নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
একটা সময় ছিল যখন পণ্ডিত মশাইয়ের নাম শুনলেও ছাত্ররা দিক্বিদিক পালাতে চাইত। তার মানে এই নয় যে তারা পড়ালেখা করত না। বরং অনেক বেশিই পড়ালেখা করত। সেই পণ্ডিত মশাইদের ছাত্ররা আজ জীবন সায়াহ্নে। তাদের জ্ঞান গরিমা সেই পণ্ডিত মশাইদের বাঁশের কঞ্চি বা মার্বেল থেরাপির কথা মনে করিয়ে দেয় না। উলটো তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা তৈরি করে। কারন তখন ছাত্ররা শিখতে স্কুলে গমন করত ভাল ফল লাভ করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না। আর তারা সত্যিই শিখত।
তারপরে এলো সেই পণ্ডিত মশাইদের উত্তরসূরিরা। শাস্তি দিতে তারাও কখনো কুণ্ঠিত হতেন না। ফলাফল, শিক্ষার্থীদের শেখার তাড়া। তখনও হোম ওয়ার্ক না করে বা শিক্ষকের নির্দেশিত পড়া মুখস্থ না করে স্কুলে যাওয়াটা ছিল একজন ছাত্রের জন্য অসম্ভব। হয় সে পড়া মুখস্থ করে এবং হোম ওয়ার্ক করে ক্লাসে উপস্থিত হত নয়ত ক্লাস ফাকি দিত। আজকের এ সময় এসে সেই সব ছাত্ররা গভীর শ্রদ্ধায় সেই সব কঠিন হৃদয়(!) শিক্ষকদের কথা স্মরণ করেন। একটি বারও তাদের বেত্রাঘাতের কথা মনে করে ব্যথিত হন না। জীবনের সকল কৃতিত্বের সাথে ছাত্রাবস্থায় কঠিন হৃদয় ভাবা সেই সব শিক্ষকদের অবদানই যে সব থেকে বেশি তা স্বীকার করে নেন অকুণ্ঠ চিত্তে।
এরপরে এলো সেই সময়। যখন স্কুল থেকে বেত উঠিয়ে দেয়া হল। শিক্ষকগন কোচিং নির্ভর হয়ে পরলেন। ছাত্ররা পরীক্ষা পাশকেই একমাত্র কর্ম বলে ধরে নিলো। ফলাফল; শেখা নয়, জানা নয়। যে কোন উপায়েই হোক ভাল ফলাফল করা। সেটা নকল করে হোক, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে হোক কিংবা লেখাপড়া করে হোক। মোট কথা ভাল ফলাফল করতে হবে।
অদ্ভুত বিষয় হল এই ভাল ফলাফল লাভ করার বিষয়ে পূর্বে মা-বাবারা যেমন শুধুমাত্র লেখাপড়াকেই একমাত্র উপায় বলে ভাবতেন এখন আর তা ভাবেন না। এখন মা-বাবাও লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য পন্থা অবলম্বনে সন্তানদের সহায়তা করেন।
ফলে কি হচ্ছে? ভাল ফলাফল আমরা ঠিকইপাচ্ছি, ভাল শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চাই, সৃজন শীল শিক্ষার্থী তৈরি করতে। কি অদ্ভুত কথা! সত্যিকার অর্থে যদি কাউকে শিক্ষিত করতেই পারেন, তাহলে সে তো নিজে থেকেই সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে পারবে। আর এখন তো দেখছি সৃজনশীলতারও সহায়িকা বেশুমার।
স্কুলে শিক্ষার্থীরা নকল করবে শিক্ষকগণ তাতে বাধা দিতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের ভৎসনা করতে পারবেন না। এ কেমন কথা? আমরা কেবল আবেগে ভেসে যাই। আবেগ যেন দিনকে দিন আমাদের বিচার বুদ্ধিকেও লোপ পাইয়ে দিচ্ছে। শিশু কেবল আদরে বাঁদর হয়। তাকে ভালবাসার পাশাপাশি শাসনের প্রয়োজন হয় বৈকি।
আমরা যেন আবেগে ভেসে গিয়ে শিক্ষকদের মহান পেশাটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না ফেলি। শিক্ষকদের মধ্যেও ভাল মন্দের মিশেল আছে। তাদের যে কোন অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে অবশ্যই সোচ্চার হতে হবে, কিন্তু সেটা যেন যৌক্তিক হয়। শিক্ষকের শাসন যদি হয় নৈতিক। যদি হয় আদর্শিক তখন যেন আমরা সেই শিক্ষকের পাশেই দাড়াই। আর যদি বিচার বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে কেবল আবেগে ভেসে যাই তাহলে আমাদের নতুন প্রজন্ম উচ্ছন্নে যাবে এ হলফ করে বলতে পারি।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬
নাহিদ০৯ বলেছেন: আমি আমার কলেজের অধ্যক্ষ কে অনেক অনেক কাছ থেকেই দেখেছি। এর থেকেও ছোট ছোট অপরাধ (ক্লাস বাংক, অনুপস্থিতি) এর জন্য ও এর থেকে কড়া ভাবেই শিক্ষার্থী সহ প্যারেন্টস কে টিসি আনতে বলেছেন।
