নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্ত্রী মহোদয় মানুন আর নাই মানুন। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা মোটেই মান সম্পন্ন নয়।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫


শিক্ষার মান নির্ধারণ নিয়ে যখন আমাদের খোদ শিক্ষামন্ত্রীই দ্বিধান্বিত তখন এ প্রশ্ন উঠতে বাধ্য যে, আসলে আমরা শিক্ষা বলতে কি বুঝি? আর আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্যই বা কি?
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং ইভালুয়েশন উইং কর্মশালায় অংশ নিয়ে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয় বলেন, “গত ৫০ বছর ধরে শুনছি, শিক্ষার মান কমে গেছে। বিষয়টি যদি সত্য হতো, তাহলে এতদিনে মান বলে কিছুই থাকতো না। তারপরও যারা মান নিয়ে কথা বলছেন, তারা যদি মানের মাপকাঠি নির্ধারণ করে দিতেন, সেটিকে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যেতাম।“ কালের কণ্ঠ ১৮/১/১৭
মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় এটা স্পষ্ট যে, তিনি আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট। আর যারা শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাদের প্রতি তার আহ্বান তারা যেন মানসম্পন্ন শিক্ষার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেন। আসল কথা হল বর্তমান শিক্ষার মান নিয়ে মন্ত্রণালয় ব্যতীত সকলেই অসন্তষ্ট।

আসুন দেখি শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কি। আমাদের সংবিধানে দ্বিতীয় ভাগে “রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি” অংশে বলা হয়েছে,
অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা
১৭৷ রাষ্ট্র
(ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য;
(খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য;
(গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য; কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷

আমাদের চলমান শিক্ষা ব্যবস্থা যে সংবিধানের সাথেই সাংঘর্ষিক তা সংবিধানের (ক)উপ ধারা তেই স্পষ্ট। এখানে বলা হয়েছে একই পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থার কথা অথচ চলছে চর্তুমুখি। আমি সে আলোচনায় যাচ্ছি না। যেহেতু আমরা আলোচনা করছি শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে। কাজেই এখানে দ্বিতীয় উপ ধারাটিই আলোচ্য।
দ্বিতীয় উপ ধারায়(খ) বলা হয়েছে, সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছা প্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য;
এই একটি বাক্যে আমরা আমাদের শিক্ষার উদ্দেশ্যের সাথে মিল খুঁজে পাই বিশ্বের তাবৎ শিক্ষাবিদ এবং মনিষীদের নিরূপিত শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে।
সক্রেটিসের ভাষায় 'শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।' এরিস্টটল বলেন 'সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা'। আর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ভাষায় 'শিক্ষা হল তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না বিশ্ব সত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে।

এসব মনীষীদের কথার মর্মার্থ একটাই। আর তা হল, শিক্ষা এমন একটি প্রক্রিয়া যা একজন মানুষের অন্তর্নিহিত গুণাবলীকে বিকাশের ব্যবস্থা করে এবং যা অর্জনের মাধ্যমে একজন মানুষ উৎপাদনশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন। ইংরেজি education শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ educare বা educatum থেকে। যার অর্থ to lead out অর্থাৎ ভেতরের সম্ভাবনাকে বাইরে বের করে নিয়ে আসা বা বিকশিত করা।
বিষয়টি ঠিক তাই; একজন মানুষ যে শক্তি যে সামর্থ্য নিয়ে জন্ম লাভ করেন সেই সুপ্ত শক্তিকে বের করে আনাই হল শিক্ষার উদ্দেশ্য।
আপনি চাইলেই কাউকে বিজ্ঞানী হিসেবে তৈরি করতে পারবেন না চাইলেই একজন মানুষকে কবি বা সাহিত্যিক এমনকি নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন না। যে বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রাখেন সেই প্রতিভাটা তার অন্তর্নিহিত।
ঠিক একইভাবে একজন শিক্ষার্থী সব বিষয়ে পারদর্শী হবে না। কোন না কোন বিষয়ে সে অন্যদের থেকে ভাল করবে। আমরা কি তার সেই অন্তর্নিহিত শক্তির খোজ নেই? নেই না। আমরা একজন শিক্ষার্থীর উপরে আমাদের মত করে নানান বিষয় চাপিয়ে দেই। অথচ যা প্রয়োজন কিন্তু দেই না সেটি হল নৈতিক শিক্ষা।

