নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বর্ণ চোরাচালানের দায় কার?

১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:১১



বিচার তো শুল্ক গোয়েন্দা এনবিআর সহ এখন যেসব সংস্থা খুব কর্মচঞ্চল দেখাচ্ছে তাদেরও হওয়া উচিৎ। কেন তাঁরা এতদিন আপন জুয়েলার্সের বিষয়ে চুপ করে ছিলেন? পত্রিকা মারফত আমরা তো জানি স্বাধীনতার পর থেকে এক তোলা স্বর্ণও এ দেশে আমদানি হয় নি। হবেই বা কি করে, আজ অবধি তো স্বর্ণ আমদানির কোন নীতিমালাই করা হয় নি।
আজ শুধুমাত্র আপন জুয়েলার্সের বিষয়েই বা তদন্ত হচ্ছে কেন? অন্য জুয়েলার্সের মালিকদের কি স্বর্ণের খনি আছে নাকি?
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অবৈধ স্বর্ণ থাকার চেয়ে প্রতিদিন দুই লক্ষ টাকা হাত খরচের তথ্যটাই আপন জুয়েলার্সকে বেশি বেকায়দায় ফেলেছে।
না হলে কেন সকল জুয়েলার্সে একই সাথে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না? প্রসঙ্গত সাফাত যে সব বন্ধু বান্ধবের তথ্য দিয়েছে তা শুনে নাকি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিস্মিত। তা তাঁরা হতেই পারেন কিন্তু একই সাথে এটাও বলা হচ্ছে যে তাদের নাম পরিচয় জেনে তাঁরা নাকি বিব্রতও!
প্রশ্ন হল অপরাধীর বিবরণ জেনে যদি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহীনি বিব্রত বোধ করেন তাহলে তাদের বিচারের আওতায় আনবে কে?
যদি সত্যি তাঁরা অপরাধী হয় তাদের বিষয়ে প্রশাসন কতটা খোজ খবর নিচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় আনার প্রয়োজন আছে কিনা সেটা ও তো বিবেচনার বিষয়। অপরাধ রুখতে অপরাধীর শাস্তির পাশাপাশি প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থাও জরুরী।

মূল প্রসঙ্গে আসি; দেখুন কি অদ্ভুত কাজ কারবার! স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা নেই।
চলছে জমজমাট স্বর্ণের ব্যবসা। পাঠক এ দেশে যে স্বর্ণের খনি নেই সেটা নিশ্চয়ই আমরা সবাই জানি। তাহলে এত স্বর্ণ আসছে কোথা থেকে? স্বর্ণের দোকানে গেলে আবার দুই রকম স্বর্ণ পাবেন যার একটিকে অর্থাৎ দেশের মধ্যে পুরাতন ব্যবহৃত স্বর্ণকে বলা হয় সনাতন। যার বাজার মূল্য বিদেশী স্বর্ণের থেকে অনেক কম আরেকটি হল বিদেশী অর্থাৎ ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট স্বর্ণ। এই স্বর্ণই মূলত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ঘোষিত মূল্যে বিক্রি করা হয়। প্রশ্ন হল এত এত স্বর্ণের উৎস সম্পর্কে কেউ কখনো কেন প্রশ্ন তোলে নি। সরকার স্বর্ণ ক্রয়ের খবর না নিয়ে এতদিন ধরে শুধু বিক্রয়ের উপর কর আদায় করে কি স্বর্ণ চোরাচালানকেই উৎসাহ দিচ্ছে না?
আর এভাবেই অন্ধকারে আসা স্বর্ণই দেশের দশ হাজারের বেশি স্বর্ণের দোকানে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা মূল্যে কেনা বেচা হয়। তাহলে স্বর্ণ চোরাচালানের আসল দায়টা কার? কেন সরকার নিজেই বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানি করে দেশীয় বাজারে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে না?
কেন স্বর্ণ শিল্পীদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত স্বর্ণালঙ্কার রফতানিকে সহজতর করছে না? একটি টেলিভিশন টক শো'তে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সহ-সভাপতি এনামুল হক শামীমের দেয়া তথ্য মতে স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষাধিক সুদক্ষ কারিগর ভারতে চলে গেছেন শুধুমাত্র কাজের অভাবে। এদের সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ থেকে এখন ৩০হাজারে নেমে এসেছে। অথচ এদের ব্যবহার করে বাংলাদেশও স্বর্ণালঙ্কার রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করতে পারত। কেবল জটিলতা সৃষ্টি করেই এই রফতানি খাতটিকে দাড়াতে দেয়া হয়নি, কেন?
এভাবে আমদানি নিতি না করা এবং জটিল রপ্তানি নীতি বলবত রেখে সরকারই যে চোরকে চুরি করতে বলছে আর এনবিআরকে বলছে প্রয়োজনে সজাগ হতে! তার কারনটা কি? আমাদের মহামান্য আদালত কি এই সব সংস্থা তথা রাষ্ট্রের কাছে এর জবাব চাইবেন?

[email protected]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: প্রতিদিন এয়ারপোর্ট দিয়ে চোরাচালানকৃত যে ছিঁটেফোটা স্বর্ণ ধরা পড়ে তার কিয়দংশ জমা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে। এগুলো আবার নিলামের মাধ্যমে চোরাদের কাছেই যায়। আর যেগুলো ধরা পড়ে না সেগুলোই দিলদারীয় সোনা।

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সরকার চাইলেই এর পরিবর্তন সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.