নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমান বাঙ্গালী যে ভাবে পোষাকে অবাঙ্গালী হয়ে উঠল

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯


লুঙ্গী আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির অংশ নয় এটা আমাদের আরাম সংস্কৃতির অংশ। আরাম প্রিয় বাঙ্গালী খুব সহজেই সকল আরাম উপকরণকে নিজেদের সংস্কৃতির অংশ করে নিতে পারঙ্গম। কিন্তু ধুতি অনেক ঝামেলার জিনিস তাই বাঙ্গালী ওটা ত্যাগ করেছে বিষয়টি যদি এমন হত তাহলে বলার কিছু ছিল না।
বিষয়টা ভিন্নতর, এখানে আমরা যত বেশী মুসলমান হয়েছি(!) তত বেশি নিজস্ব সংস্কৃতিকে দুরে ঠেলে দিতে চেয়েছি।
আশ্চর্যের বিষয় হল নিজস্ব সংস্কৃতিকে এই যে দূরে ঠেলেছি এর পেছনে ছিল না ধর্মীয় কোন নির্দেশনাও। ইসলামে পোশাকের কোন কোড অব কন্ডাক্ট নেই আছে দেহ ঢেকে রাখার নির্দেশনা। যার সাথে ধুতি সাংঘর্ষিক ছিল না, যার সাথে শাড়িও সাংঘর্ষিক নয়। অথচ হিন্দুর পোশাক বলে আমরা একে ত্যাগ করতে চেয়েছি। হাস্যকর বিষয় হল হিন্দুদের ব্যবহৃত ধুতি ত্যাগ করে আমরা বৌদ্ধদের ব্যবহৃত লুঙ্গিকে তুলে নিয়েছি, খৃষ্টানদের ব্যবহৃত প্যান্টকে গ্রহণ করেছি।
এই গ্রহণ নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই আমার প্রশ্ন হল কেন একটি বিশেষ ধর্মাবলম্বির দোহাই দিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতিকে দুরে ঠেলে দেয়া হবে? প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে কি এ দেশে ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে হিন্দুদের প্রতি তথা বাংলার প্রতি হিংসাত্মক মনোভাবও একইভাবে ছড়ানো হয়েছিল?
এটা স্বিকার করে নেয়াটা হবে অন্যায় অপবাদ। কেননা এ দেশে ইসলাম প্রচারিত হয়েছে সূফীবাদের মাধ্যমে। যারা আত্তীকরণের পক্ষে, দূরে ঠেলে দেয়া বা হিংসা প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে ছিলেন। তারা ভালবাসতে শিখিয়েছেন, ঘৃণা করতে নয়। তারা ভালবেসে, সেবা দিয়েই মানুষকে জয় করেছিলেন। এ দেশে শত শত বছর ধরে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থেকেছে এই সূফীবাদের শিক্ষার কারনেই। সমস্যাটা শুরু হয়েছে যখন এ দেশীয় ইসলামের মধ্যে উগ্র মতবাদ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন থেকে। আর সে ক্ষেত্রেও প্রথমেই দায় পাকিস্তানীদের। তারাই শিখিয়েছে ঘৃণা তারাই শিখিয়েছে উত্তম অধম ইত্যাদি। তারা মুসলমানদের প্রতীকী করতে চেয়েছে পোশাকে। তারা আলাদা করতে চেয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। আর সেকারনেই আমরা সবাইকে গ্রহণ করতে পারলেও কেবল হিন্দুদেরকে গ্রহণ করতে পারছি না। অথচ নজরুলের ভাষায় হিন্দু-মুসলিম ছিল একই বৃন্তে ফোটা দুটি ফুল।
দুটি ফুল দুই ধরনের বৈশিষ্ট নিয়ে বেশ ছিল, যা ছিল প্রতিক্রিয়াশীলদের নীলনকশা বাস্তবায়নের পথে প্রধান অন্তরায়। বাঙ্গালীর বাংগালীয়ানাকে নিঃশেষ করার জন্য প্রয়োজন ছিল তার স্বকিয়তা থেকে দূরে রাখা। সেটা করতে গিয়েই ধর্মীয় বিভাজনকে টেনে আনা হল। আসলে হিন্দুর নাম করে আমাদের সরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে নিজস্বতা থেকে।
আমরা বিশ্বের যে প্রান্তেই চোখ রাখি দেখব, ইসলামকে তারা গ্রহণ করেছে নিজস্ব পোষাকে, নিজস্ব ঢংয়ে। ইসলামের মুল অনুশাসনের সাথে যা কিছু সাংঘর্ষিক একজন মুসলমান হিসেবে নিশ্চয়ই সে তা পরিত্যাগ করতে বাধ্য। কিন্তু ইসলামের নাম করে এই যে, এ দেশের মুসলমানদের বাঙ্গালীয়ানা থেকে সরিয়ে আনার প্রয়াস এটা একটি সুনিপুণ ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়।

লুঙ্গি এবং ধুতি এই দুই-ই ভারতীয় উপমহাদেশীয় পোশাক। বড় জোড় বলা যায় একটি হিন্দুদের দ্বারা অন্যটি বৌদ্ধদের দ্বারা বহুল ব্যবহৃত। একই সাথে তৎকালীন মুসলমানদেরও। পরবর্তীতে যখন ভারতবর্ষে মুসলমানদের আধিক্য দেখা গেল তখন তারা ধুতি ছেড়ে লুঙ্গী এবং ঢোলা পাজামায় গিয়ে ঢুকলেন। কোন যুক্তিতে তারা ধুতিকে হিন্দুদের পোশাক আর লুঙ্গী ও ঢোলা পাজামাকে নিজেদের পোশাক বানিয়ে নিলেন তা গবেষণার বিষয়।
এরপরে যখন ভারত ভেঙ্গে পাকিস্তানের জন্ম হল তখন দেখা গেল পূর্ব বঙ্গের মুসলিম নারীরাও শাড়িকে ছেড়ে সালোয়ার কামিজের মধ্যে ঢুকে যেতে লাগলেন। এখানেও তারা পুরুষের মত ইসলামকে নয় মূলত পাকিস্তানীদের অনুসরণ করতে শুরু করলেন। আর এরপর যখন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটল তখন দেখা গেল আত্তীকরণের আরেক রূপ। এরা শাড়ী পড়েন আবার মাথায় স্কার্ফ জড়ান। তারা বোরখা পড়েন; কেউ মুখ ঢেকে, কেউ চোখ ঢেকে আবার কেউ মুখ খোলা রেখে। ইসলাম কি বলে?
ইসলামে মহিলাদের যেভাবে আব্রু করতে বলা হয়েছে তার সাথে আধুনিক পোষাকের মধ্যে আবায়াটা সবথেকে বেশি সাযুজ্যপুর্ন। কিন্তু এখানে আমরা দেখতে পাই ঐ আবায়াটাই সবথেকে কম ব্যবহৃত হয়। বোরখা বা আবায়া তারা যেটাই পরুন না কেন তার নিচে শাড়ী কোনভাবেই ইসলামের সাথে অসংগতিপূর্ন নয় তাহলে তা ফেলে সালোয়ার কামিজের প্রতি এত মোহ কেন?
মুসলমানদের এই পোশাকি মুসলিম হওয়া থেকে যে প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছে।
তাহল, বাঙ্গালীর আদি পোশাক কি?
এর সঠিক উত্তর জানতে হলে আমাদের ১৭০০ থেকে ১৮০০ সালের দিকে চোখ ফেরাতে হবে। তবেই কেবল প্রকৃত উত্তরটি পাওয়া যায়। তৎকালীন সময়ে আঁকা পট চিত্র ইতিহাসে এর অক্ষয় স্বাক্ষর। তখন দ্বিমাত্রিক পট চিত্র আকার রেওয়াজ ছিল ।যার অনেক চিত্র এখন সংরক্ষিত রয়েছে। যেখান থেকে মুঘল আমল বা তার পরবর্তী ইংরেজ আমলে বাংলার মানুষের পোশাকের পরিচয় মেলে।
তখনকার সময়ে বাংলার অবস্থাপন্ন গৃহস্থ পুরুষের প্রধান পোশাক ছিল ধুতি, শর্ট পাঞ্জাবি (‘ব্যাপারী পাঞ্জাবি’ নামে যেটা পরিচিত, দুই পাশে আর বুকে পাঞ্জাবির মতো পকেট), হাতাকটা ফতুয়া ও ঢোলা পাজামা। মূল কম্বিনেশন ছিল পাজামার সঙ্গে ব্যাপারী পাঞ্জাবি আর ধুতির সঙ্গে ব্যাপারী পাঞ্জাবি ও হাতাকটা ফতুয়া দুটোই।
আর মহিলাদের বেলায় ছিল শাড়ী। তখনকার সময়ে মহিলারা বক্ষবন্ধনীর মত করে একখণ্ড কাপড় বুকে পেঁচিয়ে নিতেন যাকে বলা হত কাঁচুলি। এই কাঁচুলিকেই জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের নারীরা ব্লাউজের রূপদান করে। কাজেই ব্লাউজকেও নির্দ্বিধায় বাঙ্গালী পোশাক বলাই যায়।
চলবে......।।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

জুন বলেছেন: চলুক গালিব মেহেদী খান, সাথে আছি পোশাকের ইতিহাস নিয়ে বৈচিত্রময় লেখাটির ।

অটঃ কাল আমার পোষ্টে যে লিংক দিয়েছেন তা কাজ করছে না মনে হলো :(

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপা সাথে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। চেষ্টা করব পোষাক থেকে ভাষায় যেতে। আমি যেটা দেখাতে চেয়েছি সেটা বাঙ্গালী মুসলমানদের কিভাবে ধর্মের ফাদে ফেলে শেকর থেকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাল থাকুন নিরন্তর।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চলতে থাকুক +++

