নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
ঘৃণা, হ্যাঁ একমাত্র ঘৃণাই পারে জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে। সে ঘৃণা উঠে আসতে হবে সমাজের সর্ব নিন্ম স্তর থেকে আর পৌঁছুতে হবে সর্বচ্চ শেখরে। সমাজের পড়তে পড়তে এই ঘৃণা জন্মাতে হবে বিপুল আক্রোশে। তবেই সম্ভব জঙ্গিবাদকে নির্মূল করা।
প্রশ্ন হল সত্যিই কি আমরা জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করি? মুখে যে যাই বলুক জঙ্গিবাদ নিয়ে দ্বিধান্বিত মানুষের সংখ্যাটা কিন্তু এ দেশে একেবারে কম নয়। এ দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ জঙ্গিবাদ বিষয়ে হয় দ্বিধান্বিত নয়ত একে প্রচ্ছন্নভাবে সমর্থন করে। আর সে কারণেই আজ এতদিন পরে এসে একটি সংগঠন নামকাওয়াস্তে এর বিরুদ্ধে বিবৃতি প্রদান করে দায় সারতে চাইছে।
আমরা জানি সমাজে প্রতিটি স্তরে কারা ক্রমাগত জাতিগত বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বরং তাদের দাবি পূরণ করে যাচ্ছে। একদিকে জঙ্গিবাদের মানসিকতা তৈরি করবেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন না অন্যদিকে জঙ্গিবাদ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিবেন এটা তো কোন কাজের কথা হল না।
আমরা তো দেখছি না সর্বস্তরের মানুষকে জঙ্গিবাদ বিরোধী স্লোগান নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে আসতে। আমরা তো দেখছি না এদেশের আলেম সম্প্রদায় জঙ্গিবাদ বিরোধী কোন সমাবেশ করছে।
আমরা এও দেখছি না কোন একটি রাজনৈতিক দল শুধুমাত্র জঙ্গিবাদকে ইস্যু করে একটি মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
তাহলে কি ধরে নেব যারা জঙ্গিবাদ বিরোধী কথা বলছেন তারা আসলে একটা প্রতারণামূলক অবস্থান বেছে নিয়েছেন।
অত্যন্ত জনবহুল স্বল্প আয়তনের একটি দেশ বাংলাদেশ। এরই মধ্যে এই জঙ্গিরা বেড়ে উঠছে, প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, একটির পর একটি অঘটন ঘটাচ্ছে। এটা কি করে সম্ভব যদি এ দেশের মানুষ সত্যিই জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করত?
বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি যাদের কাছে জঙ্গিবাদ নয় তথাকথিত গণতন্ত্রই এদেশের প্রধান সমস্যা। তারা এই স্বাধীনতা দিবসেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ নেন জঙ্গিবাদ নির্মূলের নয়।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নেয়া জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রতিটি অভিযানের বিএনপির পক্ষ থেকে যে সন্দেহ প্রদর্শন করা হয় সেটি কার স্বার্থ রক্ষা করছে?
আমাদের সামনে জ্বলন্ত প্রমাণ আফগানিস্তান আমরা কি সেখান থেকে কিছু শিখতে পেরেছি?
জঙ্গিবাদ এমনই এক সমস্যা যার থেকে বেড়িয়ে আসতে হলে সমগ্র জাতিকে একাট্টা হতে হবে। এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কাজেই সহসা যে এর থেকে মুক্তি মিলবে সেটা ভাবার কোন কারণ নেই।
এ জাতীও হয়ত একদিন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একাট্টা হবে তবে তা যেন চূড়ান্ত সর্বনাশ ঘটে যাওয়ার পরে না হয়।
[email protected]
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তাই যদি হবে তাহলে ধনিক শ্রেনীর ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া ছাত্ররা আত্মঘাতী হত না।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
"BEELZEBUB বলেছেন: আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী আর সরকার দলীয় ক্যাডাররা সাধরণ মানুষের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে, দফায় দফায় বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম বাড়িয়ে সরকার স্বল্প আয়ের মানুষদের বিপাকে ফেলছে, পাব্লিক ভার্সিটি থেকে পাশ করেও ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না, মদ গাজা ট্যাবলেট সহজলভ্য হয়ে গেছে ...
