নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের রূপ কেমন? বাংলাদেশ কি সেক্যুলার রাষ্ট্র নাকি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র? এই প্রশ্নের উত্তর বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে রাষ্ট্র বিজ্ঞানী কারো পক্ষেই দেয়া সম্ভব নয়। কেননা যে মূল মন্ত্রের দিক্ষা নিয়ে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেই মন্ত্রের উল্টোযাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী পঁচিশ বছর ধরে চলে সেই যাত্রা! আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসে সে যাত্রার কিছুটা লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করলেও রাজনৈতিক বিবেচনাই তাদের কাছে মুখ্য হয়ে ওঠে। ফলে দেখা গেল সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম চিরস্থায়ী হল। ইসলামকে দেয়া প্রধান ধর্মের স্বীকৃতিটিও রয়ে গেল।
তখনও এ দেশের মানুষ পরবর্তীতে কি আসছে তা ঠাহর করে উঠতে পারল না। দিনে দিনে যখন এ দেশের ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীটি নখ দন্ত বাহির করে সরুপে আবির্ভুত হল তখনই কেবল তাঁরা শঙ্কিত হয়ে উঠল।
আজ এই রাষ্ট্রটির প্রকৃত রূপ কি? এই প্রশ্নের উত্তরটি আর কারো পক্ষেই দেয়া সম্ভব নয়। এ দেশের প্রতিটি মানুষ এ ক্ষেত্রে একটি ধোঁয়াশা নিয়েই বেঁচে আছেন। শুধু যে রাষ্ট্রই এমন দ্বিধান্বিত তা নয় কই সাথে এ দেশের মানুষও এক ধরনের দ্বৈত নিতি মেনে চলে। ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছুই যেমন তাঁরা মেনে নিতে প্রস্তুত নয় আবার ধর্ম-ভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন যুগিয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় পাঁঠাতেও একেবারেই রাজি নয়। প্রমাণ স্বরূপ বলা যায়, চরমোনাইয়ের পীর মাওলানা রেজা উল করীম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামের দলটির কথা। এদের বিরুদ্ধে তেমন কোন জোড়াল অভিযোগ না থাকা স্বত্বেও ১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ প্রতিষ্ঠিত দলটি নির্বাচনের মাঠে এ পর্যন্ত বলার মত কিছু করে দেখাতে পারে নি।
ঠিক একই ভাবে বিএনপিকে আছর করে জামায়াত কিছুটা ফুলে ফেঁপে উঠলেও অন্যান্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের মাঠে একেবারেই শূন্য।
রাষ্ট্র এবং জনগণের এই যে দ্বৈত নিতি মেনে চলার রীতির কারণেই এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোও নিজ নিজ দলের নিতি - আদর্শ স্থির করে উঠতে পারে নি।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তো নির্লজ্জের মত বলেই থাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
কাজেই ঐ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতেই তাঁরা যখন যেদিকে পাল্লা ভারি বলে মনে করে সেদিকেই ঝুঁকে পরে। বলা যায়, যখন যার কাঁধে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছান সহজ বলে মনে হয় তখন তাঁরা তাদের কাঁধেই চড়ে বসে।
আর সে কারণেই আওয়ামীলীগকে কখনো দেখবেন সেক্যুলারদের ঘারে চেপে বসতে আবার কখনো দেখবেন উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে নানা রকম সুযোগ পাইয়ে দিয়ে হাত করার চেষ্টা করতে।
বিএনপির আদর্শ স্পষ্ট, আওয়ামীলীগের বিরোধিতা। আর সেটা করতে তাঁরা সর্বদাই ধর্মীয় কার্ডটি ব্যবহার করে। বলা বাহুল্য ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়েই এই কার্ডটি ভীষণ প্রভাবশালী।
