নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
শনিবার সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।প্রথম আলো
তাদের কাছে লক ডাউনের অর্থ বিশাল ছুটি। এ ছুটি তাঁরা একা কাটাতে পারবেন না মোটেই; আর তাই ছুটছেন বাড়ীর পথে। কি অদ্ভুত এই মানুষগুলো। বলছেন কাজ না থাকায় ঢাকায় থাকার খরচ মেটাতে পারবেন না বলে বাড়ি যাচ্ছেন। অথচ বাড়ি যেতে যে টাকা খরচ করছেন এবং বাড়ি থেকে আসতে যে টাকা খরচ করবেন তাতে অনায়াসেই লক ডাউনের কদিন ঢাকায় থাকতে পারতেন।
তারা পরি মরি করে ছুটছেন বাড়ীর পথে। কেউ ভাইরাস নিয়ে যাচ্ছেন, কেউ পথ থেকে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে বাড়ী পৌঁছুবে্ আবার কেউ বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হবেন। লক ডাউন শেষে এরা আবার ঢাকায় ফিরবেন ভাইরাস বয়ে নিয়ে।
কেন তারা এমন করছেন? এর ব্যাখ্যা কারো কাছেই নেই। সরকার এদেরকে থামাতে পারছে না অথবা থামাতে চাইছে না। সরকারের এই ব্যর্থতা বা ইচ্ছাকৃত ত্রুটির ফলে দেশের বেশির ভাগ মানুষ সব নির্দেশনা মেনে চলেও এদের কারণে ভোগান্তির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। পনেরটা দিন সবাই মিলে কষ্ট করলে পনেরটা মাস দেশের কোটি কোটি মানুষকে কষ্ট করতে হত না। এর দায় কে নেবে?
কয়েক লক্ষ স্বেচ্ছাচারী মানুষ কয়েক কোটি মানুষকে এভাবে বছরের পর বছর ভোগাবে তাদের কোন শাস্তি হবে না? এ কেমন কথা?
ইচ্ছাকৃত ভাবে মানুষের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলা যদি অপরাধ না হয় তাহলে তো চুরি, ছিনতাই, দুর্নীতি এসব তো অপরাধ বলে গণ্য হওয়ারই কথা নয়। কেন শুধু শুধু বেচারাদের শাস্তির আওতায় আনা!
আমাদের আইন প্রণেতারা কি আসলেই বোঝেন; কোনটা অপরাধ কোনটা নয়? একের পর এক লক ডাউনে অসংখ্য ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুলের শিক্ষক চাকুরী হারিয়ে স্ত্রী সন্তানদের গ্রামে রেখে ঢাকায় এসে বাড়ীর দারোয়ানের চাকুরী খুঁজছে। কত মানুষ কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কোটি কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা বন্ধ। এরপরেও আমাদের আইন প্রণেতারা বুঝতে পারেন না এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী! প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করে হলেও এদের ঠেকানো প্রয়োজন।
সাধারণ মানুষের এমন অবস্থার পরেও যে দেশের সরকার নমনীয়তার কথা বলে কিছু অসভ্য, অভদ্র, বেকুব মানুষকে শক্ত হাতে দমন না করে ছার দিয়েই যাচ্ছে এরপরে তো মানুষ সেই সরকারের বিরুদ্ধেই শ্লোগান তুলবে। আর সেটা কি খুব দোষের কিছু হবে?
আজ সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, বিশ কোটি বাংলাদেশী কি বিশ লক্ষ মানুষের স্বেচ্ছাচারিতার স্বীকার হয়ে বছরের পর বছর ভুগতেই থাকবে নাকি সরকার এদের দমনের মুরোদ রাখে?
২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: দুঃখের সাথে বলছি মনে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষগুলোও সাধারন মানুষের হাহাকার শুনতে পাচ্ছেন না। আর সে কারনেই এমন দ্বায়িত্বহীন কাজ কারবার চলছে।
২| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
শাহ আজিজ বলেছেন: বেশ কিছু গাড়ি প্যাসেঞ্জার নিচ্ছে ৫০০ টাকা জনপ্রতি । এইগুলাকে ধরে গাড়ি সিজ করা উচিত । এত আনন্দ কেন বাঙ্গালীর মনে । সরকারের অ্যাকশনবিহীন ঘোষণা এরকমই হবে ।
২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: স্বার্থপর বাঙ্গালী মানস ভয়ংকররুপে আত্নপ্রকাশ করছে তাই তাদের এমন আনন্দ! দুঃখের সাথে বলছি, মনে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষগুলোও সাধারন মানুষের হাহাকার শুনতে পাচ্ছেন না। আর সে কারনেই তারাও এমন দ্বায়িত্বহীন কাজ কারবার চলছে।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১৭
জুন বলেছেন: এতটা কষ্ট করে, এত টাকা খরচ করে দৌড়ে যাচ্ছে বাড়িতে আবার দুদিন পর একই ভাবে ফিরে আসছে। এই ছোটাছুটির পেছনে কারণটা কেউ বলবেন কি? কোন ভয় নাকি ছুটির আনন্দ? কিসের জন্য??
২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: স্বার্থপর বাঙ্গালী মানস ভয়ংকররুপে আত্নপ্রকাশ করছে তাই তাদের এমন আনন্দ। এরা যতক্ষন না নিজে আক্রান্ত হয় ততক্ষন পর্যন্ত মর্ম বোঝে না।
৪| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
ফড়িং-অনু বলেছেন: বঙ্গদেশে কি মানুষ আছে? আছে তো সব অসৎ। আর যদি কয়েকজন মানুষ থেকে থাকে তাদের দেখা মিলে না মৃত্যুর ভয়ে। অনেকদিন পর ভালো মনের মানুষ পেলাম, আপনার লিখার মাধ্যমে।
২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
৫| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার সরকারের মুরদ নিয়ে কোন ধারনাই নাই। সরকার চাইলেই এদের থামিয়ে এক জায়গায় বসিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু সরকার কিছু বিষয় দেখেও না দেখার ভান করে।
২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: তাহলে শিরনাম হওয়া উচিৎ ছিল সরকার জনগনের সাথে তামাশা করছে!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪৪
ফড়িং-অনু বলেছেন: সত্যি বলতে সরকারের সেই হেডাম এখনোও হয়ে উঠেনি। বঙ্গদেশ দিন দিন একটা জাহান্নামের দিকে যাচ্ছে। তবুও আশার রাখি আশাবাদী মানুষ। একদিন সোনার দেশ, সোনার মতো হয়ে উঠবে।