নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
ধর্ষণে ধর্ষিতা কি হারায়? আপনারা বলছেন সব হারায়। সবটা কি? একজন নারীর সম্মান অথবা আপনাদের কথা অনুযায়ী প্রাণ ভোমরাই যেন তার সতীত! মেনে নিলাম সতীত্বই একজন মানুষের প্রাণ ভোমরা তাহলে সেটা যে জোর করল তারই তো হারানোর কথা। আক্রান্ত মানুষটি কেন হারাবে?
কোন নারী অন্য কারো দাঁরা আক্রান্ত হয়ে হাত, পা, চোখ বা যে কোন অঙ্গ হারালে তার সম্মানহানি হয় না। সে বিয়ের অযোগ্য হয় না। তার সম্মানহানি হয় এমন কি সে বিয়ের অযোগ্য হয়ে যায় কেবল সতীত্ব হারালে! কি অদ্ভুত কথা বলুন তো।
নারীকে কেন মানুষের পর্যায়ে উন্নীত করতে পারছেন না? নারী-পুরুষের মাঝে দৈহিক গঠনের বাইরে কোন পার্থক্য নেই। এটা আগে মানুন এবং একই সাথে প্রতিষ্ঠিত করুন।
ধর্ষণ কাণ্ডে কারো কিছু যদি খোয়া গিয়ে থাকে সেটা ধর্ষকের খোয়া যায়। তার মনুষ্যত্ব, তার সম্মান, তার এই সমাজে বসবাসের অধিকার সবকিছুই খোয়া যায়। আমাদের এই সমাজ, এই রাষ্ট্র সেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না বলেই ধর্ষণের ঘটনায় নারীকে নিঃস্ব করে ফেলার চেষ্টা করে।
যত দিনে আমরা সেই অসংলগ্ন এবং অসঙ্গত মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারব ততদিনে এসব ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আপনারা ধর্ষিতাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলছেন ! এ তো সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ হয়ে গেল। আজ পর্যন্ত কোন ধর্ষিতা কি ক্ষতিপূরণ চেয়েছে? চায় নি; তাঁরা কেবল অপরাধীর শাস্তি চেয়েছে। সমস্যা হল এই চাওয়াটা কেবল ধর্ষিতা ও তার পরিবারের মধ্যেই আটকে থাকে। গোটা জনগোষ্ঠী এর সাথে যুক্ত হয় না। আর সে কাড়নেই প্রশ্নটা উঠছে।
এই সমাজ, এই রাষ্ট্রই কি চায় সমাজ থেকে এই ব্যাধিটা দূর হোক?
দৃশ্যত চায় না বলেই মনে হয়। কারণ এই ব্যাধিটা সমাজে এখন এতটাই গা সওয়া হয়ে গেছে যে আর দুদিন পর হয়ত কেউ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করবে না।
তাই যদি না হবে, তাহলে এ সমাজ কেন ধর্ষককে, ধর্ষকের পরিবারকে সমাজচ্যুত করছে না? কেন এ সমাজে ধর্ষিতাকে লজ্জিত হতে হবে? কেন ধর্ষিতার অভিভাবক গন তার বিয়ে দেয়ার চিন্তায় এত বড় অপরাধকেও চেপে গিয়ে অপরাধীদের বাঁচিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে? যেখানে মেয়েটির কোন দায়ই নেই।
এ রাষ্ট্র কেন প্রতিটি ধর্ষককে শাস্তির আওতায় আনছে না?
ধর্ষণ বন্ধে চাই আইনের শাসন নিশ্চিত করা। প্রয়োজন সমাজে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করা। শুধু মুখে নয় প্রয়োজন কাজে দেখানো। গত চার মাসে ২৫৮ টি ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী চারমাসের মধ্যে যদি এই ২৫৮ টি ঘটনার বিচারকার্য সম্পন্ন করে দণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হয় তাহলেই কেবল পরবর্তী চার মাসে হয়ত এই সংখ্যা চার ভাগের এক ভাগ বা তারও নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব। সত্য হল এই সময়ের মধ্যে ২৫৮ টি দুরের কথা শুধু ৫৮টির বিচারও সম্পন্ন হবে না। এটাই রুঢ় বাস্তবতা। আর সে কারণেই প্রশ্নটা থেকেই যাবে। আর ধর্ষণের ঘটনাও পুনঃ পৌনিক হারে বেড়েই চলবে। এক সময় আমরা এও স্বীকার করে নেব ধর্ষণই পুরুষত্বের লক্ষণ। দিলদরিয়া দিলদার আহমেদ সেলিমের মত সকল বাবাই গর্ব করে বলবে, জোয়ান পোলা একটু-আধটু তো এসব করবই। আমিও তো করি। একদিন বলব এটাই বা কেন বলছি? সাফাতের বাবা যা প্রকাশ্যে বলেছেন আমরাও কি এখন আড়ালে সেটাই বলি না?
