নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের অসুস্থ যাত্রা!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৬



খবর হল 'ক্রাইম পেট্রল'-এ হত্যার কৌশল দেখে বন্ধুকে হত্যার চেষ্টা তিন শিশুর!
এখানে একটি আশ্চর্য বোধক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। আমার আলোচনাটা এই আশ্চর্য বোধক চিহ্নটিকে নিয়ে।
গণমাধ্যম যে মানুষকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে সেটা কি আমরা জানি না? জানি তো, আমরা সেটা মনেপ্রাণে বিশ্বাসও করি আর অহরহ সেটা বলেও বেড়াই। তাহলে কেন এখানে আশ্চর্য বোধক চিহ্নটি ব্যবহার করা হল আর খবরটাই বা কেন এমন নেতিবাচক ভাবে প্রকাশ করা হল?
এই খবরটি তো আমাদের মিডিয়া মোগলদের জন্য গর্বের(!) আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য সাফল্যের(!)। কারণ এতদিন পরে এই সব অনুষ্ঠান তার সফলতা পেল। আগামীতে হয়ত এমন খবরও পাব যে 'ক্রাইম পেট্রল'-এ কৌশল শিখে বন্ধু/প্রতিবেশীকে শিশুর ধর্ষণ, ব্ল্যাক-মেইলের চেষ্টা। এরই মধ্যে যে এমন কিছু সাফল্যের ঘটনা ঘটেনি তা কে বলবে? সব খবরই যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তা তো নয়।
ভারতের ক্রাইম পেট্রল এবং আরও কিছু অনুষ্ঠান এ দেশে প্রচারের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ অনেক দিন ধরেই সোচ্চার ছিলেন। সেটা আমাদের সরকার বাহাদুর কখনোই ধর্তব্যের মধ্যেই নেয় নি। আর তারই ফল স্বরূপ দেখছি ইদানীং আমাদের মিডিয়াগুলোও একই ধরনের অনুষ্ঠান নির্মাণ শুরু করেছে। কারণ একটাই, এখানে অর্থটাই প্রধান বিবেচ্য নিতি নৈতিকতা নয়। দায়-বোধের কথা তো বলাই বাহুল্য।

অতএব আমাদের এ সব সাফল্য গাথা(!) আরও অনেক শুনতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তাতে আশ্চর্যবোধ করাটাই বরং অন্যায় হবে।

এবার একটু সাধারণ আলোচনায় আসি। গণমাধ্যমে নানাবিধ অনুষ্ঠান নির্মাণ করা হয়। যার কিছু বিনোদনমুলক আর কিছু সচেতনতা মূলক। প্রশ্ন হল যে অনুষ্ঠানগুলো পারিবারিক সহিংসতা, কলহ, বেলেল্লাপনা নির্ভর তাকে বিনোদনমুলক অনুষ্ঠান বলা যায়?
যে অনুষ্ঠানগুলো নানাবিধ ক্রাইমের কৌশলকে উপজীব্য করে করা হয় তাকে কি সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান বলা যায়? আপনি একজন মানুষকে সচেতন করতে বলতে পারেন আপনার শিশুকে সাবধানে রাখুন, চোখে চোখে রাখুন। তার সাথে বন্ধুত্বমুলক আচরন করুন তার কাছে তার যে কোন সমস্যা জানতে চান। মন খুলে কথা বলুন যাতে সে কোন অসুস্থ মানুষের পাল্লায় না পরে যায়। পরে গেলেও যাতে দ্রুতই সেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে। এটা একটা সচেতনতামুলক পরামর্শ। আবার এই একই পরামর্শ দানের সাথে সাথে আপনি যদি কিভাবে একটি শিশু ধর্ষনের স্বিকার হয়েছে তার রগ রগে বর্ননা দেয়া শুরু করেন আর সেটাকেও সচেতনতা মুলক পরামর্শ বলেই চালিয়ে দেন। দুটি কি এক হল? এক নয়, প্রথমটি যতটা সুস্থ এবং সুবিবেচনাপ্রসুত দ্বিতীয়টিতে ততটাই বিকৃত মানসিকতার।
ক্রাইম পেট্রল বা এ জাতিয় অনুষ্ঠানগুলো ঠিক তেমনি বিকৃত রুচির।
এ গুলোর নির্মাতা-পরিবেশক এরা যেমন অসুস্থ মানসিকতার ঠিক তেমনি এ গুলোর দর্শকরাও সুস্থ মানসিকতার নয়। আর সেটা বলাই বাহুল্য। শিশু কিশোরদের বেলায় তো এই মানসিক সুস্থতার দোহাই দেয়ার সুযোগ নেই তাদের অনুসন্ধিৎসু মন এ সব নেতিবাচক বিষয় দেখতে চাইবে। সে সব বাস্তবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। পরিবারের সমাজের সর্বোপরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব হল এদের সঠিক শিক্ষা দান করা। এ সব থেকে দূরে সরিয়ে রাখা আর তা করতে হল সবার আগে তো দায়িত্ব সচেতন হতে হবে। সমস্যা হল আমরা কেউই দায়িত্ব সচেতন নই। একবার ভাবুন তো, আমাদের পরিবা্‌ সমাজ সর্বোপরি রাষ্ট্রই যদি দায়িত্ব জ্ঞানহীন হয়, অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে অবস্থাটা কি দাঁড়ায় !