পরবর্তিতে ক্লাস টিচার কে ফোনে অর্ডার দিয়েছেন একটা এপ্লিকেশান সাবমিট করে মুচলেকা নিয়ে নিতে।
প্যারেন্টস এর সামনে কখনোই শিক্ষার্থী কে একটু পরিমানেও লাই দিতে দেখিনি। হ্যাঁ এটা সত্য যে কেউ আত্মহত্যা করেনি। আর এর জন্য কখনো এরকম আন্দোলন ও হয়নি।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আত্মহত্যার প্রবনতা তরুনদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। যার পেছনে সঠিক শিক্ষার অভাব, পারিবারিক অশান্তি, সামাজিক অস্থিরতা, ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা সহ নানা কারন বিদ্যমান। এখানে এই আত্মহত্যাটিকে বরং শিক্ষকদের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে।যা হয়ত অনেকগুলি পরিবারকে বিপর্যস্ত করে তুলবে।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০
Monthu বলেছেন: আমিও সহমত জানাচ্ছি। আবেগ দিয়ে বিচার হয়না। আজকের দিনে পিতা মাতাও কম আহাম্মক না। তারাও অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধী
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮
চোরাবালি- বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভাই।
শুধু মাত্র মোল্লার ঝাড়েরর বেতের ভয় আজ এতদুর। পড়ালেখা এত সহজ নয়।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এ এক চরম সত্য। কজনই বা স্বিকার করে।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নতুন বলেছেন: গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়া এই তদন্ত প্রতিবেদনে অরিত্রীর আত্মহত্যা আগে তার ও তার বাবা-মার সঙ্গে বিদ্যালয়ে যা করা হয়েছিল তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
কমিটি বলছে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিনাত আখতার এবং শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার অশোভন আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অরিত্রীর বাবা-মার সঙ্গে অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধানের নির্দয় আচরণ অরিত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।
কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, ২ ডিসেম্বর দিবা শাখায় প্রতিষ্ঠানের ১২৮ নম্বর কক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালে আনুমানিক ৩ টা ২০ মিনিট থেকে তিনটা ২৫ মিনিটের সময় দুই পরিদর্শক অরিত্রীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। অরিত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইলে ওই দিনের পরীক্ষার বিষয়ের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসের অংশটুকু ছবি তোলা ছিল। এরপর দুই দুই পরিদর্শক মোবাইল পাওয়ার পর উত্তরপত্রের সঙ্গে মোবাইলে ধারণ করা বিষয়ের কোনো মিল আছে কি না তা নিশ্চিত না হয়েই অরিত্রীকে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন ৩ ডিসেম্বর অভিভাবকসহ অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তবে কক্ষ পরিদর্শকেরা অরিত্রীকে কোনো তিরস্কারমূলক কথা বলেননি বলে ছাত্রীরা মত দেয়।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৩ ডিসেম্বর অরিত্রী অধিকারীর বাবা দিলীপ অধিকারী ও তাঁর স্ত্রী আনুমানিক ১০টায় বিদ্যালয়ে যান এবং কিছু সময় অবস্থান করার পর অনুমতি সাপেক্ষে শাখা প্রধান জিনাত আখতারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জিনাত আখতার ইন্টারকমে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের নিয়মানুযায়ী ‘নকলকারীকে’ আর পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন এবং শিক্ষার্থীর বাবা-মার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। শুধু তাই নয়, অরিত্রীকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। শাখা প্রধানের সঙ্গে অরিত্রীর বাবা-মা দেখার করার সময় বাবাকে একটি ময়লা চেয়ারে বসতে বলেন। কিন্তু অসুস্থ মাকে বসতে বলেননি। অরিত্রীর মা শাখা প্রধানের সঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংরক্ষিত আছে।
