নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষক ছাত্রদের চুল কেটে দিয়েছেন। তাতে অন্যায়টা কি হয়েছে?

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪


ছবিঃ সংগৃহীত

আজকের এই দিনে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বিশ্রী চুলের কাটিং এবং জামা-কাপড়ের যে ডিজাইন দেখি তাতে তো সুশিক্ষা আর কুশিক্ষার পার্থক্য বোঝাই দায় হয়ে পড়েছে। রুচি বোধের যেন রীতিমত দুর্ভিক্ষ!
এদের শেখাবে কে? শিক্ষক শাসন করতে পারবে না। মা-বাবার কথা তাঁরা শুনবে না। তাহলে এদের ভবিষ্যৎ কি?
আমাদের সময় তো শিক্ষক বেত মেরে হাত লাল করেও দিতেন। কই আমাদের মা-বাবা তো কোনদিন সে নিয়ে উষ্মা পর্যন্ত প্রকাশ করেন নি। উলটো সেই শিক্ষকের প্রশংসা করতেন। বলতে বাধা নেই স্কুলের সেই কঠিন টিচারকেই আজো শ্রদ্ধা ভড়ে মনে রেখেছি। অন্যদের কথা এখন আর তেমন একটা মনেই পরে না। অথচ ক্লাসে তাঁর সম্মুখীন হওয়াটাই ছিল সবথেকে ভয়ের।
আজ ভাবি সেদিন যদি অমন কঠিন শাসনের মাঝে বেড়ে না উঠতে পারতাম আজ হয়ত আমিও একটা শিক্ষিত বেয়াদব হতাম।
উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী তখনো ছিল এখনো আছে। তখন শিক্ষক গন লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্রদের আদব কায়দা শেখানো এবং সুন্দর ও কদর্য এ দুয়ের মধ্যে তফাতটা ধরিয়ে দিতেন। শুধু যে ধরিয়েই দিতেন তা নয়। একজন শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে নিজেদের দায়িত্ব বলে মনে করতেন। আর তা করতে গিয়ে যা করা দরকার তাঁর সবটাই করতেন।
আর এখনকার শিক্ষক গন তো ছাত্রদের শাসন করার কথা ভাবতেই ভয় পান। একদিকে সুশীল সমাজ নামের অশ্লীল সমাজের ধমকানি অন্যদিকে সরকারী বিধিনিষেধ! আচ্ছা বলুন তো আপনারা চাচ্ছেন টা কি। প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পাঠক্রমের কোথাও নিতি নৈতিকতার শিক্ষা নেই। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই বঙ্গবন্ধুর যা একটু ছোঁয়া আছে এর বাইরে কোন আদর্শ মানুষের দেখা পাই না।
আমাদের পাঠক্রমে কি শেখানো হয়? কেবল একলা বাচা, কেবল একলা চলা, নিজেকে নিয়ে ভাবা, কেবল লাভ আর ক্ষতির হিসেব। এটা কি মানুষ গড়ার শিক্ষা? ব্রিটিশদের সেই কেরানী বানানোর পাঠক্রমেও তো কিছুটা মানুষ হওয়ার শিক্ষা ছিল। আমরা এখন সেটাও বিভাজনের নীতিতে আঁটকে গিয়ে ছেঁটে ফেলেছি। এখন শুধু কিছু বিবেক বর্জিত, বর্বর শিক্ষিত গড়ে তোলার পালা। এভাবে চলতে থাকলে এটা নিশ্চিত যে অচিরেই আমরা একটা অসভ্য বর্বর প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি। যাদেরকে সামাল দিতে হয়ত আগামীতে সভ্য মানুষ আমদানি করতে হবে।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:১১

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: সুন্দর লেখা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

নতুন বলেছেন: আজ ভাবি সেদিন যদি অমন কঠিন শাসনের মাঝে বেড়ে না উঠতে পারতাম আজ হয়ত আমিও একটা শিক্ষিত বেয়াদব হতাম।

ভালোবাসা দিয়ে কি ছাত্রদের শেখানো যায় না?

বিশ্বের অনেক সভ্য দেশেই ছাত্রদের গায়ে হাত দেওয়া অপমান করেনা শিক্ষকরা। সেই সব দেশে কি শিক্ষিত ভালো মানুষ হচ্ছেনা?