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ক্রাইম পেট্রোল দেখি আর অবাক হই। তবে ক্রাইম পেট্রোল দেখে মানুষ সচেতন হচ্ছে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মানুষকে সচেতন করতে কতটা বিষদ ব্যাখ্যায় যাওয়া উচিৎ প্রশ্নটা সেখানেই। অনেক ধন্যবাদ নুর আপনাকে।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ক্রাইম পেট্রোল আমিও দেখি। এবং সচেতনতার জন্যই মনে হয়অনুষ্ঠানটি হয়। মানুষ নেগেটিভলিই সব নেয় :( সচেতন হওয়ার বদলে অচেতন হয়

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সমাজে প্রতিটি মানুষের মানসিকতা যদি একই উচ্চতায় উন্নিত হত তবে সমাজে কোন অন্যায় অবিচারই থাকত না। মানুষে যেমন ভিন্নতা রয়েছে তেমনি মানসিকতায়ও। আলোচ্য বিষয়ে যখন শিশুরাই প্রধান আলোচিত সেক্ষেত্রে সম্মানিত মন্তব্যকারিনী নিশ্চয়ই শিশু নন। কাজেই বিষয়টা নিয়ে একমুখি চিন্তা না করে সার্বিকভাবে চিন্তা ভাবনা করাই শ্রেয়। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ক্রাইম পেট্রোলে এত ডিটেইল্স দেখায় শুধু ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে। তার উপর বেশীরভাগ ক্রাইম হয় পরকীয়া আর প্রেম নির্ভর। তারা সেখানেও অশ্লীলভাবে চিত্রায়ন করে। আমাদের অভিভাবকরাও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এসব নাটক/প্রোগ্রাম দেখে থাকেন...

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ক্রাইম নিয়ে করা কাজগুলো সবসময় জনপ্রিয়। ক্রাইম মানুষ খায়। ডেক্সটার সিরিজটা একজন সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে- এটা বোধহয় পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত সিরিজগুলোর একটা। আপনি কি ডেক্সটারের মত সিরিজগুলো বন্ধের পক্ষপাতী? হ্যানিবেল লেকটারকে লেখা হবে না?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: বিষয় নিয়ে আমার আপত্তি নেই আপত্তিটা হচ্ছে তার বিষদ বিবরন নিয়ে। ধরুন একটা নির্মম হত্যাকান্ড সংগঠিত হল। আপনি কি সে খবরটি প্রকাশের সাথে সাথে সেই নৃশংস ছবিটিও প্রকাশের পক্ষে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.