নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
আপনি আমি প্রায়শই দান করি ২-৫-১০ করে প্রতিদিন ১০-২০-৩০ বা তারও বেশি। প্রতিদিনের এই দানের অঙ্কটা মাস শেষে ৫০০-১০০০ থেকে আরও বেশি হতে পারে। টাকাটা কোন একজন পেলে তাকে আর ভিক্ষা করে খেতে হত না।
এ তো গেল একটি দিক আরেক দিক দিয়ে ভাবুন যাদের ভিক্ষা দিচ্ছেন তাঁরা কিন্তু পেশাদার। এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই এই ভিক্ষার টাকাটা উত্তোলনকারীও নয় পেয়ে যায় একটি সিন্ডিকেট যারা ভিক্ষা করায়। এদের মধ্যে অক্ষমের সংখ্যাও নিতান্তই নগণ্য। অর্থাৎ আপনার দানের অর্থ কিন্তু প্রকৃত ভিক্ষুক বা অসহায় পাচ্ছে না।
এখন প্রশ্ন হল প্রকৃত অসহায় কারা বা আপনার দানের অর্থ আসলে কার পাওয়া উচিৎ। আপনার বাসার দারোয়ান যার কর্ম ঘণ্টা ২৪ ঘণ্টা তাঁর বেতন ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার। রাতের বেলা যে সব নাইট গার্ড আপনাকে স্বস্তিতে ঘুমাতে সাহায্য করছে তাঁর মাসিক বেতনও ৬হাজার থেকে ১০ হাজারের মধ্যে।
আপনার কি মনে হয় এই লোকগুলো তাদের পরিবার নিয়ে এই বাজারে দুই বেলা খেয়ে পরে বাঁচতে পারছে? তাদের সন্তানদের পড়ালেখা করাতে পারছে?
অথচ তাঁর বেতনের সাথে যদি আমার আপনার দানের টাকা যোগ করে দেই তাহলে দেখব একটি বাড়ীতে যদি দশটি পরিবার থাকে তাহলে তাদের মুল বেতনের সাথে প্রতি মাসে আরও পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা যোগ হয়ে যাচ্ছে। ভাবুন তো তাঁরা কতটা ভাল থাকতে পারতেন।
আমি প্রতি সপ্তাহে জুমাবারে ইমাম সাহেবের একটি ঘোষণা শুনতে পাই যেখানে তিনি বলেন গত সপ্তাহে কত টাকা দান বাক্সে জমা হয়েছে। অংকটি ৩৫০০০ থেকে ৪৫০০০ একটি বার কি ভেবে দেখেছেন মহান আল্লাহ দান করতে বলেছেন কাকে। আর সে দানের উদ্দেশ্যই বা কি?
আমি এমনও দেখেছি রিকশাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে দেয়ার সময় ৫ টাকা বেশি দাবী করায় বেচারাকে যা নয় তাই বলে গাল মন্দ করে বিদায় দিয়ে ঐ যাত্রীই ১০ টাকা এক ভিখিরির হাতে গুজে দিল। অথচ ঐ ভিখারি ছিল যথেষ্ট শক্ত সামর্থ্য। বলুন তো ঐ দানের টাকাটার আসল দাবীদার কে ছিল?
আমাদের ইবাদত হয়ে গেছে লৌকিকতা সর্বস্ব অবশ্য আদৌ যদি সে ইবাদত স্রষ্টার নির্দেশ পালনার্থে হয়ে থাকে। প্রশ্ন হল এই ইবাদত কি মহান স্রষ্টার কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে?
