নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বোধহয় আর একটু কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরী

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪


নিষেধ অমান্য করে তাবলীগ জামাত চালু রেখে বহুসংখ্যক লোক করোনা আক্রান্ত হওয়ার যেরে ভারতের পুলিশ মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে "অনিচ্ছাকৃত" হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ কেন গার্মেন্টস মালিকদের বিরুদ্ধে "অনিচ্ছাকৃত" হত্যা মামলা দায়ের করল না? আজ যে শ্রমিকরা এভাবে পালিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন তাদের তো গার্মেন্টস মালিকরাই কারখানা চালুর কথা বলে, বেতন পরিশোধের কথা বলে বাধ্য করেছিলেন কর্মস্থলে ফিরে আসতে। তারা কর্মস্থলে ফিরে এসে শুনল কারখানা বন্ধ আবার সরকারী নিষেধ থাকায় বাড়ী ফিরেও যেতে পারবে না। সরকার বা মালিক কোন পক্ষই ভেবে দেখল না বাড়ী ফেরা এই লোক গুলোর হাতে টাকা পয়সা নেই এরা খাবে কি? থাকবে কোথায়?
আমাদের নিতি নির্ধারক গন সর্বদাই হাওয়ায় পা ফেলে চলেন। তারা বাস্তবতার ধারও ধারেন না। নয়ত সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগেই যে গন পরিবহন বন্ধ করা দরকার ছিল এই সাধারণ বুদ্ধিটুকুও তাদের মাথায় খেলল না!
সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে মানুষ ঈদের ছুটি ভেবে বসল! আমরা হা হয়ে দেখলাম মানুষ কিভাবে এক আরেকজনের ঘারে চরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে রাখতে হৈ হুল্লোড় করে বাড়ী ছুটল।
এর পরেও শিক্ষা হল কি নিতি নির্ধারকদের? হল না।
এ জাতির মাথা কিনে নেয়া গার্মেন্টস মালিকরা এই পরি মরি করে ছুটে পালানো মানুষগুলোকে চাকুরীর ভয় আর বেতনের লোভ দেখিয়ে কর্মস্থলে টেনে নিয়ে এলেন। এরা চলে এলো। এরপরে সরকার কঠোর হল তারা যাতে আর ফিরে যেতে না পারে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি কেন হয়। যেভাবে তাদের ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরা ঠেকালেন সেভাবে কেন আসা ঠেকালেন না? তারা তো ফেরীতে চরে এসেছিল কেন সেটা তখন ফিরিয়ে দিলেন না বা বন্ধ করে দিলেন না। কেন তখন এখনকার মত বা আরও বেশি কঠোর হলেন না? এই লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে যখন আটকে রাখতেই চাইলেন কেন তাদের বেতন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারলেন না? কেন তাদের প্রাত্যহিক বাঁজার সদাই পৌঁছে দিতে পারলেন না। সরকার কেন ব্যবসায়ীদের কাছে এত অসহায়? সরকার যদি তাদের কাছে এভাবে অসহায় হয়ে পরে তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থাটা কি দাঁড়ায়?
এত বড় একটা অন্যায় করার পরেও গার্মেন্টস মালিকেরা তাদের শ্রমিকদের বেতন দিল না। তারপরেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো না। সেদিন যদি গার্মেন্টস মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হত তাহলে অনেকের কাছেই সরকারের একটা শক্ত অবস্থানের বার্তা পৌঁছে যেত। সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশে যে চাল চুরির হিড়িক পড়েছে হয়ত সেটা দেখা যেত না। সরকারের শক্ত অবস্থান বিবেচনায় আহাম্মকের দলকেও হয়ত এভাবে বিনা প্রয়োজনে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত না। সারা দেশ লক ডাউন থাকা অবস্থায় ব্রাহ্মণ বাড়িয়ায় জানাজার নামে হাজার হাজার মানুষের সমাগমের সাহস কেউ দেখাত না। যদি গার্মেন্টস মালিকরা ঐ রকম একটা হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিত তাহলে হয়ত এ দেশে করোনা এতটা ছড়াতই না। আর এত দিন ধরে ঘর বন্দি হয়েও থাকতে হত না।
যদি শতভাগ লোক হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে নিত তাহলে হয়ত এ দেশে করোনার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হত না। যে আওয়ামী সরকার পিটিয়ে বিএনপিকে বছরের পর বছর ঘর বন্দি করে রাখতে পারল সেই আওয়ামী সরকার ন্যায় সঙ্গত হওয়া স্বত্বেও কেন দশ পার্সেন্ট আহাম্মককে ঘর বন্দি করতে পারল না? কেন অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে পারল না এ প্রশ্ন তো আমরা ভুক্ত ভোগীরা করতেই পারি।
সরকারী হিসেব অনুযায়ী দেশে নব্বই ভাগ মানুষ লক ডাউন মেনে নিচ্ছে, অথচ এই নব্বই ভাগ মানুষকে আজ দশ ভাগ মানুষের স্বেচ্ছাচারিতার দায়ভার নিয়ে দিনের পর দিন ঘর বন্দি জীবন যাপন করতে হচ্ছে। কাজ নেই কর্ম নেই এক টাকা আয় নেই। তদুপরি এই অচলাবস্থার শেষ কোথায় সেটাও জানা নেই। মানুষ কতদিন এটা সহ্য করতে পারবে? দিনের পর দিন কাজ কর্ম হীন মানুষগুলো, এর পরে তো চুরি-ডাকাতি করতে শুরু করবে। দেশ একটি চরম নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে সে খবর কি আছে?
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী খুব বেশী দিন চলতে পারে না। দেশকে অর্থনীতির মুল স্রোতে ফিরিয়ে নিতেই হবে আর সেটা যত দ্রুত সম্ভব ততই মঙ্গল কাজেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিন। আপনার নেয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তই সঠিক ছিল প্রয়োজন কেবল শতভাগ বাস্তবায়ন। আর সেটা করার জন্যই প্রয়োজন দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করা গার্মেন্টস মালিক, কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ অমান্য করা জনগণ আর ত্রাণের খাদ্য আত্নসাতকারী নেতা সকলকেই দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনুন।

