নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃষ্টি স্বাধীন সত্তা নয় সময়ের ধারাবাহিকতায় যুক্ত এক একটি অংশ মাত্র।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

ধরুন আপনাকে টাইম ট্রাভেল করে পাঁচ বছর পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হল। আপনি কি করবেন?

একই ঘটনাসমূহের পুনরাবৃত্তি করবেন নাকি আপনার জীবনে নতুন কোন ঘটনা যুক্ত হবে?

মোটেই না, সে ক্ষেত্রেও আপনার জীবনটা একই ধারায় চলবে যেমনটি এখন চলছে। কিছু বিয়োজিত হবে না কিছু যুক্তও হবে না। একে যদি বলি পূর্ব থেকে প্রোগ্রামিং করে দেয়া একটি যন্ত্র সেটা মনে হয় খুব একটা অত্যুক্তি হবে না। কারণ আপনি নিজেও সময়ের অংশ। আপনার সাথে জড়িয়ে আছে আপনার পাওয়া সময়ে ঘটে যাওয়া সকল বস্তুগত এবং অবস্তুগত বিষয় সম্পৃক্ত ঘটনাপ্রবাহ। যার উপরে দাড়িয়ে ভবিষ্যৎ রচিত হবে আর সেটাও নির্ধারিত। যদিও আমরা তা জানি না। সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা এর সাথে সম্পৃক্ত মানুষ থেকে অণুজীব। একটি প্রাণঘাতী জীবাণু পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাজেই সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই আপনি পুনরায় একই ঘটনাসমূহের পুনরাবৃত্তি করতে বাধ্য। নয়ত সৃষ্টি জগত সুশৃঙ্খলভাবে তাঁর শেষ নিয়তি অবধি পৌঁছুতে সক্ষম হবে না।সৃষ্টি জগতের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটবে। আর সেটা কোনোভাবেই প্রকৃতি মেনে নেবে না।

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, সৃষ্টি কি আসলেই স্বাধীন সত্তা? নাকি সময়ের ধারাবাহিকতায় যুক্ত এক একটি অংশ মাত্র। যে কেবল পূর্ব নির্ধারিত ক্রিয়া কর্মই সম্পাদন করে চলেছে অবিরাম অর্থাৎ ধরুন আপনাকে টাইম ট্রাভেল করে পাঁচ বছর পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হল। আপনি কি করবেন?

একই ঘটনাসমূহের পুনরাবৃত্তি করবেন নাকি আপনার জীবনে নতুন কোন ঘটনা যুক্ত হবে?

মোটেই না, সে ক্ষেত্রেও আপনার জীবনটা একই ধারায় চলবে যেমনটি এখন চলছে। কিছু বিয়োজিত হবে না কিছু যুক্তও হবে না। একে যদি বলি পূর্ব থেকে প্রোগ্রামিং করে দেয়া একটি যন্ত্র সেটা মনে হয় খুব একটা অত্যুক্তি হবে না। কারণ আপনি নিজেও সময়ের অংশ। আপনার সাথে জড়িয়ে আছে আপনার পাওয়া সময়ে ঘটে যাওয়া সকল বস্তুগত এবং অবস্তুগত বিষয় সম্পৃক্ত ঘটনাপ্রবাহ। যার উপরে দাড়িয়ে ভবিষ্যৎ রচিত হবে আর সেটাও নির্ধারিত। যদিও আমরা তা জানি না। সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা এর সাথে সম্পৃক্ত মানুষ থেকে অণুজীব। একটি প্রাণঘাতী জীবাণু পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাজেই সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই আপনি পুনরায় একই ঘটনাসমূহের পুনরাবৃত্তি করতে বাধ্য। নয়ত সৃষ্টি জগত সুশৃঙ্খলভাবে তাঁর শেষ নিয়তি অবধি পৌঁছুতে সক্ষম হবে না।সৃষ্টি জগতের নিয়মের ব্যত্যয় ঘটবে। আর সেটা কোনোভাবেই প্রকৃতি মেনে নেবে না।

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, সৃষ্টি কি আসলেই স্বাধীন সত্তা? নাকি সময়ের ধারাবাহিকতায় যুক্ত এক একটি অংশ মাত্র। যে কেবল পূর্ব নির্ধারিত ক্রিয়া কর্মই সম্পাদন করে চলেছে অবিরাম অর্থাৎ সৃষ্টি সময়ের ক্রীড়নক মাত্র?

