নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাওয়াতী কার্যক্রম চালাতে গৃহছাড়া হতে হবে কেন?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০


আচ্ছা ধরুন আপনাদের ডাকে সারা দিয়ে সকল মুসলমান ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন দাওয়াতে। তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার কি হবে? তাদের খাওয়ার খরচ কে জোগাবে? তাদের চিকিৎসার ভার কে নেবে?
ইসলাম কি সন্ন্যাস ব্রত সমর্থন করে? নাকি ইসলাম বলে ইবাদতের জন্য মসজিদে গমন কর ইবাদত শেষে কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পর?
ইসলাম কি ভিক্ষাবৃত্তি সমর্থন করে নাকি হালাল কাজকেও ইবাদতের মর্যাদা দেয়?
আপনারা মহানবী(সঃ) এর হিজরতকে উদাহরণ হিসেবে টেনে আনছেন। মহানবী(সঃ) কি স্বেচ্ছায় হিজরত করেছিলেন নাকি মক্কা বাসি বাধ্য করেছিল বলেই মহান আল্লাহর ইচ্ছায় হিজরত করেছিলেন?
মহানবী(সঃ) প্রথম ইসলামের দাওয়াত কাকে দিয়েছিলেন? তাঁর স্ত্রী, ভাই, চাচাদের নাকি ঘর ছেড়ে বাইরে গিয়ে?
প্রথম মুসলমান কে হয়েছিলেন উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদীজা বিনতে খুওয়ালিদ (রাঃ)। তাই তো?
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)। অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের প্রথম ছিলেন হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এবং দাসদের মধ্যে প্রথম ছিলেন যায়িদ ইবনে হারিসা (রাঃ)।
.
হযরত আবু বকর (রাঃ) এর হাত ধরেই কয়জন মহৎপ্রাণ মানুষ প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন, তাঁদের অন্যতম ছিলেন হযরত আল-আরকাম ইবনে আবুল আরকাম (রাঃ)।চূড়ান্ত গোপনীয়তার মধ্যে দিয়ে মুষ্টিমেয় কিছু মুসলমানদের নিয়ে রসুলুল্লাহ (সাঃ) ইসলামের শিক্ষা দেয়া শুরু করলেন।

ইসলামের প্রথম দিকের ইতিহাসে ঘুরে-ফিরে বারবার হযরত আরকাম (রাঃ) এর বাড়ির নাম এসেছে। 'দারুল আরকাম' বা 'আরকাম এর বাড়ি' নামে পরিচিত ছিল সেই ঘর। সাফা পাহাড়ের পূর্ব পাদদেশে অবস্থিত এই ঘরেই রসুলুল্লাহ (সাঃ) মুসলিমদেরকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দিতে শুরু করলেন। প্রকৃতপক্ষে এই দারুল আরকাম-ই মুসলিমদের প্রথম শিক্ষালয়।

অনেক সম্মানিত সাহাবীরা এই দারুল আরকামে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। হযরত আবু বকর (রাঃ) এর মা উম্মে খাইর (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেছেন এখানে। যেই সাহাবীর ইসলাম গ্রহণ প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারকে অনেক তরান্বিত করেছিল, সেই হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ও এই দারুল আকামে ইসলাম গ্রহণ করেন।

হযরত উমর (রাঃ) এর ইসলাম গ্রহণের পরদিনের (কিছু বর্ণনায় দ্বিতীয় দিন) কথা। হযরত হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) কে এক সারির প্রথমে এবং হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) কে আরেকটি সারির প্রথমে নিয়ে মধ্যখানে রসুলুল্লাহ (সাঃ) দাঁড়ালেন। বাকি সাহাবীদের দুই সারিতে ভাগ করে ইতিহাসের প্রথমবার প্রকাশ্যে বের হলেন মুসলিমদের ২৫ থেকে ৩০ জনের ছোট একটি দল। সবার মুখে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ। দলের গন্তব্য বায়তুল্লাহ কা'বা।
ইসলামের ইতিহাসের এই প্রথম অধ্যায়টি টেনে আনার উদ্দেশ্য হল মহানবী(সঃ) এর ইসলাম প্রচারের দর্শনটি সামনে নিয়ে আসা।

