নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিরা বিভ্রান্ত, সরকার যেন বিভ্রান্ত না হয়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭


মাত্র চার বছর বয়সী একটি শিশু। যে তার সবথেকে আপন, সবথেকে নির্ভরযোগ্য আশ্রয় মায়ের হাতটি ধরে আছে। মা, যে কিনা নিজের জীবন বাজি রেখে সন্তানকে বাঁচান। সেই মাই কিনা এমন অবোধ একটি শিশুকে টোপ বানায় পুলিশ সদস্যদের হত্যা করতে!
মানুষ কতটা হিংস্র, কতটা অমানুষ, কতটা উন্মাদ হলে পড়ে এটি করতে পারে?
যারা এই সব অমানুষ; এই সব হিংস্র জানোয়ার তৈরি করছে। যারা পবিত্র ধর্মের এমন কুৎসিত অবমাননা করছে তাদের চেহারা কি কোনদিন উন্মোচিত হবে?

এইসব উন্মাদদের মেরে ফেলুন, চরম শাস্তির আওতায় আনুন এতে হয়ত জঙ্গিবাদ কিছুটা দমিয়ে রাখতে পারবেন কিন্তু এই এদের যারা তৈরি করছে তাদের খুঁজে বার করতে না পারলে এই অমানুষ তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না। শিশু সাবিনারা কোনদিন নিরাপদ থাকতে পারবে না। নিরাপদ থাকবে না এ সমাজ, এ দেশ।

ধর্মের সারকথা শেখান আপনার সন্তানদের, আপনার স্বজনদের। কোন ধর্মই উগ্রবাদ সমর্থন করে না। উগ্রবাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে কোন ধর্মই প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যারা এটা করাচ্ছে তারা পার্থিব হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এটা করাচ্ছে। আর যারা করছে তারা বিভ্রান্ত। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য এগিয়ে আসা প্রয়োজন ধর্মীয় নেতাদের। তারা যে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন না এর জন্য তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হবে। একই সাথে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া সময়ের দাবী।

সরকার এর জন্য যে বিএনপির উপরে দায় চাপাচ্ছে সেটাও সুবিবেচনাপ্রসুত নয়। তাদের কাছে যদি প্রমান থেকেই থাকে তাহলে তাদেরকে কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না? আর যদি প্রমান নাই থাকে তাহলে এভাবে ব্লেইম গেম খেলে প্রকৃত দোষীদের কেন পার পাইয়ে দেয়া হচ্ছে?
আমরা জানি না প্রশাসন কি জঙ্গিবাদ নির্মুলকে টার্গেট করে লড়ছে নাকি জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রনকে টার্গেট করে লড়ছে। যদি জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রন উদ্দেশ্য হয় তাহলে খুব বেশী কিছু আশা করা ঠিক হবে না। মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় যেমন বলেছেন , আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনোভাবেই জঙ্গিদের সংগঠিত হতে দেবে না।
এই যদি হয় অবস্থান তাহলে তা তো জঙ্গিদের জন্য স্বস্তির বার্তা। তারা সংগঠিত হতে না চাইলেই যদি নিরাপদ থাকেন তাহলে তারা বিচ্ছিন্ন থেকেই তাদের শক্তি সঞ্চয় করে যাবেন আর সময়ের অপেক্ষায় থাকবেন। এটা নিশ্চয়ই সাধারন মানুষের চাওয়া নয়।
হলি আর্টিসান হামলার আগ পর্যন্ত সরকারের গা ছাড়া ভাব আমরা দেখেছি আর এখনো যে জঙ্গি নির্মুলের কোন সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তেমনটি দেখতে পাচ্ছি না। সরকার নিজেই কি তবে জঙ্গিবাদ নির্মুলের বিষয়ে দ্বিধায় আছে?

জঙ্গিবাদ নির্মুল যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে শুধু প্রশাসন নির্ভর হয়ে থাকলে চলবে না। একটি সুপরিকল্পিত সুসংগঠিত সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। যেখানে ভুমিকা থাকবে ধর্মীয় নেতাদের, সকল রাজনৈতিক দলের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের। জরুরী সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ।

মৃত্যু অবধারিত কিন্তু সে মৃত্যু হোক স্বাভাবিক। কোন অস্বাভাবিক মৃত্যু কাম্য নয়। বেচে থাক শিশু সাবিনা। একরাশ ঘৃণা নিয়ে বেচে থাক এই সব উন্মাদ আর তাদের স্রষ্টাদের উপর।

[email protected]

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জঙি নিয়ে দেশে নাটক চলছে। জঙি দমন কে সরকার দলীয় সফলতা হিসেবে প্রচার করছে। অথচ এটা তাদের দায়িত্ব কারন তারা গদিতে আছে। এই সমস্যাকে পুজি করে সরকার সুবিধা নিতে চাচ্ছে যা কাম্য নয়। আর জঙি নিয়ে বিম্পির চাল চলনও বেশি সুবিধা মনে হয়না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সহমত

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৫

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: সব সরকারই জঙ্গিবাদ জিইয়ে রেখেছে সুবিধেমতো ব্যবহারের জন্য। এটা একটা বায়োস্কোপ মাত্র। যখন প্রয়োজন পড়ে সবাইকে দেখতে দেয়। আড়ালে চলে অন্য মনস্তাত্বিক আর রাজনৈতিক খেলা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আড়ালে চলে অন্য মনস্তাত্বিক আর রাজনৈতিক খেলা। যদি তাই হয় তাহলে তার দায়ভার দলগুলিকেই নিতে হবে।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: তারাও সম্ভবত বিভ্রান্ত।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সরকার আসলে কি চায়, জঙ্গি দমন নাকি মূলোৎপাটন? আমাদের প্রশাসনের কর্মদক্ষতার উপরে আমাদের শতভাগ আস্থা রয়েছে। প্রশ্ন হল সরকার কি চা?
সাময়িক সুবিধা আদায় বা জঙ্গি জিইয়ে রেখে নিজেদের প্রয়োজনীয়তা প্রমানিত করাই যদি হয় সরকারের উদ্দেশ্য। তাহলে তা যেমন দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে তেমনি এক সময় আওয়ামীলীগকেও জনগনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ তথা আস্থাহীন করে তুলবে।
এটা কিন্তু প্রমানিত যে এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কাজেই একে জিইয়ে রাখা হবে আত্মবিনাশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.