![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গ্রামের একজন সহজ সরল প্রথমশ্রেণীর আবুল, যে কিনা ছিঁড়া লেপের তলায় শুয়ে কোটিপতি হবার স্বপ্ন দেখতে ভীষণ ভালোবাসে। কৃপণ, কাইষ্টা মানুষের নাকি অনেক টাকা পয়সা হয়, সে হিসাব অনুযায়ী আমি অক্সফোর্ড কোটিপতি হবো। নিজের টাকা নিজেই খাইয়ম .... ফেইসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/Sabbirahmed069 ওয়েবসাইট লিন্ক : http://bkadda.blogspot.com http://www.trivokal.com http://www.votku.com htttp://www.likilose.com http://trivokal.wordpress.com/ http://www.vokalab.com
ছবি সহকারে পুরো পোষ্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আসুন বিশ্বের সব থেকে বড় বাটপার বা কন আর্টিষ্টদের একজনের সাথে আজ পরিচয় করিয়ে দেই। ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন এনার নাম হচ্ছে 'ভিক্টর লুস্টিক' যাকে বলা হয় "The man who sold the Eiffel Tower. Twice."
জনাব ভিক্টর সাহেব যৌবন কাল থেকেই পেশা হিসাবে বাটপারির সাথে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ ভিক্টর সাহেব আবার বাটপারি করতেন বাটপারদের সাথে। তাঁর বাটপারির অন্যতম ট্রেডমার্ক হচ্ছে 'মানি প্রিন্টিং মেশিন' যা কিনা তিনি বিক্রি করতেন অন্য বাটপারদের কাছে ৩০০০০ ডলারে। এই মেশিনে নাকি ১০০ ডলারের বিল প্রতি ৬ ঘন্টায় ছাপাতে পারে বলে তিনি তাঁর ক্লায়েন্টদের বুঝ দিতেন, এবং তাদের সামনেই ছাপিয়ে দেখাতেন। কেনার পর ১২ ঘন্টায় ক্লায়েন্টরা দেখতো ২ টা সত্যিকারের ১০০ ডলারের বিল বের হয়েছে। কিন্তু এরপর শুধু সাদা কাগজ বের হতো। ততক্ষণে ভিক্কট সাহেব চম্পট মারতেন।
ভিক্টরের সব থেকে বড় ধান্দাবাজির সুযোগ আসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে। সন ১৯২৫, ফ্রান্স সদ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে রিকাভারি পেয়েছে, এবং প্যারিসের ইকোনমি চাঙ্গা হতে শুরু হয়েছে, যা ছিল ভিক্টরের মতো কন আর্টিস্টের জন্য উপযুক্ত সময়। ভিক্টর একদিন পেপারের নিউজে দেখতে পেলেন 'আইফেল টাওয়ার' এর ম্যান্টেনেন্স নিয়ে, যেখানে আইফেল টাওয়ার কে ইকোনমির জন্য বোঝা হিসাবে দেখানো হয়েছে। ভিক্টর এর মাঝেই তাঁর ধান্দাবাজির ছক কেটে ফেললেন। সে প্যারিসের বড় বড় ৬ ভাঙ্গারী ব্যাবসায়ী কে Hôtel de Crillon তে ইনভাইটেশন পাঠায়। সেই সময় এই হোটেল ছিল নামকরা হাতেগোনা কিছু হোটেলগুলোর একটি। সেখনে মিটিং এ ভিক্টর নিজেকে 'Posts and Telegraphs' মন্ত্রণালয়ের ডিপুটি জেনারেল হিসাবে পরিচয় দেয় এবং তাদেরকে বলে যে তাদেরকে পছন্দ করা হয়েছে তাদের সততা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