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন,




চমৎকার বিশ্লেষণ । আমরা কেউই এমন করে ভেবে দেখিনি, পাজামা-পাঞ্জাবী মুসলমানের নয় পাঞ্জাবীদের পোষাক । আবহাওয়ার কারনেই "জোব্বা" , ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আরবী ( মরুভুমির ) লোকেদের পোষাক ।
ঠিকই বলেছেন --- ইসলামের নাম করে এই যে, এ দেশের মুসলমানদের বাঙ্গালীয়ানা থেকে সরিয়ে আনার প্রয়াস এটা একটি সুনিপুণ ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়। যার পেছনে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখা পাঞ্জাবী রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্তান পরবর্তী শাসকচক্রই দায়ী এবং এখন দায়ী তাদের উগ্রবাদের এদেশীয় অনুসারীরা ।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আরেকটু লক্ষ করুন পাকিস্তানীদের মত ইয়া লম্বা গোফ এবং জুলফি রাখার প্রবনতাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভাগ্যিস একাত্তর আমাদের রক্ষা করেছে। অশেষ ধন্যবাদ আহমেদ জী এস আপনাকে।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি আপনার সাথে দ্বিমত বা ঐক্যমত, কোনটাই পোষণ করছি না। তবে আপনি যে বিষয়ে লিখছেন, তা ইতিহাসের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এরকম বিষয়ে কিছু লিখতে গেলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নির্মোহভাবে প্রচুর পড়াশোনা করে নেওয়া ভালো। তৎকালীন সময়ের পারিপার্শ্বিকতাও বিবেচনায় নিতে হবে গুরুত্বের সাথে।
খণ্ডিত পড়াশোনায় অনেক সময় ভূল ইতিহাস বেরিয়ে আসে পাশাপাশি লেখকের মতামতকে অগুরুত্বপূর্ণ করে ফেলে।

ভালো থাকবেন, শুভ ব্লগিং।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি যদি ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হই আপনি আমাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন এটাই স্বাভাবিক। যদি মিথস্ক্রিয়া না হয় তাহলে যে সত্য নির্বাসনে যায়।
আমি মনে করি নিজস্বতা থাকলে পারিপাশ্বিকতা তাকে আধুনিকতার সংমিশ্রন ঘটাতে পারত। যেটা ঘটেছেও। আমরা ঢোলা পাজামা থেকে চুরিদার পাজামায় উত্তরন ঘটিয়েছি। ফতুয়ায় আধুনিকতা এসেছে । ঠিক এভাবেই আমরা শাড়ি ব্লাউজেরও এসেছে নানান ডিজাইন। যার সবটাই আমাদের একান্তই আমাদের।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

মানবী বলেছেন: ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা কাঁচুলী ছেড়ে ব্লাউজ পরলে তা যদি বাঙালীর পোষাক হিসেবে স্বীকৃতি পায় তাহলে ছবির এই ভদ্রলোক জোব্বার নীচে ও অন্যান্য সময় পান্জাবী পরলে তা অবশ্যই বাঙালীর পোষাক...


শুধু তিনিই নন, তাঁরও আগে বাঙালী সংস্কৃতির ধারক বাহক আরেক প্রবাদ পুরুষ পান্জাবী পরতেন


আর পান্জাবী মানের পোষাকটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তরভারতের কিছু অণ্চলে প্রচলিত থাকলেও বাঙালীর কাছে পান্জাবী নামে পরিচিত পোষাক পান্জাব অন্চলে মোটেও প্রচলিত নেই। তারা কুর্তা নামে যে জিনিস পরে তা আমাদের পান্জাবীর মতো নয়। পান্জাবীদের দোকানে পান্জাবী খুঁজতে দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে তা জেনে এসেছি। মজার ব্যাপার হলো, পান্জাবী বলতে তারা নিজেদেরকেই বুঝে কোন পোষাক নয়।

"ইসলামে মহিলাদের যেভাবে আব্রু করতে বলা হয়েছে তার সাথে আধুনিক পোষাকের মধ্যে আবায়াটা সবথেকে বেশি সাযুজ্যপুর্ন। কিন্তু এখানে আমরা দেখতে পাই ঐ আবায়াটাই সবথেকে কম ব্যবহৃত হয়। বোরখা বা আবায়া তারা যেটাই পরুন না কেন তার নিচে শাড়ী কোনভাবেই ইসলামের সাথে অসংগতিপূর্ন নয় তাহলে তা ফেলে সালোয়ার কামিজের প্রতি এত মোহ কেন?"

- যেটুকু জানি, ইসলামে মেয়েদের যেভাবে পর্দা করতে বলা হয়েছে সেখানে বোরখা নয়, বরং হাত পা আবৃত করার পর বড় কোন কাপড়/চাদর/ওড়না দিয়ে নিজের চুল ঢেকে সেই কাপড় বুক পর্যন্ত টেনে দেবার কথা বলা আছে। এক্ষেত্রে বোরখার কথা কোথাও বলা হয়েছে বলে জানা নেই। তবে হ্যা, বোরখার নীচে শাড়ি পরায় পর্দার কোন হেরফের হয়না।

বাঙালী ললনারা নিজ পোষাক শাড়ি ছেড়ে সালোয়ার কামিজের দিকে ঝুঁকেছে ঠিক সেকারনে, যেকারনে বাঙালী পুরুষেরা বাইরে যাবার সময় বাঙালীর পোষাক লুঙ্গী ছেড়ে প্যান্ট বা পাজামা পরেন। কনভেনিয়েন্ট, সুবিধা বা স্বস্তিজনক। শালীন এবং সামলানো সহজ।

ভিন্নধর্মী সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন :-)

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এত সুন্দর এবং সাবলীল মন্তব্যে লেখাটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য অকুন্ঠ সাধুবাদ মানবী। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

মানবী বলেছেন:
আমাদের বাঙালী কৃষ্টি সংস্কৃতির হর্তাকর্তা রবি বাবু কিন্তু সবচেয়ে বেশি আরবদের জোব্বা পরে ঘুরতেন :-)
পার্থক্য ছিলো শুধু রং এ- আরবরা সাদা পরে, তিনি কালো বেশি পরতেন..

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমি কিন্তু আত্তীকরণের বিরুদ্ধে নয় যদি নিজস্ব সকিয়তা রক্ষা করে কাজটি করা হয় তার থেকেও বড় কথা যদি এখানে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা থাকে আমি কেবল তার বিরুদ্ধেই সোচ্চার হব।

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

মোঃ রেজাউর রহমান বলেছেন: ভাল লাগল । বাকী অংশ কবে আসবে ?

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: চেষ্টা করব শিঘ্রই দেয়ার। অশেষ ধন্যবাদ মোঃ রেজাউর রহমান ।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ধর্মীয় কোন নির্দেশনা না থাকলেও নিজস্ব সংস্কৃতিকে দূরে ঠেলে বাঙালী ললনারা নিজ পোষাক শাড়ি ছেড়ে সালোয়ার কামিজের দিকে ঝুঁকলে সমস্যা ছিলনা। সমস্যা এখন বিকট!
ইসলামে প্রধানত লজ্জাস্থান ঢাকার কথা বলা হলেও এখন ললনাদের প্রধান লজ্জাস্থান মনে হচ্ছে মাথা আর চুল।
প্রথমে ২-৩ পরত কাপড় .. এরপর বারহাত শাড়ীর সমান কাপড় মাথায় পেচানো হচ্ছে, তার উপরে চকমকি পাথর। এরপর চোখে মুখে গাড়ো 'রিক্সা পেইন্ট'
আমাদের দাদি নানি চাচিদের কখনো দেখিনি এইসব বিদ্ঘুটে হেজাব ফ্যাসান করতে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সেটাই বলছি না ধর্মীয় সংস্কৃতি না জাতিগত আমরা এক উদ্ভট পথে চলেছি। অশেষ ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী।

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২১

হাসান রাজু বলেছেন: আপনার কথায় একমত । দেশের মানুষের একটা অংশ ধর্মকেন্দ্রিক দৈনন্দিন সবকিছু করতে চায় । তাদের ধর্মজ্ঞানঠুকু আবার ঐ হুজুরের বয়ান আর বয়ান হুজুরের মর্জি আর স্বার্থ মতই হয় । যখন শাড়ি ব্লাউজ বিধর্মী হিন্দুদের পোশাক বলে বাতিল করা হয় তখন পাল্টা যুক্তি দিয়ে, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও হিন্দু তথা বিধর্মীদের পোশাক , সেটা বলা যাবে না । কারন আল্লাহ্‌কে রাগানোর সাহস থাকলেও হুজুরের সাথে বেয়াদবি করার হিম্মত এদের নেই । তাছাড়া যুক্তিতে তাদের চরম অনিহা ও আছে ।
তবে শুধু ধর্মকে দোষে লাভ নেই । সংস্কৃতির সব চেয়ে বড় বৈশিষ্ট হল এটা পরিবর্তনশীল । এর পেছনে অনেক কারন থাকতে পারে । ভালো কিংবা খারাপ । ধর্ম সব সময় সর্বত্রই সংস্কৃতির উপর প্রভাব রেখেছে । এটা স্বাভাবিক ।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নিজস্ব সংস্কৃতিকে আগলে রেখে ধর্মীয় অনুশাষন মেনে চলায় তো কোন বিবাদ নেই। বিবাদটা হল আমি কেন কি পাল্টাচ্ছি সেটা নিয়ে। ধর্মের দোষ নেই দোষটা হল ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব। অশেষ ধন্যবাদ হাসান রাজু।

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

ভূমধ্য বলেছেন: আপনি বলেছেন, আরাম প্রিয় বাঙ্গালী খুব সহজেই সকল আরাম উপকরণকে নিজেদের সংস্কৃতির অংশ করে নিতে পারঙ্গম। কিন্তু ধুতি অনেক ঝামেলার জিনিস তাই বাঙ্গালী ওটা ত্যাগ করেছে বিষয়টি যদি এমন হত তাহলে বলার কিছু ছিল না।

আমার মতে বিষয়টা এমনই। কারণ ব্রিটিশ আমলে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকদের পক্ষ থেকে ইংরেজদের সবকিছু (পণ্য, সংস্কৃতি) বর্জনের ডাক এসেছিল। এমন কি গান্ধিজি আন্দোলনে নেমেছিলেন ধুতি পড়ে। মুসলমানদের পক্ষ থেকে ইংরেজ পোশাক হারাম ঘোষণা করা হয়েছিল। অনেকে আলেম এখনো হারাম মনে করে। এই নিয়ে কাঁদা ছুড়াছুড়ির শেষ নাই। এই হচ্ছে নেতৃস্থানীয়দের অবস্থা। অপর দিকে সাধারণ মানুষদের অবস্থা হল ধর্মীয় নেতাদের কথায় কান না দিয়ে ঠিকই ইংরেজদের পোশাক অনুকরণ করেছে। আপনার কথায়, ধুতি অনেক ঝামেলার জিনিস তাই বাঙ্গালী ওটা ত্যাগ করেছে
পাঞ্জাবীর বেলায়ও একই কথা সাধারণ মানুষ একে ত্যাগ করেছে।
আপনি বলেছেন, অথচ হিন্দুর পোশাক বলে আমরা একে ত্যাগ করতে চেয়েছি। সব হিন্দুরা কিন্তু ধুতি পড়ে না, পড়ে তাদের ধর্মগুরুরা। একই কথা পাঞ্জাবীর ক্ষেত্রেও। তবে সাধারণ মানুষও পরে বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে বা সময়ে।

