নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার শিশু সন্তানটিকে আপনিই আগলে রাখুন

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬


অন্যায়কে প্রশ্রয় অন্যায়ের মাত্রা বাড়ায় এটা কি নতুন কোণ কথা? অপরাধীকে আশ্রয় দিবেন। অপরাধের বিচার না করে দিনের পর দিন ঝুলিয়ে রাখবেন, অপরাধ প্রবণতা বাড়বে না?
ধর্ষণের শাস্তিা মৃত্যুদন্ড নির্ধারন করা হোক। একই সাথে স্বল্পতম সময়ে বিচার শেষ এবং রায় কার্যকরের বিধান করা হোক। যারা এই বিচারকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক। তাতে শুধু ধর্ষণই কমবে না। নারী নির্যাতনও উল্লেখযোগ্য হারে কমবে।
গত বছরের প্রথম তিন মাসে মোট ১৪৫টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, এ বছর (জানু-মার্চ) তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৬ জনে। সূত্র প্রথম আলো।
কারণ আর কিছুই নয় গত বছরের ঐ ১৪৫ শিশু ধর্ষণের বিচার পায় নি। পেলে এ বছর ১৭৬ জনে তা উন্নীত হত না।

যাদের উপর এর দায় বর্তায় তারা কি আদৌ চান ধর্ষণের ,মত এই নারকীয় পৈশাচিকতা বন্ধ হোক? যদি বন্ধ হোক সেটাই চাইতেন তাহলে তারা বলুক এটা বন্ধে কি এমন করেছেন।

ধর্ষক; সে পাড়ার মাস্তান হোক, দলের ক্যাডার হোক কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সে ক্ষমতাবান। অর্থের বিচারে বলুন, রাজনৈতিক শক্তির বিচারে বলুন কিংবা অবস্থানগত ভাবে বলুন। সে ক্ষমতাবান। সে ক্ষমতাবান বলেই সে অন্যায় করার সাহস পায়। তাদের সেই ক্ষমতার উৎস কোথায়? প্রতিটি ঘটনার পরে আমরা কিন্তু সেটাও জানতে পারি। কেবল জানতে পারি না সেই পেছনের ক্ষমতাবানরা কখনো জবাবদিহিতার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা। উল্টো আমরা লজ্জা পাই যখন দেখি নেতারা ধর্ষণের আলোচনার টেবিলে বসে আগে পরে তুলনামূলক চিত্র একে নিজেদের সময়ে হওয়া ধর্ষণকে স্বাভাবিক বলে দেখানোর চেষ্টা করেন। তারা কি বোঝেন না, ধর্ষিতার যন্ত্রণা এতে বাড়ে বৈ কমে না। ধর্ষকের সাহস এতে আরও বাড়ে। এ সব শুনে তারা শোল্লাসে মাতে। দ্বিগুণ উৎসাহে দ্বিতীয়বার অপরাধের জন্য প্রস্তুত হয়।
অপরাধী জানে এ দেশে এত সহজে কিছু হয় না। প্রথমত তারা বিশ্বাস করে ধর্ষিতা ক্ষমতাহীন সে কিছু করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, সে বিশ্বাস করে সমস্যা হলে তার বাপেরা (সে যাদের হয়ে কাজ করে) তাকে বেচে যেতে সাহায্য করবেন। তৃতীয়ত, সে খুব ভাল করেই জানে এ দেশে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কথা। সে এও জানে টাকা থাকলে উকিল পাড়ায় তার জন্য এমন অনেক জাঁদরেল আইন জীবীও আছেন যারা টাকার গন্ধ পেলে নিজের মেয়ের ধর্ষককেও বাঁচিয়ে আনতে লজ্জিত হন না। নয়ত বিচারের চলমান অবস্থায় ধর্ষকের পাশে দাঁড়িয়ে তার যে আইনজীবী দু আঙ্গুলে "জয়"সূচক চিহ্ন দেখান বিচার শেষে যখন প্রমাণিত হয় আসামি অপরাধী এবং সে দণ্ডিত হয় তখন তার সেই আইনজীবী তো লজ্জায় আত্মহত্যা করার কথা। কেউ না জানুক ঐ আইনজীবী তো প্রথম দিনই সত্যটা জানতেন তারপরেও দিনের পর দিন সত্য মিথ্যের মিশেলে আদালত ধোঁকা দিয়ে আসামীকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে গেছেন। তার কি ঘরে মেয়ে নেই সে কি কোন মায়ের সন্তান নন তার কি লজ্জায় মরে যাওয়ার কথা নয়? কেউ কি আজ পর্যন্ত তাদের লজ্জিত হতে দেখেছেন? দেখেন নি। অতএব...... পাঠক আপনার শিশু সন্তানটিকে আপনিই আগলে রাখুন। চারিদিকে শকুনের থাবা। তা থেকে তাকে বাচাতে হলে আপনাকেই উদ্যোগী হতে হবে।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় ওকালতি পেশায় থাকলে অনেক সময় অন্যায়কারীকে সমর্থন করতে হয়। এই পেশায় বুঝে শুনে আশা উচিত।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অন্যায়ের সমর্থন আমিও করতাম যদি না জানতাম একদিন করায় গন্ডায় হিসেব দিতে হবে। মহান সৃষ্টিকর্তা জান্নাত-জাহান্নাম দুটোই সৃষ্টি করেছেন। তার মাঝামাঝি কিছু রাখেন নি।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: চোরের হাত কেটে ফেলার আইন থাকলে দেশে একটা চোরও থাকতো না।
আইনজীবি হওয়া মানেই টাকার লোভে জেনে-শুনে অপরাধীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করা না।
সবাই এই অপকর্ম করেন না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমিও বলছি সবাই এই অপকর্ম করেন না কিন্তু কিছুসংখ্যক যে করেন ওদের রক্ষায় তারাই যথেষ্ট।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: কিন্তু সন্তানকে কতটা সময় ঘরের ভেতরে আগলে রাখা সম্ভব বলুন?
সম্ভব কি?
আপনি সারা বছর আগলে রাখবেন আর ধর্ষকদের মাত্র একটা সুযোগ দরকার হবে । আগে রাখার থেকে দরকার কঠোর আইন এবং সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ !

একটা সুংবাদ হচ্ছে প্রত্রিকার মাধ্যমে জানতে পাড়লাম যে ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড রেখে আইন পরিবর্তন হচ্ছে । এখন দেখার ব্যাপার হচ্ছে সেটা কতদুর প্রয়োগ হয় ।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সেদিন একটা ভিডিও দেখলাম।

একলোক একটা মানুষের কাটা মাথা নিয়ে থানায় যাচ্ছে।
ঘটনা হলো- বোনকে ধর্ষন করেছে। ভাই ধর্ষকের মাথা কেটে নিয়েছে। তারপর নিজেই থানায় গিয়েছে। ভারতের তামিল নাড়ুর ঘটনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.