![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গণমাধ্যম যখন গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করবেনা, যখন গণমানুষের অধিকার, বঞ্চনা আর না পাওয়া, না পারার কথা তুলে ধরবেনা, যখন কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠীর ক্রীড়ণক হবে; তখন জনগন সেই মিডিয়া প্রত্যাখ্যান করবে। জেগে উঠবে বিকল্প মিডিয়া। বাংলাদেশে সম্ভবত সেই সময়টি অত্যাসন্ন।
বর্ষবরণে যৌন সন্ত্রাসের এতগুলো অমানবিক, পাশবিক ঘটনা ঘটে গেলো, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো নিরব-নিস্ক্রিয়।
কোন কোন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান তৎপর বিষয়টিকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করার। এদেশের একটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানও কি নেই, যারা অনুসন্ধানী একটি রিপোর্টিং টীমকে অ্যাসাইন করে ঘটনার গভীর থেকে সত্য উন্মোচন করতে পারে। যারা নির্যাতিত হয়েছেন, যারা নির্যাতন করেছে, কেউ তো গায়েব হয়ে যায়নি। ধরে নিলাম, পুলিশ, র্্যাব এমনকি সরকার এক্ষেত্রে কোন ধরণের সহায়তা করবেনা। তাই বলে কি হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। বাস্তবিক পক্ষে, অধিকাংশ মিডিয়া নিজেরাই এমবেডেট। তাহলে এমন নপুংসকের মতো সাংবাদিক তকমা গায়ে লাগিয়ে চলার কী দরকার। একসময়ের সাংবাদিকদের অবিসংবাদিত (!) নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর মতো সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে, সাংবাদিকদের অধিকারের আন্দোলন ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে নেমে পড়লেই হয়। অথবা বিএনপি সভানেত্রী'র উপদেস্টা শওকত মাহমুদের সরাসরি কোন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যান। তখন আর কোন দায় থাকবেনা। নিজেকে নিরপেক্ষ সাংবাদিকও বলবেন, আবার কোন দল বা মতের প্রত্যক্ষ দালালি করবেন, আর জনগণ আপনার চাতুরী ধরতে পারবেনা, এমন ভাবনা ভেবে থাকলে, জনাব আপনি বোকার স্বর্গে বাস করবেন।
এমন ধারার সাংবাদিকতা চলতে থাকলে জেগে উঠবে বিকল্প মিডিয়া। জনগণ আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলবে সবধরণের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহনযোগ্যতা হারাতে বসা প্রচলিত ধারার গণমাধ্যম সমুহ। মানুষ তখন ফেসবুকে, টুইটারে, ব্লগে অথবা বিদেশি মিডিয়ায় খবর দেখবে।
আমাদের মিডিয়াকে বাঁচাতে সত্যাশ্রয়ী ও দায়িত্বশীল ভুমিকা পালনের কোন বিকল্প নেই।