উত্তম-অধমে বৈষম্যকরণের নিকৃষ্ট উদাহরণ স্থাপন করেছে পাকিস্থান। এটা হচ্ছে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া সর্বশেষ বৈষম্যকরণ হতে পারে সর্ব প্রথম নয়। পাকিদের বৈষম্য হচ্ছে একটি ধারাবাহিক ক্রিয়া। যা শুরু হয়েছে আর্যদের শাসনামল থেকে। হয়ত তারও আগে থেকে। তখন কিন্তু মুসলমান ছিল না। ছিল নিম্ন বর্ণের হিন্দু সম্প্রদায়। তাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল। ব্রাহ্মণরা ছিল এলিট শ্রেণী। পরিধেয়ও বস্তু ছিল ভিন্ন। উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা বরং চাইতো না নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা তাদের মত হয়ে যাক পোষাকে-আশাকে কিংবা বিত্তে। আর আমরা জানি যে নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের মাঝেই ইসলাম গ্রহণের প্রবণতাটা ছিল বেশি। কারণ বৈষম্যকরণ। আপনার কথায়, তারা ভালবাসতে শিখিয়েছেন, ঘৃণা করতে নয়। তারা ভালবেসে, সেবা দিয়েই মানুষকে জয় করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতা ছিল ইংরেজ আমলে জমিদারদের মধ্যেও। তারা মুসলমানদের সাথে নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের মত আচরণ করত। ছায়া মাড়ালে জাত যাওয়া কিংবা অন্ন খেয়ে জাত যাওয়ার কথা কারো অজানা নয়। এরই ধারাবাহিকতায় আসল পাকি সম্প্রদায়। তারা আমাদের সাথে ট্রিট করেছে যেমনটা করত আর্যরা নিম্ন বর্নের হিন্দুদের সাথে, যেমনটি করত জমিদাররা মুসলমানদের সাথে। বাবুর বড়ির সামনে দিয়ে যেতে হলে জুতা খুলে যেতে হয় সে ক্ষেত্রে তাদের পোশাক অনুকরণ কররা প্রশ্নই উঠে না। সেই সাহসও তাদের ছিল না।
যাহোক এখন আর আগের অবস্থা নেই। আমরা এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশে বাস করি।

আর পোশাকের ক্ষেত্রে আবারো বলবো, ধুতি এবং পাঞ্জাবী একটি ধর্মীয় পোশাক হিসেবে রূপ নিয়েছে। সাধারণ হিন্দুও দৈনন্দিন কাজে ধুতি পরে না। সাধারণ মুসলমানও দৈনন্দিন কাজে পরিধেয় হিসেবে পাঞ্জাবী ব্যাবহার করে না। বিশেষ কোন অনুষ্ঠান ছাড়া।
(আমি ব্লগে নতুন। কমেন্ট করে হাপিয়ে উঠেছি। যদি সংশোধনী থাকে বলবেন। আর আমার ব্লগ বাড়িতে আপনাকে নিমন্ত্রণ।)

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

নূর মোহাম্মদ প্রধান বলেছেন: ভালো লেগেছে, আরো পড়তে চাই।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: খিচুড়ি বানায়া ফেললেন দেহি ! "ইসলামে পোশাকের কোন কোড অব কন্ডাক্ট নেই আছে দেহ ঢেকে রাখার নির্দেশনা।" ইসলাম বেত্তা না হইয়া , ইসলাম বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না গ্রহণ করিয়াই কইয়া দিলেন ! অবস্যই ইসলামে পোশাকের পরিপূর্ণ কোড অফ কন্ডাক্ট আছে।আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লাম এবং সাহাবাদের অনুসরণই ইসলামের নির্দেশনা।তারা যে পোশাক পড়েছেন , যে পোশাকের অনুমোদন দিয়েছেন সেগুলোই পড়তে হবে। এর সাথে "আরবে গরম ছিল ", "শাড়ি দিয়ে পর্দা হয় " এগুলো জামাতি, সালাফি , আল্লামা গুগল, ফেসবুক মুফতিদের আবিষ্কার।বিধর্মীদের অনুসরণ না করাও ইসলামী নির্দেশনা।একারণেই আমাদের ওলামাগণ ধুতি, টাই পরিহার করার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এর সাথে পাকিস্তানী সংস্কৃতির অনুসরণের কোনো সম্পর্ক নাই। মুসলমানদের জন্য বাঙালি, পাকিস্তানী, আরবি , ইংরেজি কোনো সংস্কৃতি তথা পোশাক অনুসরণের সুযোগ বা নির্দেশনা নাই। মুসলমানের জন্য ইসলামের পোশাক কোড অনুসরণেরই নির্দেশনা আছে।ভালো কোনো কওমী আলেমের কাছে গিয়ে জানার অনুরোধ রইলো।

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



"Tarzan00007 বলেছেন: খিচুড়ি বানায়া ফেললেন দেহি ! "ইসলামে পোশাকের কোন কোড অব কন্ডাক্ট নেই আছে দেহ ঢেকে রাখার নির্দেশনা।" ইসলাম বেত্তা না হইয়া , ইসলাম বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না গ্রহণ করিয়াই কইয়া দিলেন ! অবস্যই ইসলামে পোশাকের পরিপূর্ণ কোড অফ কন্ডাক্ট আছে।আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লাম এবং সাহাবাদের অনুসরণই ইসলামের নির্দেশনা।তারা যে পোশাক পড়েছেন , যে পোশাকের অনুমোদন দিয়েছেন সেগুলোই পড়তে হবে। এর সাথে "আরবে গরম ছিল ", "শাড়ি দিয়ে পর্দা হয় " এগুলো জামাতি, সালাফি , আল্লামা গুগল, ফেসবুক মুফতিদের আবিষ্কার।বিধর্মীদের অনুসরণ না করাও ইসলামী নির্দেশনা।একারণেই আমাদের ওলামাগণ ধুতি, টাই পরিহার করার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এর সাথে পাকিস্তানী সংস্কৃতির অনুসরণের কোনো সম্পর্ক নাই। মুসলমানদের জন্য বাঙালি, পাকিস্তানী, আরবি , ইংরেজি কোনো সংস্কৃতি তথা পোশাক অনুসরণের সুযোগ বা নির্দেশনা নাই। মুসলমানের জন্য ইসলামের পোশাক কোড অনুসরণেরই নির্দেশনা আছে।ভালো কোনো কওমী আলেমের কাছে গিয়ে জানার অনুরোধ রইলো।"

-ধন্যবাদ, Tarzan00007।

স্রোতের বিপরীতে ইসলাম নিয়ে, ইসলামের অনুশাসন নিয়ে যাদের টিকে থাকার প্রচেষ্টা তাদের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাওয়াটাই স্বাভাবিক।

আমাদের অবস্থা, গাছেরটাও চাই, তলারটাও কুড়াই। মুসলমান দাবিও করব, আবার নবীজীর হাদিস অমান্য করে বিজাতীয়দের অনুসরনও করব। আহ্ কি মহান আমরা!!

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁনকে এ বিষয়ে কুরআন হাদিস ভিত্তিক আরও অনুসন্ধান অব্যহত রাখার অনুরোধ রাখছি।

ভাল থাকবেন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মহান আল্লাহ সূরা আ’রাফের ২৬ ও ২৭ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেছেন,

يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي
سَوْآتِكُمْ وَرِيشًا ۖ وَلِبَاسُ التَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌ ۚ ذَٰلِكَ
مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ

হে বনী আদম ! তোমাদের শরীরের লজ্জাস্থানগুলো ঢাকার এবং তোমাদের দেহের
সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বিধানের উদ্দেশ্যে আমি তোমাদের জন্য পোশাক নাযিল
করেছি ৷ আর তাকওয়ার পোশাকই সর্বোত্তম ৷ এই আল্লাহর নিদর্শনগুলোর
অন্যতম, সম্ভবত লোকেরা এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে ৷ সূরা আ’রাফের ২৬

يَا بَنِي آدَمَ لَا يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ
أَبَوَيْكُم مِّنَ الْجَنَّةِ يَنزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا
لِيُرِيَهُمَا سَوْآتِهِمَا ۗ إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ
حَيْثُ لَا
تَرَوْنَهُمْ ۗ إِنَّا جَعَلْنَا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاءَ لِلَّذِينَ
لَا يُؤْمِنُونَ

হে বনী আদম ! শয়তান যেন তোমাদের আবার ঠিক তেমনিভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে
নিক্ষেপ না করে যেমনভাবে সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করেছিল
এবং তাদের লজ্জাস্থান পরস্পরের কাছে উন্মুক্ত করে দেবার জন্যে তাদেরকে
বিবস্ত্র করেছিল ৷ সে ও তার সাথীরা তোমাদেরকে এমন জায়গা থেকে দেখে যেখান
থেকে তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না ৷ এ শয়তানদেরকে আমি যারা ঈমান আনে না
তাদের অভিভাবক করে দিয়েছি ৷

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগল
তবে বিষয়টি জটিলই।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

গালিব মেহেদী ভাই....চমৎকার একটি লেখা।

চলতে থাকুক :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মইনুল ভাই অশেষ ধন্যবাদ।

১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সারছে ! আপনিতো মুফাচ্ছির হয়া গেলেন দেখছি ! ইসলামের নির্দেশনা শুধুই কোরান থেকে আসে নাই জনাব। কোরান, হাদিস , ইজমা , কিয়াস থেকে এসেছে। কোনো বিষয়ের কিঞ্চিৎ জানিয়া, পুরোটা না জানিয়া সিদ্ধান্তে আসা অন্ধের হাতি দেখার মতন হইলো না ! আবারো অনুরোধ ভালো কোনো কওমি আলেমের কাছে গিয়া পুরোপুরি শুনিলে ভালো হয়। নাহলে মানুষের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে যার দায়ভার আপনার উপরও বর্তাবে বৈকি ! ভালো থাকবেন।

১৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

শাহিবযাদা সোহান বলেছেন: ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ আদর্শ। জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের দিক-নির্দেশনা রয়েছে। পোশাক-পরিচ্ছদের বিষয়েও ইসলামের মৌলিক দিক নির্দেশনা রয়েছে। এ নিবন্ধে পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করতে চাই। এ সম্পর্কে সমাজে যেসব ভুলভ্রান্তি ও শিথিলতা লক্ষ করা যায় তার পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় এই :
১. অজ্ঞতা ও অবহেলা
এ বিষয়ে শরীয়তের কী কী মূলনীতি ও বিধান রয়েছে সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানাশোনা নেই। উপরন্তু অনেকের এই ধারণাই নেই যে, পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কেও শরীয়তের বিধিবিধান থাকতে পারে। একে তারা পুরোপুরিই ইচ্ছা-স্বাধীনতার বিষয় মনে করে। এই ধারণা ঠিক নয়। শরীয়ত এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। কুরআন কারীম এবং হাদীস শরীফে এ সম্পর্কিত উসূল ও আহকাম তথা নীতি ও বিধান রয়েছে। একই সঙ্গে মানুষের রুচি ও স্বভাবের প্রতিও একটা পর্যায় পর্যন্ত শরীয়ত অনুমোদন দিয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে একেবারে উদাসীন থাকা, মনমতো চলা ভুল।
২. বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ ও ফ্যাশন-আসক্তি
পোশাক-আশাক ও সাজসজ্জার বিষয়ে সমাজে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও ফ্যাশনের বড় প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যখন যে ফ্যাশন বের হচ্ছে তখন নির্বিচারে অনুকরণকেই ‘আধুনিকতা’ মনে করা হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে অমুসলিম বা ফাসেক লোকদের রীতি-নীতিই অধিক অনুকরণীয় হতে দেখা যায়। এসবই ভুল। বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ শরীয়তের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত। হাদীস শরীফে এসেছে-‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখে সে তাদের দলভুক্ত।’ (সুনানে আবু দাউদ ২/৫৫৯)
‘মন ভালো হওয়াই যথেষ্ট’
যারা পোশাক ও সাজসজ্জার বিষয়ে মনমতো চলতে চায় কিংবা বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে পছন্দ করে তারা তাদের দুর্বলতা ঢাকতে গিয়ে বলে থাকেন, ‘মন ভালো হওয়াই যথেষ্ট। বাইরের লেবাস-পোশাকে কী আসে যায়?’ এভাবে তারা ইসলামের শিক্ষাকে খাটো করতে চায়। অনেক সময় দেখা যায়, ইসলামী পোশাকধারী কোনো ব্যক্তির কোনো ভুল হয়ে গেলে তখন তারা এই সব কথা বড় গলায় বলতে থাকে। এসব ভুল।
ভিতর ও বাহির দু’টোর প্রতিই ইসলামে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কুরআন মজীদে এসেছে, ‘তোমরা প্রকাশ্য গুনাহ ছাড় এবং আভ্যন্তরীণ গুনাহ ছাড়।’ (সূরা আনআম : ১২০)
কারো মধ্যে যদি কোনো দোষ থাকে তাহলে অবশ্যই তা দোষ, কিন্তু একে ছুতো বানিয়ে তার গুণটাকে অস্বীকার করা তো ভালো নয়।
মোটকথা, ইসলামে লেবাস-পোশাকের গুরুত্ব কম নয়। পোশাক-পরিচ্ছদ যদিও বাহ্যিক বিষয়, মানুষের সকল ভালো-মন্দের দলীল এটা নয়, কিন্তু একথাও তো অনস্বীকার্য যে, লেবাস-পোশাকেরও একটি বড় প্রভাব মানুষের স্বভাব ও আচরণের উপর পড়ে থাকে। এটা কি অস্বীকার করা যাবে যে, কিছু পোশাক অন্তরে অহংকার ও আত্মগরিমা সৃষ্টি করে, অন্যদিকে কিছু পোশাক বিনয় ও নম্রতা জাগ্রত করে? কিছু পোশাক ভালো কাজে ও ভালো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যদিকে কিছু পোশাক মন্দ ও অকল্যাণের দিকে আকর্ষণ করে?
দ্বীনদার শ্রেণীর পোশাককে ‘সম্প্রদায়িক’ পোশাক মনে করা
অনেকে ইসলামী পোশাককে সৌদী, পাকিস্তানী বা হুজুরদের ইউনিফর্ম মনে করে থাকে। ফলে নামায-রোযা ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগী করলেও তারা এই পোশাক গ্রহণ করতে পারেন না। তাদের এ ধারণা ভুল। সামান্য চিন্তা করলেই দেখা যাবে যে, ইসলামসম্মত পোশাক মানে কোনো সাম্প্রদায়িক বা আঞ্চলিক পোশাক নয়। হ্যাঁ, তা মুসলমানের পোশাক বটে।
পোশাক সম্পর্কে ইসলামী নীতিমালা
এই জ্ঞানের অভাবে অনেকে সঠিক পোশাক অবলম্বন করতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে কিছু নীতি ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা নারী-পুরুষ সকলের জন্য প্রযোজ্য। আবার কিছু স্বতন্ত্র বিষয়ও রয়েছে। প্রথমে সাধারণ কিছু নীতি উল্লেখ করছি।
১. সতর আবৃত করা
পোশাক এমন হতে হবে যা পুরোপুরি সতর আবৃত করে। পুরুষের জন্য নাভি থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত আর নারীর পুরো শরীর সতর। পোশাকের প্রধান উদ্দেশ্যই হল সতর ঢাকা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং সৌন্দর্য দান করে।’ (সূরা আ’রাফ ২৬)
সুতরাং যে পোশাক এই উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ তা যেন শরীয়তের দৃষ্টিতে পোশাকই নয়। তা নাজায়েয পোশাক। এটা পরিত্যাগ করে পূর্ণরূপে সতর আবৃত করে এমন পোশাক গ্রহণ করা জরুরি। যেমন পুরুষের জন্য হাফ প্যান্ট পরা। মহিলাদের পেট-পিঠ উন্মুক্ত থাকে এমন পোশাক পরিধান করা।
২. অধিক পাতলা বা আঁটশাট না হওয়া
যে পোশাক পরিধানের পরও সতর দেখা যায় কিংবা সতরের আকৃতি পোশাকের উপরে ফুটে উঠে তা-ও সতর আবৃত না করার কারণে নাজায়েয পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের পোশাক পরিধান করা হারাম।
৩. বিধর্মীদের পোশাক না হওয়া
বিধর্মীদের অনুকরণে পোশাক পরিধান করা নাজায়েয। যেমন ইহুদী-খৃষ্টান পুরোহিতদের পোশাক। হিন্দুদের ধুতি-লেংটি, মাজার পূজারীদের লালশালু এবং শিয়াদের অনুকরণে পূর্ণ কালো পোশাক ইত্যাদি। হাদীস শরীফে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই এটি কাফেরদের পোশাক। ত

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: শাহিবযাদা সোহানিষন ভাল লাগল আপনার আলোচনা। ঠিক তাই ইসলাম পোষাক নির্ধারন করে দেয়নি। ইসলাম সতর ঢাকতে বলেছে। সেই সাথে নারী-পুরুষের সতর কি তাও বলে দিয়েছে। এমন কি আপনি যেভাবে বলেছেন সেভাবেই শুধু ঢেকে রাখাই নয় পুর্ন অবয়বকেও আড়াল করতে বলেছে। এ নিয়ে দ্বিমত নেই। কিন্তু আলোচনার মূল জায়গাটা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি। আমি যেখান থেকে শুরু করেছিলাম ধুতি কেবল হিন্দুদের পোষাক ছিল না। আমরা একে পরিত্যাগ করে হিন্দুদের পোষাক বানিয়েছি। ইসলাম বিধর্মীর অনুকরনকে নিষেধ করেছে কিন্তু যেটা আমার শেকড়ে প্রোথিত তা তো ত্যাগ করতে বলেনি। (আমি পোষাকের কথা বলছি।) ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