সে মিটিং এ জানায় যে আইফেল টাওয়ার এতো পুরোনো হয়ে গিয়েছে যে শহরের পক্ষে তা আর মেন্টেনেন্স করা সম্ভব নয়। আর তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এর ভগ্নাবশেষ বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। সাথে সে এও জানায় যে সরকার এই বিষয়টি অতিরঞ্জিত হওয়ার ভয়ে গোপন রেখেছে এবং যথাসময়ে জানানো হবে। আর পাশাপাশি সরকার তাকে দায়িত্ব দিয়েছে এই ৬ জনের মধ্যে থেকে একজন ডিলার পছন্দ করার জন্য। এরপর ভিক্টর সেই ৬ জনকে তাঁর ভাড়া করা লিমুজিনে চড়িয়ে আইফেল টাওয়ারে নিয়ে যায় ইনসপেকশনের জন্য। পাশাপাশি সে এও যাচাই করে যে এই ৬ জনের মধ্যে কে বেশী উৎসাহী বা কাকে 'মামা' বানানোটা সহজ হবে। ভিক্টর তাদেরকে জানিয়ে দেয় যে এরপরদিন সবাইকে বিড করতে হবে, এবং একই সাথে মনে করিয়ে দেয় যে বিষয়টা একেবারেই স্পর্ষকাতর এবং সরকারিভাবে গোপনীয়। ভিক্টর এরই মধ্যে ঠিক করে ফেলেছিল যে সে 'এন্ড্রে পজন' নামের একজনের অফারই গ্রহণ করবে। পজন ব্যাসায়িক দিক থেকে একটু পিছিয়ে পড়েছিল যার কারণে সে মনে করেছিল যে আইফেল টাওয়ারের ডিল তাকে সবার নজরে নিয়ে আসবে।
কিন্তু পজনের স্ত্রী পুরো বিষয়টাই সন্দেহের চোখে দেখলো। আর ভিক্টর তা বুঝে উঠার পর পরপরই পজনের কাছে 'স্বীকার' করলো যে সে আসলে করাপটেড মন্ত্রী, এবং সে সরকারের এই অফার শুধুমাত্র তাকেই দিতে পারে যদি সে কিনা ভিক্টরকে ঘুষ দেয়। পজন এতে ডাইভার্টেড হয়ে ভিক্টরকে ঘুষ দিয়েই আইফেল টাওয়ারের দ্বায়িত্ব নিতে চাইলো। এতে ভিক্তর আইফেল টাওয়ারের উপর চার্জ করা দামও পেল সাথে ঘুষের টাকাও। অতঃপর চম্পট দিলো। পজন এই ঘটনায় এতোটাই হতবাক, লজ্জিত, অপমানিত হলো যে সে পুলিশে কমপ্লেইন পর্যন্ত কারার সাহস করলো না।
একমাস পর ভিক্টর আবার প্যারিসে ফিরে এসে আবার ৬ জন ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ীকে দামি হোটেলে তলব করে মিটিং করলো, এবং আইফেল টাওয়ার আরো একবার বিক্রি করার চেষ্টা করলো। এইবার তাঁর পছন্দ করা ভিকটিম ফাইনাল ডিলিংস এর আগেই পুলিশের কাছে গেল কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পরার আগেই ভিক্টর চম্পট দিতে সক্ষম হয়েছিল।
পোর
আসুন বিশ্বের সব থেকে বড় বাটপার বা কন আর্টিষ্টদের একজনের সাথে আজ পরিচয় করিয়ে দেই। ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন এনার নাম হচ্ছে 'ভিক্টর লুস্টিক' যাকে বলা হয় "The man who sold the Eiffel Tower. Twice."
জনাব ভিক্টর সাহেব যৌবন কাল থেকেই পেশা হিসাবে বাটপারির সাথে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ ভিক্টর সাহেব আবার বাটপারি করতেন বাটপারদের সাথে। তাঁর বাটপারির অন্যতম ট্রেডমার্ক হচ্ছে 'মানি প্রিন্টিং মেশিন' যা কিনা তিনি বিক্রি করতেন অন্য বাটপারদের কাছে ৩০০০০ ডলারে। এই মেশিনে নাকি ১০০ ডলারের বিল প্রতি ৬ ঘন্টায় ছাপাতে পারে বলে তিনি তাঁর ক্লায়েন্টদের বুঝ দিতেন, এবং তাদের সামনেই ছাপিয়ে দেখাতেন। কেনার পর ১২ ঘন্টায় ক্লায়েন্টরা দেখতো ২ টা সত্যিকারের ১০০ ডলারের বিল বের হয়েছে। কিন্তু এরপর শুধু সাদা কাগজ বের হতো। ততক্ষণে ভিক্কট সাহেব চম্পট মারতেন।