বরং ঐ সব দেশের ছাত্রদের মাঝ থেকে অনেক বিজ্ঞানী, শিক্ষক,গবেষক,শিল্পি বের হয়েছেন যারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কোন মানুষ হয়ে কাউকে পেটানো এটা একটা মানুষিক অসুস্ঞতার লক্ষন। বেশির ভাগ সময়ই নিজেদের ক্ষোভ ছাত্রদের উপড়ে ঝাড়ে এইসব রাগী শিক্ষকেরা।

এই বর্বর প্রথা বিশ্বের সভ্যদেশে অনেক আগেই বন্ধ করেছে। আমাদের দেশেই দেখি অনেকে একে এখনো সমর্থন করে।

ছোট বাচ্চাদের অপমান করা মারধোর করে তাদের ভালো করা যায় না। অপমান কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারেনা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সত্যি করে বলুন আপনি কখনই আপনার সন্তানকে ধমক দেন নি? কখনই তাঁর গায়ে হাত তোলেন নি?

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার জেনারেশন কি আদব কায়দা ঠিক মতো জানে? আপনি কোন সালে ব্যাচেলে/মাষ্টার্স করেছেন?

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আমাদের প্রজন্ম বর্তমান প্রজন্মের তুলনায় ঢেড় ভাল।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: কোন অন্যায় হয় নাই।মাদ্রাসার শিক্ষকরা ছাত্রদের কতোকিছু করে (যা পত্রিকায় প্রতিনিয়ত দেখা যায়)তাতে হয়েছেটা কি?শিক্ষক এমন একটু আধটু করতেই পারে,তাতে শিক্ষা পোক্ত (দৃঢ়)হয়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মাদ্রাসার শিক্ষক বলে কথা নয়। কথা হচ্ছে আদর-শাসন উভয়েরই প্রয়োজন। কেবল আদরে বাঁদরই হয়। আজ যারা শাসনের বিরুদ্ধে বলছেন তাঁরা কিন্তু শাসনের মাঝেই বেড়ে উঠেছেন। তাঁরা কি নিজেদের অযোগ্য বলে ভাবছেন?

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সত্যি করে বলুন আপনি কখনই আপনার সন্তানকে ধমক দেন নি? কখনই তাঁর গায়ে হাত তোলেন নি?

আমার মেয়ের বয়স ৬ বছর আমি তার গায়ে কখনো হাত তুলিনি। কখনো তুলবোও না।

ধমক দিয়েছি হয়তো দুই এক বার। বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলার অভ্যাস করলে বাচ্চারা ও বোঝে।
ওর মা মেরেছে অনেক বার, এটা নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া হয়েছে কয়েক বার। এখন বন্ধ করেছে।

কারন হিসেবে আমি দেখেছি অল্পতেই বেশি উত্তেজিত হয়ে মারে কিন্তু পরে বুঝতে পারে ঠিক হয় নাই। এটা মানুষের নিজের মন নিয়ন্ত্রনের সমস্যা, শিশুর না।

একটা মানুষ কখন মানুষের গায়ে হাত তোলে? কখন বেত দিয়ে পিটায়? বেত ভেঙ্গে ফেলে আবার আরো আনতে বলে আবরো পেটায়? যখন তার মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারায়। স্কুলে অনেক কাহিনি আছে যে বাচ্চাদের পিটিয়ে অসুস্হ করেছে শিক্ষক নামধারীরা।

এরা ব্যক্তিজীবনে অসুখী, অনেক সমস্যায় থাকে তাই তাদের ফ্রাস্টেসন এই বাচ্চাদের পিটিয়ে শোধ তোলে।