২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নারীর উপর দায় চাপিয়ে পুরুষের এই ধোপ দুরস্ত সাজার প্রবনতা অতিপ্রাচীন কাল থেকে চলে এসেছে। আজও চলছে আগামীতেও চলবে যদি না এর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। নারী স্বাধীনতা বলে একে আরো বেশি কঠিন করে তোলা হয়েছে প্রয়োজন নারীর সমতা। নারী-পুরুষ সমান এটা প্রতিষ্ঠা করা অত্যান্ত জরুরী। পুরুষের যে অধিকার নারীর একই অধিকার এটা ধর্মে স্বীকৃত, সমাজে স্বীকৃত এমন কি রাষ্ট্রও স্বীকার করে তবে তা কেবলই লিখিত আকারে বাস্তবে এর কোন ছাপ নেই।
আপনি ঠিকই বলেছেন শুরুটা হতে হবে পরিবার থেকে। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকেও।
২| ২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০
ঢাকাবাসী বলেছেন: পুলিশ ধর্ষক সরকারী নেতারা একই সুরে কথা বলে, একটু আধটু করলে কি হয়! ধর্ষিতারা থানায় সমাজে বার বার অপমানিত হয় লোকে পুরুষরা হাসে! থানায় পুরুষরাই থাকে বেশি যারা অযোগ্য, অশিক্ষিত, ঘুষখোর, ক্ষমতার কাছে নতজানু। সুতরাং কি হবে? এসব নীতিকথা কোন কাজে আসবেনা।
২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সমস্যাটা সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে। নীতিকথা কাজে আসবে না সেটাতো ঠিক যদি না কাজে প্রতিফলিত করা যায়। তবে বলতে হবে সবাইকে সমস্বরে উচ্চ স্বরে। অশেষ ধন্যবাদ ঢাকাবাসী আপনাকে।
৩| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এতদিন গরীবেরা বিচার পেত না। আমরা বলতাম উপর তলার লোকদের যদি এমন হত, তাহলে তারা বিচার করত। এখন দেখা যাক, উপর তলার লোকদের বিচার কীভাবে হয়? মিডিয়া ছাড় দিবে না...
২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মিডিয়া সোচ্চার হলেই যদি কেবল বিচার নিশ্চিত হয় সেটা তো আরো ভয়াবহ। প্রতিটি নাগরিকের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে সেটা নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব রাষ্ট্রের। আর পরিবার থেকে শুরু করতে হবে প্রতিরোধ তবেই এ রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকেও।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩
কানিজ রিনা বলেছেন: কি বলেন আমাদের এই প্রাচীন দেশে পুরুষরা
জানে তাদের ইজ্জত বলে কিছু নাই আর তা
হাড়ানোর ভয়ও নাই। প্রতিটা পরিবার পুরুষ
সন্তানের বেলায় কোনও নিয়ম নীতি বাধ্য
বাধকতা নাই। যা আছে মেয়েদের বেলায়।
জোর করে কেউ ইজ্জত কেড়ে নিলে তা
নারীই দোষ। প্রাচীন পন্ডিতরা নারীর প্রতি যত
বাধ্যবাধকতা করে গেছে পুরুষের বেলায়
তার কিছুই না। পুরুষরা যত রকম হাত পা
ছড়াইয়া খেলতে পারে তার জায়গাও পতিতা
লয়।
এর থেকে বেশী বললে ঝগড়া বাধবে।
প্রতিটা পরিবার ঘুন ধরা মানুষীকতায় আজও
বিরাজওমান। অর্থাৎ ঘরের বাহিরে পুরুষ যত
রকম অন্যায় করুক পরিবারের কাছে দুধে
ধোয়া। তাই সময় এসেছে পরিবার থেকেই
ছেলে সন্তানের উপর নজর দেওয়া। ধন্যবাদ,