নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তছলিম উদ্দিন

আমি তছলিম উদ্দিন। আমি ভালবাসি আমার দেশকে। লেখালেখি, পড়াশুনা, ঘুরে বেড়ানো আমার শখ।

তছলিম উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চাকুরী জীবনের ১০(দশ) বছরের অভিজ্ঞতা (পর্ব-২)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫

আমার চাকুরী জীবনের দশ বছরের অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বিচিত্রতা। আমার চেনা, জানা বা জ্ঞানের স্বল্পতার কারনে অনেক সময় অজানা কিছু জিনিসের সম্মুখীন হয়েছি। সেগুলো আজ শেয়ার করছি।



আমার প্রথম কর্মস্থল ছিল যশোর জেলায়। সামাজিক রীতিনীতি, কথা বার্ত সব কিছুতে কিছু ভিন্নতা পেয়েছি। যার মধ্যে থেকে অনেক কিছু শিখেছি। বই পত্রে কাঠবিড়ালী নামক যন্ত্রুর কথা পড়েছি, কিন্তু কখনও দেখি নাই। যশোর জেলায় গিয়ে গাছে গাছে প্রচুর কাঠবেড়ালী খেলা করতে দেখেছি। কুমড়োর বড়ির কথা পড়েছি, কখনও দেখি নাই এমনকি খাই ও নাই। এ্ই কুমড়োর বড়ি খেতে নিয়ে একদিন পড়েছি চিন্তায়। আমি তখন থাকতাম একজন শিক্ষকের বাড়িতে। দুপুরে খাবার সময় পাতে যে তরকারি দেওয়া হয় তাতে ঐ কুমড়োর বড়ি নামক বস্তুটি ছিল। আমি তা পাতের মধ্যে এ্ই নতুন বস্তুটি নিয়ে কেবল নাড়াচাড় করছি আর দেখছি কে কি করে এ্ই বস্তুটিকে। আমি চিন্তায় পড়ে গেছি এটা কি খওয়ার জিনিস? এটা কি খায়? পরে একজনকে দেখলাম খাচ্ছে, আর তখন আমিও খাওয়া শুরু করলাম। ঐ দিন আর কারো নিকট প্রশ্ন করি না্ই। তবে পরে ঐ জিনিসটির নাম জেনে নিয়েছি এবং অনেকবার খেয়েছিও।



যশোরে থাকা অবস্থায় গ্রামীণ বিভিন্ন খেলা, মেলা সবই দেখেছি। ষাঁড়ের লড়াই, ঘোড়ার দৌড়, লাঠি খেলা, বিভিন্ন উৎসবে মেলা সবই দেখেছি। ভাল কিছু বন্ধু পেয়েছি যারা আমাকে যথেষ্ট সময় দিয়েছে। সা্ইকেল চেপে দূরে বাওড় দেখতে গিয়েছি। গ্রামীণ মানুষের জীবন যাপন দেখেছি।