আমরা জ্ঞান অন্বেষণের বদলে শিক্ষার্থীদের উপর একটি প্রতিযোগিতা চাপিয়ে দেই। যার ফলে জ্ঞান অর্জন করার থেকে তার কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে ভাল ফল লাভ করা। সে তখন পাঠ্য বই ছেঁড়ে সিলেবাসের পেছনে ছুটতে শুরু করে। সেই ক্ষুদ্র সিলেবাস থেকে সে যা শিখল সেটুকুনও আবার সে ধারণ করে না। ব্যক্তি জীবনে তার অনুশীলন করে না। কেবল মুখস্থ করছে আর পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে উগড়ে দিয়ে আসছে। এতে করে সে ভাল ফল লাভ করছে ঠিকই কিন্তু কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সে পেছনে পড়ে যাচ্ছে। কারণ সে যা শিখেছে তা না তার ব্যক্তিগত জীবনাচরণে প্রভাব ফেলতে পারছে না তাকে কর্মোপযোগী করে তুলছে। এরাই জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে মান সম্পন্ন এই শিক্ষার্থিদের কাছ থেকে দুছত্র মৌলিক লেখা তো দূরের কথা। দুটি কথাও নিজের ভাষায় বলানো দুস্কর। সেটা কি আপনি জানেন?
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, শিক্ষার মান নির্ধারনের জন্য আপনাকে কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বচ্চ ডিগ্রীধারীদের ডেকে এনে নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন। দুটো প্রশ্ন করুন। একটি বিষয়ের উপর নিজস্ব মতামত তুলে ধরতে বলুন। সহজেই বুঝতে পারবেন তাদের শিক্ষার দৌড়। এর প্রমাণ আমরা পাই নিম্নের জরিপের ফলাফলে।
বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট-এর ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ স্নাতকই বেকার। প্রথম আলো মার্চ ০২, ২০১৪

এর বিপরীতে আরেকটি তথ্য জেনে নেয়া যাক, প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বিনিয়োগ বোর্ডের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে ১২ হাজারের মতো বিদেশী। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী-শিল্পোদ্যোক্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশে বর্তমানে অন্তত ১২ লাখ বিদেশী নাগরিক রয়েছেনে, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বিদেশীদের কর্মসংস্থানের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প খাত। কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল, ওভেন ও নিটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি, সুয়েটার ফ্যাক্টরি, বায়িং হাউজ, মার্চেন্ডাইজিং কোম্পানি প্রভৃতিতে কাজ করছেন প্রায় ১০ লাখ বিদেশী। এ ছাড়া বিভিন্ন বহু জাতিক কোম্পানি, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার স্টেশন, আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ফ্যাশন হাউজ, খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন কারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন কোম্পানি, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, নানা ধরনের পার্লার এমনকি শো রুমের কর্মচারী হিসেবেও কাজ করছে অনেক বিদেশী। এদের বেশির ভাগই ভারতীয়। এ ছাড়া রয়েছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইউরোপ-আমেরিকার নাগরিকও।নয়া দিগন্ত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ আর এর প্রধান কারণটাই হল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা। এ তো গেল কর্মক্ষেত্র উপযোগী করে গড়ে তুলতে না পারার গল্প।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কি আমাদের সন্তানদের ব্যক্তি জীবনেও একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মত করে প্রণীত?
আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী কজন শিক্ষার্থী আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রাষ্টীয় মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঠিক ব্যাখ্যা জানেন? আমাদের কজন শিক্ষার্থী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সচেতন হয়ে বেড়ে উঠেছেন।
একজন আদর্শ নাগরিককে ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনের নৈতিক, মানবিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে শিক্ষার যে ভূমিকা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কি তা পূরণ করতে নুন্যতম ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে?
এক কথায় এর উত্তর হচ্ছে, না। স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতক বছর পরে এসেও আমাদের স্বাধীনতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির সাথে লড়াই করতে হচ্ছে। সঠিক ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজের এক অংশ ভিড়ে যাচ্ছে জঙ্গিবাদে! মানবিক শিক্ষার অভাবে আমরা হরণ করে চলেছি সংখ্যালঘুর অধিকার। নিতি নৈতিকতার অভাবে রাজনীতিতে দুর্বিত্তায়নের মাত্রা ভয়াবহ। এসব নিশ্চয়ই নৈতিক, মানবিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শিক্ষার পরিচায়ক নয়।

