নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
জামায়াত সদস্যদের একটি নীতি আছে তারা কখনোই আদর্শচ্যুত হয় না। তাদের আদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতেই পারেন তবে তাদের কমিটমেন্ট সমালোচনার ঊর্ধ্বে। এটা আপনি মানতে বাধ্য। আর একমাত্র এ কারণেই দলটি জন্মলগ্ন কখনোই সহজে আওয়ামীলীগের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেনি। বরং সর্বদাই আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে এসেছে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে যদিও তাদের আওয়ামীলীগকে আশ্রয় করে বেড়ে উঠার সুযোগ ছিল না, তারা কিন্তু সেটা করতে চেষ্টাও করে নি। তারা চাইলে আওয়ামীলীগে মিশে যেতে পারত। তারা সেটা করে নি বরং ক্ষেত্র প্রস্তুত করে নতুন বিষবৃক্ষ জন্ম দিয়েছে। আর সেই বৃক্ষকে আশ্রয় করে পুনরায় বেড়ে উঠেছে।
পরবর্তী পথ পরিক্রমায় যখন কোন কারণে জামায়াত বিপদে পড়েছে কেবল তখনই আওয়ামীলীগকে ব্যবহার করেছে নয়ত এই দলটিকে জামায়াত কখনো ব্যবহারও করতে চায় নি। কেবল এর বিনাশই চেয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও এটাই সত্য আওয়ামী লীগ ব্যবহৃত হয়েছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামীলীগ যতবার জামায়াতকে কোলে তুলে নিতে পেরেছে ততবারই নিজেদের ধন্য মনে করেছে। কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে তারা বার বার চেয়েছে জামায়াতকে পোষ্য করতে। জামায়াত বুনো, সে পোষ মানে না, সেটা আওয়ামীলীগও জানে। তথাপিও তাদের শ্বাপদ বুকে করে ঘুমানোর বড় খায়েশ! আর সেই খায়েশ মিটাতে গিয়ে যে নিজেরাই বারবার তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে সেটা তারা ভাবেন না। তারা ক্রমাগত চেষ্টা করে গেছে জামায়াতকে পোষ্য করে তোলার। আর জামায়াত চেষ্টা করে গেছে আওয়ামীলীগকে বিনাশ করতে। এখানেই আওয়ামীলীগের ভুল। আওয়ামীলীগ জামায়াতকে নিয়ে ভাবছে দলিয় স্বার্থানুযায়ী জাতিয় স্বার্থানুযায়ি নয়। একদিন এর মাশুল এ জাঁতীকেই গুনতে হবে। সেদিন আওয়ামীলীগের কি ত্রাহি অবস্থা হবে না?
যখন বিএনপি নামক বিষবৃক্ষটি এক এগারোর ঝরে মুখ থুবড়ে পড়ল তখনও জামায়াত শেষ চেষ্টা করেছিল তাকে তুলে দার করাতে, পারেনি। অবশেষে যখন জামায়াত বুঝতে পারল এই বিষ বৃক্ষ আর উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা রাখে না তখন তারা বেচে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা আপদ কালীন সমাধান মেনে সরাসরি "ডাকাতের ঘাটে নৌকা ভিড়িয়ে দিল"। অর্থাৎ আওয়ামীলীগেই অনুপ্রবেশ করতে শুরু করল। তারা জানে এই মুহূর্তে আত্মরক্ষার এটাই সর্বোত্তম উপায়।
এতদিনে আওয়ামীলীগের শ্বাপদ পোষার খায়েস মিটল। অতএব সোনায় সোহাগা!
যার প্রত্যক্ষ ফলাফল, আওয়ামী লীগের টিকিটে চেয়ারম্যান হয়েছেন জামায়াতের ১৭২ রোকন।(বাংলা ট্রিবিউন, জানুয়ারি ২১, ২০১৭) আগামীতে আমরা হয়ত সংখ্যাটা ১৭২ এর স্থলে ১০৭২ দেখব। এটাই স্বাভাবিক। জামায়াতের এই সদস্যরা কমি-টেড এরা অর্থ লোলুপ নয়। এরা দল কর্তৃক নির্দেশনার বাইরে এক চুলও নড়ে না। কাজেই এই সদস্যরা যেখানেই যোগদান করুন না কেন যে দলের পতাকা তলেই নিজেদের শামিল করুন না কেন এরা মূলত জামায়াতের লোক হয়েই থাকবেন। আর নিজেদের সদস্যদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ খেলায় অংশ কেবল জামায়াতের মত দলগুলোই নেয়ার ক্ষমতা রাখে।
আমরা হয়ত অচিরেই দেখতে পাবে জামায়াত-আওয়ামীলীগ একাকার হয়ে গেছে। এক সময় হয়ত আওয়ামীলীগের চির চেনা অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক ভাবমূর্তিটাও পাল্টে যাবে। আওয়ামীলীগের নেতারা যদি মনে করেন জামায়াতের সদস্যরা সব আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে আওয়ামী আদর্শে উব্দুদ্ধ হয়ে উঠেছে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। তাদেরকে বলব একটু নিচের দিকে তাকিয়ে দেখুন আপনাদের নেতা কর্মীদের মধ্যে কতসংখ্যক এই নব্য আওয়ামী লীগারদের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
আওয়ামীলীগ নিজেদের যতই শক্তিশালী দল বলে মনে করুক না কেন। কার্যত তাদের নেতা কর্মীদের কাছে আদর্শের থেকে অর্থের গুরুত্ব অনেক বেশী। কাজেই তারা খুব সহজেই বিক্রি হয়ে যাবেন এই নতুনদের কাছে। ফলাফল এক সময়ে দলে শুধু স্থান করে নেয়া নয় নেতৃত্বেও চলে আসা। তারপর ............? সেটা তো সহজেই অনুমেয়।
[email protected]
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এ জাতির চেতনাবাজী এবং ধর্মবাজী থেকে মুক্তি নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জামায়াত নিষিদ্ধ হলে আওয়ামীলীগের ধাপ্পাবাজি বন্ধ হয়ে যেত।
জাতি চেতনাবাজী এবং ধর্মবাজী থেকে মুক্তি পেত।