নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।
দ্রোহের কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ লিখেছিলেন, “শরীর বেচি শরীর বেচি, শোনো ভদ্রলোক, রাতের নায়ক যারা, তারাই দিনের বিচারক”। কবি কথাগুলো তার নিজ ভাবনা থেকে লিখেছিলেন। আজকের এই সময়ে আমাদের প্রশ্ন – রাতের রানী শতাধিক। তাদের যোগানদাতা বলেও দু চারজনের কথা শোনা যাচ্ছে। রাতের রাজারা কোথায়?
আমরা বাস করছি একটি চরম দ্বান্দিক সময়ে। যেখানে হ্যাঁ এবং না একসাথে হাত ধরাধরি করে চলে। আমরা একদিকে পতিতালয়ের লাইসেন্স দেই, অন্যদিকে পতিতাবৃত্তিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি। আমরা একদিকে মদ ক্রয় বিক্রয়ের লাইসেন্স দেই, অন্যদিকে মদ রাখাকে অবৈধ বলি।
সরকার চাইলে দেশে মদকে নিষিদ্ধ করতে পারে আবার প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য উন্মুক্তও করতে পারে। ঠিক একই ভাবে পতিতাবৃত্তিকে নিষিদ্ধ করে পতিতাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা যেমন করতে পারে অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পতিতাবৃত্তি এবং পতিতালয়ে গমনাগমনকে আইনসিদ্ধও করতে পারে। যে কোন একটা পথ বেছে নিলে তো এত দ্বান্দিকতা এবং রাখঢাকের দরকার পরে না।
প্রশ্ন হল, দেশে মদ ও অবৈধ যৌনাচারের এত প্রয়োজনীয়তা কেন? এ দুটি যদি সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করা হয়। তাহলে কি দেশ রসাতলে যাবে? যাবে না তো। তাহলে? ক্ষেত্র বিশেষে এর বৈধতা কেন দিতে হবে?
দেশে যতদিন পর্যন্ত মদের আমদানি নিষিদ্ধ না হবে ততদিন পর্যন্ত মদের অবৈধ বেচাকেনা চলতেই থাকবে। কেউ লাইসেন্স নবায়ন করবে না। কেউ অতিরিক্ত কিনবে এটাই তো স্বাভাবিক। যেমন বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘পরী মণির মদ সেবনের একটি লাইসেন্স আমরা পেয়েছি কিন্তু তার মেয়াদ ও আইনসম্মত ছিল না। তা ছাড়া তার বাসা থেকে যে পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়েছে তা তার লাইসেন্সে কভার করার কথা নয়।’ bd-pratidin.com
বাবার মদ খাওয়ার লাইসেন্স আছে সে মদ খেয়ে বাড়িতে আসছে ছেলের তো মদ খাওয়ার সাধ জাগবেই। বাবার শিক্ষায় শিক্ষিত বলে কথা! সমস্যা হল তার তো লাইসেন্স নেই সে কি করবে? তার অর্থ আছে, সে অবৈধ ভাবে মদ যোগাড় করবে। বাবার লাম্পট্যের লাইসেন্স আছে, ছেলের তো নেই। কিন্তু ছেলের তো সাধ আছে, অর্থ আছে। কাজেই লাম্পট্যে তার বাধা থাকার কথা নয়।
এখন এই রাজপুত্রদের মদ ও নারীর যোগান দাতার প্রয়োজন হয়ে পড়ল। আর প্রয়োজনই তো সৃষ্টির রূপকার। কাজেই যোগানদাতাও সৃষ্টি হবে সহজেই। এবার আসি আপনারা যাদের রাতের রানী বলে ডাকেন তাদের কথায়। আমাদের এই ভোগ বাদী সমাজব্যবস্থা প্রতিনিয়ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী শ্রেণীর জন্ম দিচ্ছে। আর অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষা সর্বদাই মানুষকে নিতি নৈতিকতা বিসর্জনে প্র-ভোক করে। কাজেই অর্থের লোভ আর আলো ঝলমলে দুনিয়ার দিকে খুব সহজেই ঝুঁকে পড়ে মিডিয়া পাড়া থেকে শুরু করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উঠতি তরুণীদের একটা অংশ।
