নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাত্রী সেবা না সন্ত্রাস?

২৭ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৭



ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে মতিঝিল বিআরটিসি এসি গাড়ীর ভাড়া ৪৫/- টাকা অথচ এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর (দাড়িয়ে যাওয়া নির্দেশিত) রেলের ভাড়া ৪৫/- টাকা! এটা স্রেফ একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এমন ভাড়া নির্ধারণের কি যুক্তি আছে?
কোণ যুক্তি নেই বরং তারা ঠোট উলটে বলতেই পারেন এত ভাড়া দিয়ে ট্রেনে না চরলেই হয়। যতই অশোভন হোক মুখে না বললেও প্রকারান্তরে তারা সেটাই বলেন। তারপরেও আমরা ট্রেনে চড়ি। চড়তে বাধ্য হই। কাড়ন একটাই সময় বাঁচানো।
যেখানে প্রতিটি লোকাল বাসে এ পথের ভাড়া নির্ধারিত ২৫ টাকা সেখানে মানুষ ৪৫ টাকা দিয়ে অমানুষিক কষ্ট স্বীকার করে হলেও ট্রেনে উঠে পরে। এমনও দেখা যায় যে ট্রেনে ওয়াসরুমের মধ্যেও চারজন দাঁড়িয়ে আছে।
অথচ এরা প্রত্যেকে ৪৫টাকা দিয়ে এক একটি টিকেট কিনেছিল তাও দাঁড়িয়ে যাওয়ার শর্তে। কিন্তু সেই দাড়িয়ে যাওয়া নিশ্চয়ই এভাবে নয়?
এর প্রধান কাড়ন হল ট্রেনের বগি স্বল্পতা। যেখানে এক একটি ইঞ্জিন ১৬টি বগি নিয়ে চলতে পারে সেখানে ট্রেন চলছে ৪/৫টি বগি নিয়ে। কেন এই বগি স্বল্পতা সে প্রশ্নের উত্তর একটাই বগি আসছে।
হ্যাঁ বগি তো আসছেই সেগুলো ইঞ্জিনে জুড়ে দেয়া হবে তো?

আমি এয়ারপোর্ট থেকে নারায়ণগঞ্জ এর চাষাড়া গেলাম মাত্র দের ঘণ্টায়। এর মধ্যে কমলাপুরে নেমে একবার ট্রেন পালটানো ছাড়াও ট্রেনের শিডিউল এর বিষয় ছিল। এত অল্প সময়ে ঢাকা থেকে চাষারা! এটা কি ট্রেন ছাড়া ভাবা যায়?
শুধুমাত্র এই একটি কারণেই রেল কর্তৃপক্ষের যথেচ্ছাচার স্বত্বেও মানুষ ট্রেনে চেপে বসে। তারপরেও যখন সরকার ট্রেনের উন্নয়নের টানা গীত গায় তখন হয় নিজের নয়ত সরকারের নীতিনির্ধারকদের মস্তিষ্কের সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ জাগে।
ঢাক ঢোল পিটিয়ে সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন কোণ যুক্তিতে সিট ভাড়া সয় শত টাকা করলেন? যেখানে ঢাকা থেকে চিটাগাং এর নন এসি ৪৫০/- আর এসি গাড়ীর ভাড়াই ৭৫০/-(শ্যামলী) । আপনারা কাদের স্বার্থ দেখলেন ট্রেনের-যাত্রীর না কি অন্য কারো?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বনানী থেকে উত্তরায় আসতে হলে ধানমন্ডি, মিরপুর বা গুলিস্তান থেকে আসা গাড়িতে উঠতে হয়। স্বাভাবিক ভাবে সে সব গাড়িতে সিট থাকে না। উপায় একটাই আর তা হল ভিআইপি ২৭ রুটের নতুন সিটিং গাড়ী। যেহেতু সিটিং স্বাভাবিকভাবেই তারা ভাড়াটি বেশি নিবেন কিন্তু সেটা কত বেশি? টিকিট নিতে গিয়ে তো অবাক হবার পালা লোকাল গাড়ীর ভাড়া যেখানে ১০/- টাকা সেখানে তারা ৫০/-টাকা ভাড়া দাবী করে বসে আছে! যদিও বলছে এই টিকিটে শিববাড়ী পর্যন্ত যাওয়া যাবে। আমি তো সে পর্যন্ত যাব না তাহলে এত ভাড়া কেন দেব? উত্তরটা সোজা না যেতে চাইলে না যাবেন গেলে এই ভাড়াই দিতে হবে। তা আপনি যেখানেই নামুন।
অগত্যা কি আর করা ৫০/- টাকার টিকিট কেটেই উঠতে হল। গাড়িতে উঠে তো আমি থ' সব আসনেই তো যাত্রী বসে আসে। আমার আসন কোথায়?
চালকের সহকারী দেখিয়ে দিল, চালকের সিট লাগোয়া ছোট্ট একটি সিট আছে যেখানে বসতে হবে সামনে ঝুঁকে আর পা রাখতে হবে অন্য যাত্রীর দু পায়ের ফাকে।
কিচ্ছু বললাম না মনে পড়ল রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কথা।
যে দেশে রাষ্ট্র এমন অর্থ নৈতিক সন্ত্রাস চালাতে পারে কোণ প্রতিবাদ ছারাই সে দেশে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করাটাই তো পাপ।