যে দেশের মানুষের ভোটার আইডি কার্ড আছে সে দেশে কেন সুষ্ঠু ভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চালানো যাবে না? কেন সে দেশের ত্রাণ বিতরণে এত অনিয়ম হবে?
এক নারায়ণগঞ্জ থেকে এতগুলি জেলায় করোনা ছড়িয়ে পরছে বলে প্রশাসন যখন জানতেই পারছে তারপরেও কেন সেখানে প্রতিদিন মাত্র বিশ জনের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে? কেন নারায়ণগঞ্জকে প্রকৃতই লক ডাউন করা গেল না?
প্রশ্ন শুরু করলে এমন হাজারটা প্রশ্ন আসবে, উত্তর মিলবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লাইভ অনুষ্ঠানে এসে প্রশ্ন করে যখন আপনি নিজেই সঠিক উত্তর পান না তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না 'বজ্র আঁটুনি ফসকা গেড়ো'টা আসলে কোথায়। এর কারণ একটাই আর তা হল, যোগ্য আর সৎদের বড় অভাব! বঙ্গবন্ধুর সময়ের সেই কম্বল চোরদের নাতিরাই আজ চাল চুরি করে ধরা পরে। এই চোরের দল থাকবেই তারপরেও এ জাতীর শেষ ভরসা তো আপনি। আমরা জানি একটা পর্যায়ে আপনিও এদের টুটি চেপে ধরবেন, সেটা যত দ্রুত করবেন ততই মঙ্গল। নয়ত কে জানে, জান প্রাণ দিয়ে যত চেষ্টাই করুন না কেন। যাদের দিয়ে করাচ্ছেন তাদের অযোগ্যতা আর অসততা আপনার সকল চেষ্টাই না ব্যর্থ করে দেয়!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে যা বলার বলেছেন। কিন্তু দেশের জনগন বেয়াদপ।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: 'দেশের জনগন বেয়াদব' সন্দেহ নেই। আর সে কারনেই দরকার উত্তম মাধ্যম।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্ত বাড়তেছে । মনে বেশ কিছু মরলে হুশ হবে

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়.।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.