নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
কৃষিজাত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য দিন। কৃষক বাঁচান দেশ বাঁচবে। যে সরকার কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে ব্যর্থ তাদের তুলনা চলে একমাত্র নীলকরদের সাথে। আমরা এ দেশে তেমন শাসক চাই না।
আমাদের সরকার বাহাদুর অনেক কিছুই করেন কৃষকের জন্য কি করেন। ঋন দান, সামান্য কিছু ভর্তুকির বিপরীতে ধান চালের যে দর বেধে দেন তাতে তাদের সারা বছরের উৎপাদন খরচই ওঠেনা শ্রমের মূল্য তো দূরের কথা।
আমরা যে চাল কিনি ৫০ টাকায় কৃষক তার মূল্য পান অর্ধেকটা মাঝখানে সবটাই খেয়ে নেয় মধ্যসত্বভোগী আর দালালরা। কৃষক কি পায়?
সরকার তার কর্মচারীদের উত্তরোত্তর বেতন বৃদ্ধি করছে। করুক সমস্যা নেই। ব্যবসায়ীরা পন্যমূল্য বৃদ্ধি করে লাভ নিশ্চিত করছে, করুক।কিন্তু কৃষক তো আর তা পারছে না।
কৃষককে তাকিয়ে থাকতে হয় সরকার কত টাকা মূল্য নির্ধারন করে দিচ্ছে তার উপর। সরকার লক্ষ রাখে চালের মূল্যবৃদ্ধিতে আবার গন অসন্তোষ যাতে না দেখা দেয়। উভয় চাপে পড়ে কৃষক চিড়ে চ্যাপ্টা।
সরকারকে যখন গন অসন্তোষ মাথায় রেখেই নিতি নির্ধারন করতে হচ্ছে তখন তারা কৃষকের জন্য ফ্রি চিকিৎসা কার্ড, ফ্রি যাতায়াত সুবিধা, তাদের সন্তানদের জন্য ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করছেন না কেন? কৃষক জাঁতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান কারন তারাই অন্নের যোগান দাত। কৃষককে মাথায় করে রাখুন। তাতে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়বে না বরং দেশের অগ্রগতি আরো গতিশীল হবে।
এ জীবনে যত তর্ক করেছি তার অধিকাংশই চালের দাম এত বাড়ল কেন এই নিয়ে। যারা এই কুতর্কটা জুড়ে দেন তাদের অধিকাংশ তোমাদের ভাষায় শিক্ষিত যদিও ওদেরকে আমি মূর্খ শয়তান বলেই ডাকি।
তাদের কাছে যখন জানতে চাই গত দশ বছরে তোমার বাসা ভাড়া কতগুণ বেড়েছে?
তোমার বিদ্যুৎ বিল, যাতায়াত খরচ, পড়ালেখা-চিকিৎসা ব্যয় কতগুণ বেড়েছে। তখন সে সঠিক হিসাবটাই দেয় এমনকি এর পেছনে যৌক্তিক ব্যাখ্যাও তার কাছে থাকে। গাধার বাচ্চাদের কাছে কেবল কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকে না। না পারতে শেষে বলে সরকার ক্ষমতায় আসার আগে তো বলেছিল দশ টাকা সের দর চাল খাওয়াবে।
কবে কোথায় বলেছিল এ প্রশ্নের উত্তর আবার তাদের কাছে নেই। তখন বলি, কোন রাজনৈতিক দল যদি এটা বলেও থাকে তাহলে তো তাদের ভোট দেয়াই উচিৎ নয়। কারণ কৃষকের মুখের ভাত কেড়ে নিয়ে যে সরকার অন্য সবাইকে খাওয়াতে চায় সে সরকার তো দেশের শত্রু জাঁতীর শত্রু। যে কৃষক কোটি কোটি মানুষের অন্নের যোগান দেবে তাকে রাখতে হবে সবথেকে সবল। তাকে থাকতে হবে সব থেকে স্বচ্ছন্দ। আর যদি কৃষক থাকে ভুখা, নাঙ্গা তাহলে নিশ্চিত যেন তোমাদেরকেও থাকতে হবে অভুক্ত।
নীলকরদের সাথে সে সরকারের পার্থক্য কোথায়?
[email protected]
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাঁতীর জাঁতীর জাঁতীর জাঁতীর জাঁতীর জাঁতীর জাঁতীর ?