দ্বিতীয় খন্ড

সাধারণ ভাবনা হল, সৃষ্ট বস্তু স্বাধীন। তাদের ইচ্ছাধীন কর্মকাণ্ডে সময় নিজেকে সম্পূর্ণ করে সামনে এগিয়ে যায়? কিন্তু এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে গেলে যে সমস্যাটা হয় তাহলো পরস্পর বিরোধীতা। ফলে সৃষ্টি জগত তার নির্দিষ্ট নিয়মে চলতে পারবে না। যেমন পৃথিবীতে যখন যে প্রাণের সন্নিবেশ হওয়ার কথা তা হবে না। আবার যা সন্নিবেশ ঘটেনি তাই ঘটার সম্ভাবনা দেখা দেবে।

যেমন সৃষ্টির একটি স্বাভাবিক নিয়ম হল যার একবার বিলুপ্তি ঘটে তা আর ফিরে আসে না। আর সেটা মাথায় রেখেই মানুষ পরবর্তী পৃথিবীকে সাজায়। আমরা নিশ্চিতভাবেই ধরে নিয়েছি ডাইনোসরের আর আগমন ঘটবে না।এই নিশ্চয়তা আমরা পেয়েছি প্রকৃতির চিরায়ত নিয়ম ঘেঁটে। যদি সে নিয়মে ব্যত্যয় ঘটে তাহলে কি হতে পারে সেটা স্পিলবার্গ তাঁর সিনেমায় দেখিয়েছেন। সেই বিভীষিকার মধ্যে আমরা পরে যেতাম। এ গেলো একদিক। আরেকটি বিষয় ভাবুন যদি হিটলার একজন দরদী মনের মানুষ হতেন। যদি সে সারা বিশ্বকে পদানত করার মরন খেলা না খেলত তাহলে কি হত? দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হত না। বিশ্ব রাজনীতির এই রূপ দেখা যেত না। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব মোড়ল হতে পারত না। আজকের পৃথিবী হত সম্পূর্ণ অন্যরকম। তাঁর থেকে বড় কথা যে মানুষগুলো মারা গেল যে পরম্পরা গুলো তৈরি হতে পারল না, সেগুলো তৈরি হত।

কিন্তু সেটা তো হওয়ার কথা নয়। হিটলার এমনটা করতে বাধ্য এটা প্রকৃতি কতৃক নির্ধারিত। সৃষ্টি স্বাধীন হলে সৃষ্টির কর্মকাণ্ডে প্রকৃতির চিরায়ত নিয়ম ক্ষণে ক্ষণে পালটে যেত। যা স্মরণ কালে ঘটে নি আর আগামীতেও ঘটার সম্ভাবনা নেই।

আমরা খুব সাধারণ ভাবে দেখতে পারি, মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যা সে ভাবতেও পারে না, আশা করে না। এমন এমন অবস্থা তৈরি হয়ে যায় যেখান থেকে একজন মানুষ হাজার চেষ্টা করেও বেরিয়ে আসতে পারে না। কারণটা কি? নিয়তি বলি বা পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রামিং করা বলি বিষয়টা তো তাই দারায়।

আপনাকে জীবনে এমন কিছু অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যেখানে একেবারেই আপনার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। আবার আপনি চাইলেও সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে না।

অতএব আমাদের পূর্বের সিদ্ধান্তেই ফিরে যেতে হচ্ছে, সৃষ্টি সময়ের ক্রীড়নক মাত্র। যদি তাই হয় তাহলে যে অপরাধ করছে তার দায় কতটা? সে প্রশ্নও তো থেকে যায়?

আবার দেখুন পৃথিবী বহু সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে সেটাও কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মেই। পুরাতন সে সব সভ্যতা যারা গড়ে তুলছিলেন তাঁরা কেন অমোঘ নিয়তিকে এড়াতে পারলেন না? যদি তা মানুষেরই নিয়ন্ত্রণাধীন হত।

ধর্ম গ্রন্থের কল্যাণে আমরা এও জানি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধবে এবং পৃথিবী ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। সে রকম আলামতও ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। পরিণতি জেনেও বিশ্ব কিন্তু সে দিকেই ধাবিত হচ্ছে। তাহলে কি ধরে নেব যে, সবই পূর্ব নির্ধারিত?