আপনারা উদাহরণ হিসেবে টেনে আনেন সাহাবীদের, তাবে তাবেঈনদের ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে গমনের কথা। তাঁরা তো ইসলামের আলো পৌঁছে দিতে গিয়েছেলেন কারন সেখানে তখনো ইসলামের আলো পৌঁছেনি। এখন তো ইসলাম নেই এমন কোন দেশই নেই। আপনারা কেন স্থানীয়দের দিয়ে নিজ নিজ এলাকার মুসলমানদের ইসলামী অনুশাষন মেনে চলার জন্য দাওয়াতী কার্যক্রম চালাচ্ছেন না। কেন সে জন্যে ভিন্ন এলাকার মানুষের টেনে আনতে হবে?
মহান আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর নির্দেশাবলী জানতে, মহা পবিত্র কুরআন শিখতে - বুঝতে। মহানবী (সঃ) এর সুন্নাহ জানতে এবং সে অনুযায়ী জীবন যাপন করতে।
একই সাথে উম্মতে মোহাম্মদীর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ইসলামী জ্ঞান অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়া অর্থাৎ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালিত করা।
প্রশ্ন হল সেটা কি ঘর থেকে শুরু করার কথা নাকি দুর দূরান্তে গিয়ে?
আপনি কি ইসলামী জীবন যাপন করছেন? আপনার সন্তান, আপনার স্ত্রী কি করছে? আপনার প্রতিবেশী?
আপনার উপর সবার আগে কার হক? শেষ বিচারের দিনে মহান আল্লাহর দরবারে সবার আগে কে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে?
আমরা প্রায়শই এই আহ্বান শুনতে পাই চলুন চিল্লায় যাই। আমাদের প্রতিটি মসজিদই কি ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে না? আমার জানামতে প্রায় সকল মসজিদেই আসরের নামাজের পরে, কোথাও কোথাও মাগরিবের নামাজের পরে পবিত্র কুরআনের তাফসির করা হয়। হাদিসের বর্ণনা করা হয়, ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
অনেক মসজিদ থেকে আসরের নামাজ আদায় করে মুসল্লিদের এক অংশ আশেপাশের মানুষদের নামাজ আদায়ে উদ্বুদ্ধ করতে বেড়িয়ে পরেন সেটাই তো প্রকৃত দাওয়াত। যেখানে মানুষ একই সাথে দৈনন্দিন কাজকর্ম করছেন, ইবাদত করছেন আবার আল্লাহর রাস্তায় মেহনতও করছেন।
তাহলে এই ভাবে কেন কর্মক্ষম পুরুষদের কাজে ফাকি দিয়ে, পরিজনদের একা ফেলে রেখে পিকনিক মুডে বেড়িয়ে পরতে হবে। তাঁরা পবিত্র মসজিদকে আবাস স্থল বানাচ্ছে। মসজিদের বাড়ান্দা রান্নঘর এতে কি মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হয় না? তারা নারীদের পর্যন্ত উদ্বুদ্ধ করছেন ঘর ছেড়ে সাপ্তাহিক বা মাসিক চিল্লায় বেড়িয়ে পরার জন্য? এভাবে বেড়িয়ে পরার ফলাফল কিন্তু আমরা ইতিমধ্যেই দেখতে পেয়েছি। বিষয়টি কি ভাবার মত নয়?
কোন গোষ্ঠী বা কোন মতাদর্শের মানুষের ক্রিয়াকর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি কেবল সঠিক পথটা অনুসন্ধানের চেষ্টা করছি। একইসাথে সকলকেই বিষয়টা নিয়ে ভাবার অনুরোধ জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত করুন এবং তাঁর হেদায়েতের উপরে স্থির রাখুন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

মোস্তফা অভি বলেছেন: হক কথা বলেছেন। সহমত প্রকাশ করছি।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ @ গোলাম মোস্তফা অভি।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