শাহিবযাদা সোহান বলেছেন: বিধর্মীদের পোশাক না হওয়া
বিধর্মীদের অনুকরণে পোশাক পরিধান করা নাজায়েয। যেমন ইহুদী-খৃষ্টান পুরোহিতদের পোশাক। হিন্দুদের ধুতি-লেংটি, মাজার পূজারীদের লালশালু এবং শিয়াদের অনুকরণে পূর্ণ কালো পোশাক ইত্যাদি। হাদীস শরীফে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই এটি কাফেরদের পোশাক। তোমরা তা পরিধান করো না।’ (সহীহ মুসলিম ৬/১৪৪; মুসতাদরাকে হাকেম ৪/১৯০)
অন্য এক হাদীসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি তাদের পোশাক পরবে সে আমার দলভুক্ত নয়। (তবারানী আওসাত ৩৯২১; ফাতহুল বারী ১০/২৮৪)
৪. অহংকার-বড়ত্ব-রিয়া সৃষ্টিকারী পোশাক না হওয়া
এমন পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ, যেগুলোকে শরীয়ত অহংকারীদের নিদর্শন সাব্যস্ত করেছে এবং তা পরিধান করতে নিষেধ করেছে। যেমন পুরুষের জন্য রেশমী কাপড় ব্যবহার করা। হযরত আবু মুসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-আমার উম্মতের পুরুষের জন্য রেশম এবং স্বর্ণ হারাম করা হয়েছে। আর মহিলাদের জন্য এগুলো হালাল করা হয়েছে। (জামে তিরমিযী ১/৩০২ হাদীস ২৭৯) তদ্রূপ টাখনু গিরার নিচে কাপড় পরিধান করা।
হযরত আবু জুরাই থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, টাখনু গিরার নিচে কাপড় পরিধান থেকে বিরত থাক। কেননা এটা অহংকারবশত হয়ে থাকে। আর আল্লাহ তাআলা অহংকারীকে ভালবাসেন না। (সুনানে আবু দাউদ ২/৫৬৪ হাদীস ২৭৫; মুসনাদে আহমদ ৫/৬৩ হাদীস ২৪১৯)
৬. প্রসিদ্ধির পোশাক না হওয়া
মানুষের মধ্যে প্রসিদ্ধি পাওয়ার লক্ষ্যে পোশাক নির্বাচন করা, পোশাকের ভিন্নতা ও চাকচিক্য এজন্য বেছে নেওয়া যেন লোকসমাজে সে প্রসিদ্ধি পায়। এককথায় মানুষের নিকট আলোচিত ও প্রসিদ্ধ হওয়ার নিয়তে পোশাক গ্রহণ করা জায়েয নয়। হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে কঠিন ধমকি এসেছে। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধির পোশাক পরবে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাকে লাঞ্ছনার পোশাক পরাবেন। অতঃপর তাকে অগ্নিদগ্ধ করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ ৪০২৯; আততারগীব ৩/১১২)
পুরুষের পোশাকের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য
ক) নারীর পোশাক বা নারীর পোশকের মতো পোশাক না হওয়া।
হাদীস শরীফে এসেছে-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন ঐ পুরুষকে যে মহিলার পোশাক পরে এবং ঐ মহিলাকে যে পুরুষের পোশাক পরে। (সুনানে আবু দাউদ ৪০৯৮; মুসনাদে আহমদ ২/৩২৫)
সুতরাং পুরুষের জন্য মেয়েদের পোশাক পরিধান করা হারাম।
খ) রেশমের কাপড় পরিধান না করা। কেননা রেশমের কাপড় পুরুষের জন্য হারাম।
গ) জাফরানী রংয়ের কাপড় না হওয়া। এটা পুরুষের জন্য নাজায়েয।
ঘ) কুসুম রং কিংবা গাঢ় লাল রং না হওয়া। কেননা কুসুম রং মাকরূহ তাহরীমী। আর লাল রং মাকরূহ।
নারীর পোশাকের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য
ক) পুরুষের পোশাক বা পুরুষের সদৃশ পোশাক না হওয়া। হাদীস শরীফে এসেছে, ‘তিন শ্রেণীর লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে না। একজন ঐ মহিলা, যে পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণ করে।’
নারীর জন্য পুরুষের মতো পোশাক পরিধান করা হারাম। কিন্তু আজকাল এটি ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে। মেয়েরাও প্যান্ট-শার্ট পরছে!
খ) পুরো শরীর ঢাকা পোশাক হওয়া।
মহিলাদের পোশাক এমন হওয়া চাই যাতে গোটা দেহ আবৃত থাকে। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই এমন এমন স্টাইলের পোশাক বের হচ্ছে যাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ খোলা থাকে। অর্থাৎ সতর আবৃত করার পরিবর্তে তা আরো প্রকাশিত করে তোলাই যেন পোশাকের উদ্দেশ্য। যেমন শাড়ি, নারীর জন্য ওড়না ছাড়া দুই পোশাক প্যান্ট-শার্ট বা প্যান্ট-গেঞ্জি। এগুলো ফ্যাশনের নামে নোংরামি। এ ধরনের ফ্যাশনে গা ভাসিয়ে দেওয়া স্বকীয়তা ও আত্মমর্যাদা বোধ না থাকারই দলীল। অনেক বিধর্মীও এমন রয়েছে যারা শালীন পোশাক পরিধান করে। ফ্যাশনের নামে যেসব কুরুচিপূর্ণ পোশাক তৈরি করা হয় তা তারা পরিহার করে চলে। অথচ আমাদের ধর্মে এত সুন্দর দিক-নির্দেশনা থাকার পরও ওইসব অশালীন ফ্যাশনের অনুগামী হয়ে যাওয়া কি দুঃখজনক নয়?
পুরুষের জন্য প্যান্ট-শার্ট
প্রথমে এটি ইংরেজদের পোশাক থাকলেও এখন তাদের বিশেষ পোশাক থাকেনি। তাই বিজাতীয় অনুকরণের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি এই পোশাক পরবে তার জন্য নাজায়েয হবে। কিন্তু যদি তাদের অনুকরণের নিয়ত না থাকে তবে তার ক্ষেত্রে এই পোশাক পরলে বিজাতীয় পোশাক পরার গুনাহ হবে না বটে, কিন্তু এরপরও কিছু কারণে এটি অবৈধ পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। যেমন-১. টাখনু গিরার নিচে হওয়া। ২. স্কিন টাইট অর্থাৎ এত আঁটশাট হওয়া যে, সতরের আকৃতি কাপড়ের উপর ফুটে উঠে। হ্যাঁ, প্যান্ট-শার্ট যদি উপরোক্ত খারাবী থেকে মুক্ত হয় এবং বিজাতীয় অনুকরণের উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে তা পরিধান করা নাজায়েয হবে না। অবশ্য এরপরও তা পরিধান করা মাকরূহ এবং তা ব্যবহার নাক করাই বাঞ্ছনীয়।-দরসে তিরমিযী ৫/৩৩২; ইসলাহী খুতবাত ৫/২৭৮, ফাতাওয়া নিযামিয়া ১/৪২৩; কেফায়াতুল মুফতী ৯/১৬৮; আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৬৪
টাই

২০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:




গালিব ভাই,
দ্রুত উত্তরদানে অনেক ধন্যবাদ। আল কুরআনে বর্নিত পোষাকের বিষয়ে যে আয়াতটি আপনি উল্লেখ করেছেন। এই আয়াতটিতে পোষাকের চারটি স্তর বর্নিত হয়েছে। এই সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য সহীহ অনেক হাদিস রয়েছে, যেগুলো এই আয়াতেরই বিশদ ব্যাখ্যা বলা যেতে পারে এবং কুরআনে পাকের হুকুম ও সেই সব হাদিসের ওপর ভিত্তি করে ইসলামী পোষাকের নীতিমালা নির্ধারন করা হয়েছে। সুতরাং শুধুমাত্র কুরআনের আয়াত কিংবা তার অর্থ দেখে; এর তাফসীর না দেখে, শরীয়তের আহকাম বিস্তারিত না পড়ে ইসলামী কোন বিষয়ে মন্তব্য যেমন জটিলতা তৈরি করবে তেমনি পোষাক নিয়ে মন্তব্য করার পূর্বেও আপনাকে এ বিষয়ে বিশ্ব বরেন্য আলেম উলামাদের থেকে কুরআন হাদিসের ফয়সালা জানা জরুরী।

আপনার এই পোস্টের শিরোনামের লাইনটি 'মুসলমান বাঙ্গালী যে ভাবে পোষাকে অবাঙ্গালী হয়ে উঠল' না বলে আমারতো মনে চায়, বলি- 'বাঙ্গালী মুসলমান যে ভাবে পোষাকে অমুসলিমদের অনুসারী হয়ে উঠছে'

ভাই, মন খারাপ হলেও বাস্তবতা দর্শনে তো আমাদের বুক ফেড়ে এই দীর্ঘশ্বাসটাই বেরিয়ে আসে!

ভাই, ক্ষমা করবেন। আমি কোন জ্ঞানী লোক নই। আগাগোড়া অজ্ঞতা, অন্ধকার আর নির্বুদ্ধিতায় আচ্ছন্ন আমি। তবু মনের টানে দু'টি কথা বলে ফেলেছি। কষ্ট নিবেন না, আশা করি।

আজ পোষাকে-আশাকে, চলনে-বলনে, আচরনে-চরিত্রে, কথাবার্তা, লেনদেন - কোথায় পাওয়া যায়, প্রকৃত মুসলমানের দর্শন? মুসলমানদের এই ঈমানী দুর্বলতার দিনে তাদের বাঙালি, ভারতীয়, পাকিস্তানী, মালয়ী, থাই, চাইনিজ, জাপানিজ কিংবা আরবি পরিচয় তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ন নয়, বরং আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বের বিষয় মনে হয়, ইসলামী তাহজীব তামুদ্দুনকে জীবিত রেখে, জাত-পাত, কালো-ধলো আর ভূখন্ডীয় সীমাবদ্ধতার উর্দ্ধে উঠে আজকের পৃথিবীর ১৫০ শো ১৭৫ শো কোটি মুসলমানের ধর্মীয় স্বকীয়তা তথা মুসলমানিত্ব রক্ষা করে বিশ্বজনীন ইসলামি ভ্রাতৃত্ববোধকে জাগিয়ে তোলার মহান কাজ আঞ্জাম দেয়াকে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে, আপনাকে সহযোগিতা করার ইচ্ছে রয়েছে।

আপাতত: নিচের লিঙ্ক থেকে বইগুলো দেখে নিতে পারেন। এতে হয়তো বিস্তারিত পাবেন না, তবু রিলেটেড কিছু বিষয় উপকারী বিবেচিত হতে পারে-
১. view this link
(বইটির ১৯৯ পৃষ্ঠা থেকে ২২৪ পৃষ্ঠা দেখুন)।

এছাড়া নিচের বইগুলোও দেখতে পারেন।
২. view this link
৩. view this link
৪. view this link
৫. view this link

অনেক ভাল থাকবেন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নতুন নকিব আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষন নাকরেই বলছি। একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম। আমার কাছে ইসলামকে এক ঝান্ডার নিচে আনাটা যেমন জরুরী মনে হয় ঠিক তেমনি মনে হয় নিজ নিজ বৈশিষ্টকে লালন করাটাও সমান জরুরী। মহান আল্লাহ্‌ দেশকে ভাল বাসতে বলেছেন, ভাষাকে ভালবাসতে বলেছেন। বিশ্ব জুরে এই যে এত ভাষা এত সংস্কৃতি এও মহান আল্লাহর এক অপূর্ব দান একে অস্বিকার করা একে ত্যাগ করাটাকেও আমি মানতে পারি না।
আর আমার এই লেখার মূল সুরটি হল কোন বিশেষ ধর্মের প্রতি অনুরাগ বশত নিজের সংস্কৃতিকে পরিত্যাগ করা সঙ্গত নয়। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ইউনিয়ন বলেছেন: আমি লেংটা ছিলাম ভাল ছিলাম, ভাল ছিল শিশু কাল..............

২২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইউনিয়ন বলেছেন: আমি লেংটা ছিলাম ভাল ছিলাম, ভাল ছিল শিশু কাল..............ভাই এহন লেংটা হইলেই আফনে লেংটা বাবা হইয়া যাইবেন। আফনের মরার পর পোঙটা বাবারা আফনের মাজার বানাইয়া অমর কইরা রাখবো। সাহস কইরা হইয়া যান !

২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন এবং ভালো লিখেছেন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

মা.হাসান বলেছেন: দেখা যাক বিখ্যাত বাংালি শরত বাবু মুসলমানদের বাংালিয়ানা সমপরকে কি বলেন---

"কি করিয়া ‘ভবঘুরে’ হইয়া পড়িলাম, সে কথা বলিতে গেলে, প্রভাত-জীবনে এ নেশায় কে মাতাইয়া দিয়াছিল, তাহার একটু পরিচয় দেওয়া আবশ্যক। তাহার নাম ইন্দ্রনাথ। আমাদের প্রথম আলাপ একটা 'ফুটবল ম্যাচে’। আজ সে বাঁচিয়া আছে কি না জানি না। কারণ বহুবৎসর পূর্বে একদিন অতি প্রত্যূষে ঘরবাড়ি, বিষয়-আশয়, আত্মীয়-স্বজন সমস্ত পরিত্যাগ করিয়া সেই যে একবস্ত্রে সে সংসার ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল, আর কখনও ফিরিয়া আসিল না। উঃ—সে দিনটা কি মনেই পড়ে!

