নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
অনেকেই মনে করেন পারিবারিক অশান্তি রোধে স্বামী-স্ত্রীর যৌন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। অথচ যৌনতার আসল উৎসই হচ্ছে মস্তিষ্ক, সুস্থ মানসিকতা। আপনি যদি মানসিকভাবে সুস্থ না থাকেন আপনার পক্ষে স্বাভাবিক যৌনাচরন অসম্ভব।
সমস্যাটা হল আমরা প্রত্যেকেই ঘোরতর স্বার্থপরতার আবর্তে বন্দি হয়ে গেছি। এখান থেকে বেড়িয়ে আসাটা সবার আগে জরুরী। পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোধ, নিঃস্বার্থ ভালবাসা আর একে অপরের পছন্দকে গুরুত্ব দেয়া-সম্মান জানানো। এসবই হচ্ছে পারিবারিক সম্পর্কের মুল ভিত্তি। আর ভিত্তিকেই যৌনতা হয়ত আরও মজবুত করে তোলে।
কাজেই পারিবারিক অশান্তি রোধে স্বামী-স্ত্রীর যৌন সম্পর্ক খুব বেশী ভূমিকা রাখে না।
এক সময় পারিবারিক অশান্তি রোধে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যে সহযোগিতা করতে সক্ষম হত স্বার্থের দ্বন্দ্বে পরে যৌথ পারিবারিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলে সে সুযোগটি আমরাই নষ্ট করে ফেলেছি।
এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা কাঁচা থাকতেই বিষিয়ে উঠছে। কেউ কাউকে সম্মান করছে না সামান্যতম ছার দিচ্ছে না। ফলে দিন দিন পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটিই কার কারো কাছে নরক হয়ে উঠছে। মাঝে মাঝেই যে সব পারিবারিক সহিংসতার খবর আমরা পাই একটু তলিয়ে দেখলেই দেখতে পাব এ সব একদিন দুদিনে হয়নি । একটু একটু করে ধূমায়িত অসন্তোষ একদিন বিস্ফোরিত হয়ে উঠে।
পরিবারে পারস্পরিক বোঝাপড়া, ভালোলাগাটা খুব জরুরী। যদি এটা কিছুতেই অর্জিত না হয় তাহলে কষ্টসাধ্য হলেও জোর করে সম্পর্ক টিকিয়ে না রেখে আলাদা হয়ে যাওয়াই উত্তম। এতে ঐ পরিবারের শিশু সদস্যরা যেমন রক্ষা পাবে তেমনি পরিবারের অন্য সদস্যরাও দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া থেকে রেহাই পাবে।
আমি জানি আমাদের মত সমাজে আলাদা হয়ে যাওয়াটা যত কঠিন তার থেকে অনেক বেশী সহজ পারিবারিক কলহের মধ্যে থেকে জীবন্মৃত হয়ে বেঁচে থাকা। কিন্তু এর ফলে যে আশংকাজনক হারে পারিবারিক সহিংসতা ছড়িয়ে পরছে সেটাও বিবেচনায় নেয়া জরুরী।
©somewhere in net ltd.