শাখা প্রধানের কাছ থেকে হতাশ হয়ে তাঁরা শেষ সুযোগের আশায় অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অরিত্রীর ভুলকে স্বীকার করে তাঁর বাবা অধ্যক্ষের কাছে হাতজোড় করে শেষবারের মতো তাঁর মেয়েকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের চলমান নীতিমালা জানিয়ে বলেন, তাঁর মেয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রয়োজনে আগামী দিনে এসে মোবাইলসহ টিসি নিয়ে যেতে বলেন। এই ঘটনার সময় অরিত্রী ও তার মা অধ্যক্ষের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কখনো অসুস্থ মাকে বসতে বলেননি। অরিত্রী দাঁড়িয়ে তাঁর বাবা-মার অনুনয়-বিনয় ও আকুতি পর্যবেক্ষণ করার পর যখন দেখতে পায় তাঁর বাবা মায়ের আবেদন রক্ষা করা তো দূরের কথা বরং তাদের অপমান করা হচ্ছে, তখন সে বাবা-মাকে কিছু না বলে অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বেরিয়ে বাসায় চলে যায়। কিন্তু তার বাবা-মা তখনো শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে অনুরোধ করে যাচ্ছিলেন। শেষ ভরসা হারিয়ে মা বাসায় চলে যান এবং বাবা পরিচালনা কমিটির সভাপতির শরণাপন্ন হয়ে বিষয়টি পুন: বিবেচনার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেন। কিন্তু কোনো সমাধান তিনি পাননি। এ ছাড়া তিনি অন্য কোনো মাধ্যমে উপকার পেতে পারেন কি না সে চিন্তায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকেন। আনুমানিক বেলা একটা থেকে দেড়টার মধ্যে বাসা থেকে ফোনে আসে। বলা হয়, অরিত্রী বাসার কক্ষে দরজা আটকে দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অরিত্রীর বাবা বাসায় ফিরে যান এবং দরজা ভাঙতে না পেরে ভেন্টিলেটর ভেঙে দেখতে পান অরিত্রী ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়েছে। তাকে দ্রুত নামিয়ে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানিয়ে দেয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় খাতায় যে উত্তর লিখেছে তার সঙ্গে জব্দ করা মোবাইলে ধারণ করা বিষয়ের সঙ্গে কোনো মিল আছে কি না তাও যাচাই করে দেখা হয়নি। তদন্তে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়েছে যে, উত্তরপত্রের সঙ্গে মোবাইলে ধারণ করা বিষয়ের কোনো মিল নেই।
শিক্ষার্থীকে টিসি দেওয়ার যে হুমকি দেওয়া হয়েছে তার আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ সংক্রান্ত ১৯৬১ সালের আইনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, আইনে তাৎক্ষণিক এ ধরনের কোনো শাস্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। এই হুমকি ও শিক্ষার্থীর সামনে অপমান ও অপদস্থ করার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় অরিত্রী আত্মহননের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
কমিটি বলছে এই অবস্থা এক দিনে তৈরি হয়নি। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শাখা প্রধান (শিফট ইনচার্জ) অভিভাবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান না এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সদাচরণ করেন না। হঠাৎ সাক্ষাতের সুযোগ হলেও তাঁরা অভিভাবকদের সঙ্গে চরম অশোভন আচরণ করেন বলে তদন্তকালে অনেক অভিভাবক অভিযোগ করেন। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে কাউন্সেলিং বা মতবিনিময় না করে কথা কথায় টিসি দেওয়ার ভয় দেখান।