ইস্কুলের মাঠে বাঙ্গালী ও মুসলমান ছাত্রদের ‘ফুটবল ম্যাচ্‌’। সন্ধ্যা হয়-হয়। মগ্ন হইয়া দেখিতেছি। আনন্দের সীমা নাই। হঠাৎ—ওরে বাবা—এ কি রে! চটাপট্‌ শব্দ এবং মারো শালাকে, ধরো শালাকে! কি একরকম যেন বিহ্বল হইয়া গেলাম। মিনিট দুই-তিন। ইতিমধ্যে কে যে কোথায় অন্তর্ধান হইয়া গেল, ঠাহর পাইলাম না। ঠাহর পাইলাম ভাল করিয়া তখন, যখন পিঠের উপর একটা আস্ত ছাতির বাঁট পটাশ্‌ করিয়া ভাঙ্গিল এবং আরো গোটা দুই--তিন মাথার উপর, পিঠের উপর উদ্যত দেখিলাম। পাঁচ-সাতজন মুসলমান-ছোকরা তখন আমার চারিদিকে ব্যূহ রচনা করিয়াছে—পালাইবার এতটুকু পথ নাই।"

শ্রীকান্ত (প্রথম পর্ব)
১ম পরিচ্ছেদ, ৪থ ও ৫ম প্যারা।
(কিছু যুকত অক্ষর টাইপ করতে পারিনা, এসব ভুলের জন্য দুঃখিত।)

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে পরিস্কার কিছু বোঝা গেল না।

২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫১

মিঃ আতিক বলেছেন: ভালো কোন কাওমি আলেমের কাছে !!!! কাওমি জঙ্গি বললে ভালো হত। ওয়াহাবি ,জামাতি, মুতাযিলা, সালাফি, এয়াযিদি, তালেবান, আল কায়েদা,এইএস সব তো এদের পয়দা। এর পর আবার কাওমির কাছে ইসলাম শিক্ষার জন্য যেতে হবে?

২৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আব্বা ধুতি পড়েছেন বলে তার তো কোন শ্লাঘা ছিল না!!
এটা আধুনিক সংষ্করন!!

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তার তো কোন শ্লাঘা থাকার কথাও নয়।

২৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪৪

মানবী বলেছেন: পোশাকের কোন ধর্ম নেই, ধর্মগুরু বা মৌলবী, পাদ্রী, পুরোহিত বার র‍্যাবাইদের পোষাক ছাড়া। কোন ধর্মের ব্যাখ্যানুযায়ী বিশেষ বিশেষ কোন পোশাক নিষিদ্ধ হতে পারে যেমন ইসলাম ধর্মের ব্যাখ্যানুযায়ী প্রচলিত সুইম স্যুট(নারী পুরুষ উভয়েরই) তবে ইন জেনারেল তেমন কোন ধর্মীয় বিভাজন আছে বলে নেই।

বাঙালী মুসলিম এবং বাঙালী অমুসলিমদের পোশাকের বিবর্তন অভিন্ন। পুরোটাই ঘটেছে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলায় আর স্বস্তি ও সুবিধাজনক পরিধেয়র প্রতি পক্ষপাতিত্ব থেকে। এই বিবর্তনকে ধর্মীয় বা ইসলামিক রং দেয়াটা অন্যায়। বাঙালী হিন্দু বধুরা অনেকে যেমন ধর্মীয় পরিচয় শাঁখা সিঁদুর পরিধান করেন, এতে তাঁদের বাঙালীত্ব নষ্ট হয়না তেমনি বাঙালী মুসলিম নারী ধর্মীয় চিহ্ন হিজাব বা বোরখা পরিধানে তাঁদের বাঙালীত্ব নষ্ট হয়ে যায়না।

পাকিস্তান বা ইসলামিক করার লক্ষ্যে সালোয়ার কামিজের প্রচলন হলে বাঙালী হিন্দু, খ্রীস্টানরা এসব পরিধান করতেননা। এখানে পোশাকের বিবর্তন সম্পূর্ণ বাঙালী সমাজে এসেছে, সুবিধা আর স্বস্তিকে গুরত্ব দিতে, ধর্মীয় কারনে নয়।

আমার সংস্কৃতির শিকড় উপড়ে ফেলার বিরুদ্ধে আমি আপনার সাথে সহমত তবে সালোয়ার কামিজে সেই সংস্কৃতির অবমাননা হয়না। কবিগুরু আরবদের জোব্বা পরলে যদি তা আত্ত্বীকরণ হয় তবে সালোয়ার কামিজও আত্ত্বীকরন। আমাদের সংস্কৃতি শালীন এবং রক্ষণশীল, তা হিন্দু, মুসলিম, খ্রীস্টান বৌদ্ধ নির্বিশেষে। এই শালীনতাকে উপড়ে ফেলে অশ্লীলতা বা ভালগারিটিকে আপ্যায়ণের বিরোধিতা রা যায়, তবে এই ভালাগারিটি কিন্তু পুরুষের সার্ট প্যান্ট এমনকি নারীর বোরখাতেও হতে পারে।

যারা বিধর্মীদের পোশাকের কথা বলছেন তাঁরা শাখা সিঁদুর, পৈতা বা ক্রসের কথা শুধ বলছেন না অন্যান্য পরিধেয়পোশাকের কথা বুঝাতে চাইছেন বুঝতে পারছিনা। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপালের নারীদের পোশাক যেমন ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ তেমনি আরবান্চলের নারী এবং পাশ্চাত্যের দেশগুলোর নারীদের রক্ষনশীল পোশাকগুলোও অভিন্ন।
দেশ থেকে এনে বা এখানে দেশী দোকান খুঁজে আমাদের পোশাক কিনতে হয়, আরবরা সোজা আমেরিকানদের দোকান গিয়েই নিজেদের পোশাকটা পেয়ে যায়।
তাই বলছিলাম, বিশেষ বিশেষ ধর্মীয় চিহ্ন ছাড়া পোশাকে কোন ধর্মীয় বিভাজন নেই।

আবারও ধন্যবাদ মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিশেষ বিশেষ ধর্মীয় চিহ্ন ছাড়া পোশাকে কোন ধর্মীয় বিভাজন নেই। থাকা উচিতও নয় এটাই সার কথা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন নিরন্তর।

২৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

নতুন নকিব বলেছেন:



"মিঃ আতিক বলেছেন: ভালো কোন কাওমি আলেমের কাছে !!!! কাওমি জঙ্গি বললে ভালো হত। ওয়াহাবি ,জামাতি, মুতাযিলা, সালাফি, এয়াযিদি, তালেবান, আল কায়েদা,এইএস সব তো এদের পয়দা। এর পর আবার কাওমির কাছে ইসলাম শিক্ষার জন্য যেতে হবে?''

মিঃ আতিক,
-কওমি আলেমদের তো ভালই দেখেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ভুল ভ্রান্তির উর্দ্ধে তারাও নন। আপনি হয়তো কোন কারনে তাদের বিরাগভাজন। তবু রিকোয়েস্ট রাখব, দুনিয়া বিমুখ অর্থ-বিত্তলোভী নন এমন ভালো কোন আলেম খুঁজে দেখুন। আশা করি, আপনার ধারনায় পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করবেন।

আর ভাই, ভাবুন তো একবার আপনাকে যদি কেউ 'জঙ্গি' বলে সম্মোধন করে! যদি এটা পছন্দ না করেন, তাহলে অনুরোধ করব, এই অভিধায় কাউকে ভূষিত করার পূর্বে অন্তত: একটু মাথা খাটান। কারন, এটি নিকৃষ্ট একটি গালি। আমাদের প্রত্যেকটি কথা, নিশ্বাস, পদক্ষেপ সব কিছুর রেকর্ড সংরক্ষিত হচ্ছে।

আল্লাহ পাক বলেন, 'মা ইয়ালফিজু মিন কওলিন ইল্লা লাদাইহি রকিবুন আতীদ' -অর্থ 'সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।' সূরাহ আলক্কফ, আয়াত ১৮।

কারও উপর মিথ্যা চাপিয়ে দেয়া বড় পাপের আওতায় পড়ে।


সচেতনহ্যাপী,
আপনার আব্বার ধুতি পড়ার কথা শুনে ভাল লাগল। তাদের সময়ে তারা হয়তো নানাবিধ কারনে এগুলো করতেন। কখনও নিজেদের উদারতা প্রদর্শন করে, কখনও ধুতিওয়ালাদের চাপে পড়ে, আবার কেউ হয়তো শখের বশে এগুলো করতেন। তখন অধিকাংশ মানুষ ধর্ম সম্মন্ধে এত বেশি জ্ঞানও রাখতেন না।

তখন তো আমাদের পূর্ব পুরুষদের নামের পূর্বে 'শ্রী' লেখা থাকতো। দলিল পত্র ঘেঁটে দেখুন, অনেক পাবেন। কিন্তু আজকের বাস্তবতায়, শিক্ষিত সচেতন কোন মুসলমান কি এটা চিন্তা করতে পারেন!

আমি যতটুকু জানি, আপনি তো অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি। তবু দয়া করে নিচের লিঙ্ক থেকে জাস্টিস তকী উসমানীর বইটি এক নজর যদি দেখে নেন। পৃষ্ঠা ১৯৯ থেকে ২২৪ দেখলেই আশা করি, এ বিষয়ে আপনার এই বিষয়ক ইসলামী জ্ঞানে পূর্নতা আনয়নে সহায়ক হবে।

শুভেচ্ছা সালাম আবারও মিঃ আতিক এবং সচেতনহ্যাপীকে।

২৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত সচেতনহ্যাপী,
বইটির লিঙ্কটি যুক্ত হয় নি। আবার যুক্ত করে দিচ্ছি।
view this link

ভাল থাকবেন।

৩০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @মিঃ আতিক।আপনারে কে যাইতে কইছে ? আফনের জইন্য তো বাল কায়দা জেএমবি, আল্লামা গুগল, মুফতি ফেসবুক আছেই।এছাড়াও বস্তাবাবা দেওয়ানবগি, সস্তাবাবা রাজারবাগী , মাইজভাণ্ডারী, অথবা লেংটা বাবা ইউনিয়নের কাছেও যাইতে পারেন ! তাও যদি না পারেন তাইলে আটরশি থেইকা একখান রশি নিয়া ডান্ডায় বাইন্দা বুড়িগঙ্গায় ডুব দেন ! খিকজ ! :P :D =p~

৩১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ...... এক পোষাক নিয়ে কি টানা-হেঁচড়া চলছে!!

এত বছর গেল তবুও সমাধান এলো না।

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটা ভাল বলেছেন!

৩২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

মিঃ আতিক বলেছেন: @ Tarzan00007. আপনার মন্তব্যের ভাষা দেখলে বোঝা যায় আপনি আল কায়েদা না বাল কায়েদার সমর্থক। আপনি কাওমির ভক্ত, আপনার উগ্রবাদি মন্তব্য থেকে আপনার আর আপনার গুরু কাওমি আলেমদের চরিত্র ও শিক্ষার কিছু ধারনা পাওয়া যায়। বুরিগঙ্গায় সব উগ্রবাদি ভণ্ড গুলারে ডুবানো হবে।

৩৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



বুড়িগঙ্গা স্নান শুরু হয়ে গেল দেখছি! মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন কোথায় গেলেন, ভাই!