আপনি সম্ভবত দুনিয়ার কোন মনবিশেষজ্ঞদের বলতে দেখবেন না যে বেত দিয়ে শিক্ষকরা পেটালে ছাত্ররা ভালো হবে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মানুষের মাঝে সৃষ্টিগত ভাবেই কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে। শুধু বুঝিয়ে একজন মানুষকে সঠিক পথে বেধে রাখা অসম্ভব। সে জন্য কিছুটা ভিতি প্রদর্শনের প্রয়োজন আছে বৈ কি? তাঁর মানে এই নয় অমানবিক হতে হবে।
যে শিক্ষকের উদাহরণ আমি দিয়েছি। তিনি কখনো কোন ছাত্রের পিঠে বেত ভেঙ্গেছেন বা কাউকে খুব মারধর করেছেন তা শুনিনি। অথচ তাকে সব ছাত্ররাই ভয় পেত। তাঁর পেছনে প্রধান কারনটি ছিল তাঁর অসাধারন ব্যাক্তিত্ব এবং শাসন করার ক্ষমতা। হ্যা তাঁর হাতেও বেত থাকত তবে তাঁর ব্যবহার খুব একটা দেখা যেত না। আমার কাছে তাঁর শাসন ব্যবস্থাকে আদর্শ মনে হত। তিনি চুল বড় দেখলে ডেকে বলে দিতেন আগামীকাল চুল কেটে আসবে না হলে বেতটা দেখিয়ে দিতেন। ব্যাস কাজ হয়ে যেত।
এটা এ জন্যেই সম্ভব হত কারন ছাত্ররা এটা বুঝত যে একজন শিক্ষকের পরিমিত পরিমানে শাসনের অধিকার রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনাহুত নালিশ চলে না।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানুষের মাঝে সৃষ্টিগত ভাবেই কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে। শুধু বুঝিয়ে একজন মানুষকে সঠিক পথে বেধে রাখা অসম্ভব। সে জন্য কিছুটা ভিতি প্রদর্শনের প্রয়োজন আছে বৈ কি? তাঁর মানে এই নয় অমানবিক হতে হবে।
যে শিক্ষকের উদাহরণ আমি দিয়েছি। তিনি কখনো কোন ছাত্রের পিঠে বেত ভেঙ্গেছেন বা কাউকে খুব মারধর করেছেন তা শুনিনি। অথচ তাকে সব ছাত্ররাই ভয় পেত। তাঁর পেছনে প্রধান কারনটি ছিল তাঁর অসাধারন ব্যাক্তিত্ব এবং শাসন করার ক্ষমতা। হ্যা তাঁর হাতেও বেত থাকত তবে তাঁর ব্যবহার খুব একটা দেখা যেত না। আমার কাছে তাঁর শাসন ব্যবস্থাকে আদর্শ মনে হত। তিনি চুল বড় দেখলে ডেকে বলে দিতেন আগামীকাল চুল কেটে আসবে না হলে বেতটা দেখিয়ে দিতেন। ব্যাস কাজ হয়ে যেত।
এটা এ জন্যেই সম্ভব হত কারন ছাত্ররা এটা বুঝত যে একজন শিক্ষকের পরিমিত পরিমানে শাসনের অধিকার রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনাহুত নালিশ চলে না।


আপনি যেই শিক্ষকের কথা বলেছেন তার পারসোনালিটিই ছাত্রদের সন্মান অর্জন করেছে তাকে বেত ব্যবহার করতে হয় নাই।

এবং তিনি বেত ব্যবহার না করলেও ঠিকই ছাত্রদের সন্মান তিনি পেতেন।

যেই শিক্ষকের জ্ঞান আছে তিনি তার কথায় কাজেই ছাত্রদের সন্মানী হয়ে থাকে তার কথাই যথেস্ট। যারা এটা পারেনা তারা হাতের বেত ব্যবহার করে তাকে ছাত্ররা ভয় পায় এবং তিনি মনে করেন তাকে সন্মান করছে ।

আমিও আমার সহকমীদের চুল বড় হলে বলি আগামী কাল যেন না দেখি। সে অমান্য করলে তাকে ডিসিপ্লিন করার পদ্তী আছে। কিন্তু আমি যদি অন্যদের সামনে তার চুল কেটে দেই সেটা অবশ্যই অন্যায় হবে এবং আমার বিরুদ্ধে কম্পানী ব্যবস্থা নেবে।

দেশের বেশির ভাগ শিক্ষকই যথাপুযুক্ত প্রশিক্ষন প্রাপ্ত না তারা ছাত্রদের পিটিয়ে মানুষকরার পক্ষে। কারন তারাও সেই ভাবে বড় হয়েছে।

কিন্তু কাউকে অপমান করা বা গায়ে আঘাত করা যে অন্যায় সেটা তারা বুঝেনা। এবং অনেকেই আছে যারা এটা সমর্থন করে।

যেটা অন্যায় সেটা অন্যায়ই।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: যাকে ভয় পায় তাকে কেউ সম্মান করে না।ভয় পাওয়া ও সম্মান করা এক জিনিস না।