[email protected]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৩

সাইফুর রহমান খান বলেছেন: ধরে নেয়া ছাড়া করার ই বা কি আছে!

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

নতুন বলেছেন: দুনিয়ার কোন কিছুই নিন্ধারিত নয়।

দুনিয়াতে ৭ বিলিওন মানুষের নেওয়া সিদ্ধান্তেই দুনিয়ার কাহিনি এগিয়ে যায়।

আপনি পোস্ট করেছেন.... আমার Choice ছিলো কমেন্ট করার.... না করার... করলে কাহিনি এক রকমের হবে... না করলে আরেক রকমের হবে।

যেহেতু বিলিওন বিলিওন Choice এর ফলে দুনিয়ার কাহিনি এগিয়ে যায় তাই এটাকে কোন একটা ফরমেটে বা সুত্রে ফেলা এখনো সম্ভব হয়নাই। হয়তো যাবেও না।

কিন্তু আপনি যেই সিদ্ধান্ত এখন নেবেন সেই সিদ্ধান্তে আপনার ভবিষ্যতের শুরু হবে। আপনার আমার ভবিষ্যতের নিয়ন্তন আপনার আমার হাতেই।

আমরা স্বাধীন সত্তা.... আমাদের Choice ই আমাদের ভবিষ্যতের দিন তৌরি করে। পাশের মানুষ কিছুটা প্রভাবিত করে কিন্তু বিষয়টা আমাদের Choice দ্বারাই পরিচালিত হয়।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হয়ত তাই হয়ত বা নয়!

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

তবে তথ্যসূত্র দিলে খুব ভালো হতো।

আর, যদি বলতেন ছবিটি Rupert Sheldrake - Ten Dogmas of Modern Science থেকে নেওয়া হয়েছে। তাহলে, আপনার পোস্টের ভালো রেটিং হতো।

তবে, আপনার লেখার হাত খুব ভালো।

ধন্যবাদ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পরামর্শের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভাল থাকুন নিরন্তর।

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাকে পাঁচ বছর পিছিয়ে দিলে হবে না আমার সাথে সাথে এই মহাবিশ্বের সব কিছুকেই পাঁচ বছর পিছিয়ে দিতে হবে একটা ইলেক্ট্রন,নিউট্রন কিংবা প্রোটনও যেন বাদ না যায় তাহলেই সব কিছুর পুনরাবৃত্তি ঘটবে! শুধু আমাকে পিছিয়ে দিলে প্রতি মুহূর্তে কন্ট্রাডিকশন ঘঠবে!

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আলোচনা হচ্ছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে কিনা তাই নিয়ে। সে ক্ষেত্রে সবকিছুই যদি একই সাথে পাঁচ বছর পেছনে ফিরিয়ে নেয়া হয় তারপরেও নতুন কোন দৃশ্যপট তৈরি হবে না বলেই মনে করি। হিরন অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৫

খালিদ আহসান বলেছেন: ধরুন আপনি টাইম মেশিন আবিষ্কার করলেন। এখন আপনি এই টাইম মেশিন দিয়ে অবশ্যই ভবিষ্যতের কোন এক সময়ে যাত্রা করতে পারবেন। কিন্তু কখনোই অতীতে ফিরে আসতে পারবেন না। এমনকি একবার যদি ভবিষ্যতে চলে যান তবে আর কখনোই আপনার বর্তমানে ফিরে আসতে পারবেন না। আপনাকে ভবিষ্যতের কোন সময়েই থেকে যেতে হবে। সুতরাং আমাদের ভবিষ্যত কি হবে তা পূর্ব নির্ধারিত নয়। তা আমাদেরকেই ঠিক করতে হয়।