যশোর এ চাকুরী জীবনের একটা অংশ ছিল লজিং মাস্টার হিসেবে থাকা। আমার গোষ্ঠীর মধ্যে কেউ কোনদিন লজিং মাস্টার ছিলেন না। অথচ বাস্তবতা আমাকে টেনে নিয়ে যায় সেখানে। আমার চাকুরীর বেতন হচ্ছে না বিধায় আমাকে বাধ্য হয়ে পরের বাড়ি লজিং থাকতে হয়। আমার বেতন বন্ধ ছিল ১৬ মাস। এই সময়ে আমি ২টি বাড়িতে লজিং মাস্টার হিসেবে থাকি। ১ম যে বাড়িতে ছিলাম, সে বাড়ির কর্তা ছিলেন কৃষক। কৃষক হয়েও ছেলের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে খুব্ই সজাগ। তা্ইতো বাড়িতে লজিং মাস্টার রেখে দিয়েছেন। তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন মাস্টারের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে। আমার ছাত্রর মাকে আমি মামী ডাকতাম, মামী আমাকে সকালের গরম খাবার দেওয়ার পাশাপাশি দুপুরের খাবারটা সাথে করে দিয়ে দিতেন যত্ন করে। আমি চেষ্টা করেছি তাদের ছেলের ভাল লেখা পড়ার জন্য। তবে আমি সে বাড়িতে বেশি দিন ছিলাম না। কারণ আমার কর্মস্থল থেকে বাড়িটি ছিল অনেক দূরে। তাই কিছু দিনের মধ্যে অন্যত্র চলে আসি লজিং মাস্টার হিসেবে। সেই বাড়িটি ছিল আমার কর্মস্থলের খুব কাছে। এই বাড়িটিতে আমার নিকট কিছু অসঙ্গতি চোখে ধরা পড়ে। যা আমার কাছে ছিল বিরক্তিকর। আমি যখন পড়াতে বসতাম আমার ছাত্র তখন খাওয়ার জন্য চলে যেত। কখনও টিভিতে খেলা থাকলে বাপ-বেটা একত্রে বসে খেলা দেখত পড়ার সময়। আর আমি ঘরে এ্কা একা বসে থাকতাম। বাবা মায়ের কাছে তাদের এই সন্তানটি ছিল খুব আদরের। তাদের বাড়িতে সবচেয়ে খাবাপ যে দিকটি আমার চোখে পড়েছে তা হল, তার টয়লেটে আলাদা জুতা ব্যবহার করে ঠিকই, কিন্তু টয়লেটে ব্যবহার করা বদনা দিয়ে গায়ে পানি দিয়ে গোসল করে। একদিন বাড়ির কর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে বললে তিনি আমাকে বলেন যে, বদনার ভিতরে কি পায়খানা যায়? বিষয়টি আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারলাম না। চিন্তা করলাম এই বদনার পানি দিয়ে যদি তরকারি রান্না করে কিংবা অন্য কিছু ধোওয়া মোছা করে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম গুড বাই লজিং মাস্টার এর দায়িত্ব। কষ্ট হলেও নিজে বাসা ভাড়া করে থাকব। তবু আর লজিং মাস্টার হিসেবে থাকব না। কারন লজিং মাস্টার হিসেবে থাকতে হলে সন্ধ্যে হলে ঘরে ফিরে আসতে হয়। ছুটিতে বাড়িতে পর্যন্ত ঠিকমত যাওয়া যায় না। তাই বছর শেষ হতেই লজিং মাস্টার এর দায়িত্ব ছেড়ে চলে আসি। শুরু করি ব্যাচেলর এর নতুন জীবন।



ব্যাচেলর এর বাসা ভাড়া নেওয়া ও জীবন যাপন নিয়ে পরবর্তীতে আবার শেয়ার করব।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

ঝটিকা বলেছেন: ভালো লাগছে আপনার জীবন কাহিনী পড়তে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

তছলিম উদ্দিন বলেছেন: আরও অনেক কাহিনী আছে, ভাল লাগছে জেনে উৎসাহিত হলাম।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১

সপ্তম ইন্দ্রিয় বলেছেন: কুমড়োর বড়ি kmmn laglo vai?
amar kache khubi e valo lage...bari gele age order dei :#)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

তছলিম উদ্দিন বলেছেন: ভালই লাগে ভাই। তবে আমাদের এলাকায় পাওয়া যায় না।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৭

যাযাবরমন বলেছেন: মজার অভিজ্ঞতা। +

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

তছলিম উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ!

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

বইয়ের পোকা বলেছেন: ভালো লাগছে। চালিয়ে যাবেন আশা করি। এরপর কি হল, শোনার আশায় রইলাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

তছলিম উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ! নতুন অভিজ্ঞতা শোনার আমন্ত্রণ রইল।

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

এম এম ইসলাম বলেছেন: ভাল লেখা। চালিয়ে যান।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

তছলিম উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ!

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫

তোমোদাচি বলেছেন: যশোরে অনেক লজিং মাষ্টার ওই বাড়ীর জামায় হয়ে যায়, আপনার তেমন হয়নি তো??? ;)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

তছলিম উদ্দিন বলেছেন: না, আমার ঐ রকম কোন ইচ্ছা ছিল না

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: কুমড়োর বড়ি .....আজ প্রথম শুনলাম ভাই......

জিনিষটা কেমন.......

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ++++++++++++

সাথে আছি এই সিরিজের

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

সুখী চোর বলেছেন: একদিন বাড়ির কর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে বললে তিনি আমাকে বলেন যে, বদনার ভিতরে কি পায়খানা যায়? =p~ =p~ =p~ =p~

জটিল স্যার .... +++

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

ছোট গ্রাম বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.