সামাজিক সমস্যাগুলি দূর হলে জংগিবাদ আপনাআপনি বিলুপ্ত হবে।"
---@BEELZEBUB,
অনেক ধন্যবাদ, যুঁতসই একটি কথায় সুন্দর বিশ্লেষনের জন্য। সহমত। ঘূনে ধরা এ সমাজের দিকে তাকালে এরকম হয়তো আরও অসংখ্য অসঙ্গতি চোখে আঙু্ল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া যায়, যেগুলোকে জঙ্গিবাদের কারন হিসেবে চিহ্নিত করা যৌক্তিক।
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন,
ভাই, ঘৃনা দিয়ে নয়, আমাদের ধারনা, সত্যিকারের মানবিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা, ইসলামের অমিয় অনুকরনীয় অনুসরনযোগ্য শ্বাশত আদর্শের চর্চা আর উত্তম চরিত্রের মানুষ বিনির্মানের মাধ্যমেই হয়তো একটি সুখী সুন্দর সমৃদ্ধ হাস্যোজ্জ্বল পৃথিবীর দেখা মিলতে পারে আবারও। যেমন আশার প্রতিফলন আমরা প্রত্যক্ষ করি, জর্জ বার্নাড শ' -এর মত বিদগ্ধ ব্যক্তির বক্তব্যে। যখন তিনি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহান চরিত্র এবং ব্যক্তিত্ব নিয়ে কথা বলেন।
আর ধনিক শ্রেনির ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া ছাত্ররা আত্মঘাতী হওয়ার পেছনেও বোধ হয়, ঐ একই কারনকে দায়ী করা যায়। আর্থ-সামাজিক ব্যাপক বৈষম্য, দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-স্বপ্নপ্রীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত হওয়া আর ধর্মীয় শিক্ষা থেকে জাতির বৃহত্তম অংশকে কৌশলে দূরে সরিয়ে রাখার প্রবনতা। যারা শৈশব-কৈশোরে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। মগজ ধোলাই করে পরবর্তীতে তাদের ভেতরে 'মানুষ খুন করে জান্নাতে গমনের যে জঘন্য ও পাশবিক চেতনা' ঢুকিয়ে দেয়া হয়ে থাকে তার সাথে ধর্মের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।
জঙ্গিপনার জঘন্য কদর্যতা এ জাতিকে আল্লাহ পাক অনুধাবনের প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা প্রদান করুন এবং এগুলোর অনিষ্ট থেকে আমাদের সকলকে বেঁচে থেকে ঈমান ও আমলের উপর বহাল থাকার তাওফিক দান করুন।
সুন্দর পোস্টে ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ২১) অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা,
২২) আপনি তাদের শাসক নন,
২৩) কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও কাফের হয়ে যায়,
২৪) আল্লাহ তাকে মহা আযাব দেবেন।
২৫) নিশ্চয় তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট,
২৬) অতঃপর তাদের হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্ব।
সুরাঃ আল গাসিয়াহ আয়াত ২১ থেকে ২৬
খুব বেশি উদাহরনের প্রয়োজন নেই মহান আল্লাহর উপরোক্ত বানীই তো পরিস্কার করে দেয় জঙ্গিবাদ কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। এমন কি জোর জবরদস্তীও নয়। আমার প্রশ্ন হল মহান আল্লাহর এই বানী নিয়ে আমাদের দেশের আলেম ওলামারা কতটা সাধারনের কাছে পৌঁছেছেন?
এই অমিয় বানীর উপর ভিত্তি করে কতজন মুসলমান জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন?
হন নি। কেন হন নি সেতাই প্রশ্ন। যে সব রাজনৈতিক দল গুলো ইসলামিক মনভাবাপন্ন বলে নিজেদের জাহির করেন তারা কেন আজ পর্যন্ত জঙ্গিবাদের বিপক্ষে জনগনকে একত্রিত করার চেষ্টা করছেন না?
বিএনপি যেমন বলছে সরকার জঙ্গিবাদকে সামনে নিয়ে এসে তাদের অপকর্ম ঢাকতে চায় ঠিক তেমনি আওয়ামিলিগ বলছে সরকারকে উৎখাতের স্বার্থে বিএনপি জঙ্গিবাদের পৃষ্ট পোষকতা দান করছে। যদি তাদের অভিযোগগুলো আমলে নেই তাহলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় দেশের স্বার্থ কেউ দেখছে না।
বিষয়টা তা নয় দুই পক্ষ ঠিক বলছে না যে কোন এক পক্ষ ঠিক বলছেন কাজেই সঠিক তথ্যটা জনসাধারনকেই খুঁজে নিতে হবে। সচেতনতা আর প্রজ্ঞা দিয়ে। আমরা মনে করি সবার আগে দেশ তারপরে রাজনৈতিক দল তারপরে গণতন্ত্র । আমরা ইরাকের মত সিরিয়ার মত আফগানিস্থানের মত গণতন্ত্র চাই না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী আর সরকার দলীয় ক্যাডাররা সাধরণ মানুষের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে, দফায় দফায় বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম বাড়িয়ে সরকার স্বল্প আয়ের মানুষদের বিপাকে ফেলছে, পাব্লিক ভার্সিটি থেকে পাশ করেও ছেলেমেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না, মদ গাজা ট্যাবলেট সহজলভ্য হয়ে গেছে ...
সামাজিক সমস্যাগুলি দূর হলে জংগিবাদ আপনাআপনি বিলুপ্ত হবে।