আর যদি এই দান জনস্বার্থেও হয়ে থাকে তাহলেও তা তো প্রকৃত অসহায়কেই করা উচিৎ। তাই নয় কি?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি যে যাত্রীর উদাহরণ দিয়েছি সম্ভবত সেই যাত্রীটি আপনিই ছিলেন।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১১
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি এমনই ছিল কিন্তু পরে বুঝলাম তাদের হাত পাতার পেছনে আমরা নিজেরাই অনেকাংশে দায়ী . আমাদের বিত্তবানদের কিছু অংশ যদি দারিদ্রদূরীকরণে হাত বাড়াতো তবে এমন অবস্থা দেখতে হতো না। তাছাড়া , অত বাছবিচার করে ভিক্ষা না দিয়ে , মনের নিয়ত ঠিক রেখে সবাইকে সাহায্য করাটাই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মহান আল্লাহ কিন্তু জ্ঞান অন্ধকে পছন্দ করেন না। প্রাপ্য কে সেটা তিনি নিজেই বলে দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ অগ্নিঝরা আগন্তুক আপনাকে।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
আশ্রাফ বাংলা বলেছেন: যখন মেঝেতে টাইলস উঠিয়ে মার্বেল পাথরে মুড়ে দেবার জন্য মসজিদে দান বাক্স বসানো হয়, তখন মানুষ সেটাকেই জান্নাতে জমি কেনার একটা উপায় ঠাউরায়। অথচ হাদিসে আছে, একটা তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করানোয় আল্লাহ তায়ালা একজন প্রস্টিটিউটকে মাফ করে দিয়েছিলেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সমস্যা হল যাদের সঠিক পথ বাতলে দেয়ার কথা তারাই করছে দুর্বিত্তায়ন সমাধানটা হবে কি করে?
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৯
আহলান বলেছেন: এটা আসলেই একটি ভাববার বিষয়। ইদানিং যখনই কেউ ভিক্ষা চায়, খুব বিরক্ত লাগে। মনের ভিতরে একটি কথাই উদয় হয়- এতো ব্যবসায়ী। প্রকৃত ভিক্ষুক নয়। কিন্তু পরেই আবার ভাবি অসহায়কে সহায় দেয়ার মতো তো কিছুই আমি করছি না, ২ - ৫ টাকা দান করবো, (সেটা ব্যবসায়ী বা অব্যবসায়ী যেরকম ভিক্ষুকই হোক) তাও করতে পারবো না! তাহলে করবো টাকি আমি? আর মসজিদে দানের বিষয়টি এখন বিশাল একটি বিজনেস। যে সকল মসজিদের দান ছাড়া আর কোন আয় নাই, তারাও মুসল্লিদেরকে ভুলিয়ে ভালিয়ে এসি, টাইলস লাগানোর জন্য চরম প্রেসার দেয়। আর আমরা বহু মুসল্লিই আছি, এসি ছাড়া মসজিদে যাই না। যে মসজিদে এসি লাগাো আছে, সেই মসজিদে ২ ঘন্টা আগে গিয়ে এসির নিচে বসে জায়গা দখল করি। সুতরাং সমজিদে আগে ভাগে গেলে যে সোয়াব, তা আমাদের বরাতে আর জোটে না। এসির ঠান্ডা বাতাস খাওয়ার নিয়্যেতে আগে ভাগে মসজিদে গিয়ে ঐ ঠান্ডা বাতাসই জোটে। সোয়াব না ... কারণ বোখারী শরীফের প্রথম হাদিসই হলো কর্ম ফল হবে নিয়্যেত অনুযায়ী। (ইন্নামাল আমালু বিন্যিয়েত)
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আহলান আমি আপনার সাথে শতভাগ একমত। কখনো কখনো নামাজ পড়া অবস্থায় বিদ্যুৎ চলে গেলে ভাবি। এই গরম এই ঘামের দোহাই দিয়ে তোঁ মহান আল্লাহকে বলতে পারব কষ্ট সয়েও নামাজ আদায় করেছি। সেদিনের সেই ঘামের বদলে আজ তুমি আমায় দোজখের আগুন থেকে মুক্তি দাও। সত্যিই এটা একটা আফসোস আমাদের কাছে বলার কিছুই থাকবে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। মসজিদের দান তো মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য বিলাসের জন্য নয়।
যেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ আছে সেখানেও কেন অপচয় করা হবে?
যে টাকা আয় হয় সে টাকা দিয়ে অনায়াসে ছোট ছোট এতিম খানা চালানো যায় তা তো করা হচ্ছে না। বরং নামাযের সময় ছাড়া ওযুখানা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আমাদের ইবাদত হয়ে গেছে লৌকিকতা সর্বস্ব অবশ্য আদৌ যদি সে ইবাদত স্রষ্টার নির্দেশ পালনার্থে হয়ে থাকে। প্রশ্ন হল এই ইবাদত কি মহান স্রষ্টার কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে? "
-আপনার আবোল তাবোল কথা শুনে স্রষ্টা নিজেও হতভম্ব হয়ে যেতে পারেন। ছবি যাদের দেখছি, এরা নিশ্চয় খালেদা জিয়া ও রওশন এরশাদ নন।