শুরু করেছিলাম মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর একটি উক্তি দিয়ে। শেষও করছি মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি একটি নিবেদন রেখে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, কারো কাছ থেকে আপনাকে শিক্ষার মান নির্ধারনের মাপকাঠি চেয়ে নিতে হবে না। আপনার মন্ত্রণালয় শুধু এটা নিশ্চিত করুক আমাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে তাই শেখানো হবে যা তাদেরকে জ্ঞান, দক্ষতা ও কর্মানুরাগ বৃদ্ধি করে কর্মোপযোগী করে গড়ে তুলতে পারে। আমাদের সন্তানেরা নৈতিক, মানবিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শিখে প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। এ দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে।
যতদিন না পর্যন্ত সেটা সম্ভব হচ্ছে আপনি স্বীকার করুন আর নাই করুন আমরা এই শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলবই। আমরা লক্ষ লক্ষ জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী চাই না আমরা লক্ষ লক্ষ মানবিক বোধ সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি চাই।

[email protected]

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: কোটি কোটি ভ্রান্ত বিশ্বাসী মানুষের সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোতে ছাত্র ঠেংগানোর জন্য পুলিশ ফাড়ি খুলতে হয়েছে শিক্ষার মান ক্রমশ উন্নয়নের ফলে(!) সত্য জ্ঞান অর্জনই শিক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরে নেওয়া যায় যে, দেশের সেরা মেধাবীরাই আসে। কিন্তু দেখেন তাদের কর্মকান্ড কি।
অনেক কিছুই ঘটে বোঝা গেলেও বলা যায় না।

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: শিক্ষার মান নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকা উচিত না!
কারণ শিক্ষার মান এতই খারাপ হলে সেখান থেকে ছাত্রলীগ উঠে আসতে পারত না!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ছাত্রলীগ যদি হয় শিক্ষার মান তাহলে অবশ্যই এটা সর্বচ্চ মানের শিক্ষা। যদিও সে শিক্ষা ব্যবস্থা কোন বিবেকবানেরই কাম্য নয়।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: =p~

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ভক্তি থাকা ভাল, তবে অন্ধভক্তি সর্বনাশ ডেকে আনে।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

রায়হান চৌঃ বলেছেন: :) ছাত্র লীগ হলো শিক্ষার মানের প্রতীক :)
মন্তব্য: পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায়

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রায়হান চৌঃ বলেছেন: :) ছাত্র লীগ হলো শিক্ষার মানের প্রতীক :)
মন্তব্য: পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায়


ছাগল খোয়ারে বান্ধা থাকে কিন্তু এইটা সামুতে আসলো ক্যামতে! :P :P

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছাত্রলীগ যদি হয় শিক্ষার মান তাহলে অবশ্যই এটা সর্বচ্চ মানের শিক্ষা। যদিও সে শিক্ষা ব্যবস্থা কোন বিবেকবানেরই কাম্য নয়।

শিক্ষার হ য ব র ল অবস্থার জন্য সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়ী। তাদের দায়িত্ববোধ জিঙ্গাসিত হওয়া উচিত। কিন্তু তাদের দায়িত্বের অবহেলাটা তারা কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছে, কোন কোন ক্ষেত্রে অস্বীকার করছে।

আমি আপনার সাথে একমত। আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি হয়ত অন্যভাবে বলেছি।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন আপনার প্রথম মন্তব্যে দ্বিধান্বিত ছিলাম তাই উত্তর দেই নি। রায়হান চৌঃ করা মন্তব্যের উত্তর দেখে বিভ্রান্ত হয়েছি। যাই হোক এবার বুঝলাম যে আপনার কথাটির অর্থ আমরা বুঝতে পারি নি। সে জন্য দুঃখিত। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

খোলা মনের কথা বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: শিক্ষার মান নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকা উচিত না!
কারণ শিক্ষার মান এতই খারাপ হলে সেখান থেকে ছাত্রলীগ উঠে আসতে পারত না!


পুরা জাতি ছাত্রলীগকে অনুসরণ করছে না তাই পুরা জাতি আজ বখে যাচ্ছে। পুরা জাতির উচিত ছাত্রলীগকে অনুসরণ করা। তাহলে তাদের সাথে সাথে দেশও জাতি ঠিক সমান ভাবে এগিয়ে যাবে। জয় বাংলা....