ধোয়াশা বলেছেন: আপনার সঙ্গে একমত হতে পারলাম না ব্রাদার । আগেকার বেদুইন কাফেরদের সাথে বর্তমান নামে মাত্র অগণিত মুসলমানদের কোন তফাৎ খুজে পাওয়া যায় না । আর তাদেরকে ইসলামের প্রকৃত আকিদায় ফিরিয়ে আনার জন্য এ দাওয়াতের কাজ। আর এ বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ করবেন, যারা দাওয়াতের কাজে বের হয় তারা কখনো কারো কাছে হাত পাতে না । তারা পরিবারের ভরণপোষনের বিষয়টিও নিশ্চত করে । বাজারের পরিবেশে কখনো মানুষের ভুল ভাঙ্গে না কিংবা শুধরানো যায় না । শুধুমাত্র মসজিদের পরিবেশেই এটা সম্ভব । যার জলন্ত প্রমান এখন স্পষ্ট। অনেক কলেজ ভার্সিটির ছাত্রদের দেখতে পাবেন যিদের অতীত ছিল অন্ধকার । এখন তাদের জীবনযাত্রা দেখে বিমুগ্ধ হবেন। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পারবেন ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধোয়াশা আমি মহানবী(সঃ) এর ইসলাম প্রতিষ্ঠার আলোকে একটি আলোচনা করেছি মাত্র। কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হই নি। আমার ধারনা হুট করে কোন সিদ্ধান্তে না পৌঁছে বিষয়টি নিয়ে ভাবার আছে অনেক কিছুই। আমার মনে হয় স্থানীয়ভাবে প্রতিটি মসজিদকে শুধু নামাজ আদায়ের স্থানে সিমাবদ্ধ না রেখে দাওয়াতী কাজ সহ ইসলামী অনুশাসনের সঠিক ব্যখ্যাস্থান হিসেবে গড়ে তোলা জরুরী। মসজিদ থেকে একদল মুসুল্লি যদি নিজ এলাকার মুসলমানদের বাসায় গিয়ে দাওয়াতের চেষ্টা করেন সেটাই কি আরও ভাল উপায় বলে পরিগণিত হবে না? ভাল থাকবেন।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: যে যাতে শান্তি পায় সে তাই করুক না।
শুধু অপরের ক্ষতি না হলেই হলো।

কেমন আছেন?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: জ্বি ভাই ভাল আছি। আসলে যে যাতে শান্তি পায় সেটাই করতে দেয়াটা মনে হয় সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। আমি যা বলছি সেটাও যে ঠিক আমি তাও বলছি না। সঠিক পথ বের করাটাই আমার উদ্দেশ্য। আর সে জন্য আলোচনা চলুক। ভাল থাকবেন।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি আপনার মত করে দাওয়াতের কাজ শুরু করুন তারা তাদের মত করুক। যে যেভাবে আল্লাহকে পেতে চায় চেষ্টা চালিয়ে যাক । নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: আপনি একপাক্ষীক ভাবে চিন্তা করেছেন। একটু ইতিবাচক ভাবতে পারেন। কিংবা এর থেকে ভাল উপায় জানা থাকলে আপনি সেটা প্রকাশ করতে পারেন বা মানুষের আহ্ববান করতে পারেন। শুধু সমস্যা দেখালে হবে না সাথে সমাধান দেওয়া জরুরী।

যাই হোক ভাল থাকবেন সব সময়.... ধন্যবাদ

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমার কাছে যেটা সমাধান বলে মনে হয়েছে সেটা তো আমি লিখেছি, "আমাদের প্রতিটি মসজিদই কি ইসলামী জ্ঞান অন্বেষণের প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে না? আমার জানামতে প্রায় সকল মসজিদেই আসরের নামাজের পরে, কোথাও কোথাও মাগরিবের নামাজের পরে পবিত্র কুরআনের তাফসির করা হয়। হাদিসের বর্ণনা করা হয়, ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
অনেক মসজিদ থেকে আসরের নামাজ আদায় করে মুসল্লিদের এক অংশ আশেপাশের মানুষদের নামাজ আদায়ে উদ্বুদ্ধ করতে বেড়িয়ে পরেন সেটাই তো প্রকৃত দাওয়াত। যেখানে মানুষ একই সাথে দৈনন্দিন কাজকর্ম করছেন, ইবাদত করছেন আবার আল্লাহর রাস্তায় মেহনতও করছেন।"
আমার মনে হয় স্থানীয়ভাবে প্রতিটি মসজিদকে শুধু নামাজ আদায়ের স্থানে সিমাবদ্ধ না রেখে দাওয়াতী কাজ সহ ইসলামী অনুশাসনের সঠিক ব্যখ্যাস্থান হিসেবে গড়ে তোলা জরুরী। মসজিদ থেকে একদল মুসুল্লি যদি নিজ এলাকার মুসলমানদের বাসায় গিয়ে দাওয়াতের চেষ্টা করেন সেটাই কি আরও ভাল উপায় বলে পরিগণিত হবে না?
আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন অনেক ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.