![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ... একটু লিখতে ভালোবাসি.. এক কথায় হাতে কলম থাকলে পুরা পৃথিবীকে খাতা বানাই লিখতে পারবো! একটা সময় লিখার উপর অনেক সপ্ন ছিল,!!
এই পৃথিবীতে কত্ত হাজার রঙের মুখোশ পরা মানুষ আছে, সেটা এক মাত্র স্রস্টাই ভালো জানেন।।
মূল ঘটনায় আসা যাক,,,,
বাসে করে কুমিল্লা থেকে বাসায় ফিরতে ছিলাম, কিছু দূর আসার পর বাসের হেলফার আইসা আমার কাছে ভাড়া চাইল। তো আমি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য বেক পকেটের মানিব্যাগটা বাহির কইরা দেখি, ৫০০ টাকার দুইটা নোট।
একটা খুচরা টাকা ও নেই। (কি আজব ব্যপার, এরকম পরিস্থিতিতে আমি কখনোই পরি নাই আগে)
তাই বাধ্য হয়েই তাকে ৫০০ টাকার নোটটা দিলাম,
-কি ব্যাপার ভাই? ৬০ টাকার ভাড়ার জন্য আপনি ৫০০ টাকার নোট দিচ্ছেন কেন?
-আরে ভাই, খুচরা থাকলে ত খুচরাই দিতাম, খুচরা এক আনা ও নাই, এই দেখো...
এই বলে আমি আমার মানিব্যাগটা দেখালাম।
এরপর সে আর কোনো কথা না বলেই টাকাটা নিল, আর বল্লঃ টাকাটা ভাংতি হলেই আপনার বাকি টাকাটা আপনাকে দিয়ে দিব।
আমি তখন শুধুই হ্যাঁ সূচক মাথাই নাড়ালাম।
গড়ি চলছে....
আর আমি ও হেডফোনে গান শুনতেছি...
আর পথে কত্ত মানুষ উঠানামা করতেছে, তাদের দেখছি...
এরপর প্রায় ঘন্টা খানেক পর, যখন আমি আমার গন্তব্যের বেশ কাছাকাছি চলে আসছি তখন হেলফারকে বল্লামঃ -ভাই আমার টাকাটা?
কোনো উত্তর নাই, মনে হয় শুনে নাই,
তাই আবার বল্লামঃ -ভাই আমার বাকি টাকাটা দেও!
দেখলাম ছেলেটা রিতিমত টাস্কি খাইয়া আমার দিকে হা কইরা তাকাই আছে,, আর বল্লঃ
-কিসের টাকা আপনার?
-মানে কি? ভাঙানোর জন্যে যে ৫০০ টাকা দিলাম সেটা?
-ওও আচ্ছা, মনে পড়েছে। সেটা আপনি ছিলেন না?
-কে কোনটা আমি? তোমারে ও কি ভূতে পইল নাকি?
-না ভাই, আমি শেষ! আমি আপনি মনে করে আরেক জনকে আপনার ৫০০ টাকা ভাংতি দিয়া দিছি।
এরপর দেখলাম বলতে বলতে ছেলেটা কেঁদেদিলো,
ভালো কইরা খেয়াল কইরা দেখলাম, তার পরনে একটা ছিঁড়া পেন্ট আর ছিঁড়া জুতা, দেখেই মায়া হলো।
এরপর ছেলেটা বল্লঃ ভাই আমার ৩ দিনের বেতন/ পরিশ্রম সব শেষ। এরপর আমার মালিকে শুনলে আমার চাকরিটা ও শেষ করে দিবে , দয়াকরে বইলেন না ভাই।
আমি আর কি বলব! ও দেখতেছি আমাকে ৪৪০ টাকা ফিরত দিচ্ছে, তা থেকে আমি ভাংতি ৪০ টাকা নিয়ে, বাকিটা তাকে দিয়ে বল্লামঃ
-এটা দিয়ে দুদিন চলবে তোর! রেখে দে....
ছেলেটা টাকাটা নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে আমার দিকে হা করে তাকিয়েই থাকল, শুধু.....
এরপর গাড়ি থামালে আমি নেমে পড়ি,
বাসায় আসার পর থেকে শুধু একটা কথাই ভাবতেছি,,
ছেলেটা যাকে ভুলে এত্তগুলো টাকা দিয়ে দিলো, সে কি আসলে মানুষ ছিল? নাকি কোন মুখোশ পরা জানোয়ার।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫১
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: জ্বী, আপনি যথার্থই বলেছেন।।
পৃথিবীটা চলছেই, এমন করে।
মন্তব্যের জন্য, অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৯
বর্ণিল হিমু বলেছেন: কি যে বলেন ভাই....!
মুখোশ না পরলে মানুষ বাঁচে....!
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৪
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: হুম, মুখোশ এখন মানুষের অক্সিজেনের মত প্রয়োজন,
যা বাঁচার জন্য অবশ্যক।।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ,, ভ্রাতা।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৩
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: ছেলেটি কি আসলেই কাউকে টাকা টা দিয়েছিলো? কারন অনেক সময় ইচ্ছাকৃত ভাবেই এমন অভিনয় করে এরা। জানি টাকার বড্ড প্রয়োজন এদের, তারপরও অন্যায় সবার জন্যই অন্যায়।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:২৬
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: সেটা একমাত্র আল্লায়ই ভালো জানেন।
তবে আমার মনে হয় না, ছেলেটা মিথ্যা বলছে।।।
আর হয়ত সে ও মুখোশ পরা অন্য কেউ।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৭
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: ছেলেটা অভিনয় করেনি বলেই মনে হয়েছে। তবে, এখানে আমি লেখকের ভূমিকাটিকে বিশেষ সম্মান জানাতে চাই। ভাই আপনার মতো লোকগুলোকে যেকোনোভাবে একসাথে জড়ো করেন।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: জ্বী, আপনি ঠিকি ধরেছেন।
ছেলেটা অভিনয় করে নি।।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, ভ্রাতা।
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০
মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: মানুষের স্বরূপ বোঝা যায় যখন “সুযোগ” আসে তখন সে যে আচরণ করে তার থেকে। কথায় অাছে না- “সুযোগের অভাবে আমরা সবাই সৎ”।
আপনার বর্ণিত মহানুভবতার জন্য আপনাকে বিনম্র শ্রদ্ধা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: জ্বী, আপনি ঠিকি বলেছেন, সুযোগ মত মানুষের রুপ চিনা যায়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, ভ্রাতা।
ভালো থাকবেন।
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: হুম
৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩১
সুরাইয়া বীথি বলেছেন: সত্যিই পৃথিবীটা এক বিচিত্র জায়গা আর বিচিত্র সব মানুষ গুলো ও !
১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২১
আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: জ্বী,, কোনো মানুষকে এখন সহজে বিশ্বাস করাএ উপায় ও নেই।।।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
ভালো থাকবেন!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৩
আজমান আন্দালিব বলেছেন: কেউ মুফতে পেয়ে মেরে দেয়, কেউ প্রতারণা করে মেরে দেয়, কেউ জোর করে মেরে দেয়, কেউ কলমের খোঁচায় মেরে দেয়...কারও কোনো বিকার নেই।