এই তরুণীরা এবং তাদের যোগানদাতা এরা সবাই কিন্তু এক একটি প্রডাক্ট। এই প্রোডাক্টগুলো কারা প্রডিউস করছে? আমরা সেই উৎপাদকের খোজ করছি কি? করছি না। কেন করছি না? কাড়ন হল, এটা এক ধরনের খেলা। আমাদের প্রশাসনের কাজ হল প্রডাক্ট খুঁজে বের করা ও তা নির্মূলের চেষ্টা করা। আর আমাদের সিস্টেমের কাজ হল প্রডাক্ট তৈরির মেশিনারিজের দেখভাল করা। এই সব প্রডাক্টের নির্মাতা বিশেষ কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়। এর নির্মাতা আমাদের নৈতিকতা, রাষ্ট্রের পলিসি, ধর্ম, সমাজ ব্যবস্থা ও অর্থ। আর তার সাথে রয়েছে গুটিকয়েক সুবিধাভোগী। এদের সব্বাইকে একত্রে বলা যায় ‘সিস্টেম’। যা এতটাই শক্তিশালী যে, এদের বিরুদ্ধে কারোরই করার কিছুই নেই। একমাত্র রাষ্ট্র যদি কখনো এর নির্মূলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তবেই সম্ভব এর প্রতিকার। যদিও সেটাও খুব সহজ নয় তা বলাই বাহুল্য।
লক্ষ করে দেখুন, পরি মনিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ ধনী ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী এবং বড়লোকের সন্তানদের অনৈতিক ভিডিও ধারণ করে তাঁরা নাকি পরে ব্লাকমেল করে অর্থ আদায় করত। হতেই পারে অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ একাধিক অনৈতিক কাজ করে থাকতেই পারে। প্রশ্ন হল যাদের ব্লাকমেল করা হত তাঁদের কি অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হত না তাঁরা মধুকুঞ্জে স্বেচ্ছায় যেতেন? সেই সব রাতের রাজা এবং রাজপুত্রদের হেনস্থা করার দায়েই কি এই নারীদের গ্রেফতার? তাহলে তো সেই ভুক্তভোগী রাতের রাজা এবং রাজপুত্রদের বদনখানি দেখা যেত। দেখা গিয়েছে কি? রাতের রানী যদি শতাধিক রাজা তো সহস্রাধিক হওয়ার কথা। তাঁরা কোথায়? মামলা তো তাদের পক্ষ থেকে হওয়ার কথা। হয়েছে কি? হয়নি। কেন হ্য়নি? এইখানে তাহাদের সম্মানে আঘাত লাগে। মধুকুঞ্জে মুখ ঢেকে যাওয়া যায়, আদালতে তো মুখ ঢেকে রাখা চলবে না।
কাজেই চোর-পুলিশের এই খেলাটা আগেও ছিল, এখনো চলছে, অনন্তকাল ধরে চলতেই থাকবে, আমরা শুধু দেখে যাব আর অবাক হব। একসময় ভুলে যাব। হতাশ হব না, কাড়ন পরিত্রাণের আশা থাকলেই না কেবল হতাশ হওয়ার প্রশ্ন ওঠে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অসম্ভব বলে তো কিছু নেই। তবে সবথেকে যেটা সহজে সম্ভব তা হল আই ওয়াশ। আমাদের চোখে প্রচুর ময়লা পরিস্কার করা দরকার। ধন্যবাদ কামাল ভাই আপনাকে।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আনোয়ার রেজা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। এটাই আমাদের সমাজের বাস্তবতা।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ আনোয়ার রেজা ভাই আপনাকে।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন,
উৎপাদকদের যদি নির্মূলই করেন তবে প্রোডাকশন হবে কোত্থেকে ? প্রোডাকশন না হলে প্রোডাক্ট হবেনা । প্রোডাক্ট না হলে রাজা - রাজপূত্রদের চাহিদার জোগান হবেনা। জোগান না থাকলে আমরা কোন প্রোডাক্টগুলো পাকড়াও করে নৈতিকতার ঝান্ডা উঁচু রাখবো?
সুতরাং প্রোডাকশন বজায় রাখতে হবে, রাজাদের অবাধে সে প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে দিতে হবে, উৎপাদকদের প্রণোদনা দিতে হবে তবেই না আমরা নৈতিকতা উদ্ধারের কাজে মাঝে মাঝেই নিজেদের কারিশমা দেখাতে পারবো!
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সব সিস্টেমের খেলা আহমেদ জী এস ভাই। এভাবেই চলবে।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কস কি মমিন !!
শতাধিক রাতের রানীর সহাস্রাধিক রাজ !!