@মিঃ আতিক এবং Tarzan00007,
দু'জনকেই বিনীত অনুরোধ করছি, ভাই যে যাই করি না কেন, দুনিয়া থাকার জায়গা নয়। সুতরাং ভুল বুঝাবুঝি নয়, আসুন আমরা পরস্পর একে অপরকে ভালবাসা-দয়া-মায়া-মমতাবোধ দিয়ে আগলে রাখি। আমরা আরও উদার-প্রানখোলা আচরনে অভ্যস্ত হই। কাউকে কষ্ট দিয়ে নয়, আন্তরিকতায় বরন করি।

কবির ভাষায় বলতে হয়-

প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়ে ঘরে।

শুভেচ্ছা সকলের জন্য।

৩৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নতুন নকিব ডাল ভাতের ব্যবস্থাও তো করতে হয় ভাই!
অবস্থাটা এমন দারিয়েছে যে আলোচনাটা আর মুল জায়গায় থাকছে না। যারা অংশ নিয়েছেন সকলের প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুক পাঠক আলোচক, সমালোচক সকলেই।

৩৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রত্যুত্তরে ধন্যবাদ, মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন। আপনি কাছেই আছেন তাহলে!

আপনিও দয়া করে নিচের লিঙ্ক থেকে জাস্টিস তকী উসমানীর বইটির পৃষ্ঠা ১৯৯ থেকে ২২৪ দেখলেই আশা করি এ বিষয়ে ইসলামী শরীয়ার বক্তব্য কিছুটা হলেও জ্ঞাত হতে পারবেন।

view this link

ভাল থাকবেন, ভাই।

৩৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ মিঃ আতিক। ইট মারলে পাটকেলটাতো খেতেই হবে ভাইজান ! আর আমি পাটকেল মারলে জোরেই মারি। ফালতু কথা কইবেন , আর চটকান দিলে কেউ কেউ কইরা ব্লগ মাতাইবেন , বাহ্ !

৩৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



@ মিঃ আতিক এবং Tarzan00007,

দয়া করে আসুন তো ঘটনা পর্যায়ক্রমটা একটু পেছন থেকে আবার দেখে আসি।

ঘটনার শুরু যেখানে,
এটা Tarzan00007 এর সেই (আপনার দৃষ্টিতে আপত্তিকর) কমেন্টটি, যাতে ছিল কওমি আলেমের কাছে যাওয়ার পরামর্শ।
অবশ্য এই কমেন্টের কোথাও আপনাকে কিংবা অন্য কোন ব্লগারকে বিশেষ কিছু বলতে দেখি নি। এটা ছিল আমাদের দৃষ্টিতে কমন পরামর্শ। কেউ ইচ্ছে করলে এ পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন, কিংবা নাও পারেন।

Tarzan00007 এর কমেন্ট-
##১৭. ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১ ০
Tarzan00007 বলেছেন: সারছে ! আপনিতো মুফাচ্ছির হয়া গেলেন দেখছি ! ইসলামের নির্দেশনা শুধুই কোরান থেকে আসে নাই জনাব। কোরান, হাদিস , ইজমা , কিয়াস থেকে এসেছে। কোনো বিষয়ের কিঞ্চিৎ জানিয়া, পুরোটা না জানিয়া সিদ্ধান্তে আসা অন্ধের হাতি দেখার মতন হইলো না ! আবারো অনুরোধ ভালো কোনো কওমি আলেমের কাছে গিয়া পুরোপুরি শুনিলে ভালো হয়। নাহলে মানুষের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে যার দায়ভার আপনার উপরও বর্তাবে বৈকি ! ভালো থাকবেন।##

মিঃ আতিক এর কমেন্ট-
২৫. ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫১ ০
##মিঃ আতিক বলেছেন: ভালো কোন কাওমি আলেমের কাছে !!!! কাওমি জঙ্গি বললে ভালো হত। ওয়াহাবি ,জামাতি, মুতাযিলা, সালাফি, এয়াযিদি, তালেবান, আল কায়েদা,এইএস সব তো এদের পয়দা। এর পর আবার কাওমির কাছে ইসলাম শিক্ষার জন্য যেতে হবে?##

পরিবেশ ঘোলাটে হল উপরের এই কমেন্টটির কারনে
মিঃ আতিক, লক্ষ্য করুন তো, আপনার কমেন্টে আপনি বিশ্রীভাবে কী সব ময়লা আবর্জনা উগড়ে দিলেন! জঙ্গি, ওয়াহাবি, জামাতি, মুতাযিলা, সালাফি, এয়াযিদি, তালেবান, আল কায়েদা, আইএস এইগুলো যে কওমি আলেমদের মাধ্যমেই তৈরি হয় আপনি প্রমান করে দেখাতে পারবেন? আপনি 'কওমি' না বলে 'জঙ্গি' বললে খুশি হন!!! আপনি কি এটা জানেন, যিনি অন্যকে কথায় কথায় জঙ্গি বলেন, আর না হলেও এক ধরনের মনোবৈকল্য, মানসিক জঙ্গিবাদে তিনি নিশ্চয়ই আক্রান্ত!!!

ভাই, আমাদের মানসিক পীড়াগুলোরও ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। হিংসা, বিদ্ধেষ, অহংকার, পরশ্রীকাতরতা এগুলো কোন জাতিকে ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। আসুন আমরা একে অপরের ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে অভ্যস্ত হই।

সের এর উপর সোয়া সের-
##৩০. ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩১ ০
Tarzan00007 বলেছেন: @মিঃ আতিক।আপনারে কে যাইতে কইছে ? আফনের জইন্য তো বাল কায়দা জেএমবি, আল্লামা গুগল, মুফতি ফেসবুক আছেই।এছাড়াও বস্তাবাবা দেওয়ানবগি, সস্তাবাবা রাজারবাগী , মাইজভাণ্ডারী, অথবা লেংটা বাবা ইউনিয়নের কাছেও যাইতে পারেন ! তাও যদি না পারেন তাইলে আটরশি থেইকা একখান রশি নিয়া ডান্ডায় বাইন্দা বুড়িগঙ্গায় ডুব দেন ! খিকজ ! :P :D =p~##

আমাদের কথা-
Tarzan00007,
ভাই, বাঁদুর বা এই জাতীয় পাখির উড়ন্ত অবস্থায় ছেড়ে দেয়া তরল পায়খানা দেখেছেন কখনও? নিচে কে আছে তার কোন চিন্তা নেই। মনের সুখে দায়হীনভাবে উড়ন্ত পাখি যেমন তার কাজ সমাধা করে দেয়; আমাদের কথাগুলোও কি সেইরকম দায়সারা গোছের ছুঁড়ে মারা কিছু হওয়াটা ঠিক? আপনি তো অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি। শব্দ চয়ন, ভাষাগত সৌকর্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরেকটু সতর্কতা আপনার থেকে আমরা কি আশা করতে পারি না?

মিঃ আতিক কষ্ট পেলেন
##৩২. ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১২ ০
মিঃ আতিক বলেছেন: @ Tarzan00007. আপনার মন্তব্যের ভাষা দেখলে বোঝা যায় আপনি আল কায়েদা না বাল কায়েদার সমর্থক। আপনি কাওমির ভক্ত, আপনার উগ্রবাদি মন্তব্য থেকে আপনার আর আপনার গুরু কাওমি আলেমদের চরিত্র ও শিক্ষার কিছু ধারনা পাওয়া যায়। বুরিগঙ্গায় সব উগ্রবাদি ভণ্ড গুলারে ডুবানো হবে।##

আমাদের কথা-
আতিক ভাই, এদের তো জঙ্গি আপনি আগেই (আপনার ২৫ নং কমেন্ট) বানিয়ে রেখেছেন! এখন তাহলে কষ্ট পাচ্ছেন কেন?

বরফ গলছে মনে হয়
##৩৬. ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮ ০
Tarzan00007 বলেছেন: @ মিঃ আতিক। ইট মারলে পাটকেলটাতো খেতেই হবে ভাইজান ! আর আমি পাটকেল মারলে জোরেই মারি। ফালতু কথা কইবেন , আর চটকান দিলে কেউ কেউ কইরা ব্লগ মাতাইবেন , বাহ্ !##

আমাদের কথা
ইট পাটকেল ছেড়ে দিন। অাসুন, আমরা সবাই মিলে সুখী সমৃদ্ধ এক শান্তিময় পৃথিবী গড়তে এগিয়ে যাই। আমার কথায় কষ্ট নিয়ে থাকলে, দু'জনের নিকট ক্ষমাপ্রার্থী। সকলের জন্য সুন্দর দিনের প্রত্যাশা।

৩৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

গরল বলেছেন: ভাই শুধু পোষাক কেন, নামও তো পরিবর্তন করে ফেলেছে। নিজেদের নাম ফেলে দিয়ে আরবী নাম রেখেছে। আরবী নাম কি মুসলমানদের নাম নির্দেশ করে? কিন্তু এই নামতো আরবের ইহুদী নাছারাও ব্যাভার করে। মুসলমান হওয়ার পর কি আরবের ইহুদী নাছারা রা কি নাম পরিবর্তন করেছিল?

৩৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

গরল বলেছেন: মুসলমান হওয়ার আগে আরবের লোকেরা কি পোষাক পড়ত, ওগুলো তো তাহলে ইহুদী নাছারাদের পোষাক। বিধর্মীদের পোষাক যদি ত্যাগ করতে বলা হ্য়ে থাকে তাহলে নবিজী বা তার ছাহাবীরা কেন সেই পোষাক ত্যাগ করল না। এখনও তো আরবের ইহুদী ও মুসলিমরা একই পোষাক পড়ে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একদমই তাই গড়ল আপনাকে ধন্যবাদ।

৪০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



গড়ল,
ধন্যবাদ মন্তব্যে আসায়। কোন কিছু বলার অধিকার অবশ্যই যে কারও রয়েছে। তবে, আমার মনে হয়- কোন কিছু বলার ক্ষেত্রে হঠাত করে না বলে আগে জানার চেষ্টা করা উচিৎ, তারপরে যা কিছু জেনেছেন তার সঠিকতা যাচাই করা উচিৎ, তারপরে আবার ভাবা উচিৎ, আবার ভাবা উচিৎ, আবার ভাবা উচিৎ; সংগত মনে হলে এরপরেই কেবল তা প্রকাশে আসা যায়।

যে বিষয়ে আপনি কথা বলেছেন, তার উপরে আপনার কি কোন স্টাডি আছে? না কি যা শুনে এসেছেন তাকেই অথেন্টিক ধরে নিয়েছেন?

