![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুধ আনার জন্য কিছু দিন আগে গেলাম আমার পাশের মহল্লার দুধের খামারে। দুধ দেওয়ার সময় এখনো হয়নি। ভাবলাম কি করা যায় সাথেই মসজিদ, একটু বসি। মসজিদে ঢুকতেই আমার পাশের বাড়ীওয়ালা এগিয়ে এলেন। ভদ্রলোক দীর্ঘ দিন সৌদীতে ছিলেন। দেশে এসেছেন বেশ কয়েক বৎসর। এখন তবলীগ করেন। দ্বীনের মেহনত করা কেন দরকার তা বিস্তারিত বলছিলেন। আমার বেশ ভালই লাগলো। ভদ্রলোকের সাথে আমার আইডিয়াও শেয়ার করা দরকার, তো আমি বললাম মহল্লার বাড়ীওয়ালারা ঠিক মত পানির বিল দেয়না, রিডারকে ম্যানেজ করে বিল কমায়, বিদ্যুৎ বিল দেয় না রিডারকে ম্যানেজ করে বিল কমায় (এখন অবশ্য প্রিপেইড), গ্যাসের ৫ চুলার পারমিশন, চুলা জ্বালায় ৮টা। হারাম পানি দিয়ে ওযু করে নামাজ পড়লে কি আল্লাহর দরবারে তা কবুল হবে? একথা বলার পর ভদ্রলোক তো রেগে আগুন, তুমি কিন্তু আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করছ।
তাঁর কথাশুনে আমি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। আমার ধারনাই ছিল না তিনিও একাজে যুক্ত। যে সুদ খায়, ঘুষ নেয়, চুরি করে, অন্যকে কষ্ট দেয়, তার মসজিদে আসার দরকার কি?
২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪
উরনচণ্ডী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কষ্ট লাগে যখন দেখি অন্যকে ভাল ভাল কথা বলে।
কিন্তু নিজে শুধরান না।
২| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
কানিজ রিনা বলেছেন: নতুন নকিবের সাথে একমত। ধন্যবাদ
২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৪৫
উরনচণ্ডী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:০২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অতি লোভী ঘুষখোর, সুদখোর, মাথায় বাড়ি দিয়ে পরের হক মেরে খাওয়া রাঘব বোয়াল অপরাধীরা সারা জীবন অন্যায়-অপরাধ করে।
তবে শেষ জীবনে তৌবা করলে সব মাফ। হাদিসেই আছে।
এরপর হজ করে দাড়ি রাখা শুরু করলে তো কথাই নেই।
২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
উরনচণ্ডী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অতীতের গুনাহ বর্জন করা, অনুতপ্ত হওয়া, পুনরায় সে গুনাহ করবে না এ রকম অঙ্গীকার করা হলো তওবা।
৪| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: রাজউকের চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য বড় সরকারী অফিসার গুলোর প্রায় জনের কপালে নামাজের দাগ দেখা যায়...
২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
উরনচণ্ডী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজে ১০০ জনের মধ্যে ৭০ জনের রুজী'ই হালাল না।
২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
উরনচণ্ডী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রুজি হালাল না হওয়ার কারনে ইবাদতও কবুল হয় না। নামাজ তাকে খারাপ থেকে বিরত রাখে না, রোজায় তার তাকওয়া অর্জন হয় না, হজ্ব তাকে নিস্পাপ করে না। দুষ্ট চক্রের মাঝে বাধা পরে।
৬| ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মসজিদেও আসা দরকার, না হলে হালাল ইনকাম করে ইবাদতকে অর্থপূর্ণ করার বিষয়টি অর্থহীন হয়ে যায়। লক্ষ্য খাওয়া নয় বা কর্ম আর ইবাদত করে স্রষ্টার কৃপা লাভ।
৭| ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
পথিক প্রত্যয় বলেছেন: তাবলীগের লোকেরা তাদের গণ্ডির বাইরে কাউকে সাহায্য করে না। আপনি যদি তাবলীগের সাথে যুক্ত হন তবেই তারা আপনার সাথে আছে।
হারাম উপার্জনে আমরা হালাল খাবার ক্রয় করার চেষ্টা চালায়।
৮| ২৩ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্যাটা বকধার্মিকের প্রকৃষ্ট উদাহরন।
৯| ২৩ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:২৩
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমাদের দেশে বেশীভাগ লোক ভন্ড
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
'হালাল রুজী ইবাদত কবুলের পূর্ব শর্ত' -এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর ভদ্রলোক যে ক্ষেপে গেছেন, তাতেও আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। তিনি হয়তো বুঝেছেন, তাকে উদ্দেশ্য করেই এসব কথা বলা হচ্ছে। এটাতে তাবলীগেরও কোনো দায় দেখি না। কারণ, তাবলীগ করলেই যে একটি লোক হালাল হারাম বুঝে সেইভাবে মেনে চলবে, এটা এই সময়ে অনেক কঠিন। আলহামদুলিল্লাহ, তাবলীগের কিছু লোকের আমল খুবই ভালো। কিন্তু এর বিপরীত চিত্রও কম নয়। বর্তমান সমাজে দেখা যায়, অতি লোভী ঘুষখোর, সুদখোর, পরের হক মেরে খাওয়া রাঘব বোয়াল অপরাধীরা সারা জীবন অন্যায়-অপরাধ করে শেষ জীবনে ভালো হওয়ার সাজ ধরে, নিজেদের লেবাস পোষাক পাল্টে নেয়, কেউ কেউ তাবলীগেও আসা-যাওয়া শুরু করে, কেউ কেউ হজ্ব করে হাজী সাহেব বনে যায়। কিন্তু সারা জীবনের অভ্যাস ছাড়তে পারা কি এতই সহজ?