তবে ইসলামি দলগুলোর শতধা বিভক্তিই এই দলগুলিকে অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছুতে দেয় না। আর এই বিভক্তির মাধ্যমে প্রকারান্তরে তাদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থটিই স্পষ্ট হয়ে উঠে। যেখানে ধর্মীয় আনুগত্য কেবলই পোশাকি বলে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তথাপিও তাঁদের হাতে আছে এক অব্যর্থ অস্ত্র, সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি। এই অনুভূতিকে কাজে লাগিয়েই মাওলানা শফির মত মানুষেরা শাপলা চত্বর দখল করে সরকার উৎখাতের মত স্বপ্ন দেখার সাহস করে। আর মুরি মুড়কির আশায় সকল ধর্মীয় গোষ্ঠী তাদের সাথে গিয়ে গাঁটছড়া বাঁধে।
বিএনপি তখন শকুনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। হেফাজতের ফসল ঘরে তুলতে তাঁরা কাল বিলম্ব না করে তাদের মঞ্চে গিয়ে ওঠে। এরশাদ পানি খাওয়ানোর ছুতোয় হেফাজতের কৃপা লাভের চেষ্টা করে।
বিএনপি- জাতিয় পার্টির জন্মের প্রেক্ষাপট। তাদের নিতি আদর্শ বিচার করলে হেফাজতের প্রোগ্রামে তাদের এমন অংশগ্রহণকে স্বাভাবিক বলেই মনে হবে। একই সাথে সেদিনের সরকারের কঠোর অবস্থান হেফাজতিদের কান ধরে শাপলা চত্বর ছাড়া করাটাও ছিল প্রত্যাশিত।
এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। ব্যত্যয় ঘটল আওয়ামীলীগ যখন হেফাজতিদের দমন নীতি থেকে সরে এসে প্রশ্রয় দিতে শুরু করল। আওয়ামী লীগ ভাবছে এদেরকে ক্ষেপীয়ে তুললে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হবে। এটা তাদের একটি ভুল ধারনা। হেফাজতিরা ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ক্ষেপীয়ে তুলতে পারে ঠিকই কিন্তু রাজনীতিতে নিজেদের সামান্যতম আস্থায় আনার ক্ষমতা তাদের নেই। এমনকি হেফাজতিদের ভোট ব্যাংক আছে বলে যে প্রচারণা আছে তাও সর্বৈব মিথ্যা। জামায়াতের যেমন নিজেদের সদস্যদের নিয়ে একটি ভোট ব্যাংক আছে। হেফাজতিদের বেলায় সেটিও নেই। হেফাজতের কথায় যারা আন্দোলনে মাঠ কাঁপায় ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে তাঁরাই হেফাজতিদের কথা কানেও তুলবে না।
আর কানে তোলে না সেটা জানে বলেই হেফাজত কখনোই রাজনৈতিক দল গড়ার চেষ্টাও করবে না। তাঁরা জানে তাতে তাদের আসল গোমড় ফাঁস হয়ে যাবে। রাজনৈতিক দল না গড়েই বরং আওয়ামীলীগের মত দলের কাছ থেকেও ষোলআনা ফায়দা উঠানো সম্ভব। হেফাজত একটা জুজু'র ভয় দেখায়। আওয়ামীলীগ সেই জুজু'র ভয়ে এখন যা নয় তাই করছে। উগ্র ধর্মান্ধ এই গোষ্ঠীটিকে নানা রকম সুযোগ পাইয়ে দিয়ে হাত করার চেষ্টা করছে।
এটা যে একটা ভুল সিদ্ধান্ত সেটা এখনো তাঁরা বুঝে উঠতে পারে নি। আসলে আওয়ামীলীগ হারানোর ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে। মানুষ যখন হারানোর ভয়ে ভিত হয়ে পরে তখন তার হার নিশ্চিত হয়ে যায়।
আজ যখন প্রয়োজন ছিল এই সব ধর্ম ব্যবসায়ীদের কঠোর হাতে দমন করা তখন আওয়ামীলীগ তার ঠিক উল্টোটা করছে। তাঁরা এটাও বিবেচনায় নিলো না যখন হেফাজতকে সাহায্য করতে বেগম জিয়া ঢাকা বাসিকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানালেন তখন ঢাকার রাস্তায় একটি মানুষও নামে নি। এমন কি অমন অপমানজনক ভাবে শাপলা চত্বর ছাড়তে বাধ্য করায়ও কোন প্রতিবাদ হয় নি বরং সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সেদিন বরং সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে মুল পরিচয়ে দাড় করিয়ে দেয়ার। এই যে সেটা করা গেল না বা বলা যায় করা হল না। এ দায় আওয়ামীলীগের।