তবে সবথেকে বেশি দুঃখ পাই যখন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ভাড়া বাড়ানোর বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন। দুঃখ পাই এই ভেবে যে তারা সাধারণ মানুষকে কি ভাবেন মানুষ তো নাকি তেলাপোকা। চাইলেই যাদের পিষে মারা যায়। খাবার দেয়ার ছলে বিষ প্রয়োগ করা যায় প্রতিবাদ হীন তবু নিত্য এরা বংশ বিস্তার করেই চলে। বোধ বুদ্ধি হীন নিরুপায় এই তেলাপোকার জীবন আর কত?

[email protected]

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

আহলান বলেছেন: চট্টগাম রুটে ট্রেনের টিকেটের চাহিদা অনেক। তছাড়া চট্টগাম ব্যবসায়ীদের শহর ...সওদাগরদের শহর ...তাই মনে হয় এই সোনার বাংলার দাম একটু বেশী ধরছে সরকার?

২| ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

ইমরান জাহান বলেছেন: আমি যতদুর জানি আন্ত-নগর ট্রেনের সর্ব নিম্ন ভাড়া ৪৫ টাকা.....জয়দেব পুর থেকেও ভাড়া ৪৫ টাকা। লোকাল এর ভাড়া অনেক কম।

২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেন এবং ঢাকাগামী প্রতিটি ট্রেন এয়ারপোর্ট ষ্টেশনে থামবে। সে ক্ষেত্রে সর্বনিন্ম ভারাটা তো এই পথের হবে জয়দেবপুর কেন?

২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: টিকিটের গায়ে কিন্তু জয়দেবপুর নয় বিমানবন্দরই লেখা

৩| ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ওটা কি লোকাল না আন্তঃনগর ট্রেন ছিল? ইমরান জাহানের কথার সূত্র ধরে বলছি...

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

বিজন রয় বলেছেন: যথারীতি আমাদের আসল রূপ।

৫| ২৭ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই হলো আমাদের সমস্যা। ফিক্সড সিটিং সার্ভিস চালু করলে শুরু হয় ভাড়া নিয়ে তর্ক। বিমানবন্দর থেকে কয়জন মানুষ টিকেট কেটে কমলাপুর যায় সেটাও গবেষণার বিষয়! ছোট দেশ, মানুষ অনেক, সমস্যা অনেক। রাতারাতি বিপ্লব সম্ভব নয়।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সার্ভিস এর সাথে ভাড়া সামঞ্জস্যপূর্ন হতে হবে এ তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
একজন মানুষও টিকিট না কেটে ট্রেনে উঠবে না রেল কর্তপক্ষ ঘোষনা দিক টিকিট ছাড়া প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিটের দশ গুন ভাড়া পরিশোধ করতে হবে আর তার ৯০ শতাংশ পাবে টিটি। বাকি দশ ভাগ যোগ হবে রেলের কোষাগারে। দেখবেন টিটিরা কিভাবে চেক করা শুরু করে। আর কোণ যাত্রীও ভুলেও দ্বিতীয়বার টিকিট ছাড়া রেল ভ্রমন করবে না।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া ৪৫ টাকা। আর লোকাল ট্রেনের ভাড়া ৫ বা ১০ টাকা। ক্ষেত্র বিশেষে তো টিকেটই লাগে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.