![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ ! খাল-বিল, নদ-নদী, হাওড়-বাওরের দেশ। বর্ষা ঋতু নামে এখানে আলাদা একটি ঋতৃও আছে। বর্ষাকালে বৃস্টি হবেই, ব্যতিক্রম কিছুনা। সেটা নিয়ে গল্প, উপন্যাস, ছড়া-কবিতা হতে পারে, ফেসবুকে সেলফি পোষ্ট হতে পারে, এই তিন-চার দিনের বৃষ্টি আমার কাছে স্বাভাবিকই মনে হয়। এখানে নিউজ হবার মতো কোনো উপাদান আমি দেখিনা। বড়জোড় এক কলাম আবহাওয়া সংবাদ। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈরী প্রভাবে মাত্রাতিরিক্ত খরা অথবা বৃষ্টি হলে তার পেছনের কারণ নিয়েও ভালো রিপোর্ট হতে পারে। এর থেকে প্রতিকারের খোঁজ-খবরও জানাতে পারেন কোন গণমাধ্যমকর্মী।
কিন্তু কেউ কখনো জানতে চায়না, কৌতুহলী কারো মনে কখনো প্রশ্ন জাগেনা যে, গত ৪৫ বছর ধরে দুই-তিন পশলা বৃষ্টি হলেই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের রাজধানীর ব্যস্ততম শান্তিনগর মোড়ে কেন অশান্তি নেমে আসে, কেন হাটু থেকে কোমর সমান জলে ডুবে যায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো। তাহলে সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা ইত্যাদিরা করেটা কী?
বর্ষাকালে মানুষের ভোগান্তির পেছনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান, জলাবদ্ধতা, পয়ো:নিস্কাশন ব্যবস্থা, অকারণ খোড়া-খুড়ি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, দখল, অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন হতে পারে। কিন্তু সেরকম খবর তো চোখেই পড়েনা। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকার পরও কারো জানতে বা জানাতে ইচ্ছে হয়না, কেন দেশের প্রধান সড়ক এবং খোদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে সারাক্ষণ ট্রাফিক জ্যাম লেগে থাকে?
জাতি হিসেবে আমাদের বেশিরভাগ লোক্ই সর্বক্ষেত্রে ‘সারফেসে’ থাকতে পছন্দ করি। সমস্যার গভীরে যাওয়ার ইচ্ছা বা প্রবণতা আমাদের মাঝে খুবই কম। গণমাধ্যমও সেই একই পথে হাটছে। অথচ, তারা ইচ্ছে করলেই জাতির রুচি পরিবর্তনে ইতিবাচক কাজে নিবেদিত হতে পারে। সস্তা দরের হাটু-জলের ছবিতে মাছ ধরার চিরায়ত দৃশ্যের বর্ণনা না করে কেন এমন বেহাল দশা, সেটা নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট, ফলো-অাপ করে যেতে পারে।
এমন পরিকল্পিত ও কাঙ্খিত একটা মিডিয়া হাউজও কি আসবেনা আমাদের দেশে !
ছবি সূত্র: বিডি নিউজ - আরকাইভ।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কারণ সবাই জানে, আর সাংবাদিকরা নতুন করে লিখলেও লাভ হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদরা আন্তরিক হন। ওনারা সবাই ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছাতে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪১
প্রামানিক বলেছেন: চিন্তার বিষয়