নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নির্দেশনা খুব সহজেই একটি বড় সমস্যার সমাধান করে দিতে পারত।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫


ছবিঃ প্রতিকী

একটি দৃশ্যপট প্রায় প্রতিদিনই আমাদের চোখে পরে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের জোর করে ভিড় ঠেলে গনপরিবহনে ওঠা এবং যত্র তত্র নেমে যাবার প্রবনতা। আমরা অহরহ দেখতে পাই স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ঝুকিপূর্ন ভাবে গাড়িতে উঠছে। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের সুযোগ থাকা সত্বেও ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করছে। এ নিয়ে আমরা উস্মা প্রকাশ করি। আমরা কি এ সব দৃশ্যের পেছনে কখনো দৃষ্টিপাত করি? যদি করতাম তাহলে এর কারণ এবং সমাধান দুটোই সহজ হয় যেত।

যে সমাজ শিক্ষাকে ব্যবসা হিসেবে দেখে সেখানে খুব স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতা দেখা দেয়। যেহেতু আমাদের দেশে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের সুবিধা/অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় না নিলেও চলে। প্রয়োজন কেবল যুতসই স্থানে একটি ভবন।
কিছু টাকা অগ্রিম আর মাসিক ভাড়া দিলে আবাসিক এলাকায় এমন ভবনের অভাব হয় না। কাজেই কোনমতে একটি অনুমোদন নিতে পারলেই হল। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন খেলার মাঠ নেই নুন্যতম বিনোদনের ব্যবস্থা। আর সেটা সম্ভবই বা কি করে। ভবনটি তো মুলত আবাসিক ভবন। আমরা একে বড়জোর কোচিং সেন্টার বলতে পারি। যে কোন স্থানে, যেন তেন ভাবে এভাবে স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া কতটা যুক্তি সঙ্গত সেটা সংশ্লিষ্টরাই ভাল জানেন।

মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে যতগুলো সমস্যা বিদ্যমান তার মধ্যে সবথেকে বড় সমস্যা হল ট্রান্সপোর্ট সমস্যা। বিশেষ করে ঢাকা ও চিটাগং এ। যাতাযাতের এই সমস্যা এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশের কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন নির্দেশনা দিতেই পারত।

১। স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব স্কুল বাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ট্রান্সপোর্ট সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা তাঁরা কিনে করুন বা ভাড়া নিয়ে করুন। মোট কথা শিক্ষার্থীরা স্কুল বাসে করেই স্কুলে আসবে এবং নির্দিষ্ট গন্তব্যে ফিরবে।

২। পাশাপাশি স্কুলের গাড়ী ব্যতীত কোন প্রাইভেট গাড়ী স্কুলের সামনে পার্ক করা যাবে না।

৩। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং শরীর চর্চার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ ছোট হোক কিংবা বড় খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে।

আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি এ বিষয়ে কখনো ভেবেছে? অথচ লক্ষ লক্ষ শিশু কিশোর প্রতিদিন অবর্ণনীয় যানজট ঠেলে পাবলিক বাসে চড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাঁরা হয়রানির শিকার হয়, দুর্ঘটনার শিকার হয়। রাষ্ট্রের একটুখানি সহানুভূতি; সামান্য দায়িত্ব সচেতনতাই তাঁদের এই নিত্য দিনের দুর্ভোগকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারত। এটা যে খুব বেশি ব্যয়বহুল তা তো নয়।
সরকার তো বি আর টি সি বাস গুলো বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে লিজ/ভাড়া দিচ্ছে। তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেই দিক। আমরা না হয় এই বলে স্বান্তনা পাব সাধারন মানুষের কথা বলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে বাস গুলো আনা হয়েছে সে সবের সুফল আমরা না হয় না পেলাম আমাদের সন্তানেরা তো পেল!
যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত দ্বায়িত্ব হীনতার পরিচয় দেয়। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ম শৃঙ্খলা, দায়িত্ব সচেতনতা আশা করাটা একটু বাড়াবাড়ি বৈ কি?

তা ছাড়াও এই শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশের সময় এবং স্কুল শেষে ফেরার সময় প্রতিদিন একটা বাজে পরিস্থিতির স্বীকার হয়। একটি দৃষ্টিকটু বৈষম্য ডিঙ্গিয়েই তাঁরা স্কুলে যাওয়া আশা করে। তাঁরা দেখতে পায় তাদেরই কিছু সহপাঠী রোজ ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে স্কুলে যাওয়া আসা করছে। আর গাড়িগুলো ঘন্টার পর ঘন্টা স্কুলের সামনেই পার্ক করে রাখা হচ্ছে। যার ফলে স্কুলের সামনের রাস্তাটি অর্ধ কিলোমিটার জুড়ে জ্যাম হয়ে যায়। যাদের গাড়ী নেই তাঁদের রিকশা ছেড়ে বাকিটা পথ হেটে যেতে হয়।
এতে একদিকে যেমন এই সামাজিক বৈষম্য তাঁদের হীনমন্যতায় ভোগাচ্ছে অন্যদিকে তাঁদের মধ্যে নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। এর দায় কাদের? এই শিশু কিশোরদের দিকে একটি আঙ্গুল যখন আমরা তুলি তখন বাকি চারটি আঙ্গুল কি আমাদেরকেই বিদ্রুপ করছে না?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মানসম্পন্ন স্কুল বলতে রাজধানীতে খুব বেশি স্কুল আছে বলে মনে হয় না। যেগুলো আছে সেগুলিতে নিন্ম আয়ের মানুষের সন্তানেরা পড়ার সুযোগ পায় না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: "মানসম্পন্ন স্কুল বলতে রাজধানীতে খুব বেশি স্কুল আছে বলে মনে হয় না।" সঠিক বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এটিও পড়ুন
নাগরিক চলাচল ভোগান্তি কমাতে

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পড়েছি ভাল থাকবেন অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: টনক নড়াটা জরুরী, কবে নড়ে সেটাই দেখার বিষয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: টনক যে পকেট নড়ে যায়, সমস্যাটা তো সেখানে।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

একলা ইমন বলেছেন: অসাধারন

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
আমাদের দেশের মানুষ। অমানবিক। অস্থির। তাদের নিয়ম মানার স্বভাব একেবারেই নেই।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: নিয়ম ভাঙ্গার যুদ্ধে আমরা প্রত্যেকেই মহাবীর!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.