ভিক্টরের সব থেকে বড় ধান্দাবাজির সুযোগ আসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে। সন ১৯২৫, ফ্রান্স সদ্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে রিকাভারি পেয়েছে, এবং প্যারিসের ইকোনমি চাঙ্গা হতে শুরু হয়েছে, যা ছিল ভিক্টরের মতো কন আর্টিস্টের জন্য উপযুক্ত সময়। ভিক্টর একদিন পেপারের নিউজে দেখতে পেলেন 'আইফেল টাওয়ার' এর ম্যান্টেনেন্স নিয়ে, যেখানে আইফেল টাওয়ার কে ইকোনমির জন্য বোঝা হিসাবে দেখানো হয়েছে। ভিক্টর এর মাঝেই তাঁর ধান্দাবাজির ছক কেটে ফেললেন। সে প্যারিসের বড় বড় ৬ ভাঙ্গারী ব্যাবসায়ী কে Hôtel de Crillon তে ইনভাইটেশন পাঠায়। সেই সময় এই হোটেল ছিল নামকরা হাতেগোনা কিছু হোটেলগুলোর একটি। সেখনে মিটিং এ ভিক্টর নিজেকে 'Posts and Telegraphs' মন্ত্রণালয়ের ডিপুটি জেনারেল হিসাবে পরিচয় দেয় এবং তাদেরকে বলে যে তাদেরকে পছন্দ করা হয়েছে তাদের সততা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে।
সে মিটিং এ জানায় যে আইফেল টাওয়ার এতো পুরোনো হয়ে গিয়েছে যে শহরের পক্ষে তা আর মেন্টেনেন্স করা সম্ভব নয়। আর তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এর ভগ্নাবশেষ বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। সাথে সে এও জানায় যে সরকার এই বিষয়টি অতিরঞ্জিত হওয়ার ভয়ে গোপন রেখেছে এবং যথাসময়ে জানানো হবে। আর পাশাপাশি সরকার তাকে দায়িত্ব দিয়েছে এই ৬ জনের মধ্যে থেকে একজন ডিলার পছন্দ করার জন্য। এরপর ভিক্টর সেই ৬ জনকে তাঁর ভাড়া করা লিমুজিনে চড়িয়ে আইফেল টাওয়ারে নিয়ে যায় ইনসপেকশনের জন্য। পাশাপাশি সে এও যাচাই করে যে এই ৬ জনের মধ্যে কে বেশী উৎসাহী বা কাকে 'মামা' বানানোটা সহজ হবে। ভিক্টর তাদেরকে জানিয়ে দেয় যে এরপরদিন সবাইকে বিড করতে হবে, এবং একই সাথে মনে করিয়ে দেয় যে বিষয়টা একেবারেই স্পর্ষকাতর এবং সরকারিভাবে গোপনীয়। ভিক্টর এরই মধ্যে ঠিক করে ফেলেছিল যে সে 'এন্ড্রে পজন' নামের একজনের অফারই গ্রহণ করবে। পজন ব্যাসায়িক দিক থেকে একটু পিছিয়ে পড়েছিল যার কারণে সে মনে করেছিল যে আইফেল টাওয়ারের ডিল তাকে সবার নজরে নিয়ে আসবে।
কিন্তু পজনের স্ত্রী পুরো বিষয়টাই সন্দেহের চোখে দেখলো। আর ভিক্টর তা বুঝে উঠার পর পরপরই পজনের কাছে 'স্বীকার' করলো যে সে আসলে করাপটেড মন্ত্রী, এবং সে সরকারের এই অফার শুধুমাত্র তাকেই দিতে পারে যদি সে কিনা ভিক্টরকে ঘুষ দেয়। পজন এতে ডাইভার্টেড হয়ে ভিক্টরকে ঘুষ দিয়েই আইফেল টাওয়ারের দ্বায়িত্ব নিতে চাইলো। এতে ভিক্তর আইফেল টাওয়ারের উপর চার্জ করা দামও পেল সাথে ঘুষের টাকাও। অতঃপর চম্পট দিলো। পজন এই ঘটনায় এতোটাই হতবাক, লজ্জিত, অপমানিত হলো যে সে পুলিশে কমপ্লেইন পর্যন্ত কারার সাহস করলো না।
একমাস পর ভিক্টর আবার প্যারিসে ফিরে এসে আবার ৬ জন ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ীকে দামি হোটেলে তলব করে মিটিং করলো, এবং আইফেল টাওয়ার আরো একবার বিক্রি করার চেষ্টা করলো। এইবার তাঁর পছন্দ করা ভিকটিম ফাইনাল ডিলিংস এর আগেই পুলিশের কাছে গেল কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পরার আগেই ভিক্টর চম্পট দিতে সক্ষম হয়েছিল।
ছবি সহকারে পুরো পোষ্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন
ফেইসবুকে প্রতিদিন এই সংক্রান্ত মজার মজার তথ্য পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন
এখানে ক্লিক করুন
আমাদের ওয়েবসাইটঃ ত্রিভকাল.কম
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
না পারভীন বলেছেন: বাটপার সম্পর্কে জেনে অবাক হলাম।