নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম কি এটা সমর্থন করে?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২


রাস্তায়, বাসে যেখানেই যাবেন শুনবেন উদাত্ত আহ্বান মসজিদে দান করে যান। আপনার সামনে এসে শশ্রু মন্ডিত একজন এসে দাঁড়াবেন হাতে চাঁদার রশিদ নিয়ে। দান করে যান। মৃত মা-বাবার নামে, আপনার আখেরে সফলতা লাভ হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি দান করলেন।
টাকাটা কি মসজিদ উন্নয়নে কাজে লাগবে? যদি মসজিদ অবধি পৌঁছায় তাহলে তা উত্তোলিত অঙ্কের কত ভাগ? অর্থাৎ আপনার দানের কত শতাংশ মসজিদ পাবে একটিবার জিজ্ঞাসা করে দেখেছেন?
দেখেন নি, কাজেই সে প্রশ্ন যেমন থেকে যাচ্ছে তেমনি প্রশ্ন থেকে যায় মসজিদের উন্নয়ন বলতে কি বোঝায়? কতটা উন্নয়নকে বোঝায়?
তাঁর থেকেও বড় প্রশ্ন ভিক্ষা বৃত্তি করে মসজিদ উন্নয়নের অনুমতি কি ইসলাম দেয়?
প্রতিটি মসজিদে টয়লেটের ব্যবস্থা আছে যা কেবল মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। তাও আবার কেবল নামাজের আগে পড়ে কিছু সময়ের জন্য। যে মসজিদটি সর্বসাধারণের দানের টাকায় গড়ে উঠল সে মসজিদটি সর্বসাধারণ নির্দিষ্ট সময়ে ইবাদত ছাড়া অন্য কোন ভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন না কেন?
একজন মুসাফির বিশ্রাম নিতে পারবেন না। একজন মুসাফির মসজিদ সংলগ্ন টয়লেটটি বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন না। কি যুক্তি আছে এর পেছনে?
মসজিদের আয়ের উৎস সাধারণ মানুষ কিন্তু সাধারণের ব্যবহারে থাকবে নিষেধাজ্ঞা এটা কি ইসলাম বলে?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

এই আমি রবীন বলেছেন: ১০,০০০ টাকা ১ মসজিদে দান করলে সোয়াব বেশী, নাকি ১০ মসজিদে বন্টন করে দিলে সোয়াব বেশী?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমার মতে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা এবং ইবাদতের উপযোগী করে তোলাই যথেষ্ট। মসজিদকে সুরম্য প্রাসাদ বানানো নিতান্তই অপচয় যা ইসলাম সমর্থন করে না। দ্বিতীয়ত এখনো গ্রামাঞ্চলে এমন অনেক মসজিদ মাদ্রাসা আছে যেখানে সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন আছে। এমন কি তাদের কোন আয়ের উৎস পর্যন্ত নেই। আমি মনে করি এমন কোন মসজিদে পুরো টাকাটা দেয়াই উত্তম এবং অধিক সওয়াবের। যেহেতু সেটা প্রয়োজনের নিরিখে অনেক বেশি জরুরী। আমাদের মনে রাখতে হবে মহান আল্লাহ অন্ধ হতে নিষেধ করেছেন বুঝে শুনে কাজ করতেই উৎসাহিত করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: কত ভাগ মসজিদ পাবে বা কত ভাগ মসজিদের কাজে ব্যয় করা হবে এসব ভেবে দান খয়রাত করতে গেলে , আপনি দান খয়রাতের ব্যাপারটি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসতে থাকবেন। তাই এভাবে না ভেবে , আপনার মন , নিয়ত ঠিক রেখে আল্লাহ'র রাস্তায় দান করছেন বলে নিয়ত করুন। আল্লাহ অবশ্যই প্রতিদান দিবেন। কারণ , সকল কাজ মনের নিয়তের উপর নির্ভর করে।

২য় পয়েন্ট , কেন সাধারণ জনগণ মসজিদের টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ পায় না ?

কারণ , মসজিদের অভ্ভন্তরীন নিরাপত্তার ব্যাপার রয়েছে । ওজুখানা অথবা টয়লেট সবার জন্য সারাক্ষন উন্মুক্ত রাখলে সেখানে যে চুরি চামারি হবে না তার নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হিসাব করতে হবে এই জন্যই যে এভাবে দানে মানুষ ভিক্ষাবৃত্তিতে উৎসাহিত হয় প্রতারনামুলক কর্মকান্ডে উৎসাহিত হয় যা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। মহানবীর শিক্ষা ভিক্ষাবৃত্তি না করা। আমরা কিন্তু সেটারই সুযোগ করে দিচ্ছি।

২য় পয়েন্ট, আপনি যখন হাম্মামখানাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাইবেন তখন সেটির আশা যাওয়ার পথটাও সেভাবেই করবেন। আসল কথা হল আপনার সদিচ্ছা। আর তা ছাড়া মুল মসজিদ থেকে হাম্মামখানা বাইরেই থাকে। সেক্ষেত্রে মসজিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রশ্নই অবান্তর। অশেষ ধন্যবাদ অগ্নিঝরা আগন্তুক আপনাকে।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

আহা রুবন বলেছেন: ‌আমি আগে টয়লেটের চিন্তা করে দু/চার টাকা বিভিন্ন স্থানে দান করতাম। ভাবতাম জনসেবাও তো হচ্ছে। কিন্তু বিপদে সেই টয়লেট যদি ব্যবহার করা না যায়, তাহলে যত্র-তত্র দান করে কী লাভ? এরপর থেকে যে মসজিদে নামাজ পড়ি তার বাইরে এক পয়সাও দেই না। নিজের মসজিদের চেয়ে অন্য মসজিদে দান নিশ্চয়ই বেশি নেকি হয় না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমার কথা হল দান করুন সেটা সঠিক স্থানেই দান করুন।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এটা শ্রেফ ভিক্ষাবৃত্তি, এধরনের দানকে নিরুৎসাহিত করুন।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অপব্যবহার হবে বলেই নামাজের পর মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়। মধ্যপ্রাচ্যের মসজিদগুলোও বন্ধ থাকে নামাজের বাইরে। আর আমাদের দেশের জনগণ কতটা ভদ্র তা তো আমরা জানি।মুসাফির কোথায় বিশ্রাম নিবে বা বাথরুম করবে তার জন্য মসজিদ নয় সরকারকে ব্যবস্থা করতে হবে...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.