![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুক তথা সোশ্যাল মিডিয়া আর প্রথাগত গণমাধ্যমের মধ্যে অনেক তফাত আছে। ফেসবুক - একজন ব্যক্তির মুক্ত-স্বাধীন চিন্তার জায়গা। একজন রিপোর্টার সংবাদপত্রে, রেডিও, টেলিভিশনে অনেক তথ্যই জানাতে পারেনা, অনেক কথাই বলতে পারেনা, অনেক চিত্রই সেন্সরড হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই সীমাবদ্ধতা অনেক অল্প।
গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুকে সাংবাদিক বন্ধু ইসমাইল হোসাইন এর পোষ্ট করা একটি ছবি ও তার প্রেক্ষিতে নানান দর্শক, পাঠকের করা কড়া মন্তব্য, সমালোচনার প্রেক্ষিতে এই লেখার অবতারনা।
ইসমাঈল ভাই, আপনার পোষ্ট করা ছবিটি সম্ভবত তার সংবাদপত্রে পাবলিশ করবেনা। তার নিজস্ব নীতিমালায় এটা হয়ত যায়না, 'আমার দেশে'র মত কিছু পত্রিকা হয়ত করবে, যারা সবসময় নীতি-নৈতিকতার ধার ধারেনা, অথবা তাদের স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যশীল।
তবে বিকল্প মিডিয়ায় এ ধরণের ছবি দেয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। যেমন, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সাধারণত ১৮ বছর বয়স হতে হয়। ফলে এ ধরণের ছবিতে প্রাপ্ত বয়স্ক কারো জন্যসাধারণত ক্ষতির পরিমান খুবই নগন্য। ফেসবুকে যে কেউ, যে কাউকে পছন্দ না হলে রিপোর্ট করতে পারে, কমেন্ট করতে পারে, নিজের ভিন্নমত জানাতে পারে, আনফ্রেন্ড করতে পারে। ফলে, প্রথাগত মিডিয়ার হুকুম এখানে খুব একটা প্রজোয্য হয়না। একটার সঙ্গে অন্যটা মেলানোর চেস্টা না করাই ভাল। দুটি ভিন্ন চরিত্রের মাধ্যম।
আর গা শিউড়ানো ছবিটা যদি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ সংবাদ বহন করে, বিকল্ল্প মিডিয়ায় সেটা না দেওয়াটাই আমার মতে পাপ, অন্যায় ও অপরাধকে লুকিয়ে রাখার শামীল।
এবার যদি আপনার পোষ্ট করা ছবিটির বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করি - "ফেনিতে পেট্রোল বোমা তৈরিকালে ঝলসে গেছে ৪ যুবলীগকর্মী" - ঘটনাটি গা শিউড়ে ওঠার মত। যুবলীগ কর্মীরা কেন পেট্রোল বোমা তৈরি করবে? উদ্দেশ্য কী। তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, প্রার্থী বাছাই শেষ। ভোট আর ভূমিধ্বস বিজয়ের অপেক্ষা। যাদের এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার কথা, মা-বোনের কাছে সালাম দিয়ে ফুলের মত পবিত্র চরিত্রের প্রাথীদের জন্য দোয়া চাওয়ার কথা। সেখানে তাদের হাতে পেট্রোল কেন। ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা হাজারো গণমাধ্যমের কয়টিতে এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, বা হবে? আর দলকানা সংবাদ কর্মী কেউ এটা এড়িয়ে যাবেন, নীতির দোহাই তুলে, কেউ না দেখার ভান করে।
বলি, এমন ঘটনা শুধু কি কালো কালির বুনন হরফে বুঝানো সম্ভব? এটা কি একটি প্রামান্য ছবি, ছোট একটি ভিডিও ক্লিপ ছাড়া কারো কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে ? সেটা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয়। যেখানে প্রথাগত মিডিয়া দলান্ধ দালালীতে মত্ত, সেখানে বিকল্প মিডিয়া গণমানুষের কাছে বিশ্বাসের মুক্ত দুয়ার। তবে সেখানে বিশ্বাস করতে হয় বুদ্ধি-বিবেচনা দিয়ে। অনেক ভূয়া তথ্যের সাথে অনেক সত্য তথ্যও আছে।
অঅর এত দুর্বল হার্ট নিয়ে এই দেশে বসবাস না করাই ভাল। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব কেবল শুরু। তাতেই রক্ত গঙ্গা বইতে শুরু করেছে। পাড়ি দিতে হবে আর বহু দূর। এমন ছবি, এমন দৃশ্য, এমন ঘটনা, এ ধরণের ষড়যন্ত্র আমরা কেউই কামনা করিনা। তারপরও ঘটছে, তারপরও ঘটবে।
এই ছবিটা একটা দালিলিক প্রমান - যে প্রেট্রোল বোমা শুধু অবরোধ সমর্থকরাই তৈরি করেনা। সরকার সমর্থকরাও করে। গণজাগরণ মঞ্চের তীর্থভূমি, কড়া পুলিশ নিরাপত্তার মোড়কে মোড়া শাহবাগে ভর সন্ধ্যায় চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমাটা যে মির্জা ফখরুল, রিজভীরা মারে নি, সেটা কিছু জ্ঞানপাপী ছাড়া সকলেই বোঝে। যদিও সদ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সদাহাস্যমুখ মনিরুল ইসলামের জবানীতে জানতে পারলাম, ঘটনাটি বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশে, যুবদলের কয়েক কর্মীর তত্তাবধানে হয়েছে। তার জবানীতে আরও বিস্তারিত জানার অপেক্ষায় রইলাম।