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: টাইপ জনিত ভুলত্রুটি মার্জনীয় এবং ক্ষমাযোগ্য যদি ইচ্ছাকৃত ভুল, তথ্যে বিকৃতি, মনগড়া কিছু সংযোজন, দায়িত্বে অবহেলা ইত্যাদি ঘটে থাকে তাহলে জবাব দিহিতার আওতায় আনতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইন আনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রাথমিকের কমিটিতে আছেন সচিব। আছেন ড. আবু হেনা মোঃ মোস্তফা কামাল (অতিরিক্ত মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর), প্রফেসর মোঃ এলিয়াছ হোসেন (পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর), প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র পাল (চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড), মোঃ ফাইজুল কবীর (যুগ্ম সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়), মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, (উপ-পরিচালক, জাতীয় শিক্ষা একাডেমি), একেএম ছায়েফ উল্যা (চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড), প্রফেসর মোঃ আবদুল মান্নান (সদস্য, এনসিটিবি), সরদার মোঃ কেরামত আলী (উপ-সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়), মুহাম্মদ আবদুল জাব্বার (পরিচালক (অব.), নায়েম), সেলিনা হোসেন (সভাপতি, শিশু একাডেমি), প্রফেসর কফিল উদ্দিন আহাম্মদ (সাবেক চেয়ারম্যান, এনসিটিবি), ড. আলী আসগর (ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়), প্রফেসর ড. এম এ মান্নান (উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), লানা হুমায়রা খান (উর্ধতন বিশেষজ্ঞ, এনসিটিবি), খ. মোঃ মঞ্জুরুল আলম (বিশেষজ্ঞ, এনসিটিবি), মোঃ মোস্তফা সাইফুল আলম (বিশেষজ্ঞ, এনসিটিবি), মুশীদ আকতার (গবেষণা কর্মকর্তা, এনসিটিবি), বাবুল আকতার (সংযুক্ত কর্মকর্তা, এনসিটিবি)।

তারা অধিকাংশ রাষ্ট্রীয় টাকায় চলে এবং জনগণের টাকায় বউ-বাচ্ছাদের শাড়ি গহনা কিনে দেয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটিতে সচিব সভাপতি। আছেন অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক), অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি) অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা), যুগ্ম সচিব (কলেজ), যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক-১), যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক-২), মাউসি অধিদফতরের মহাপরিচালক, নায়েমের মহাপরিচালক, কারিগরি অধিদফতরের মহাপরিচালক, মাদ্রাসা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক, এনসিটিবির চেয়ারম্যান, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান, এনসিটিবির সদস্য কারিকুলাম (মাধ্যমিক)। এছাড়া আছেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, ড. সিদ্দিকুর রহমান, শাহীন কবির, অধ্যপক কায়কোবাদ, এনামুল হক এবং এসইএসইপি প্রকল্পের পরিচালক।

শিশুদের গিনিপিগ বানানোর অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে গণ শুনানির আয়োজন করা যেতে পারে।
তারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে অবহেলা করেছে।

আর, তাদের বেতন ভাতা জনগণের টাকা থেকে দেয়া হয়- এটা ভুলে গেলে চলবেনা।

কেউ যেন মিডিয়ায় দু’চার টা বিবৃতি দিয়ে পার পেতে না পারে সেদিকও খেয়াল রাখা উচিত।

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,



নাহিদ সাহেব বলেছেন যে, যারা শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা যেন মানসম্পন্ন শিক্ষার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেন।
কারো দেয়া মাপকাঠিতে সন্তুষ্ট হওয়া আহাম্মকী । নিজেই একটি মাপকাঠি নির্ধারণ করা উচিৎ ।
এজন্যে স্বয়ং তাকে শুধু মাস্টার্স পাশ যে কাউকে এই কথাটি জিজ্ঞেস করে দেখতে বলতে পারেন ------ "গরু সম্পর্কে ১০ টি লাইন বলো"।
১০০ % মাস্টার্সরা যে উত্তর দেবেন তা হলো এই ------- গরু একটি গৃহপালিত পশু । গরুর দুইটা চোখ আছে , দুইটা কান আছে, দুইটা শিং আছে , একটি লেজ আছে ............................
( এরকম উত্তর হলো মাস্টার্সের ষ্টান্ডার্ড বা মান । ১০০% পরীক্ষিত :( )

আর কিছু কি বলার প্রয়োজন আছে নাহিদ সাহেব কে ?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি ভাই সে কথাটিই বোঝাতে চেয়েছি। এরা দুটি মনের কথা গুছিয়ে বলতে শেখে না। কেবল গলাধঃকরণ করে আর প্রয়োজন অনুযায়ী উগড়ে দেয়। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: শাহাদত হোসাইনের প্রথম মন্তব্যটি স্যাটায়ার মাত্র। এটি বুঝতে আবার ট্রান্সেলেটর লাগে নাকি?

@লেখক, আমার দাত কেলিয়ে হাসার মাঝে ভক্তি দেখলেন কই? ইমো দেখে বুঝেন নি কেন ইমোটা দেওয়া হয়েছে? শাহাদত হোসেইনের কমেন্টের সমর্থনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.