নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
বলুন তো ঠকে কারা?
যারা অর্ধেক মূল্যে জিনিষ কেনে।
যারা ছেড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখে।
যারা অন্ধ, বিবেকবর্জিত। বাস্তবতার ধার ধারে না।
বলুন তো কাদের টাকা মেরে অর্থলগ্নি কারী প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়?
যারা সরকারী/বেসরকারি ব্যাঙ্কের দ্বিগুণ তিনগুন সুদে টাকা গচ্ছিত রাখে।
এবার বলুন কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কি কারণে শতভাগ ঠিকঠাক একটি পণ্য অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করবে?
কোন শিক্ষিতা, বিত্তশালী সুদর্শনা কোন দুঃখে অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকের সাথে ঘর বাধবে?
কিংবা যেখানে সরকারী সকল সুযোগ লাভ করা স্বত্বেও কোন ব্যাংক ৬/৭ পার্সেন্ট এর বেশি সুদ দিতে পারে না সেখানে অখ্যাত ভাঙ্গাচোরা দালানে ছোট ছোট কক্ষ ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলা অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান কিভাবে ১২ থেকে ১৫ পার্সেন্ট কখনো কখনো তার থেকেও বেশি সুদ দিতে পারে?
লোভ এক ধরনের মরণ নেশার মত যাতে মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায় আর সে তখন ভুল করে। একের পর এক ভুল। যখন চৈতন্য ফেরে তখন দুনিয়া শুদ্ধ লোককে দোষ দেয়। তাও একবার নিজের দোষটা দেখে না।
আবার কিছু লোক আছে যারা ভাল জিনিষ কম দামে কেনার জন্যে হন্য হয়ে ঘোরে। আরে বাবা ভাল চাও তো ভাল দাম দাও। না তা দেবে না। আহাম্মকির তো একটা মাত্রা থাকে। এদের বোঝাবে কে? অতঃপর ভেজাল পন্যের খপ্পরে পরা।
জিনিষ চাইবেন ভাল, দাম দিবেন কম। বিক্রেতা আপনাকে ভেজাল পণ্য দিবে না করবেটা কি? ঐ ব্যাটার দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন বাড়ির খরচের জোগান কি বারো ভুতে জোগাবে?
যে দোকানী পণ্যের সঠিক মূল্য চায় তিনি সঠিক পণ্যটি সরবরাহ করেন যে কম দাম হাঁকায় সে তার লাভটা অন্য উপায়ে ঠিকই আদায় করে নেয়। এটা তো সহজ হিসাব।
ব্যবসায়ী ব্যবসা না করে কেনা দামে বা তার থেকেও কম দামে আপনাকে পণ্য দিল আপনি খুশিতে ডগমগ হয়ে বাড়ি চলে এলেন। একবারও ভাবলেন না ঐ বেটা তো এই বেচেই খায়। ও যদি ব্যবসাই না করল তাহলে খাবে কি?
বিষয়টা হল, বিচার বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কখনোই ঠকে না। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চললে; সোজা রাস্তায় চললে কেউ তাকে চাইলেও বিপদে ফেলতে পারে না। প্রতারক তার ফাঁদে কেবল অতি লোভী আর আহাম্মক শ্রেণীর মানুষকেই ফেলতে পারে। কাজেই লোভের লাগাম টানুন, অন্ধ বিশ্বাস বন্ধ করুন, সুস্থ চিন্তা করুন, বাস্তবতার নিরিখে বিচার করুন। সহজেই প্রতারণার ফাঁদগুলো দেখতে পাবেন। এরপরেও যে আপনি ক্ষতির স্বীকার হবেন না তা নয়। হতেই পারেন আবার নাও হতে পারেন। দায়মুক্ত তো থাকতে পারবেন।
২| ০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ২:১০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লিখার জন্য ধন্যবাদ জানবেন। আমি আপনার লিখাটা পড়ে বুঝতে পারছি আপনি যথেষ্ট প্রজ্ঞা আর বাস্তবজ্ঞান সম্পন্ন একজন মানুষ। আমার অভিমত হলো, আপনি যে কথাগুলো বলেছেন আর বলতে চেয়েছেন, সেটা বোঝার জন্য এক ধরনের মানবিকতাবোধ থাকা প্রয়োজন যা খুব সম্ভবত সবার মাঝে গড়ে ওঠে না বিভিন্ন কারণে। জীবনের এ বেলায় এসে বুঝতে পারি যে এক জীবনে নিজেকে চেনা বা জানা কতটা জরুরী।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দিচ্ছি, বিগত ক'মাস ধরে আমি নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন রাস্তায় হাটছি, চারপার দেখছি আর তা ভিডিও করে ইউটিউবে দিচ্ছি। কম-বেশী তা মানুষ দেখছেও। আমার বিগত ক'মাসের অভিজ্ঞতায় দেখলাম এক শ্রেনীর মানুষ রাস্তা পারাপারের নিয়ম সঠিকভাবে না মেনেই বা দৌড়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে, অনেকটা বাংলাদেশের মতো। আমেরিকায় এই দৃশ্যটা আমার প্রত্যাশিত ছিলো না। আরো ভালোভাবে খেয়াল করে দেখলাম, যারা এ কাজটি করছেন তাদের বেশীরভাগই বাদামী বা কালো চামড়ার মানুষ, সাদা চামড়ার মানুষ খুব কম। যারা এ ধরনের কাজ করছেন তাদের এবং তাদের পোশাক-আশাকে বোঝা যায় যে এরা সমাজের শিক্ষিত উচ্চ শ্রেনী বা পেশার লোক নন। কালো লোকজন বাদে বেশীর ভাগই ইমিগ্র্যান্ট লোকজন এবং এদের দেখেও বোঝা যায় এরা এ দেশে জন্ম নেয়া বা বড় হওয়া লোকজন নন। আমার এই অবজারভেশন দীর্ঘ সময়ের।
ছোটবেলা থেকেই বাবা-মা শিখিয়েছেন, অন্যায় করা যাবে না, আইন ভাঙা যাবে না। আজ বাবা-মা পাশে নেই তবুও হাজার মাইল দূরে থেকেও সে কথা ভুলে যাই নি। আমেরিকায় পড়াশোনা করার সৌভাগ্য হয়েছে, অনেক জ্ঞানী আর বিভিন্ন জাতির লোকজনদের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে। ঘুরে-ফিরে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই একটা সুর্নিদিষ্ট শ্রেনীর লোককেই সমাজে অন্যায় আর অপরাধের সাথে যুক্ত হতে দেখছি। যাদের ভেতরে এই অপরাধবোধ কখনোই জন্মায় না। তদুপরি তারা আপনার ভাষ্যমতো এরাও বাকি লোকজনকে দোষ দিয়ে বেড়ায়।
আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ দুপুর ২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: A man can change his face, his home, his family, his wife or girlfriend, his religion, his GOD. But can’t chnge one thing….his PASSION.