তবে আজকে খুলনায় রেল লাইনের ফিসপ্লেট তোলার সময় আরও কয়েকজন যুবলীগ কর্মী হাতে-নাতে ধরা পড়েছে। অপপ্রচারের ক্রমাগত শিকার সরকার বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের জন্য শাপে বর হয়েছে পাবনার মন্দির পোড়ানো, রামুর মন্দির পোড়ানো, বরিশালে সংখ্যালঘূ বাড়ি পোড়ানো, বগুড়ায় শহীদ মিনার ভাঙ্গার ঘটনা । এসব ঘটনায় সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর প্রত্যক্ষ্যভাবে সম্পৃক্ততার
প্রত্যক্ষ্য প্রমান রয়েছে। কোথায় ষড়যন্ত্রকালে হাতে নাতে ধরা পড়েছে। আর এমন 'কট রেড হ্যান্ডেট' কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রের কাহিনী, চিত্র, চলচ্চিত্র দল-দাশ ট্রাডিশনাল মিডিয়ায় খুব অল্প প্রকাশ পায়। তবে কেউ যদি বিকল্প মিডিয়ায় প্রকাশ করে, সেখানেও তোলা হয় নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন।
বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় নীতি-নৈতিকতার কোন বালাই নেই। মাত্র ৩-৪টি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে মে অসম্পুর্ণ নীতি-নৈতিকতা বিষয়ক ক্ষুদ্র প্রকাশনা রয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের নীতি-নৈতকতা বিষয়ক একটি গবেষণা ও হ্যান্ডবুক তৈরির কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযাগ হয়েছিল। পরিতাপের বিষয়, বিবিসি, রয়টার্স, এপির আদলে প্রনীত সেই হ্যান্ডবুকটিও সমাদৃত হয়নি সাংবাদিকমহলে । ব্যাখ্যা নিস্প্রোয়জন।
পাদটীকা : নিজের ভাললাগার দল বা মতের বিপক্ষে যায় এমন মতামত, ছবি, প্রামান্যচিত্র নিয়ে যারা নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন তোলেন, কিংবা নিপাট ভদ্রলোকটি সেজে নিরব দর্শক সাজেন সমান কিংবা লঘু অপরাধের বেলায় গলা ছেড়ে চিৎকার করেন, তাদের জন্য কেবল আফসোস!
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬
দিশার বলেছেন: তিন চারটি নিরপেক্ষ মিডিয়া কি কি ? নয়া দিগন্ত ? আমারদেশ আর দৈনিক সংগ্রাম ?
আমান, খোকা , কিভাবে ফোনে পুলিশ মারার, পুড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে শোনেন নাই ? লিংক লাগবে? বাংলালিক্স এর পেজ য়ে কষ্ট করে শুনে আসেন।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দিশার বলেছেন: তিন চারটি নিরপেক্ষ মিডিয়া কি কি ? নয়া দিগন্ত ? আমারদেশ আর দৈনিক সংগ্রাম ?
আমান, খোকা , কিভাবে ফোনে পুলিশ মারার, পুড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে শোনেন নাই ? লিংক লাগবে? বাংলালিক্স এর পেজ য়ে কষ্ট করে শুনে আসেন।
রেফারেন্স দেন ভাই। নিরপেক্ষ মিডিয়ার রেফারেন্স দেন। প্রথম আলোকে আওয়ামী লীগ কিভাবে কিনলো সেইটা সম্পর্কে একটু জানতে চাই। আর প্রথম আলো আর সমকাল একই নিউজ করে, দুই মালিকের এমন গলায় গলায় পীড়িত সেটাও জানতে চাই।
জন গনের সবার হাতে লীগের পোলাপান মার খেয়ে পেপারে যদি শিবির হয় তাইলে সেই জন গন কিছু না বইলা চুপ কইরা থাকবে তার সাক্ষাৎকারও জানতে চাই।
একটা মাইয়ার ফটুক দিলাম। এই মাইয়া যদি কয় বাসের পেট্রোল বোমা লীগ মারছে তাইলে আপনেরে কান্ধে লইয়া নাচুম আর কমু আপনেই সত্য।
ছাগু কুন হানকার
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হে ছাগুটিক, কালের কন্ঠ তো বিএনপি ঘেষা আবার জামাতের কিছু অর্থায়নও আছে মালিক পর্যায়ে। দেখোতো ছাগুটিক লিংকে গিয়ে। মুখে আল্লার নাম আর জবানে থাকে মিথ্যা কথা আর হাত দিয়া করো মানুষ হত্যা। ইন্জ্ঞিন ঠান্ডা করনের লিগা যেইখানে সেইখানে ধর্ষন পেডোফিলিজম কইরা বলো আমরা আল্লার বান্দা! এই হইলো তুমাগো চেহারা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৫
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: শিবির, জামাত, যুবলীগ, যুবদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, এরা সবাই জাতির শত্রু; আমরা এদের সবাইকে বাংলা থেকে তাড়াবো।