একদিন এটা প্রতিষ্ঠিত হবে, রাষ্ট্রের এই যে পরিচয় সঙ্কট এর মুলে আসল দায়টা আওয়ামীলীগের। তাঁরা এ দেশের সাধারন মানুষের আকাঙ্ক্ষাই আজ অবধী ধারন করতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামীলীগকে সমর্থনই করে একটি অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ন পরিবেশে অবস্থান করার মানসে। অথচ অকারণেই প্রতিপক্ষের সাথে নিজেদের সমান্তরাল দেখানোর একটি চেষ্টা আওয়ামীলীগের বহু পুড়নো অভ্যাস। যা ক্রমাগত তাদের প্রশ্নবিদ্ধি করে গেছে। আওয়ামী লীগ যদি তাঁর নিতি আদর্শ থেকেই সরে আসে তাহলে আর আওয়ামীলীগ কেন? এই সাধারন যুক্তিটিই তাঁরা ভেবে দেখে না।
এটা ঠিক ইসলাম বিরোধী কোন শক্তিই বাংলাদেশে স্থান করে নিতে পারবে না। আর আওয়ামীলীগ যে ইসলাম বিরোধী নয় এটা তো প্রমানের কিছু নেই। করার প্রয়োজনও নেই। অথচ তাঁরা সেটা প্রমান করতেই মহাব্যস্ত। বরং আওয়ামীলীগ এর প্রান পুরুষ বঙ্গবন্ধু কিংবা তার সুযোগ্য কন্যা যেমন একদিকে ধার্মিক অন্যদিকে সকল ধর্মের মানূষকে সম্মান জানিয়ে সকলকে নিয়ে বাস করার নীতিতে বিশ্বাসী। এদেশের সাধারন মুসলমানরাও মুলত সেই নীতিই অনুসরন করে চলেন। কাজেই এ ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগকে নিজেদের প্রমানের কোন প্রয়োজনই নেই।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামীলীগের নামে যে পরিমাণ মিথ্যে প্রচারণা চালিয়েছিল তার তো সিকি ভাগও এখন হচ্ছে না। আর সে সুযোগও এখন আর তাদের নেই। তার পরেও তো ২০০৮ এ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামীলীগ এই দীর্ঘ শাসনামলে তাদের অঙ্গিকার থেকেও তাঁরা খুব একটা সরে আসেনি। তারপরেও তাঁরা কেন ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে?
কারণ একটাই, আওয়ামীলীগের নেতাদের ভয় ধরেছে ক্ষমতা হারানোর। আর সেই ভয় থেকেই তাঁরা দলীয় আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে আপোষ করছে। অথচ আজ যাদের সাথে তাঁরা আপোষ করছে ২০০৮ এ ক্ষমতা লাভের দিনেও তাঁরা প্রতিপক্ষই ছিল। কাজেই আওয়ামীলীগের কোন প্রয়োজনই ছিল না এদেরকে এভাবে প্রশ্রয় দেয়া।
এই যে পরস্পর বিরোধী অবস্থান গ্রহণ এর মধ্য দিয়ে বরং তাঁরা নিজেদেরকেই আদর্শহীন একটা সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছে। একই সাথে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির রূপটাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেই রেখেছে।
অথচ আওয়ামীলীগের পক্ষেই সম্ভব ছিল এর চরিত্র নিরূপণ করা। আওয়ামীলীগ হেফাজতের নির্দেশে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করে ফেলল। কোন নির্দেশনা ছারাই দাওরা হাদিসকে স্নাতকের সম্মান দিল অথচ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার ব্যবস্থা করল না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামীলীগ যেমন বিপুল বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল ঠিক তেমনি আজ যদি ধর্ম ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরার সুস্পষ্ট বার্তা নিয়ে আর একটি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করতে পারত তাহলে এবারও তাঁরা বিপুল ভোটেই নির্বাচিত হত। তা না করে তাঁরা প্রতারনামুলক রাজনীতির আশ্রয় নিলো।
