নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখুন তো, সত্যিই মানুষ দেখতে পাচ্ছেন তো!

২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৭


শিক্ষকদের হাত থেকে বেত কেড়ে নিয়ে প্রথমবারের মত ছাত্রদের বেয়াদবির লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আজ যে পরিণতি আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটা হওয়ারই ছিল। যারা শিক্ষকদের কাছ থেকে ছাত্রদের শাসনের অধিকার কেড়ে নিলো। তাঁরা কিন্তু মানুষ হয়েছিল সেই শাসনের অধীনে থেকেই। তাহলে কি তাঁরা এখন নিজেদের অপদার্থ বলে জাহির করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন? হয়ত তাই। অথবা পিটিয়ে মানুষ করার অপরাধে এখন ক্ষমতা হাঁতে পেয়ে শিক্ষকদের উপর প্রতিশোধ নিতে চাইছেন।

একবার ভাবুন তো আপনার সবথেকে কড়া মেজাজের যে শিক্ষক ছিলেন। যিনি সর্বদা হাঁতে বেত নিয়ে ঘুরতেন। যিনি ছিলেন একজন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। সেই তিনিই আপনার জানামতে কতজনকে পিটিয়েছেন ? খুব বেশী হবে না আমি নিশ্চিত। কারন ঐ সময়টা তো আমরাও পেড়িয়ে এসেছি। আর আমাদের স্কুলেও তেমন মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। যাকে এই কদিন আগেও পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে এলাম। ওনারা আসলে পেটাতে নয় ভয় দেখিয়েই পথ দেখাতেন। আর খুব বেশী প্রয়োজন হলে দু একটি নিদর্শন রাখতেন যা সারা স্কুল ময় একটা জু জু'র সৃষ্টি করত। সম্ভবত সেটাও তাঁরা ইচ্ছে করেই করতেন যাতে ভয়েই ছেলেমেয়েরা সঠিক নিয়মে চলার চেষ্টা করে।

একটিবার খেয়াল করে দেখুন তো স্কুল জীবনের সেইসব মূর্তিমান আতংকদেরকেই কি এখন মহামানব বলে মনে হচ্ছে না? হচ্ছে, হবারই কথা। কারন আসলে তাঁরাই ছিলেন এক একজন ঘোর অন্ধকারে আলোকবর্তিকার মতন। যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এ দেশ কিছু সূর্য সন্তান পেয়েছে। যারা আজ এ দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ সেই সব মানুষ গড়ার কারিগরদের কাছ থেকেই কিনা শাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হল! কেন নেয়া হল? চরম অপদার্থ না হলে কি করে এই কাজটা করতে পারল?
যারা এই কাজটি করেছেন, সত্যি বলছি আসলেই তারা অপদার্থ! এরা নিজেরা যেমন সন্তানদের শাসন করেন না ঠিক তেমনি শাসন করতেও দিতে চান না। কোনভাবেই এটা সন্তান বাৎসল্য নয় এটা চরম দায়িত্ব হীনতার পরিচয়। যা কেবল একজন অপদার্থের পক্ষেই করা সম্ভব।

আজ যখন শিক্ষকরা ছাত্রদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আবেদন করে। যখন তাঁরা নিরাপত্তার দাবী নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ায় তখন কি আপনাদের লজ্জা করে না? করে না। যদি করত, তাহলে তো ঐ মানব বন্ধনে তাদের পাশে আপনিও গিয়ে দাঁড়াতেন। দাঁড়ান নি। নিজেদের একটু আয়নার সামনে গিয়ে দাড় করিয়ে দেখুন তো সেখানে মানুষ দেখতে পাচ্ছেন তো!

অবিলম্বে শিক্ষকের মর্যাদা ফিরিয়ে দিন। হ্যাঁ, সেটা ঐ ছাত্রদের পিটিয়ে মানুষ করার মধ্যেই বিদ্যমান। বিশ্বাস না হলে চোখ বুঝে একবার আপনার ছেলেবেলা থেকে ঘুরে আসুন। স্মৃতি রোমন্থন করার চেষ্টা করুন।

আর যদি শিক্ষকের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে না, পারেন তাহলে মনে রাখবেন আগামী দশ/ পনের বছর পর আমাদের এ দেশটা একটা অসভ্যের দেশে পরিণত হবে। তখন আপনারা মানে আজকের এই বাবারাও আর নিরাপদে থাকবেন না। অবশ্য সে নমুনা এখনই প্রতিনিয়তই দু চারটি করে দেখতে পাচ্ছি। যদিও তা সবাইকে চিন্তিত করে বলে মনে হচ্ছে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:০৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
হাই স্কুলে আমাদের প্রধান শিক্ষকের বেত হাতে সেই
রুদ্র মুতি'র কথা স্মরণ হলে আজো তল পেটে একটা
চাপ অনুভব করি, অথচ মনে পড়ছেনা কোন দিন তিনি
বেত্রাঘাত করেছিলেন কিনা!
ছাত শিক্ষকের সেই সূবণ'
সময় কোন অতলে হারিয়ে
গেলো আর ছাত্ররা হলো
বাঁদর!

২| ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ছাত্র শিক্ষকের সেই সূবণ'
সময় কোন অতলে হারিয়ে
গেলো আর ছাত্ররা হলো
বাঁদর!

৩| ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ইহা খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা।

০১ লা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.