নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগ। তার কান্নার সঙ্গে কাঁদছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সদস্যরা। এই কান্না নিছকই কোণ স্ত্রীকে হারানো স্বামীর কান্না নয়। যদি তাই হত তাহলে বড়জোর তার সহকর্মীদের চোখ ভিজে উঠত। সাধারণ মানুষ হয়ত কিছুটা ব্যথিত হত। এতটা ক্ষুব্ধ হত না।
অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হওয়ার পর আজ এমনই একটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হল যেখানে সরাসরি প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া হল। হত্যাকাণ্ডের স্বীকার মাহামুদা আক্তার এমনই এক মানুষের সহধর্মীনি যিনি নিজেই একদল হত্যাকারীর যম হয়ে উঠেছিলেন। সে সাফল্য গাথা তাকে পুলিশ সুপার’র পদমর্যাদা এনে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রামে গত দুই বছরে জঙ্গি দমন অভিযানে কৃতিত্বের জন্য বার বার প্রশংসিত হয়েছেন নিহতের স্বামী বাবুল আক্তার। তার তদন্তের জোরেই পুলিশ জেএমবির একটি আস্তানার খোঁজ পায়, গ্রেপ্তার করা হয় ওই জঙ্গি দলের সামরিক শাখার প্রধানকে।
বিডি নিউজ ২৪ ডট কম এর খবর অনুযায়ী নিহত মাহমুদা আক্তার চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডের যে বাসায় থাকতেন। সেখান থেকে অন্য কোথাও সরে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছিলেন। তার প্রতিবেশী এক নারীর বরাত দিয়ে ঐ খবরে বলা হয়েছে। গত কিছু দিনে বেশ কয়েকবার নানাভাবে হুমকি পাওয়ার কথা বলেছিলেন মিতু। স্বামী ঢাকায় থাকায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে উদ্বেগে ভুগছিলেন।
“উনি বেশ কয়েকবার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা বলেছেন। কয়েকদিন আগে একবার বলেছিলেন, ‘এই বাসা সবাই চিনে গেছে, বাসা বদলে ফেলতে হবে’।”
এতে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় খুনিরা কারা। প্রশ্ন হল এর আগেও যারা এভাবে নিহত হয়েছেন প্রশাসন কি তাদের ব্যাপারেও মোটামুটি নিশ্চিত হতে পেরেছিলেন না?
বিভিন্ন সময়ে দেয়া প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্যেও প্রমাণিত হয়েছিল যে, খুনিদের সম্বন্ধে তারা একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হয়েছিলেন। এমন কি সাধারণ মানুষের মাঝেও একই ধরনের ধারনা বদ্ধমূল হয়েছে। অথচ সব খুনিদের আইনের আওতায় আনা যায় নি। এমনকি সরকার এ পর্যন্ত জনমনে এমন কোণ ধারনা দিতে সক্ষম হন নি যাতে সাধারণ মানুষ এই ভেবে আশ্বস্ত হতে পারে যে, হত্যাকারীরা পার পাবে না। বোধ করি খুনিরাও এটাই ভাবছে যে আস্তিকতা-নাস্তিকতা, দেশীও জঙ্গি-আই এস এই সব তর্ক বিতর্কের ঘেরাটোপে আটকে থাকবে আসল খুনিদের সনাক্তকরণ কাজ। ফলে দিনে দিনে তারা হয়ে উঠেছে দুর্বিনীত।
মাহা মুদা আক্তারের খুনকে কেন্দ্র করে দেশ ব্যাপী ঝরছে চোখের জল। যেখানে সবাই আজ একাকার। প্রশাসন কিংবা সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ সকলেই। এখন প্রয়োজন চোখের এই জলে সর্বগ্রাসী আগুন জ্বলে ওঠা। এখন দেখার বিষয় কাঙ্ক্ষিত সে আগুন জ্বলে ওঠে কিনা।
সব কিছু থেকে লাভ খুঁজে নিতে নেই। সব অঘটনের দায়ভার শত্রুর ঘারে চাপিয়ে দিয়ে দুর্বৃত্তদের সুযোগ করে দেয়াটা না কোণ বুদ্ধিমানের কাজ। না কোণ দেশ প্রেমিক ভাল মানুষের পরিচয়। অথচ দুর্ভাগ্যজনক সত্য হল আমাদের দেশে এটাই নিদারুণ বাস্তবতা। আজ যদি আমরা বলি, যিনি যে কাজে উপযুক্ত তাকে সেখানেই রাখতে হয়। দায়িত্ববান মানুষ দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে নিজে থেকেই সরে যান। সেটাই ভব্যতা সেটাই উচিত কর্ম। মহান আল্লাহ্ সবাইকে এই বোধ টুকু দেন না এটাই পরিতাপের। কথাগুলি বলা খুব কি অন্যায় হবে?
তবুও শেষ ভরসা ঐ আগুন। হৃদয়ের চাপা আগুনে হৃদয়ই পুড়ে ছাই হয় যতক্ষণ তা থাকে একক। আর যখন অজস্র হৃদয়ের সাথে তা মিসে যায় তখন হয়ে ওঠে সর্বগ্রাসী। মাহামুদা আক্তারের এই মর্মান্তিক মৃত্যু যে চোখের জলের ধারা সৃষ্টি করেছে সে ধারাই জ্বালানী হোক অনাগত বহ্নিশিখার।
[email protected]
০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: জ্বলে উঠুক বহ্নি শিখা। পূড়ে ছাই হয়ে যাক সকল অপশক্তি।
২| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৬
বিজন রয় বলেছেন: কান্না ছাড়া আর কিইবা আছে।
আমেরিকা এলো বলে।
০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: জ্বলে উঠুক বহ্নি শিখা। পূড়ে ছাই হয়ে যাক সকল অপশক্তি।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৯
টুথব্রাস বলেছেন:
বন্ধ হতে যাচ্ছে ফেসবুক !
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রাইভেট নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার তিনবছর পর ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাপী ফেসবুক তাদের সার্ভিসটি উন্মক্ত করে।
একের পর এক নতুন ও আকর্ষণীয় ফিচার এনে ফেসবুক কর্পোরেশন ইতিমধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জগতের ধারাই বদলে দিয়েছে।
সম্প্রতি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, ২০৭৩ সালে তারা ফেসবুক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়ে গোয়াবুক নামে নতুন একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট চালু করবেন। ফেসবুকের কোনো ডাটাই সেখানে থাকবেনা। নতুন করে সবকিছূ শুরু করা হবে। এখবরটি শুনে বিশ্বব্যাপী তুমুল হইচই শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের নানাপ্রান্তের ফেসবুক ইউজাররা ইতিমধ্যেই জুকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান কে নিয়ে গালাগালি শুরু করে দিয়েছে।
প্রিসিলা খুব শীঘ্রই আইডি ডিএকটিভেট করে দিবে বলেও জানিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। ঘটনাটিতে তিনি খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। – প্রথম আলু ডেস্ক
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা- বানী প্রদানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।