নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেইসব দিনগুলিতে যখন এমনি বর্ষণ হত
আমি জানালা খুলে বাইরে তাকাতাম
হাতে কফির মগ
আর তাতে নিজেরই বানানো কফি।
দেখতাম গর্জনের কালো কান্ড বেয়ে
নেমে আসা স্বচ্ছ জলধারা কেমন ঘোলা হয়ে
নামত পাহাড়ের ঢাল বেয়ে-
পাহাড়ের কাদা ও বালুর স্পর্শে ;
পানির তোঁড়ে ভেসে যাওয়া গর্জনের পাতা!
কাটাপাহাড়, রেলস্টেশনে কুন্ডলী পাঁকিয়ে
শুয়ে থাকা কুকুর গুলো ও ঢুকে পড়ত মাঝেমাঝে
কটেজের ভেজানো দরজা ঠেলে
আশ্রয়ের খোঁজে।।
কিংবা তারও আগে কৈশরে যখন বৃষ্টি হত
পু্কুরে বড় বড় বৃষ্টির ফোটা পড়ে ছলকে উঠত
সারিবাঁধা পাতিহাঁসের দল পাখা ঝাঁপটিয়ে
ছুটে চলত
আর আমরা মায়ের অগোচরে
ঘাঁটেবাধা নৌকা নিয়ে লাগাতাম ছুট
এমনি শ্রাবণ মাসে কৃষকের কেটে ফেলা
পাটের জমিগুলোকে মনে হত অথৈ নদী
আমরা মেতে উঠতাম নৌকা বাইচে,
পানিতে ডিগবাজি' র খেলায়।
অথবা বিকেলবেলা কাদাভরা মাঠে
হা-ডু-ডু খেলে বাড়ি ফিরতাম
লুকানো শামুক,ইটের টুকরায় হাত পা কেটে।।
বৃষ্টি এখনো নামে, নাগরিক জীবনে
মাঝেমাঝে বিদ্যুৎ চলে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াই
সামনে বড় নিমগাছে দু' একটি পাখি ডানা ঝাপটায়।
মনের ক্যানভাসে ভেসে ওঠে পুরোনো স্মৃতি
বুকের ভিতরে একটি পাখির
ডানা ঝাপটানোর শব্দ পাই।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
মুগ্ধতা কবিতায়
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
ভ্যাগাবন্ড ওয়ার্ল্ড বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩
মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: বাহ্