![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তারা একটি নন্দিত বিশ্বের স্বপ্ন দেখে, যে বিশ্বে ধর্ষন থাকবেনা, থাকবেনা নারীদের ঘরে বসে মুটিয়ে যাবার ধার্মিক অত্যাচার। সেখানে নারী পুরুষ ভেদাভেদ থাকবেনা, থাকবেনা মাসের কয়েকদিন নারীদের "অপবিত্র' বলার সামাজিক প্রথা! সেটা হবে নিগুঢ় বিজ্ঞানের বিশ্ব, ধর্ম নামক আদিম রীতির লেশ মাত্র থাকবেনা সেথায়, থাকবেনা রাহাজানী
.
" সুভাষ বাবুর উক্ত বক্তব্য শুনিয়া বিচক্ষন জগলু প্রশ্ন ছুড়িলো : " দাদা আপনার ভাষ্য অনুযায়ী সেখানে কিছুই থাকবেনা, থাকবেনা নারী পুরুষ ভেদাভেদ, তো সেখানে থাকবেটা কী? আমরাতো এলিয়েন বা হিজরা না, আমাদের তো লিঙ্গ ভেদাভেদ রয়েছে, আসলে সেটা কী স্বপ্ন নাকি শৃঙ্খলার নামে বিশৃঙ্খলা ??
.
জগলুর এমন প্রশ্ন শুনিয়া সুভাষ কহিলেন: " শুনো বাছাধন, আমিতো কেবল সামাজিক বৈষম্য ও সমস্যাগুলোর ব্যাপারটাই বলছিলুম। তুমি আমার পুরো ব্যাপার শুনবে তো? " সেখানে থাকবে প্রশান্তি, মানুষকে প্রটেস্টাণ্ট কিংবা ক্যাথলিক হিসেবে দেখা হবেনা, সেখানে অন্যের পরিচয় দেবার পূর্বে মুসলমান বলে আগেই ধর্মের বেড়াজালে আটকে দিতে হবেনা, সেখানে সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি নেওয়ার জন্য কেবল বিপরীত লিঙ্গকেই পার্টনার হিসেবে বেছে নিতে হবেনা, সমলিঙ্গের সহিতই রাগমোচন সম্ভব হবে, মেয়েরা নিজেদের যৌন লিপ্সা পূরনে পুরুষদের নিকট যেতে হবেনা, তারা নিজেদের চাহিদা সমলিঙ্গের সহিতই সেরে নিবে।
.
" সুভাষকে থামিয়ে দিলেন জগলু, ভ্রুটা কিঞ্চিৎ ট্যারা করিয়া বলিলেন:- তা দাদা সবই বলিলেন। তখনকার সময়ে মানুষের মৃত্যুগুলা কিভাবে হবে সেটা তো একবারও কইলেন না! সমকামের কারনে সেকালে প্রতিটা পুরুষই অশ্ব গেজে ভুগবেন, অনেক পুরুষই পায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হবেন, মহিলারা আক্রান্ত হবেন মুখের ক্যান্সারে। খাবার দাবার বন্ধ করে দিবেন, মানুষজাতটা সেখানেই ডায়নোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে, সেটাও কী আপনার স্বপ্নে ছিলো??
.
মুচকি হেসে সুভাষ কহিলো:- তোমার থিংকিং খুবই ক্রিয়েটিভ বৎস, তবে জানোতো চিকিৎসা শাস্ত্র কতটা উন্নত হচ্ছে? সেকালে ওসব রোগের চিকিৎসাও মানুষ বের করবে, সমস্যার মধ্যেই কেবল সমাধান। তাছাড়া তুমি কেবল যৌনতায় দেখছো কেন? আমি এগিয়ে চলা, উন্নত বিশ্বের সামাজিকতার ব্যাপারটাই বলছি, বলছি সেকালের বৈষম্যতার ব্যাপারে।
.
জগলু আবারো বলতে লাগলেন: সেকালের চিকিৎসা শাস্ত্র ততটা উন্নত হবার পূর্বেই মানুষ অন্য রোগ বাধিয়ে বসবে।তখনকার সামাজিকতায় বৈষ্যমতা কেন থাকবেনা! প্রচুর বৈষ্যমতা দেখা দিবে, যদি কোন বিষমকামী মহিলা প্রেগন্যান্ট হয়, সেকালের অফিসিয়াল ছুটির ক্ষেত্রে কিভাবে অগ্রাধিকার পাবে? লেসবিয়ান মেয়েরা তো প্রেগন্যান্ট হবেনা, তখন লেসবিয়ানরা সে ছুটির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেনা? সবাইকে বাচ্চা প্রসবে নিষিদ্ধের দাবী উঠবেনা? আর সে সমাজের মানুষিক রোগীরা বৈষ্যমতা বরং বেশি লিপ্ত হবে, সে সমাজে ড্রাগের কোন বিচার থাকবেনা, থাকবেনা ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা, মাদকে আক্রান্ত মানুষরা স্বভাবই মানুষিক সমস্যায় ভোগে, ডিপ্রিশন, হেলুসিনেশন, ক্যান্সার তাদের নিয়মিত সঙ্গি হবে, সে সমাজে বৈষ্যম্যেরই বা কী দরকার? সে সমাজে বিনোদন থাকবে মাদকে ভরপুর, চলচ্চিত্র থাকবে যৌনতায় ভরপুর, সাহিত্য থাকবে হরর, আর সাইকোলজিক্যাল থিউরীতে ভরপুর, সে সমাজে সুস্থ বিবেক সম্পন্ন মানুষ কোথায় পাবেন? স্বাভাবিক চিন্তা চেতনা, সুস্থ বিবেক থাকলেই তো মানুষ ভালো খারাপ বিবেচনা করবে??
.
মুখে বিরক্তির ছাপ রেখে সুভাষ কইলো" তোদের এসব বলে লাভ নাই, ধর্মীয় গোড়া শিক্ষা তোদের অন্ধ করে দিয়েছে। ধর্মের রোষানল থেকে আজিবনেও তোরা বের হতে পারবিনা"!
.
এ বলিয়ায় হনহনিয়া প্রস্থান করিলেন সুভাষ।
.
বুঝলাম না আমি যখন উনাদের স্বপ্ন গুলোর বাস্তবায়ন পথে এই সমাজ, সংস্কৃতিতে যে বিশৃঙ্খলা গুলো সৃষ্টি হবে তা নিয়ে কথা বল্লেই এইসব ধর্মীয় গোড়ামী শিক্ষা বলেই সুভাষ দাদা রাস্তা মাপতে শুরু করে!
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৬
সত্য আত্মা বলেছেন: আপনার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে ! আপনাকে ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৮
রাকিব শাওন (মিহিক) বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আসলে তাদের বর্ণিল স্বপ্নটা আমাকেও ভাবায়