তবে মৃত্যু সকল সৃষ্টির নিয়তি। এটা থামানো সম্ভব নয়। তা মানুষের বলেন, পৃথিবীর বলেন আর সময়ের বলেন। যেহেতু সময়ও স্রষ্টার সৃষ্টি, যেহেতু সময়কেও একদিন থামতে হবে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: খালিদ ভাই পরস্পরবিরোধী কথা হয়ে গেল আপনি নিয়তি মেনে নিচ্ছেন আবার সৃষ্টিকে স্বাধিন বলছেন। এটা কি করে হবে? স্রষ্টাকে মানছেন আবার সৃষ্টিকে স্বাধিন বলছেন সেটাও অসম্ভব। স্রস্টা কখনোই তাঁর সৃষ্টির স্বত্ব ত্যাগ করে না এমনকি নিয়ন্ত্রণও হাতছাড়া করেন না।
আর আসলে তো আমরা টাইম মেশিনেই বসে আছি যেটা কেবল ওয়ান ওয়েতে চলে যার পেছনে ফেরার রাস্তা নেই। যেন আপনি একটি ভেঙ্গে যাচ্ছে এমন সেতুর উপর দিয়ে প্রচন্ড বেগে একটি গাড়ী নিয়ে ছুটছেন আপনি পার হচ্ছেন আর সাথে পার হওয়া অংশটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের জীবনটা তো এমনই, পেছনে কিভাবে ফিরবেন? কালের অতলে হারিয়ে যাচ্ছে সেকেন্ডের প্রতিটি ভগ্নাংশ।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

খালিদ আহসান বলেছেন: গালিব ভাই, মানছি কিছুটা পরস্পরবিরোধী কথা হয়ে গেল। আপনার কি মনে হয় সৃষ্টি স্বাধীন হতে পারেনা? আমার কিন্তু মনে হয় সৃষ্টি অনেক ক্ষেত্রেই স্বাধীন। আর এই স্বাধীনতার জন্য কিন্তু স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি স্বত্ব ত্যাগ হয়না। এমনকি নিয়ন্ত্রণও হাত ছাড়া হয়না।

ধরুন আপনি যদি একটা গাড়ি নিয়ে ধানমণ্ডি থেকে গুলশান যান, তাহলে আপনার গন্তব্য হচ্ছে গুলশান, যা আপনার এই গাড়ি যাত্রার নিয়তি। কিন্তু আপনি কোন পথে যাবেন তা আপনার স্বাধীন চিন্তাধারার উপর নির্ভর করছে। মানুষ সৃষ্টির সেরা কেন জানেন তো! কারণ মানুষের চিন্তা ভাবনার স্বাধীনতা আছে। আর এ কারণেই একজন অপরাধীর অপরাধের দায় পুরোপুরি অপরাধীর।

তবে সকল সৃষ্টিই সময়ের কাছে বাঁধা। ঐ যে বললেন "স্রস্টা কখনোই তাঁর সৃষ্টির স্বত্ব ত্যাগ করে না এমনকি নিয়ন্ত্রণও হাতছাড়া করেন না।" সময় হচ্ছে সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা উপকরণ মাত্র। আর যেহেতু স্রষ্টা সময়ের উর্ধ্বে (কারণ সময়ও তাঁরই সৃষ্টি) তাঁর জন্য সকল সৃষ্টির নিয়তি, কোন পথে সে যাবে, কখন গাড়ি ছাড়বে এসবই তাঁর কাছে জানা। পূর্ব নির্ধারিত কথাটা সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, স্রষ্টার ক্ষেত্রে নয়।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পূর্ব নির্ধারিত কথাটা সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, স্রষ্টার ক্ষেত্রে নয় সেটা তো বলাই বাহুল্য। তবে আপনি যেভাবে স্বাধীনতাকে দেখছেন সেখানেই আমার দ্বিমত পোষন করি। তবে বিষয়টা এত বেশি জটিল যে এভাবে লিখে প্রকাশ সম্ভব নয়। অল্প কথায় বলব আপনি যে পথে যাচ্ছেন যেভাবে যেতে চাইছেন সেটা নির্ধারনের ক্ষেত্রে যে দ্বিধায় আপনাকে পড়তে হয় এবং শেষ পর্যন্ত যে পথটা বেছে নেন সেটাই আপনার জন্য নির্ধারিত ছিল। কারন ঐ পথের একটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে আপনাকে একটি দুর্ঘটনায় পরার কথা। সেটা তো ঘটাতে হবেই। অতএব আপনাকে সেখানে যেতেই হবে আর ঠিক সেই নির্দিষ্ট সময়েই!
আবার ধরুন আজ আপনার যে প্লেনে চড়ার কথা সেই প্লেনটা মাঝ আকাশে ক্রাশ করবে এবং সকল যাত্রি মারা যাবে এটা নির্ধারিত কিন্তু আজ আপনার মারা যাওয়া বা কোন দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার কথা নয়। তাহলে কি হবে? যে কন কারনেই হোক আপনি ঐ প্লেনে চড়বেন না।

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: স্টিকি পোস্টের ৯৭ নম্বর মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.