১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মানুষ ভয় পায় দু রকম এক ভয়ে থাকে শ্রদ্ধাবোধ আরেক ভয়ে থাকে ঘৃনাবোধ। যেমন মানুষ স্রষ্টাকেও ভয় পায় আবার শয়তানকেও ভয় পায়। বরং যে ভয়ে শ্রদ্ধাবোধ থাকে সেখানেই অনুশাষন থাকে। যেখানে শ্রদ্ধাবোধ থাকে না সেখানেই কেবল অনুশাষনের বালাই থাকে না।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: মানুষের মাঝে সৃষ্টিগত ভাবেই কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে। শুধু বুঝিয়ে একজন মানুষকে সঠিক পথে বেধে রাখা অসম্ভব। সে জন্য কিছুটা ভিতি প্রদর্শনের প্রয়োজন আছে বৈ কি? তাঁর মানে এই নয় অমানবিক হতে হবে।

আরেকটা জিনিস সেটা হইলো যদি মাইরের উপরে ওষুধ নাই পদ্বতী এতো কাজ হইছে বলতে চান।

তবে দেশের এতো দূনিতি, ভন্ডামী, রাজনিতিক নেতা সবই তো স্কুল, কলেজ পাশ করছে। বর্তমানের স্কুল ব্যবস্থা এদের নৈতিকতা সেখাতে পারেনাই।

পরিবারও নৈতিকতা শেখাতে পারছেনা, স্কুল/কলেজও ব্যর্থ।

পরিবর্তন দরকার।

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মাইরের উপরে ওষুধ নাই বিষয়টা তেমন নয়, বিষয়টা হল নিয়মানুবর্তিতা আর সেটার জন্য শাসনের বিকল্প নেই।
দুর্নিতি-ভন্ডামীর কথা বলছেন সেটা শিশুরা ঘর থেকেই শিখছে মা-বাবা যদি আদর্শবান হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা আদর্শবান হয়। বাবা ঘুষ খান দুর্নীতি করেন শিশু সেটা দেখে দেখেই তো বড় হয়।
মা ধমকান এই বলে যে, সে অন্যের কাছে মুখ দেখাতে পারে না সন্তান ভাল ফল লাভ করে না বলে। তিনি এটা বলেন না যে, ভাল ফল লাভ মুখ্য উদ্দেশ্য নয় শেখাটাই লক্ষ হওয়া উচিৎ। মা বলেন এটা করো না ওটা করোনা লোকে কি বলবে। কেন মা তো এটা বলতে পারেন। যা ভালো তুমি তাঁর সাথে থাক লোকের কথায় কান দিও না। ভন্ডামি তো এভাবেই শেখানো হয়।

আর পরিবর্তন কি কেবল আদর সোহাগে হয় বলছেন?

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৩২

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদের প্রজন্ম বর্তমান প্রজন্মের তুলনায় ঢেড় ভাল।
তাই নাকি ! তা দেশের বর্তমান যে হাল ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট এগুলো কি বিশ্রী চুলের কাটিং এবং জামা-কাপড়ের ডিজাউন প্রজন্ম করছে ? আর এই প্রজন্মের জন্মদাতা ও লালন-পালনকারীরাই বা কে ?

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পুর্ববর্তী প্রজন্ম দায় এড়াতে পারেন না সেটা ঠিক তথাপীও বলব তাঁরা অনেক বেশি পরিশীলিত ছিলেন।

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মনে আছে বছর দুইয়েক আগে স্কুলের এক শিক্ষার্থীর চুল কাটার ফলে সে সুসাইড করেছে অপমানে! এর দায়ভার কে নিবে? আপনি নিবেন? কলেজ জীবনে আমার এক টিউশন ছাত্রীকে কয়েকবার আমি মারছিলাম সেটার জন্য এখনো আমার অনুশোচনা হয়, খুবই অনুশোচনা হয়।

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: মার যদি অযৌক্তিক হয় তাহলে অনুশোচনা হতেই পারে।