ধর্মীয় কোন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে কথা বলতে তো ধর্মীয় বিষয়ে পান্ডিত্য রয়েছে এমন কাউকেই মানায়, তাই নয় কি?

আপনাকে এ ব্যাপারে আরও জেনে নেয়ার অনুরোধ করছি। ইচ্ছে করলে নিচের লিঙ্ক থেকে জাস্টিস তকী উসমানীর বইটির পৃষ্ঠা ১৯৯ থেকে ২২৪ দেখে নিতে পারেন। আশা করি, আপনার ভাল লাগবে।

view this link

ভাল থাকবেন।

৪১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইসলামী শরীয়ত যুক্তির বিপরীত না , যুক্তির ঊর্ধে ! জি , ভালো করে বুঝতে হবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসাল্লাম ও সাহাবা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা যে পোশাক পড়েছেন এবং যে পোশাকের অনুমোদন করেছেন সেই পোসাকই পড়তে হবে। আগে কারা পড়তো , বা পরে কারা কি পরে এগুলোর সাথে ইসলামের পোশাক কোডের কোনো সম্পর্ক নেই। আর বিজাতীয়দের অনুসরণ আরেকটা ভিন্ন সমস্যা। ইসলামের কোনো বিধানের সাথে যদি বিজাতীয় কোনো বিধান মিলে যায় তাহলেতো কিছু করার নেই। তবে অন্য জাতির অনুসরণে জাতিগত ধর্মীয় চিহ্ন অবলম্বনে নিষেধাজ্ঞা আছে। যেমন: টাই, ক্রস চিহ্ন , টিকি , পৈতা ইত্যাদি। অন্নান্য পোশাক যা অন্য জাতির ধর্মীয় পোশাক নয় , তবে জাতিগত পোশাক তাও অবলম্বন অপছন্দনীয়। ইসলামের বিধান জেনেও মন মানে না তাই পড়া এক কথা আর বিধানকেই ইনিয়ে বিনিয়ে নাকচ করে দিয়ে নতুন বিধান আবিষ্কারের চেষ্টা করা এক কথা নয়। কথা হলো মেনে নেওয়ার মানসিকতাটা আছে কিনা। আমাদের বড়োরা রসিকতা করেন , আমাদের এখন তিন হাত , বাম হাত, ডান হাত আর অজুহাত। তো মন যদি মানতে না চায় তাহলেই অজুহাত খোঁজে , চিপা ফতোয়া বের করার চেষ্টা দেখা যায় , নিজেকে ইসলামের অনুগামী না বানিয়ে ইসলামকেই নিজের অনুগামী অর্থাৎ নিজের মনমতো বানানোর প্রচেষ্টা দেখা যায়। ঈমানের দাবি হলো শরীয়তের প্রমাণিত বিধান বিনা দ্বিধায় মানতে হবে। প্রশ্ন থাকলে ভালো আলেমের কাছে গিয়ে জানতে হবে(ভালো কওমি আলেম হলে ভালো হয় , ফেসবুক মুফতি বা আল্লামা গুগল , টিভি তক্তা বা পাংকু মওলানা না )। সমাধান পাবেন আশা করা যায়।

৪২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

ইউনিয়ন বলেছেন: আমাকে নিয়ে অহেতুক টানা হেচড়া করা হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই।

৪৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইউনিয়ন ভাই , মাফ চাই !

৪৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

ওমেরা বলেছেন: পোষ্ট আর কমেন্ট পড়ে অনেক কিছু জানা হল ধন্যবাদ ।

৪৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



পরিশেষে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, মোঃ গালিব মেহেদী খাঁনকে।

আসলে ডিসকাশন না হলে আসল সত্যটা বেরিয়ে আসে না। Tarzan00007 এর ৪১ নং কমেন্টে ইসলামী ড্রেস কোডের কিছু বিষয় চমকপ্রদভাবে উঠে এসেছে। যেমন তিনি বলেছেন- "আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসাল্লাম ও সাহাবা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা যে পোশাক পড়েছেন এবং যে পোশাকের অনুমোদন করেছেন সেই পোসাকই পড়তে হবে। আগে কারা পড়তো , বা পরে কারা কি পরে এগুলোর সাথে ইসলামের পোশাক কোডের কোনো সম্পর্ক নেই। আর বিজাতীয়দের অনুসরণ আরেকটা ভিন্ন সমস্যা। ইসলামের কোনো বিধানের সাথে যদি বিজাতীয় কোনো বিধান মিলে যায় তাহলেতো কিছু করার নেই। তবে অন্য জাতির অনুসরণে জাতিগত ধর্মীয় চিহ্ন অবলম্বনে নিষেধাজ্ঞা আছে। যেমন: টাই, ক্রস চিহ্ন , টিকি , পৈতা ইত্যাদি।"

এখানে যারা এই ডিসকাশনগুলোতে অংশ নিয়েছেন, আমার পক্ষ থেকে প্রত্যেককে তাদের মূল্যবান সময় দেয়ায় ধন্যবাদের সাথে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পক্ষে বিপক্ষে বলতে গিয়ে আমার কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সকলের অনাবিল সুখ সমৃদ্ধি এবং সুন্দর আগামী কামনা করছি। দুনিয়া আখিরাত উভয় জগতের কল্যান লাভ হয়, আমাদের সকলকে আল্লাহ পাক সেই পরিমান জ্ঞান দান করুন এবং যথাযথ পরিমান নেক আমল সুন্নত তরিকায় করার তাওফীক দান করুন। পরিশেষে আল্লাহ পাক এর নির্দেশ মোতাবেক তাঁর প্রিয় হাবীব রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসাল্লাম এর দেখানো পথে আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে পারি, তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করে জান্নাতের অন্তহীন জীবনের উপযুক্ত করে আমাদের গড়ে তুলতে পারি- আল্লাহ পাক আমাদের প্রত্যেককে সেই যোগ্যতা দান করুন। আমীন।

৪৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

গরল বলেছেন: @নতুন নকিব

আপনার লিংকে দেওয়া বইটি পড়লাম, সেখানে সতর ঢাকার কথাই মূলত বলা হয়েছে, প্যান্ট, পাজামা বা জোব্বা পড়ব কিনা কিছু উল্যেখ নাই। তার মানে তো হল এই যে শালীনতা রক্ষা করাই হচ্ছে মূল কথা, পোষাকের ডিজাইন কোন সমস্যা না। তাহলে মোল্লারা কোন যুক্তিতে কাবুলী ড্রেস বা লম্বা পাঞ্জাবী পড়ে কেন? আর একটা জিনিষ দেখলাম যে ওখানে অর্ন্তবাস বা আন্ডার গার্মেন্টস এর কথা বাদ দিলাম জুতা নিয়েও কিছু বলা নাই। জুতা কি তাহলে পোষাকের মধ্যে পড়ে না। বা জুতা ইচ্ছামত পড়লেই হয়।

৪৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



@গড়ল,
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে বইটি পড়ার জন্য।
অনুরোধ থাকল, আবারও ভাল করে পড়ে দেখার। বিশেষ করে এই বইতে কুরআনের আয়াতের আলোকে 'পোশাকের চারটি মূলনীতি' মনযোগ দিয়ে দেখুন, আশা করা যায়- আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাবেন।

তারপরেও প্রশ্ন থেকে গেলে দয়া করে আবার জানালে খুশি হব।

ভাল থাকবেন।

৪৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ গাড়োল! ওযুর ফরজ, সুন্নত , ওয়াজিব পড়া আর ওযু প্রাক্টিক্যালি দেখার পার্থক্য আছে। তেমনি পোশাকের নিয়ম বইতে পড়া আর প্রাক্টিক্যালি দেখায় পার্থক্য আছে।এই জন্যই ভালো কওমি আলেমের কাছে যাইতে বলা হইছে।তাছাড়া সতর ঢাকা ফরজ , আর লম্বা ঢিলা ঢালা জামা পড়া সুন্নত।ফরজ তো বিধর্মীরাও পালন করে , মুসলমানের জন্য অত্যাবশ্যকীয়ও বটে। কিন্তু হেদায়েত হলো সুন্নত পালনের মধ্যে যাহা ছাগু, মুফতি ফেসবুক, আল্লামা গুগল, সালাফি, মাজারি , পাঙ্কু মৌলানাদের জন্য অনুসরণ করা "বুকটা ফাইট্টা যায়" অবস্থা হইয়া দাঁড়ায় ! একদল আছে যাহারা গোনাহ জেনেও সুন্নত অনুসরণ করতে পারে না, কিন্তু সুন্নতকে অস্বীকার করে না , এরা গোনাহগার হইলেও আল্লাহ হয়তো একদিন মাফ করবেন ! কিন্তু ছাগু, মুফতি ফেসবুক, আল্লামা গুগল, সালাফি, মাজারি , পাঙ্কু মৌলানা যাহারা ইনিয়ে বিনিয়ে " সুন্নত না মানলেও ক্ষতি নাই, আরবে গরম ছিল তাই লম্বা পোশাক পড়তো, টেলিভিশন বোরখা (তিন দিক ঢাকা একদিক খোলা) পড়িলেই হইবে , হাত পা , মুখ ঢাকিতে হইবে না, অমুকে টাই পড়ছে তাই টাই জায়েজ, মোল্লারা বেশি বাড়াবাড়ি করে যুগের সাথে তাল মিলাইতে হইবো না , মানুষ এহন মঙ্গল গ্রহে বাড়ি বানাইতেছে আর মোল্লারা আছে পোশাক নিয়ে, গরমে জান যায় আর বোরখা নিয়ে টানাটানি, ইসলামিক ফ্যাশন শো করলে ক্ষতি নাই , বুর্কিনীও ইসলামী পোশাক, রেপিং পেপার দিয়া মোড়ানোর মতন সেক্সি বোরখা পড়লেও পর্দা হইবো , মোল্লারা পর্দা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে , এক আধটু ইয়ে... ওই ইসলামিক প্রেম আরকি , করলেও প্রব্লেম নাই, ইসলামী পোশাক নহে পাকিস্তানী পোশাক, পাকিস্তানী সংষ্কৃতি, পাকি মনোভাবের কারণেই পাঞ্জাবি -বোরখা বাড়তেছে, বাঙালি সংস্কৃতি শ্মশানে যাইতেছে, পোশাকের ব্যাপারে ইসলামে কুনু নির্দেশনা নাই, ব্লা ব্লা ব্লা " কইতাছে তাহাদের আল্লাহ তায়ালার হাতে ছাইড়া দেওয়াই উত্তম হইবে।

আশা করি আফনে ইহাদের মইধ্যে নহে , ভাইডি !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.