নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা সময় আমি ছিলাম বইয়ের পোকা, আর এখন ইন্টারনেটের!!স্বপ্ন থেকে বাস্তবকে বড্ড ভালোবাসি আমি।

আব্দুল্লাহ তুহিন

আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ... একটু লিখতে ভালোবাসি.. এক কথায় হাতে কলম থাকলে পুরা পৃথিবীকে খাতা বানাই লিখতে পারবো! একটা সময় লিখার উপর অনেক সপ্ন ছিল,!!

আব্দুল্লাহ তুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"দিবসগুলা এখন আলাদা শুধু তারিখ আর ড্রেস এর রং এ! পালনে নয়!! (সবটা পড়ার অনুরোধ রইল)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

একটু আগে চা খাওয়ার জন্যে দোকানে গেলাম। দোকানে গিয়ে দোকানিকে বললামঃ
-মামা..ভালো করে একটা চা দাও তো.. আর সাথে একটা কচমচ বিস্কিট দিবা...!!
.
বিস্কুট একটা একটা করে চা'তে চুবাচ্ছি আর গিলতেছি! ভালোই লাগছিলো ফিলিংসটা...!! কিন্তু এরপর দোকানি মামাটা যা বল্ল তাতে ফিলিংসটাই নস্ট হয়ে গেলো। :3
.
দোকানে কেউ নাই দেখে, মামাটা আমাকে একটা প্রশ্ন করে বসলঃ-
-আচ্ছা, জামাই! (আমার খালার বাড়ীর ওইদিকের সবাই আমাকে জামাই ডাকে :p ) কাল শেখ মজিবের কি? মৃত্যুবার্ষিকী?
- কই কাল শেখ মজিবের কি? আরে কাল তো ১৬ ই ডিসেম্বর! শেখ মজিবের কিচ্ছু না!
-তাইলে চারদিকে শেখ মজিবের ভাষণ বাজছে, পোস্টার লাগাচ্ছে কেনো?
-আহা... বাজাচ্ছে আরকি, আবেগে ওতো বাজেতে পারে নাকি? আর জাতিরপিতা বলে কথা!
- ওও...তাহলে কাল কি?
-আরে কালকের দিনে দেশ স্বাধীন হইছে।
-ওও, তাহলে ২৬ শে মার্চ.. ?
- ওহ..হো..! আপনাকে দেখি পুরা ইতিহাস পড়াইতে হবে। এক কথায় ২৬ শে মার্চে যুদ্ধ শুরু হয়েছে আর কালকের দিনে যুদ্ধ শেষ হয়েছে!! এবার বুঝা গেলো??
এরপর উনি একটা হাসি দিয়ে আমার সামনে থেকে চলে গেলেন!! :-)
আর আমি চায়ের কাপটার দিকে তাকিয়ে দেখি চা শেষ! বিস্কিট আরো একটা বাকি! কি আর করা? ওইটা চা ছাড়াই খেতে হলো!!
.
এরপর চিন্তা করলাম,,,
উনার আর দোষ কি? সব তো আমাদেরই দোষ। ইতিহাস চর্চার নামে আমরা ইতিহাসটাই বিকৃতি করে পেলতেছি। ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ৭ ই মার্চ, ২৬ শে মার্চ, ১৫ ই আগস্ট বলেন, আর ১৬ ই ডিসেম্বর বলেন... এই দিবস গুলার ভিতর কিন্তু পার্থক্য রয়েছে..
সেটা আমরা অনেকেই জানি না!!
.
আমাদের দিবস গুলা এখন সব এক রকমেই যায়...
২১ শে ফেব্রুয়ারিতে যে গান, যে ভাষণ! সে একি গান, একি ভাষণ ১৬ ই ডিসেম্বরে ও... বিষয়টা কি চেঞ্জ হওয়া উচিত না? যেহেতু দিবস আলাদা... সব কিছুই আলাদা হওয়া উচিত নয় কি??...!"
সেই বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যান্ত দিবস গুলা পালনের মাধ্যম এক...! তাহলে আর দিবস গুলা আলাদা করার কি দরকার ছিলো?
.
দেশের অনেক কলেজ, ভার্সিটিতে পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী ও জানে না যে, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শোক দিবস কবে! জানলে ও এ দিবস গুলার মোধ্যে কি পার্থক্য সেটাই জানে না।
সেটার একমাত্র কারন হচ্ছে, এ দিবস গুলার মোধ্যে আমরা কোন মৌলিক পার্থক্য রাখি নাই। সব দিবস গুলা যদি এক নিয়মে এক রকমে পালন করা হয়, তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব যে আজ কি দিবস?
কি বা আজকের দিবসের তাৎপর্য? :-)
.
কিন্তু দেশের প্রায় সব ছেলে/ মেয়ে বলতে পারবে যে, ভালোবাসা দিবস কবে!" এর একটাই কারন এই দিবসটা আলাদা করার অনেক মাধ্যম রয়েছে, এমনকি এটা পালনের মাধ্যমটা ও আলাদা...!!
পরিশেষে এটাই বলব যে, আমাদেরকে আগে দিবস গুলার মোধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে! তারপর পালন করতে হবে। নতুবা দিবসের জায়গায় দিবস থাকবে কিন্তু আমাদের প্রকৃত ইতিহাসটাই থাকবে না!!
বিকৃত ইতিহাস নিয়ে তখন আমরা হয়ে যাব বিকৃত জাতি!! :3

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন । ধন্যবাদ

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি করার জন্যে ধন্যবাদ, ....
ভালো থাকবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.