এক রাতে রানীর কয়টা রাজা লাগে ?
এবার চয়নিকা চৌধুরী আটক !!
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২১
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: যদি বলেন রাতের রানি তাহলে বলব খদ্দের। আর যদি খদ্দের বলেন তাহলে একের বিপরীতে দশ কেন তার বেশিই হবার কথা। বিষয়টা তো আর এক দিনের নয় নুরু ভাই।
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
মেহবুবা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, সেইসব রাজা আর রাজপুত্রদের সম্পর্কে আশা করি জানতে পারবো। তারা হয়তো পথ ভুল করে ( রাতের অন্ধকারে কি আর পথ চেনা যায়, অথবা তারা রাত কানা) কোথায় কোথায় চলে গেছেন !
আশা করছি যেমন অভিযান চলছে প্রতিদিন সবার অপকর্মের হিসেব প্রচারে আসবে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আশা করতে অসুবিধা নেই কিন্তু আশাহত হবার নিশ্চয়তা শতভাগ। বকাউল্লারা বকে যাবে শোনাউল্লা শুনে যাবে অথবা কানে তুলো গুজবে। ঘটনা যা ঘটার তাই ঘটবে।
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৭
মেহবুবা বলেছেন: আমরা দর্শক দেখে যাবো।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ঠিক তাই।
আহমেদ জী এস ঠিকই বলেছেন, উৎপাদকদের যদি নির্মূলই করেন তবে প্রোডাকশন হবে কোত্থেকে ? প্রোডাকশন না হলে প্রোডাক্ট হবেনা । প্রোডাক্ট না হলে রাজা - রাজপূত্রদের চাহিদার জোগান হবেনা। জোগান না থাকলে আমরা কোন প্রোডাক্টগুলো পাকড়াও করে নৈতিকতার ঝান্ডা উঁচু রাখবো?
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার অদক্ষ অযোগ্য তাই দেশের আজ এই অবস্থা।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২৭
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: একবার একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, 'তুমি তো বোকা নও, বোকা সেজে থাক কেন?' উত্তরে বলছিল, 'বোকা সেজে থাকার সুবিধা হল অন্যরা দোষ ধরে না। আবার যা ইচ্ছা তাই করা যায়।'
৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
নতুন বলেছেন: লক্ষ করে দেখুন, পরি মনিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ ধনী ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী এবং বড়লোকের সন্তানদের অনৈতিক ভিডিও ধারণ করে তাঁরা নাকি পরে ব্লাকমেল করে অর্থ আদায় করত।
পরীমনি ছবি, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেই অর্থ আয় করে তাতে কি তার এই রকমের কাজ করার দরকার আছে?
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০২
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পরীমনি মানি লন্ডারিং করেন নি।
ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা লুট করেন নি।
মশা মরার ঔষধ আমদানির নামে মানহীন ঔষধ আমদানি করেন নি।
অবৈধ ঔষধ আমদানি করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন নি।
শেয়ার বাজার কেলেংকারী করে শত শত মানুষকে নিঃশ্ব করেন নি।
সরকারী বা অন্যের জমি দখল করেন নি।
কাউকে খুন করেন নি।
অপরাধ তিনি নিশ্চয়ই করেছেন আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে সেটা ঠিক আছে কিন্তু উপরোক্ত অন্যায়গুলি এতদিন যাবত যারা করে আসছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনুন। তবেই না বুঝব দেশে সত্যিই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হল।
৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২২
নতুন বলেছেন: This is an Old trick to keep the monkeys busy
জনগনের নজর আসল সমস্যা থেকে দুরে অন্য কোথাও ব্যস্ত রাখতে এই রকমের ইসু সামনে নিয়ে আসে ক্ষমতাশালীরা।
ফেসবুক আর মিডিয়া ব্যস্ত পরীমনি আর কে কি করে তা নিয়ে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এই মুহুর্তে বাংলাদেশের একটাই সমস্যা আর তা হল, মদ ও নারীর কারবার এবং রাজপুত্রদের ব্লাকমেলের স্বিকার হওয়া!
১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৯
গফুর ভাই বলেছেন: যে মানুষ যত বেশী সত্য গোপন করতে পারে সে তত বেশী সৎ-চরিত্রবান
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১
কামাল১৮ বলেছেন: সম্পূর্ণ বন্ধ করা অসম্ভব তার থেকে খুলে দেয়া ভালো।