
আমার দেখা মহাখালী ডিওএইচএস এ অবস্থিত এমনই এক কর্পোরেট হাউজ আছে যেখানে ঐ কোম্পানির কর্ণধার সার্বক্ষনিক ভাবে একাউন্টস সেকশনে বসে থাকেন। সবথেকে আশ্চর্য জনক ব্যাপার হল একাউন্টস সেকশনে প্রায় পঁচিশ জন কর্মকর্তা কর্মচারী থাকা স্বত্বেও দশ টাকা হোক আর বিশ টাকা হোক প্রতিষ্ঠানের মালিক নিজ হাতে খরচ করেন। তিনি কাউকে বিশ্বাস করেন না।
প্রতিষ্ঠানটির মাসে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার গড় সেল থাকায় এখানে কর্মরতরা প্রতিনিয়ত গলদ ঘর্ম হন কেননা টাকাটা তিনি কোম্পানি একাউন্টসেও লেন দেন করেন না। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত একাউন্টে লেনদেন করে থাকেন।
এসব কারণে ঐ কোম্পানি কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে একমাত্র একাউন্টস সেকশনে কর্মরতরাই রাজা। আর সব বিভাগের সবাই ভৃত্য সদৃশ। এতে সবথেকে বড় যে ক্ষতিটা হয় তাহল এতে প্রতিষ্ঠানটি বনসাই হয়ে থাকে স্বাভাবিক গতিতে বাড়তে পারে না।
যার অনুরোধে এই লেখা তিনি বলেন আসলে তার কোম্পানির মালিক ছোট মনের মানুষ। আমি বলি না। বিষয়টা তেমন নয়। ছোট মনের মানুষ বড় ব্যবসা করতে পারেন না। ব্যবসার আকার যত বড় তার মনের আকার ততোধিক বড়। এটা হচ্ছে জেনে টিক সমস্যা। ব্যবসা রক্তে থাকতে হয়।
এখন প্রশ্ন হল এখান থেকে উত্তরনের উপায় কি? আবারও উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানকেই টেনে আনছি। রাজনীতিবিদ সেই ভদ্রলোক কিন্তু নিজেও বিষয়টি জানেন এমনকি মানেনও। সমাধানের পথটাও তিনিই বাতলে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি নিজেই একদিন আমায় বলেছিলেন,
-গালিব আমি বুঝি সমস্যাটা কোথায়। সমাধানটা আমার হাতে নেই।
-তাহলে কার হাতে সমাধান? ভাবির হাতে?
-আরে না ওকে তো তুমি দেখেছ ও অনেক নরম ও পারবে না। তাহলে?
-তোমার ভাতিজা।
-ও আচ্ছা, ওর তো এমবিএ শেষের পথে না?
-হ্যা শেষ সেমিষ্টার চলছে।
-হেসে বললাম ছেলেও যদি বাবার দোষে দুষ্ট হয়?
উত্তরে ভদ্রলোক হেসে বলেছিলেন। আমি একজন ভাল উপদেষ্টা খুজছি, হয়ত অচিরেই পেয়ে যাব। যার রক্তে ব্যবসা। দুজনে মিলে ঠিক পারবে। তুমি এসে দেখে যেও।
সব শুনে বললাম আপনার সাথে সাথে আমিও আশাবাদী। তবে সদুপদেশ যদি চান তাহলে বলব ছেলের উপদেষ্টা হিসেবে আত্মিয়তা পরিহার করুন আর তত্ত্বকথা মুখস্থ এমন কাউকে না নিয়ে বাস্তব জ্ঞান সমৃদ্ধ কাউকেই বিবেচনায় নিবেন।
তুমি তো আমায় চেন ভুল কিন্তু আমি খুব একটা করি না। বলেই নিজস্ব ভঙ্গীতে উচ্চ স্বরে হেসে উঠলেন।
ভদ্রলোকের সাথে আমার সেই কথপোকথনকেই হতাস কর্মকর্তাকে বললাম। উত্তরে সেও আমার মতই একই আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রতিক্ষায় থাকবেন জানিয়ে গেলেন।

[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.