১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার স্কুল ছিলো সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত স্কুল। তখন চুল কাটাতে হতো নিয়মকরে প্রতি শুক্রবার। মহিবুল্লাহ হুজুর (ইসলামী শিক্ষক) জোড়া বেত নিয়ে এসে এসেম্বেলিতে এসে দাড়াতেন, জাতীয় সঙ্গীত শেষ হওয়ার পরে তিনি এসে মাথার সামনে ও পেছনে চুলের মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে চুলের মুঠি করে ধরার চেস্টা করতেন যদি কারো চুল তার মুঠির মধ্যে এসে যেতো ব্যাস আর নাই রক্ষা চুলের মুঠি ধরে টেনে প্যরেড গ্রাউন্ডে নিয়ে ইচ্ছামতো রাম ধোলাই চালাতেন। আমাদের সময় রাহুল কাট খুব জনপ্রীয় ছিলো আফসোস আমরা অন্যদের দেখতাম নিজেদের জন্য উহা ছিল পাপ। তখন কেবলি ভাবতাম আহা মেয়ে হয়ে জন্মালে ভালো হতো কারন মেয়েদের চুল সর্বচ্চ পিঠ পর্যন্ত কাটার অনুমতি ছিলো এর বেশি এক আঙ্গুল কাটলে সরাসরি প্যারেন্টস কল সেই সাথে ম্যাডামের তিতা কথার ফুলঝুরি তো একদম ফ্রি !!

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: যে কঠিন শাসনে বেড়ে উঠেছেন সেখান থেকে উচ্ছন্নে যাওয়া বন্ধু বান্ধব পেয়েছেন কি খুব একটা? দয়া করে সেটাও বলুন।

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শিক্ষক শাসন করবে এটাই চিরাচরিত নিয়ম; ভালোবেসে শাসন করবে, আদর করে শাসন করবে, রেগে শাসন করবে সবই সন্তান তথা ছাত্রদের ভালোর জন্য কিন্তু এখন অবস্থা এমন হয়েছে কাউকে কিচ্ছু বলা যাবেনা, বললেই যত সমস্যা নিঃশ্চয় উপরের কমেন্টস থেকে কিছু আঁচ করতে পারছেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আহঃ এতক্ষনে যেন হাফছেড়ে বাঁচলাম।
বিশ্বাস করুন বহুদিন যাবত নিজেকে আত্নপ্রবঞ্চক প্রজন্মের একজন বলে ভাবছি। যারা মুখে বলে এক বিশ্বাস করে আরেক। যারা বলে যা করে তাঁর উল্টোটা। কথাটা হয়ত এই আলোচনায় খুব একটা মাননসই নয় তবু বললাম।

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৯

নতুন বলেছেন: আর পরিবর্তন কি কেবল আদর সোহাগে হয় বলছেন?


শিক্ষক কখন কাউকে মারে? চুল কেটে দেয় নিজের হাতে?

শিক্ষক তাদের সাজা দিতে পারতো, পরের দিন ছোট করে চুল কেটে না আসলে ক্লাসে ঢুকতে নিষেধ করতে পারতো।

পড়া না পারার জন্য একটা দুইটা বেতের বাড়ি সাজা কিন্তু পিটিয়ে বেত ভঙ্গে ফেলা অবশ্যই নিজের ব্যক্তিগত ক্ষোভ,হতাসা, থেকে আসে।

শিক্ষকের অপমানের কারনে ছাত্র আত্নহত্যা করেছে এমন উদাহর আপনার আসে পাশেই পাবেন।

শিক্ষক কে সম্মান করা হয় এবং কিছু অসুস্থ মানুষ সেই সন্মানের সুযোগ নিয়ে ছাত্রদের উপরে অত্যাচার করে।

একজন জ্ঞানী মানুষ জিনি শিক্ষকতা করেন তিনি কোন ছাত্র/ছাত্রীর গায়ে হাত তুলতে পারেন না।

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: পুর্ববর্তী প্রজন্ম দায় এড়াতে পারেন না সেটা ঠিক তথাপীও বলব তাঁরা অনেক বেশি পরিশীলিত ছিলেন।
তা এই পরিশীলিত পুর্ববর্তী প্রজন্মইতো এদের জন্মদাতা, লালন-পালনকারী নাকি বহির্জগতের কোন প্রাণি ? নিজের পরিশীলিতা পরবর্তী প্রজন্মে ধারাবাহিক রাখতে না পারার কারণ কী ? পরবর্তী প্রজন্মকে দোষারোপ করে নিজের দোষ ঢাকা বা কাটা যায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.