এভাবে প্রতারনামুলক রাজনীতি করে আওয়ামীলীগ শুধুমাত্র নিজেদেরকেই ছোট করেনি যারা তাদের এতদিন যাবত সমর্থন যুগিয়ে এসেছিল তাদেরকেও ছোট করে ফেলল।
আওয়ামী নেতাদের এক পক্ষ বলে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলেই কেবল এদেশে সেক্যুলার মানুষগুলো কথা বলতে পারবে কাজেই আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় আসাটা জরুরী, সেটা যেভাবেই হোক। তাঁরা প্রলাপ বকছেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে সেক্যুলারদের কোন লাভ নেই। উল্টো প্রতিক্রিয়াশীলরা ক্ষমতায় এলে পড়েই সেক্যুলাররা তাদের কর্মসূচী ঠিক করে নিতে পারে। আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে তাঁরা কেবল এই স্বার্থের টানে মেনে নেয়াকে দেখে রক্তাক্ত হয়। তাঁরা না পারে শক্ত প্রতিবাদ করতে না পারে সহ্য করতে।
বিএনপি জামায়াতের কি রূপ, কি তাদের নীতি আদর্শ? সেটা আমরা সবাই জানি। আর জানি বলেই বুঝতে পারি ভবিষ্যৎ। কিন্তু আওয়ামীলীগ এখন এমন এক নীতি হীন অনৈতিক রাজনীতির চর্চা শুরু করেছে যা শঙ্কিত করে তোলে। তাঁরা যা করছে তা তাদের করার কথা নয়। তা তাদের ঘোষিত নীতির সাথে মানানসই নয়। আমরা যেন ক্রমশ এক প্রতারণার জালে জড়িয়ে পরছি। প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছি। যেটা একেবারেই কাম্য নয়। এ ভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের রুপ পরিগ্রহ করবে। তাতে আখেরে ক্ষতিটা আওয়ামিলীগেরই হবে।
[email protected]
৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ মুসলিম কিন্তু ধর্মান্ধ নয় এটাও মাথায় রাখা উচিৎ।
২| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: ইসলামকে প্রধান ধর্মের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।
আপনার এ কথায় প্রতীয়মান হয় ইসলামের গুরুত্ব বেশি দেয়া হয়েছেণ অন্যগুলোর গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত কম।
ধর্ম সম্মন্ধে আপনার অবগতির মাত্রায় আপনি খুব খুশি।
কিন্তু আপনার এ মন্তব্য যে কত মারাত্মক তা অবগতি পরিবর্তন হলেই বুঝতে পারবেন।
"কুরআনের সুরা আলে ইমরানের ১৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন - নিশ্চয় আল্লাহ্র কাছে গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম।"
সুতারং বুঝা গেল কুরআন পৃথিবীতে অবতীর্ণ হওয়ার পরে কোন ধর্মের গ্রহন যোগ্যতা নেই।
তাহলে ইসলামকে প্রধান বললে অন্য ধর্মের স্বীকৃতি দেয়া হয় যা কুরআনের সাথে সাংঘর্সিক।
৩১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রধান ধর্ম বলে কিছু নেই। হয় ধর্মভিত্তিক হতে হবে নয়ত জাতী ভিত্তিক।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: প্রধান ধর্ম বলে কিছু নেই।
এমন সহমতের জন্য ধন্যবাদ।
কুরআনের আলোকে চিন্তা করুন দেখবেন আপনার মন ধর্ম ভিত্তিক এর দিকেই সায় দিবে তখন কোন দলের গুরুত্ব আপনার কাছে মূল্যহীন মনে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
খরতাপ বলেছেন: আওয়ামী লীগ কেন, সেক্যুলার সিপিবি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কারস পার্টি - এরাও যদি সরকার গঠন করে, বাস্তবতাকে কেউই এড়িয়ে যেতে পারবেনা। আর সেই বাস্তবতা হল, 'বাংলাদেশ মুসলিমের দেশ - এদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ মুসলিম'