তদন্ত কমিটি ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। এর ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ওই শিক্ষককে বরখাস্ত এবং এমপিও (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) বন্ধ করা হয়েছে। শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
কমিটি মনে করে, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি এই পরিস্থিতিকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেনি। কমিটির মনে হয়েছে, পরিচালনা কমিটি অভিযুক্তদের রক্ষার চেষ্টা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান পরিচালনা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা যেতে পারে বলে কমিটি মনে করে।
বিচার বুদ্ধি দিয়ে তদন্ত কমিটি উপরের রিপোট দিয়েছে। যেটা অবশ্যই বোঝা যায় নকলের অভিযোগে তাকে টিসি দিতেই চেয়েছিলো। আর বাবা মা কে ও তারা অপমান করেছিলো।
Click This Link
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রশ্ন হল একটি জীবনের মূল্য কত? একটি টিসি কিংবা একটি স্কুল ছেড়ে অন্যত্র ভর্তি হওয়া অথবা জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাওয়া এর কোনটার মূল্য জীবনের থেকে বেশি?
লজ্জা কিসে সব থেকে বেশী? নকল করে ধরা পড়ায় নাকি নকল করে পাশ করায়?
মা-বাবার অপমান। একজন আদর্শ সন্তানের কাছে ভয়ঙ্কর একটি বিষয় নিঃসন্দেহে আর তাও যদি হয় নিজের জন্য। তাহলে তার মর্ম যাতনা আরও বেশী। কিন্তু কোন কাড়নে যখন সেই ঘটনা ঘটেই যায় তখন সেই সন্তানের কর্তব্য কি? মা-বাবার অপমানের জ্বালা জুড়াতে তাদের পছন্দ মত জীবন গড়ার চেষ্টা করা নাকি আত্মাহুতি দেয়া?
এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর আমাদের সন্তানদের কাছে নেই। কেন নেই সে উত্তরটি কি আমাদের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহামানবদের কাছে আছে? আমাদের অভিভাবকদের কাছে কি আছে?
সবশেষে একটিই প্রশ্ন আমরা আমাদের সন্তানদের আসলে কি শেখাই, বলতে পারেন?
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন:
ধনীরা ঈশ্বর পকেটে নিয়ে ঘোরে, গরিবরা হৃদয়ে।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সমস্যা হল ঈশ্বরের ঠাই পকেটে হয় হৃদয়েও হয় কেবলে মননে নয়!
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৩
নাহিদ০৯ বলেছেন: এত মার খেয়েছি, এক পাঁ খাড়া করে মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেছি, বাসায় গিয়ে বাবা মাকে বলার সাহস মনেও আনতে পারিনি তখন। একবার আমার মনে আছে আমি গরমের শার্ট গায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াতাম নিজের বাড়িতে। স্যার যে বেত এর দাগ কেটে বসিয়ে দিয়ে রেখেছেন দুই হাতের, দেখাতে ভয় পেতাম। দেখলে বাড়িতে হয়তো আরো ডাবল থেরাপী দিতো।
আমার স্কুলবেলায় আব্বা আর শিক্ষকের মধ্যে একটা অলিখিত চুক্তি হতো যে মাংস তোমার আর হাড় আমাদের। মেরে ধুয়ে ফেলবে আমার কোন আপত্তি নাই।
এখন ৯-১০ এর শিক্ষার্থীদের ২-৩ টা করে জিএফ বিএফ থাকে। একটুতেই অপমানিত হয়। জীবন এদের কাছে ফেসবুকের স্ট্যাটাসের চাইতেও কম দামী। উসকে দেয়া আবেগ এ ঘি ঢালা মানুষের অভাব হয় না এখন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ফলাফল যে কতটা ভাল হল, সেটাও বলুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: লেখার প্রতিটা কথার সাথে সহমত।